যোড়শ বর্ষ ॥ যষ্ঠ সংখ্যা ॥ অগ্রহায়ণ ১৩৬৭ বিশেষ আকর্ষণ- একখানি সম্পূর্ণ উপস্কাস £ রবী্র-পাঠচক্র £ রবীক্জ-ুগ্গ £ বাংলার চিত্রশিল্প ( সচিত্র সংযোজন ) ৬৪ নি ”* বা ++ . রে রি, ক, এপ রা পি রত রন ২৪ নি তি ১৫ বাটা, ৪ পি ্ ২০ ৮] পি টু চে ৮. 1০001, +: চি সজল নখ ৪ ভারত শাশ্বঃ পাণপন্ম ও স.%* মন্সনঠিত আছে তার শে, ভাঙ্থে।। ন। আডও |লশ্বর "কাটি কাটি নবন|রার মন শ্রদ্ধা ও বিজ্মাহের সঞ্চার কর। ৯ 4111 111 4 সস ৬ কাবা, মর্যাদার পরিঢায়ক ভারতের মিল্ক শাড়ীই আজ আধুনিক নারীর অন্ত অক্ষাভরণ | সিক্ধ শাড়ী নান! রঙে, বর্ণে ও বৈচিত্র অতুলনীয় হয়। ৰ ইন্ডিয়ান লিন হাউস ৩76) / না বহতা 25৬77 টাওয়ার রক, কলেজ স্থরট মার্কেট, কলিকাতা ০০ ই ০ সং, ৩ সি 4 ২ স্‌ 2 ১ ৃ / রঙ রব & $ সপ রঃ রি পা ছ |) ও পে পর রী ৪৮৬৮৮ ওরা প্৯উক জপ ৩৩৮৮ ৩০ ৬. ৮৪০ ২২ 2৪9৬ ভুঙ্গল শুধু যে কেশের পক্ষেই বিশেষ উপকারী তাহা নহে, ইহা মস্তিষ্ক সুস্থ ও শীতল রাখে এবং স্থুনিদ্রার সহায়তা করে। সুচি সহত্রঙ্ে কেখঠেন দি ক্যালকাটা কেমিকাল কোং লি কলিকানা-২৯ ও ও ৃ 3 ্ খত টি রং এমা ৮ / / এ ৩ মী 18 টি ্ মী আতা ১ ত্র তহাযাণা-_ ০৩১৬৭ 9 পর্িন্প চি, ভ।রতী সাহিত্য ভবন প্রাইনেট লিঃ ২৭৭বি, চিত্তরঞ্জন এভেনিউ, কলিকাতা--৬ মুল্য- এক টাকা সহঃ সম্পাদক--- কল্যাণ রায় শ্ানুধাংগ্ুকুমার রায় চৌধুরী কর্তৃক ২৭৯ বি, চিত্তরঞ্জন এভেনিউ, কলিকাতাস্থিত, ভারতী সাহিত্য ভবন প্রাইভেট লিমিটেড হইতে প্রকাশিত এবং কল্পনা প্রেস প্রাইভেট লিমিটেড, ৯, শিবনারায়ণ দাস লেন, কলিকাতা হইতে মুদ্রিত। ০ -১০৫-৯৮০৬স্িস্১স্ সাদা চুলকে “টি কালো কারার সোল এজেপ্ট : এম, এম, খাস্তাটওয়ালা। আমেদাবাদ! হট ১ $ এজেন্ট :শা! বভিনী এগ কোং রে ১২৯ রাধাবাজার স্ত্রী, কলিকাতা-১| (সোল এজেপ্টস্‌ এম. এম, খাম্বাটওয়াল। আমেদা বাদ----১ এজেন্ট ২ শাহ বাভশী এণ্ড কোং ১২৯, রাধাবাজার তরী, কলিকাতা-_-১ ফোন 2 ২২-১০১৮ লি ক ৬৮ ৪ ৬ 3 ০৯১ 4৬৭ লী পিসি শি ৪ এ ৬ তষ্ট ততপিি রঙ শি টগসিসিসিিনেসেপিি ১ মিলের ১ নি পে আান্রস্তিশি ভা ০ 1০15 ভাভন্ডি। | ৪ ৮৩৭ উপ কো ভিিচি ৪ ৪৬৬৪ রন্পিরি গনিত ৮ গ* ্ ৮ ৩৬০7 ৮০৭৫% চা শহহইল জভানিট ০৩০ শ্৬ ০৮০১৮ সি ি৩১০0000 ্, রও পছন্দ 8 ঠাক্রম| কিআজ্কের লো: লোক- তার এতদিনের অভিজ্ঞত] | তিনিও খুশী হয়েছেন লক্ষ্মীর সানলাইট সাবানে কাঁচা কাপড় দেখে । কি ১ ফর্সা, আর রর রঙীন। [শে যে অল্প একটু সানলাইটেই অনেক কাপড় কাচা যায় রঃ লক্ষ্মী এটাও রা যে ধুতি, সা্ট » তোয়ালে--সব কিছুই আশ্চর্যা রকম সাদা ও উজ্জল হয় সানলাইটে। সানলাইটের কার্য)- ৬ ৪৮ &- গতি ১১ ৩॥ আগনাত ওত কিতিতে! * থে অসঙ্খে কোষের লহবানে শীত ও হত গঠিত হয়, ঘ প্রবাছেম্ হাধা।স্বই ভায়। পুটিলাত ধরে; তাই ত্ততঙে গাপরক্ষায প্রধান উপাদাম ধলা হয়। সেই কই ঘখন ঢৃষিত ছয়ে গড়ে তখন প্বভাহতাইে বিধি কটিন ধ্যাহিত আাতেমশে ছীধন ছক, হহ ছা ওঠে। ৯ € ৮ লারিবাধি সাঙ্গসা সেবনে নাহি ব্ুনুতীরত্ চিত এ 2 রহ ছুছু। রর €র্ভোত রশ পিষ্ারক ৪ রী ওবা জী যো পার হো, এফ, বু চন খাদের হখানী, এক-দি-এন (লব) শী "7: এখ-দি-এন (শাষেডিকা), ভাগলপুত ভালিতাত। ফে্র_ভাঃ মনেশচ্ স্বোহ, টিম 1। ( কলি; ), আনে আচার । ওখ গোগালপাড়া সো, ঘালিকাতা-$৭ ভাবা টিটি টু ..... .. এ ...... ..... ২. ও ও এবেীশাহিনর । শি ৪ সা] সস উ গা তাজা এব 7188 36206 ক্রক বও ইত্ডিয়। প্রাইভেট লিমিটেড ড্রাই তনগখ্যান্স আছ সম্পাদকীয়-_শ্রীকালিদাস নাগ বিশ্ব-সাহিত্য--একটি দিনের ইতিহাস- অন্থবাদক ৬; হিরগ্ময় ঘোষাল রবীন যুগ--শ্রীকালিদাস নাগ অমৃত কথা ও কাহিনী- অন্যান্যপূর্বা! ( সম্পূর্ণ উপন্যাস )_্রীসীতা দেদী রবীন্দ্র পাঠচক্র- রকবীপ্নাথ ও সাহিতা জিছস। (২) গ্রীত্রিপুর। শঙ্গর সেন অর্থনৈতিক আলে।চন1-- বিজ্ঞান-বার্ভা- খেলা-ধুলা কে,হাড় 43 কৌও ' কনিকাতা-)৪ ৩৭৯ ৩৫৬ ৩৫৩ টিকিট পরীক্ষকদের সংখা! বাড়িয়ে আরও বেশী বিন। টিকিটের যাত্রীদের শায়েস্তা কর! হয়ত সম্ভব। কিন্তু তা'তে যে খরচ হবে তা” বধিত ভাড়া বা ট্যাক্স বা উভয়েরই মাধামে আপনাদের কাছ থেকেই তুলে নেওয়! হবে। আইনের সাহাযো অপরাধীকে হয়ত শান্তি দেওয়! যায়, কিন্ত সুযোগ পেলেই জনসাধারণকে বুঝিয়ে এবং প্রয়োজন হলেই টিকিট পরীক্ষককে সমর্থন করে এ অপরাধ আপনিই নিবারণ করতে পারেন। এই সংখ্যায় আছে লোকো-বিভূষণ রাইমোহন--সত্যপ্রিয় ঘোথ ৩৫৫ জাল-ওযুধ--ডক্টর হরেক্দ্রনাথ রায় ৩৬৬ দেশ-বিদেশ__ ৩৮৭ বাংলার চিত্রশিপ্প (সংযোজন ) প্রাচীন বাংলার চিত্রকলা-_-কল্যাণকুমার গঙ্গেপাধ্যায় ৩৮৫ আচার্য অবনীন্দ্রনাথের স্মবণে--অধ্যাপক অদ্দেন্দুকুমার গঙ্গেপাধ্যায় ৩৮৮ শিল্পী গগনেন্দ্রনাথ-__দ্বিজেন্দ্র মৈত্র ৩২১ অবনীন্দ্রনাথ__ ৩৯৪ একপোৌঁছ হাসি ৩৯৭ বে দু প্রধানবখ। হনে চি খুবই সহজ। মুখখানি একবার ধুয়ে, সামান্য খানিকটা হিমানী স্ব মেখে ফের তাকিয়ে দেখুন আয়নায়। আপনার বর্ণ-কাস্তির আশ্চর্য পরিবর্তন দেখে অবাক হয়ে যাবেন। ২০৩ 12) 9.০ 90০৮2 ৮5985525৯5৮ 48:5 2 55৮8 336 কে, মি, দামের রমগোলা প্রিয়জনের প্রীতিভোজে উপাদেয় উপাদান বায়শূন্য টনেও পাওয়! যায় এবং বনুদিন অবিরত অবস্থায় থাকে বলিয়া ঢূর দৃরান্তরে উপহার স্বরূপ পাঠানো যায়। চে সি বা শি হজ রঙ এছ ভি খু ৮ পতি রা ক জট শীত এবি 38 ল নর শর হর হু ক্র প্র হ্ চি রি প্র নু. চ3 57 08 32785, 3 সেই সঙ্গে পাবেন রসোমালাই ই সন্দেশ ; দধি ইত্যাদি ও ক্রেহ হ প্র শি ৩ নর ৬ রসোমালাই আবিষ্কারক $ কে সি, দাশ প্রাইভেট লিঃ র্‌ রা ০০ রা রা স্‌ কলিকাতা-_-৩ ু রঃ নু সসিসিনিসিসিসিসিসিসিসিসিসিসিসিস সস সস সি ৯ চর র্‌ 88888855770 “দু 9 মে? রঃ 0700 সি ৫ 2 রর 8. 55757 ত2৮েহাী ০5775 রা ৮4 ছু ৮৮ শু ই চ 2 ৬ ১৫৫ ২ ৩ রি | সদ পি রর ০ ঠ (2 বর ্ £ঠ রি . ২77 / ২২ 9. এ ইস্ট পি এ পেটের ক টা ৮, ” ২৫৮১ সে 5২৬ ৫শ » ৬ দর নিঁশদ্ধ। _ আন্তিতীয় শর্ত সোৌন্দর্ব) সাবান ২০৫৯০ ৬০ 218০৫ ১০৬ ইহ ০০২৬০২১৩২২৮ ৩ ৮০ ৪৮ 50 /21 ০৮৮ মা ৫ ১০১৮ নট তি ৬ ইহ 2 0 আনতত১০৯২৫৪ পিই ০ এ বাক, ১ £ এপ বরাঙ্গাজবা কেমিকগঠাল 2 কলিকাতা ৪৭ কত শ্রেওত ১ ৪৭ ৈ পি ৩ হাড়ি ৯০ হিট - ৩৯৫ শী ৫8৩-৮১০,২ সখজগোজে মন দেবার সময় শীতকাল । কোন পোশাকে ঠিক মানাবে, কী বঙ হবে সেই পোশাকের, তার সঙ্গে যাবে কোন ধরনের জ্ুতো-_- পরিপাটি পরিকপ্পননার এই তো সময় ॥ সিজেকে রুচিবান বলে পরিচয় দিতে | এই তো সুযোগ । ফিটফাট সাজপোশাক-- মিমেষে এর আবেদন । এরই উপর নিতর-__ ফি আশ্তঘ চোখে লোককে আপনাকে দেখবে! বাটা স্থ কোম্পানী প্রাইভেট লিমিটেড ০ ্ ০ 7/////77/% ০ রি তার হিসেব কসরে লাজ কী? ক্শ্যস্থজে ইউ যা” পেয়েছি, ভান হজে তাকে আাখবার চেইা] করব, আম হা” পাইনি আথচ চাই, তা করতে হবে পাবা ০চষ্1। ৫৯ আপনার চুল ভাল জাতেম্ হু ডল আপানান একমাজআ চেষ্টা হবে তার পৌরবটি বহজাছ ম্লাখ? ॥ আনব তেমন না হললোে-'-. ক্বোউ- কথা চুলের জাত যেরকমই হোক ন। কেন,কেশরঞ্জন তেল তাত শ্রবৃদ্ধি করবেই? ২ না | 11 1 1 | ॥ 1) ] ॥ ॥ ্ 4 রি 1&. রী রি )1 । ক ; না 111 115 1 . $ ও ঝি / ক ই রঃ জন 2 গস 2 বিল ড্রখতলু প্রনাধনী হলেও এ্রপ্স অ:বেদন কিন্ত সকলেরই মনে ঘেক্কেতু এর ভে গুণটি সতাই ৬৩ খন্রিলেে ৫০০০৪ ঘঅলভ্যস ধারণ । মিষ্টি স্বরের নাচের তালে মিষ্টি মুখের খেল! আনন্দ-ছন্দে আনি-ছাদি খুপীর মেলা দির্িভীসি ০ সিং .+.. রা 111 রা গা মিষ্টি মুখের জগতজোড়া সুমিষ্ট আবেশ মিষ্টি সুরে উঠেছে বেজে সক ভিলছ কোলে গিরি প্রস্তুতকারক কতক আধুনিকতম বন্ত্রপাতির সাহায্যে প্রস্তুত কোলে বিস্কুট কোম্পানী প্রাইভেট লিমিটেড, কলিকাতা-১৭ (৫১.৫১.৫১.৫১৫৮-৫৪০৫৯-৫৯১৫,৫৯৫৯.৫.৫৫৪১৫৪৫৫৯৫৯৫৪৫ হয়া লিঃ (১৯৪৩ সালে রেজিগ্রারি কত ) হেড অফিসঃ ২, ইগ্ডিয়া এক্সচেঞ্জ প্রেস, কলিকাতা-_-১ অনুমোদিত মুলধন নি উ:25 27৬9 2৬ ভ বিজিকৃত ও হ্বীকৃত মূলধন স্ ৪১০০১০৩৪০ ০০২. সংগৃহীত মূলধন সপস্প ২১০০১০০১০০৪, সংরক্ষিত তহবিল এ ১৯৭৫০৯৯০০০২ শাখা! সমুহ ভারতে ঃ সকল শিল্প ও বাণিজ্যপ্রধান নগর ও শহর পাকিস্তানে ঃ চট্টগ্রাম ও করাচী ত্রক্মদেশে £ রেঙ্গুন, মৌলমিন, মান্দালয় মালয়ে £ পেনাং, কুয়ালা-লামপুর, ক্ল্যাং সিঙ্গাপুর কলোনীতে £ সেরাগণ রোড, সিঙ্গাপুর যুক্তরাজ্যে ঃ লগুন হংকং কলোনীতে £ হংকং এবং কাউলুন । এজেন্ট :-_-পৃথিবীর সর্বত্র-_ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া ও অষ্েলিয়া ব্যবসায় ও ব্যাক্ষিং সংক্রান্ত কার্যযাবলী $-- এই ব্যাঙ্ক আমানত গ্রহণ, অন্গমোদিত জামিনের পরিবর্তে দাদন দান, বিল খরিদ, ড্রাফট দান ও তারে টাক! প্রেরণের ব্যবস্থা এবং বৈদেশিক মুদ্রা-বিনিময় সংক্রান্ত সর্বপ্রকার কাধ্য করে। আস্তর্দেশীয় ও বৈদেশিক শাখাসমূহ এবং পৃথিবীব্যাপী ব্যবস্থার মাধ্যমে এই ব্যাঙ্ক সর্ববিধ ব্যাক্ষিং সংক্রান্ত কার্য্য সম্পাদনের স্থুযোগ দান করে। ডি. বিড়লা এস. টি. সদাশিবন চেয়ার্যান €জনারেল ম্যানেজার গ 0৮ ও. এ টিং ভিডি $ তি 4.4 রর ৮ 4 ঠা “এপ কঞ্জনা গ্রডাক্টস ১৯ কলা প্যরগেরেহোর। হাজোসেডছ জাত পু যা হত ৩ তি চনে 2) ০8] 44 দ] [সি 7 37৭: নি নে 147 রি রা নে) 8. ১২১1৯) 8, /)৮৯ ১ ১ না ৬ 1772 755 ১ সিএ, ১ 1217,1১ 5 ক টা, সিন ৬ আয়ুর্ব্বেদোক্জ অস্থৃত তুল্য মহোৌষধ। গুণে, গন্ধে ও বর্ণে যথাযথ ও শাস্্রানুরূপ। স্ৃতকল্প ব্যক্তিকেও সম্তীবিত করে। বল, বীর্য, মেধা, বুদ্ধি ও স্থতিশক্তি বৃ করিয়া নুতন জীবন দান করে। সর্বপ্রকার দৌর্কল্যে, কঠিন রোগভোগের পর, প্রসবান্তে ও ম্থতিশক্তিহীনতায় অস্বতের মত কাজ করে ও স্মারুমণ্ডলকে সবল ও সতেজ করিয়। শ্বাস্থ্যোজ্জল জীবন দান করে। মূল্য--৪২ টাক! পাইট ও ৭1* টাকা কোয়ার্ট অন্যন্ সঞ্খুক সানু শক্তি ওষধালয়-_ঢাক! প্রাইভেট লিঃ কারখান। £ চোক্ক। (প্ুস্ব পাক্ষিত্যান্) ও চক্দনম্ঙ্গল্স হেঞ্গিস্ত্রান্ন ইউজ্নিক্স্ট) রি ৯ ইরা ১ ক এ তব কি ১ ৮৮৭২৭ ৬ ২8) ৯. ১ ইউ মি ১ মং উ, ্ নু ২, ২ উই রি ২ দু ৮১৯১২ নং টং ২২১ মী উউ১ ৬ ও ৬ উট মি ১২ ২) ২২ টি ২২ মর ্ - ৯৬৮ থে ১৯৬ ১৮১ সম বে নং ্ তা ২২ রং টং ্ ্ ৮ ২১২২, ২২ ২২৩ ং নী বৃ ই ও উজ ২) ৬৬ ২ & ২ ্ ্ ৃ ৬ ৬, ও ৯২১১ এশুক্ক ও কেন্দ্রীয় আবগারী বিভাগে মেটুক পদ্ধতির ওজন ও পরিমাপ কার্যকরী হবে । তখন থেকে নেটুক একক অনুমায়ী শুক্কের হার প্রকাশ করা হবে । .** তারিখ থেকে বহি বর্তমান হারকে যথা সম্ভব নিকটবন্তা, সমতুল্য মেট্রিক এককে পরিবন্তিত করা হবে। তা ও অভিন্নতার জন্য ভারত সরকার কর্তৃক প্রচারিত স ০05 60130 ৯ তত ্ র্ নদটক্মাতেন্স সৃভ্য ছন্দে আনতিত। তানই ছচন্দগ্ লীলার আকাচেশ স্ব লাগে, পৃথিমীতত জা গ্যমলিমাত তোয়াাসান্থব্েক অতঙ্দ গুওে ত্েত্ক বাংকাধা। ঝুগে সুচগ নৃত্তেধ মারাজ্ঞাচল মানুষের জীবতে সামাল 227 | পত্র লিখিলে যুহুর্তটী হচ্ছ উচ্ঠেচছে অসামান্ত, স্র ০গচছ টিকাদিলেন্ চি মূলা জন্য ..... ডালিক। পাঠানো জ্নিষ্থাচিত শান্ত বততরেত্ধ একমান্ত পক্ধিতখশক ছ্। টেলিফোন £ ২৩-২৯২৯ ভোয়ার্কিন এগ$ তল, ওশ্রাইত্ভেউ ভিনও ৮২ এসমীনেড ইউ কলিকাতা-৯ ৫6 ষ্ঠ 4 একদা মহাধি বেদব্যাস মহাভারত রচনা করিয়া ইহাকে লিপিবন্ধ কারিবার জনা একজন (জখকের খোঁজ কারিতেছ্িজেন । কিন্ত্রী কেহই এই গুরু দাজিত এহণে সম্মত হইলেন না। আবাশষ়ে পার্বতীশ্তনয় গণেশ এই শতে রাজি হইলেন যে তার লেখনী মুহতের জনও থামিবে বা। আগুনিক যুগর লেখকরাও চান যে ভাগের জেখার গাতি কোরক্রমেই ২২৩ নই রে ২১৯ ২ প্‌ ছি * ক জি টি ৃ | 1 1 711 47 1 | । না ৮ । . * & 10 । রাগ কলিকাতা “দিল্লী বোম্বাই" অবধৃতের আশ্চর্য বই আশুতোষ মুখোপাধ্যায় শ্ভ মায়া-মাধুরী কু) পিলসিভুল্াও উপন্াসরূপে স্বীকৃত গল্পে শীঘ্রই বাংলা কথাসহিত্য জগতে ॥ সাড়ে ছ টাকা ॥ নূতন এক আধ্যায় রচনা করিবে ! সমুদ্রে মফেন ঠা মরুতীর্ঘ হিংলাজ *২৫২. নবনায়িকা ৩ সিরা প্রমথনাথ বিদীর উদ্ধারণপুরের ঘাট %2:8॥ সাত পাকে বাধা 61 "71 আশাপূর্ণ। দেবীর বশীকরণ ': ৪) রেষ্ঠ গ্প ৫২. বায় গ্রাস ৪. (২য় সং) (২ম সং) এ 81 আগলিরীক্ষা ৩1৮ নি্জনপৃথিবী ৪২ গজেজকুমার মিত্রের ( ৩য় সং) (২য় সং) ুইতান্। * গল্প-পধাশত ৮২ গল্পে" নীহাররপ্রন গুণের নৃতন আশ্চর্য উপস্যাস ০" তলা ক শি প্রকাশের প্রতীক্ষায় পঞ্চাশ অস্তি ভাগীরথী তীরে ৭০ উত্তর ফাল্গুনী ৬ ঘুম নেই ৪০ কলস্িনী কষ্কীবভী ৬1০ কালে! ভ্রমর ৫২ নীলভার! &॥, ॥ন টাকা । _ মৃপুর ৩/০ মধুমিত। ৫২. হীরা টুনি পালা 81 মায়াম্বগ ২০. মিত্র ও ঘোষ £ ১০ শ্ঠামাচরণ দে টি, কলিঃ--১২ এনামেলের বামন নামে জন্ত। & ভারে লঘু € ব্যবহারে টে'কসই ৪ বিজ্ঞানসম্মত ও স্থান্থ্যকর। ২৪, চিন্তরগ্রন এভিনিউ, কলিকাত্া।"-১২ ছ্নেডাণ, স্টাট,। রেজা 4 ১২১৩৬ 522 52524হহহহ2হ4হ৫হ৫হ/ ২২১২২২১৬ চর ২২ ২২১১ ্ ১ ২২২২২ ২২২২ ২০৩৭৬১১৭২৩৬ ০ নি ৬১৬ ব00 প্রোশাতর গাধ ৫খণ' টিটি খু পানা ৫১৯, ০৫ শু নিজের পরণের জাম।- টাম| নিজের হাতে তৈপা করার চেয়ে ভালো কিছুই হতে পারে না"""আর এতে মশানন্দ ও বা ৰ পাওয়া যায় প্রচুর । টাকায় কুলোয়নি বলে পরখার সাধ থাকতেও যে-জাম।৷ আগে কিনতে প।রিনি, এখন উদ্ধার দৌলতে তা” ঘরেই তৈরী হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বাস করুন, উ্। কিনে আমি সত্যিই িতেছি। নতুন ধারা সেলাই করতে শিখছেন, তারাও এতে খুব তাড়াতাড়ি আর সহজেই সেলাই করতে পারবেন । ঘদি আগে কখনও কলে সেলাই না ক'রে থাকেন, তা'হলে আপনি খব শিগ্গির এবং সন্তায় ত। শিখতে পারেন, যে-ফোনও উষ্ধা৷ মেলাই এবং এম্ত্রয়ডারী স্কুলে ভি হয়ে । বিশদ বিবরণ জানবার জন্তে আপনার বাড়ীর কাছাকাছি কোনো উ্বা বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করুন বা পোস্ট বক্স ২১৫৮. কলিকাভাতে চিঠি লিখুন । জয় ই্িনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড, কলিকাতা”৩১ ইহার কজাণ পড্শে যাবতীয় ফেশরোখ দিয়া ও বডি শীতল হয়। দীর্ঘবি্য ২ রঃ ষোড়শ বর্ষ বউ লে অগ্রহায়ণ দু ০৯৯১ ও ৪ ৫ ই ২২২২ ষষ্ঠ সংখ্যা ইজি ২২ ১৩৬৭ গল্প-ভারতী /চনন্লার্কীথা% বিশ্বাবৈঠক (007165ণ [৪610778 ) দিবস ঢ* ম' পনের বছর পূর্ণ করে (১৯৫-৬০) সাঁবালকত্ব লাভ করপ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে 351) [ঢা8001800-তে যে প্রথম বৈঠক আহত হয়, সেখানে (তখনে। ইংরেজ অধীন) ভারতের গ্ররতিনিধি হয়ে যোগ দেন ভারত-গৌরব দার্শনিক রাধারুফণ। আঙ তিনি কি নববী হয়েছেন? আচ্ুমানিক ৪৯ দিয়ে স্বকু করে ঢ.থ.0.র সদশ্য রাষ্ট্র সংখা দাড়িয়েছে ৯৯+র ধাক্কায়। 136]1%10, তার ভূতপূর্ধ্ব জমিদারী বিশাল 0০:8০ ছেড়েও ছাড়ে না? তলে তলে 8%০$৪৪০ ও থপণ্ড বুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে 0০78০0+র স্বাধীনতা পণ্ড করতে। এই অবস্থার মধ্যেও কিন্ত সুযোগ্য ভারতীয় প্রতিনিধি জ্ীরাজেখবর দয়াল সব বিপদ উপেক্ষা করে মনোনীত সম্পাদক হয়ে কাজ করে গেছেন, সেই আমাদের গৌরব । ইন্দোনেশিয়ার জমিদারী ছাড়তে বাধ্য হয়ে 709%-রাও ঠিক এইভাবে শয়তানী চালিয়েছিল ( ১৯৪৭-৪৮) কিন্তু শ্বাধীন ভারতের মুখ্যমন্ত্রী নেহ্রেজীর সতেজ ভাষণে ও পুর্ণ সাহচর্ষে, 9০৪৮%:2০ ওলন্দাজদের হটাতে পেরেছেন। যদিও তারা এখনো [গা 00326, ছাড়েনি । আজ ভারত অবথা বিশ্রত, মহাচীনের হিমালয়-সমস্। ঘনিয়ে তোলার ফলে; কিন্তু এক্ষেত্রে জবাব- দিছি কেউ করলেন না, নেহেরুজীরও মুখ বন্ধ, কারণ কম্যুনিষ্ট চীন 0. ম. আইনের বাইরে; ৬০* মিলিয়ন চীনাদের 0. "ব. এর বাইরে ০8818দ করে রেখেছেন কারা? বর্তমান সীমান্ত সমস্যা থাকলেও চীনকে সমস্য করার তাগিঘ ভারত কিন্তু বরাবর দিয়ে এসেছে! ভারতের আর এক নুপরামর্শও ভেসে গেল, ঢ. ৪. &. ও ঢ.৪. ৪. “ঠাপ্ডা-যুদ্ধে্র বয়ফ-প্লাবমে। ছুই পক্ষ একবার মিলে নিরগ্ীকরণ (101887:005019206 ) কতট! এখুনি সম্ভব এটাই স্থির করুন--.এই ছিলি নেছেরুজীর অতি সংযত ও ম্থুচিস্তিত মন্তব্য; কিন্তু তিনি 101892)০779:-[0708019ঘকে মেলাতে পারলেন না এবং নিরাশ হয়ে দেশে ফিরে এলেন। শুধু আমরা নই ৫979৮] 488900]5র বহু জাতিই নেহেরুকে লমর্থন করেছেন ও করবেন। ২৭শেভুন যে বৈঠক অকারণে ভেঙেছে, হয়ত--ঢে, 9. এর নৃতন প্রেসিডেন্ট 80545 এসে আগামী বছর (১৯৬১) সেই নিরন্ত্রীকরণ আলোচনাই আবার স্বর করবেন। অস্ত্রের খাতে কোটি কোটি টাকার অপবায় হচ্ছে, অথচ মানবকল্যাণকর অনেক কাজই বাধাগ্রন্থ এই অর্থাভাবে । ২৬৮ গল্প-ভারতী | অগ্রহায়ণ নৈরাশ্তের মধ্যে আশা এই, যে বনু শতান্বীর অত্যাচারের পর আফ্রিকা মহাদেশের বন জাতি স্বাধীন হয়ে রাষট্রসংঘের নৃতন সদশ্য-পদ লাত করেছে; শতাধিক বছর আগে লাইবেরিয়া শ্বাধীন গণতন্ত্র রূপে প্রতিষ্ঠা লান্ভ করে) আর হাবশী রাজ্য ইণিওপিয়৷ (একবার মুসোলিনী-আক্রাস্ত হলেও ) গ্রীষ্টান রাষ্ট্র রূপে স্বাধীন ছিপ। ক্রমশ: [0450১ 17১1), 01016 [027818) 10106002৪11 [২10611%) 00179৪ গ্রভৃতি কালো সদস্য বিশ্বরাষ্ট্র ভুক্ত হয়েছে । এহ সব রাষ্্রসমূহই এশিয়! --আফ্রিকার মিলনবন্ধন ও মৈত্রী সুদ করেছে। আজ শুধু ইউরোপ ও আমেরিকা ভাদ্র কুটনীতি বা অর্থনীতির বলে সবাইকে দশাতে পারবে না) যদ্দিও চেষ্টার ক্রটি নেই, তার প্রমাণ প্রভা আমব। পাই। রাঙ্নৈতিক জটিল সমস্যা বাঁদে। শিক্ষা ও সমাজগঠনের ক্ষেত্রে (0. ঘ, ও [য. ৭.1. এ. 0. ০0.) বন কল্যাণকর কাঞ্জের স্থচন। করেছেন । ম।নবের মৌলিক অধিকার (17777131615) নানী ও শিশুদের দাবী ইতাদি নিয়ে গভীর আলে।?ন। চলেছে । শ্রমিক জগতের উন্নতিকল্পে আন্তর্জ(তিক শ্রম-পরিষদ (]. 19, 0.) বনকাল কার্দ করে আসছেন। শিশুদের অধিকার (007117700 0780: ) গ্রসারিত হয়েছে ও সামাজিক পরিষদে ৭৮টি রাষ্ট্রের ভোটে এখছর শ্বীকৃত হয়েছে যে বর্ণ (01001) গাতি, ধর্ম ও ভাবাদি নিয়ে মানুষের নির্ধাতন দুর করতে হবে (অ।সামে এথবর পৌছবে কিনা জানা নেই )। শেষে আাননের সঙ্গে দ্মরণ করাই যেবিশ্ব নারীসঙ্ঘের গ্রচার প্রচেষ্টার ফলে নারীর স্বার্দীণ উন্নতিকল্পে চেষ্টা হোক্‌--এ শুভ গ্রশ্তাবটি এনেছিলেন পাকিগ্তানী, 'সফগানী, লাইবেরিয়।, নাইজেরিয়া গ্রভৃতি দেশের গ্রতিনিধির1। নরনারীর সাধারণ জীবনের মান ও মর্যাদা বাড়ীতে এইসব ক্ষেত্রে যত চেষ্ট। চলেছে, ঢ. ্. 0. এর পুস্তকাঁদি থেকে তার মংকলন ও পরিবেশন কর!| আঁশ প্রয়োজন । পত্রিকা-সম্পাদকীয় বিভাগের কর্মীদের এদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করি। শুধু দিল্লীতে নয়, আমাদের বিশাল আন্তর্জাতিক কেন্ত্র কলকাতার স্কুল- কলেজে এইসব গঠন-মুলক কাজের বিবরণী প্রচার কর! উচিত; তবেই [,. এর সাঁবালকত্ব, সার্থক হবে, এই কথাই এবছর মহাজাতি সদনের বাধিক ভাষণে বলেছিলাম। সুব্রত মুখোপাধ্যায় ( ১৯১১-১৯৬০ ) আচার্য গ্রমন্নকুমার রায় (07. 9. মূ. £:০১)-এর দৌহিত্র ও প্রবীণ [. 0. ৪. সতীশচন্ত্র মুখোপাধ্যায়ের পুত্র 1: 191819] সুব্রত খ্রি অকালে দেহত্যাগ করেন; ভারতীয় দেশরক্ষা বাহিনীর তিন বিভাগ (81) 39 & [/800 70:06৪ ) তাকে আগ্তরিক শ্রদ্ধ। ও ভালবাস! দেখান। তাঁর শেষ তর্পণে, দিল্লী থেকে আমি যৌগদান করি ও তার আত্মার কল্যাণ কামন। করি। তার মত কর্তব্য-নিষ্ঠ ও সুদক্ষ কর্মচারী ভারত সরকার বছদিন পাননি। তিনি আদর্শঝাদী বাঙ্গালী ছিলেন, অথচ কঠিনতম পরীক্ষার গ্েত্রে শুধু বাংলার নয় সার! ভারতের ঠিনি মুখোজ্জল করে গেছেন। ভগবান তার প্ামাতা, পত্রী ও একমাঞ্জ পুত্রকে শান্তি দিন। পমৃত্যো সা মৃভম্‌ গময়ত। 17174 ৭১০ ৯ ৪ সুরত _ শারদ” একটি দিনের ইতিহাস -মারিয়। কুঝমীএস্কা ( পোলীয় হ'তে অনুদিত ) অন্গবাদক £ ডঃ হরণ্ায় ঘোষাল [ প্রথম থেকে আমাদের একটি পরিকল্পন| ছিল যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ রদ্বরাজি আহরণ করে গল্প-ভারতীতে পরিবেশন করব। এই পরিকল্পনা রূপায়িত করার উদ্দেশে দূর-দূরাস্তরের সাহিত্যিক বন্ধুদের সহযোগিত| কামন। করেছিলাম । অনেকেই এ বিষয়ে আমাদের সক্রিয় ভাবে সাহায্য করে আসছেন। গল্প-ভারতীর নৃতন পাঠকের জেনে আনন্দিত হবেন যে গত কয়েক বৎসর ধরে প্রখ্যাত সাহিত্যিক ডক্টর হিরগ্মায় ঘোষালের পোল সাহিত্যের সেরা গল্প উপস্তাপের অঙ্গবাঁদ গল্প-ভারতীতে প্রকাশিত হয়ে আসছে । এই পর্যায়ে তার যেসব রচন। এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে সেগুলিকে সমকালীন পোল সাহিত্যের একটি প্রতিনিধিত্ব মুলক রচনাগচ্ছ আখ্যা দেওয়া! যেতে পারে। ভারতীয় সাহিত্য একাডেমী এই রচনাগুলিকে নিয়ে একটি সংকলন গ্রন্থ প্রকাশের কথ। চিন্ত। করছেন--এই সংবাদ নয়াদিল্লীর পোল দৃতাবাসের তথ্যপত্রে ( ১-১৫ মে?র সংখ্যা ) প্রকাশিত হয়েছিল। পূর্বেই গল্প-ভারতীতে আমর! এ কথা উল্লেখ করেছি। শারীরিক অসুস্থতা হেতু ডক্টর ঘোষাল কিছুক/ল আমাদের কোন রচন| পাঠাতে পারেননি । সম্্রতি তিনি একটি অন্বাদ গল্প পাঠিয়েছেন ও আরো পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন। কাজেই পোল সাহিত্য সংগ্রহ আরে। কিছুদিন চলবে। এটি শেষ করার পর আমরা! চেক্‌, রুষ, ফরাসী, জার্মাণ ও ন্ান্গ দেশের সাম্প্রতিক কালের শ্রেঠ্ঠ সাহিত্য- সম্ভার পাঠক-পাঠিকাদের উপহার দেব। এই বিরাট পরিকল্পনাকে সাফল্যমপ্ডিত করার জন্ঠ সকলের পূর্ণ সহযোগিত। প্রার্থনা! করি। ] ১৯৪৪ সালের জুল।ই মাসের রাতে এমন গুমোট পড়েছে যে দম বন্ধ হয়ে 'মাসে। হইনভস্থি-- বনের চৌকিদার যুজেফ, ভ্রন্কার কুঁড়ের ভেতর ঘামে সর্ধাঙ্গ চটটট. করে। চৌক্দারের দশ বছরের মেয়ে ভাদ্‌কা মেঝের ওপর থড় পেতে শুয়েছে। কিন্তু চোখে তার ঘুম নেই। ঘরটার একদিকে খুপরীটার ভেতর পালকের লেপের তলায় তার তাত1& আর সৎমা যে কী করে অমন অসাড়ে ঘুমোচ্ছে, তাই বেশ একটু আশ্চর্য হয়ে তাঁদের দিকে তাকিয়ে দেখছে। মাছিগুলো ভীষণ জালাগুন গুরু করে দিয়েছে। তাড়িয়ে দেওয়! মাত্রেই ছুগুপ গে নিয়ে ভন্ভন্‌ করে ফিরে আসে। ঠোঁটের কোণছুটোয় ভিড় করে * বাবা। সংস্কৃত ; তাত ঃ ২৭০ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ জমা হয়। ঘামে ভেজ! চুলগুলোর ভেতরে ভেতরে ঢুকে যায়। আর খালি পিঠের ওপর সুড়নুড়ি দেওয়া ক্ষুদে ক্ষুদে পাগুলে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পায়চারী করে বেড়ায়। ভ্াাদ্‌ক ভাবছে কালকের ঘটনাটার কথা। তার তাতা আর সতমার মধ্যে বেশ একটু বচস! হয়ে গেছে। ও যথন কুঁড়েতে ঢোকে তখন গুনতে পেয়েছিলো, ওর তাঁতা “বনের লোকগুলোর* কথ! বলছে। কী নিয়ে বচসা, শুনতে যাচ্ছিলো, কিন্তু সৎমা ওকে গোয়ালে যেতে বলে। কী একটা ভূলে গেছে এই ছুততো করে ফিরে এসেছিলে! বটে, কিন্তু ওকে দেখা মাত্রেই সতমার খ্যানথেনে গলা হঠাৎ থেমে যাঁয়। “বনের লোকগুলো” সম্বন্ধে অনেকে অনেক কথা বলে। কাল গুরুমশায়ের ছেলে, যানেক, বলে, ওরা নাকি দেশভক্ত বারের দল, কিন্তু ওর তাতা একট! ধমক দিয়ে বলেন, ছোটমুখে ওসব যা-তা বড় বড় কথা যেন আর না! শোনেন। য়ানেকের বয়েস বারে! পেরিয়েছে । তাই পরে শালায়, সেও বনে চলে যাবে, কিন্তু ছেলেরা সবাই হাসাহাসি করে বলে, বনে ছুধের বাচ্ছাদের করবার কিন্ম্ু নেই। য়ানেকের জন্টে ভাদ্কার মনে বেশ একটু ছুঃখ হয়েছিলো! । বন্ধু ঠিসেবেয়ানেক্‌ ভারী ভালে! ৷ ভাঁদ্কার শিক্ষযনিত্রী, অর্থাৎ চতুর্থ শ্রেণীর, বলেন, য়ানেক সত্যিকারের খাঁটি পোল্‌। শিক্ষয়িত্রী যা বলেন ভাদ্‌কা সব বিশ্বাম করেঃ কারণ ভারী ভালে! মানুষ তিনি। ওর তাতা “বনের লোকগুলোকে” দেখতে পারে না। যাতা বলে গাল দেয়'*.তা হোক্‌."' ভাতা তে ?* ভাতার »ম্বন্ধে কোনে মন্দ বথা ভাবতে ভ'দ্কার ভয় করে, কারণ তাহলে পাপ হবে। কিন্তু তার কথা বা$গ মানে না, বারে বারে ফিরে আসে; তাতা আলেমানীদের পাহারার আড্ডায় যায়। সেখানে বসে বসে মদ টানে তাদের সঙ্গে। পাঠশালার ছেলে-মেয়েরা ওর দিকে আড়চোথে তীকায়। ভাঁদকার সঙ্গে তারা কথ। কইতে চাঁয় না, শুধু যানেক্‌ বলে, ভ্াাদ্‌ক! “থাস। মেয়ে”, বেশী বকৃবকৃ করে না, ওর ওপর নির্ভর করা চলে, আঁর অন্তগুলো, য। পেটে আছে সব ভল্ভল্‌ করে উগরে দেয়। এর একট! ভালে! কথার জন্যে ভাদ্কার মন যানেকের প্রতি কৃতজতায় ভরে ওঠে । ভাবে সেই কথা? ঘুম আসে না চোখে। ঝুঁড়ের ভেতর পাংশুটে একটু আলো! দেখা দেয়। জান্লার কাচের ওপর খুব আস্তে টোক। দেওয়ার আওয়াজ শোনা যায়। তাদক! কান পেতে শোনে, তারপর প! টিপে টিপে জান্লার কাছে গিয়ে দ্দাড়ায়। রাতপোহানোর ঘোলাটে আলোয় চোখে পড়ে দুটি নওজোয়ান : মাথায় বেসামরিক টুপী, কিন্ত কোর্তার কাটটা সামরিক, উচু পা-ঢাকা। ভূতো, তাঁদের ভেতর পাৎলুনের পায়াছুটে। টোকানো, কোমরে আটা ফোমরবন্ধ । ভণদ্ক! জান্লাটা খোলে একটু। বহুদিন থোল| হয় নি, কজাগুলে! ক্যাচ.-ক্যাচ করে ওঠে। অন্কার ঘুমের ঘোরে বিড়স্বিড়িয়ে বকুনি অল্লক্ষণের জন্কে থেমে যায়। তার মেয়ের গা শিউরে ওঠে, ভাবে ঘুম ভেঙ্গে গেছে বোধ হুয়। চুপ করে দাড়িয়ে অপেক্ষা করে'''তাতা, সৎমা, কেউ নড়ে ন1। স্"কে তোমর! ?--শুধায়। স্প্বনের লোক”। --এদ্িকে না আসাই ভালো।--বলে মেয়েটি। --চৌকিদার বাড়ী আছে? ভাঁদ্‌কা চুপ করে থাকে। ঠিক সেই সময়ে ভ্রন্ক! জেগে ওঠে। সকার সঙ্গে রেতে-বিরেতে বকৃবক্‌ কচ্চিস1-_-তেরিয়া হয়ে জিজেস করে। ১৩৩৭ ] বিশ্ব-সাহিত্য ২৭১ --“বনের লোক”, তোমার কথা জিজ্জেন করছে। ভ্রন্কা বিরক্তিভরে বিছান! ছেড়ে উঠে গাড়ায়। --যেও না ওদিকে-সতম। বলে। চৌকিদার ধারণ না! মেনে এগিয়ে যায়। ভ্দূকা শোনে, জান্লার বাইরে চুপিচুপি কথ! চলেছে, কী বলছে ওর! ধরতে পারে না, ভয়ে তার গায়ে কাট। দিয়ে ওঠে, তাতার জন্তে ভয় হয়। আর ওদের জন্যেও, কোনে! একট। বিপদ না ঘটে । কিছুক্ষণ পরে “বনের লোকগুলো” চলে যায়। ত্রন্ক! কুঁড়ে এসে ঢোকে; তার মেজাজ বেগড়ানো, যা-ত। বলে গালি পাড়ে। খুব তাড়াতাডি পোষাক বদলাতে লেগে যায়, দত্মাও উঠে কাঠ আনতে যায়, রান্নার ব্যবস্থা করে, তাতার কিন্তু তর সয় না, খাবার জন্তে দেরী করবার সময় নেই। ভাদ্কা খড়ের ওপর গিয়ে বসে, ঘাঁড়ের পেছনে রোদে-পোড়া হাতছুখানি রেখে দেওয়ালে ঠেস দেয়। তাত কয়েকবার খড়ের ওপর হোঁচট থায়। জুতোর আগাট। ওর গায়ের খুব কাছ দিয়ে চলে গেলে! । দরজ! দিয়ে বেরিয়ে যাঁবার সময়ে তাতাকে উচু মাথাটা বেশ একটু নোয়াতে হলে! । তারপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়, চৌকিদারের দেখা নেই। কুঁড়ের ভেতর সব চুপচাপ, নিঝঝুম। উহ্থনের আগুন নিবে গেছে, খাবার-দাবার য। রান্ন! হয়েছে জুড়িয়ে গেছে অনেকক্ষণ, কেউ তা মুখে তোলে নি। ছুটির সময়েও ভাদ্ক। পাঠশালায় যায়। শিক্য়িত্রী ছেলেমেয়েদের বই পড়তে দেন। আজ পাঠাগার খোলা । কিন্তু ভাদক1 তাতার ফেরার আশায় ঠায় ঘরে বসে আছে। দুপুরের দিকে জুতোর মচমচানি শোন। যায়, ভ্রন্কা ফিরছে, টর মাতাল। মাথা মুইয়ে কুঁড়ের ভেতর এনে ঢুকলো, হাতে দু-জোড়া উচু পা-ঢাকা ভুতো। ঘরের মাবখানটায় নামিয়ে রেখে ধপ, করে বেঞ্চিটার ওপর বসে পড়লে । স্পকোখেকে আসা হচ্ছে ?-শুধায় সতম1। স্৮আলেমানীর! দ্রিলে1। সস্ধরিয়ে দিয়োচে বুজি ! স*থাম্‌, বলচি ! স্যুদাশ » ভ্াদ্‌ক! হাত দিয়ে কানছুটে! চেপে ধরতে চায়, কিন্তু চোখছুটোও যে খোলা। বুঝতে পারে না, কোন্ট! বেশী অসহ্য ঃ শোন! ন। দেখা । তাতা নিকেল-কর!। একটা বড় ঘড়ী বের করে মেজের ওপর রাখে। ভ্াদক! জানে, আগে এ ঘড়ী ছিলো না। ঘড়ীটা৷ জোরে টিকৃটিক্‌ করে চলে। ভ্াদ্‌কার গায়ে পাক দিয়ে ওঠে। সকাল থেকে খায় নি বলে নয়। তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে ওরা, নিশ্চয়ই তাদের রক্তাক্ত দেছের ওপর মাটি চাপা দ্বেওয়। হয়েছে, আর ওদের জ্ুতোগুলে! ঘরের মাঝখানটায় দাড় করিয়ে রাখ! । ভূদ্ক। আর সহ করতে পারে না, হুড়মুড় করে উঠে পড়ে গায়ের ওপর কোনে! রকমে একট! ফ্রকৃ ফেলে, একখানা বই তুলে নিয়ে ছটে বেরিয়ে যায়। কুঁড়ে থেকে যতদুরে পারা যায়, শিগগির, শিগগির" তাতা। যেন ধরে ফেলতে ৬ বিশ্বাসঘাতক । ২৭২ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ না৷ পারে! চুলগুলো আচড়ে বাধা হয়ে ওঠে নি। উদ্কো-খুক্ষোঠ এলোমেলো! একমাথ| চুল নিয়ে সে পাঠশালার বেড়ার আগড় খুলে ঢুকে পড়লো। শিক্ষয়িত্রী বসে আছেন একট! বেঞ্চির ওপর আর তাঁর সামনে ঘাসের ওপর বসে সগ্ুমশ্রেণী; পাঠশালার সবচেয়ে উচু । শিক্ষয়িত্রী ওদের সব পাঠ শেষ করে ধিতে চান; কী একটা বই পড়ে শোনান্‌, ভ্াদ্কার পঙ্গে অধোধ্য ভাষায় অর্থ করেনঃ তারপর সরল কথায় ভাবটা বুঝিয়ে দেন। ভাদ্কী কী করবে বুঝতে পারে না, ওর পিকে অতগুলো চোখ তাকিয়ে রয়েছে । শিক্ষস্থিত্রী তার অগ্রতিভ ভাব লক্ষ্য করে ডাকেন গিজের কাছে ঃ --তুইও শুন্বি, ভগ? বইথানার গোড়ারদিকটা! অবিশ্তটি জানিস না। তাহোক্‌, এমন চমতকার ব£, আরে। অনেকবার পড়বি নিশ্চয় । এ শ্যেক্যেভিচ -এর “ক যাসি”। 1 ভদ্কা বিশ্ববিখ্যাত লেখকের লেখা “বাঁজনদার য়ারৌ। পড়েছে । শিক্ষযিত্রী যে ওকে থাকতে বললেন তাতে ওর মন রুতজ্ঞভায় ভরে উঠলে । বাড়ী ফেরধার ওর সাহস নেই। ঘাসের ওপর বসলে৷ একপাশে । --কোন্থখানটায় থেমেছিলাম আমি ?--শিঙ্ষয়িত্রী জিজ্ঞেস করেন। --ও্রী সেই বিশ্বাসঘাতকটার কথ হচ্ছিলে1।--য়ানেক্‌ বলে। __হীল্ন হীলনীদেস্*এর কণা-মোগ করে আস্তশ.। "ছে প্রভু, আমার 'জনিষ্টের গুতিশোধ [দশ”- শিক্ষফিত্রী হীলন্‌ হালনীদেস্-এর কথা পড়ে চলেন »-”“আর আমি আপনার কাছে ওদের সবাইকে ধরিয়ে দেবো, প্রধান শিশ্ত পীতর, লীহুস্‌, কে, গ্লাউক্‌, জ্রীম্প, সবচেয়ে বড় পাগুা!দের, তারপর লীগিয়াকে, উদ্মন্ুম্কে, ওদের শত শত হাজার হাজার ধর্মাবলম্বীদের, দেখিয়ে দেবো ওদের প্রর্থনা-মন্দিরঃ ওদের কবরস্থান, 'আপনাদের সমস্ত কারাগার খালি করে দিলেও ওদের জায়গ! হবে ন1।” --বিশ্বাসঘাতক-_পুনরুক্তি করে য়ানেক্‌। ভ্াদকা এখানে এসেছিলো! তার সৎম।র মুখের “যুদাশ”, এই কথাটা কিছুক্ষণের জন্তেও মন থেকে দুরে রাখবার জন্তে। কিন্তু তা হলে না। যুদ্বাশএর মুতি হীপন্‌ হীলনীদেস্‌ আর ভ্রন্কার সঙ্গে মিলে এক হয়ে গেলো। শিক্ষয়িত্রীর পড়ায় বাধা দিতে তার সাহস হয় না, অথচ প্রতি মুহূর্তে অমুগব করে, তার পক্ষে ও গল্প শোণা! ক্রমেই অসহনীয় হয়ে উঠছে। ছাড়া ছাড়া কতকগুলে৷ কথা তার কানে ধরা পড়ে। শিক্ষপ্নিত্রী গড়ে চলেন। তেশ্তীচস্‌ বলছে হীলম্ুকে £ "প্রতিছিংসার বহ্ধি ক এখনে! তোকে তাড়িয়ে নিয়ে চলেছে ?” হীলন্‌ উত্তর দেয়, “না, কিন্তু সামনে আমার নীরঙ্জ রাত্রি ।” ভণদ্কা উঠে দাড়িয়ে কাধের কুমালট। গায়ে আটসাণাট করে জড়িয়ে নিলো, যেন এ গুমোট গরম দিনে তার গ! সিযৃসিহ়ু করছে। চলে যাচ্ছিলো, এমন সময়ে শিক্ষয়িত্রী পড় থামিয়ে ওকে পাঠশালার ভেতর নিয়ে গেলেন। ভ্াদ্কার মুখে পাওুর, রক্তহীন। --তোর অন্ুুখ-বিস্থথ কিছু করেছে নাকি রে? শিক্ষযিত্রী জিজেন করেন। না । হীলনীদেস্-এর শেষ পধন্ত কী হলে।? 1 0৩0 33901039%520প্-এর ” 00০58”, ১৩৬৭ ] | বিশ্বসাহিত্য ২৭৩ -্রীষট-ধর্ম গ্রহণ করলো । সন্ত পল্‌ ওকে দীক্ষা দেন। শেষ পর্যন্ত যথার্থ ঈশাঈর মৃত নিগৃহীত হয়। এইবার ভ্পাদ্‌কার মনে যুদা!শ ও হীপনীদেস্‌ পৃথকৃ হয়ে গিয়ে অ'লাদ। আলাদা ব্যক্তিত্ব গ্রহণ করলে! । সে ভেবে স্থির করতে পারে না । তার তাতাকে কে।ন দ্বিকেস্থান দিতে পার! যায়। বই নিয়ে মাঠের আল ধরে কী ভাবতে ভাবতে ধীরে ধীরে বাড়ীর দ্রিকে চলে গেলো । চৌকিদার বাড়ী নেই, শুধু সৎ! মেজের কাছে বসে মাথাট! ছুহাত্তের ওপর 'অসনায়ভাবে ভর করে জানাল। দিয়ে পথের দিকে চেয়ে 'আছে। ভ্াদ্‌্কা সঙ্গে আন! বহট। পড়তে বসলো৷। সন্ধ্যে হবার একটু পরে চৌকিদার ঘরে ফিরলো । দেখলেই বোঝ। যায় উত্তেজনায় সে স্থির হয়ে বসে থাকতে পারছে না। সৎমা খাবার গরম করতে চড়িয়ে দিলো । ভ্াদ্‌কা কুঁড়ের এককোণে গা ঢাক। দেবার চেষ্টা কঃ€লো।। কিন্তু ত্রন্কা ঘরের চারিদিকে ত!ফিয়ে যেন তাকেই খোজে । -+ভদকা--তাতা বললো-_এবটু 'অন্ধকাঁর হয়ে গেলেই পাহারার আড্ডায় গিয়ে আমি যা বলবে। বলে আসবি। ভ+দ্কার বুকট| কেঁপে ওঠে । একবার বলতে চায়, সে পারবে না। কিন্তু ভয়ে মুখ দিয়ে তার কথা বেরয় ন1। বাচ্চা মেয়েটারে ওদের ঘরের পাহাঁরার আড্ডায় পাঠানে।! না। ওরে যেতে হবে নে।-স সৎমা বলে। ভ্রন্কা বেঞধি' থেকে উঠে ঘুষি পাকিয়ে স্ত্রীর দিকে তেড়ে গেলো! । সৎমা ঘুষি এড়িয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে! । ভ্াাদ্‌কা, এই শুনছিস, পীহারার আড্ডায় গিয়ে বল্বি- চৌকিদার মেয়েকে ডেকে বলে--বল্বি, যেন ওর! খুব আস্তে আর সাবধানে যাঁয় ভারেৎস্কির বড় রাস্তার দিকে, তারপর যেন পুরোনো থাতগুলে। পেরিয়ে, চাঁরা-বনটার উদ্দিক দিয়ে উচু টিপিটার ওপর চলে যাঁয়ঃ ধাঁদব!কী সব ওর বুঝে নেবে । য| বল্‌তে হবে ভূলবিনি তো? ভণদ্‌ক। চুপ করে দাড়িয়ে রইলো । --&। করে দাড়িয়ে রইলি যে! য1, বল্চি। ভাদৃক। বেরিয়ে গেলো । অন্ধকার নেমে এসেছে । গোলাঘর পেরিয়ে যেতেই কয়লার গাদার পেছন থেকে সতমার ছায়ামুতি সামনে এসে দাড়ালে!। যাস্‌্নে ভ্বাজ্যু। ও যেমন মুদ্রাশ,, নিজেই যাগ.ল1। ভাঁদ্‌ক! উত্তর দিলো না, সটান বেরিয়ে গেলে!। বেশ খানিকটা পথ যাবার পর যখন কুঁড়েটাকে আর দেখা যাঁয় না, তখন সে দঘৌড়তে সুরু করলে।। মেঘলা রাত। জুলাই মাস হলেও গোধুলি ছাপিয়ে অন্ধকার পৃথিবীকে ঢেকে ফেলেছে । পাঠশালার কাঠের বেড়াটার কাছে এসে থামলো! ভাদকা। তখনে। লোক চলাচল বন্ধ হয়নি। অনেকক্ষণ দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলে।। খানিক পরে মনে হলো। যেন রানেক্‌ তাদের বাড়ী থেকে বেরলে।। _য়ান্কু--ডাকলে। খুব আন্তে। ছেলেটি ঘাড় ফিনিয়ে তাকালে। | সে গলার স্বর চিনতে পেরেছে। -কী চাই রে, তান, এত রাত্রে, ভয় করে না? »-না। খুব জরুরী একট কথ! তোকে বল্‌্তে এলাম । ২৭৪ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ য়ানেক্‌ জানে, ভাদ্‌ক। যা-ত। আবোল তাবোল বকবার মেয়ে নয়। আগড়ট। সরিয়ে কাছে এগিয়ে এলো । ভ্গদ্কা তাকে বনের ধারটাঁয় নিয়ে গিয়ে এক নিঃশ্বাসে সব কথা! বলে চল্লো!। তার বুকের ওপর বে কথাগুলো ভারী হয়ে চেপে বসেছিলে! সেগুলো! একট একট! করে নামিয়ে দিলো । প্র ছেলেটাকে সব বঙ্গ যায়, সে বিশ্বাস্ঘাতকতা করবে না। আর সে নিজে আকাশ পাতাল ভেবে কোন কূলকিনারা পাচ্ছিলো না। শুধু জানতো, সে পাহারার আড্ডার ধাবে না কখনে!। বাড়া ফেরার পর তার তাত। যদি কেটেও ফেলে তাহলেও নয়। য়ানেক্‌ বড়দের মত ভারিকী ভঙ্গীতে সবকথ শুনলো, তারপর বল্লে! ঃ _বাড়ী ফিরে যা, বঙিস্নি কিন্তু যে পাহারার আড্ডায় যাসুনি। ভ্গাদ্‌ক। ভয়ে ভয়ে বাড়ীর পথ ধরে চললো, অথচ তাঁর মনে গভীর আনন্দ । “বনের লোকগুলো” যে কোথায়, সে কথ! জানিয়ে দিয়ে বিশ্বাসঘাতকত। করেনি । যখন বাড়ী পৌছলো, তখন তাতা আর সৎমা ঘুমিয়ে পড়েছে। খড়ের ওপর গিয়ে গুলো ডাদৃকা। ভাবে ঘানেকের কথা ই ও চলে আসার পর সে কী করলে! কে জানে, হয়ত “বনের লোকগুলো কৈ” খবরট। দিয়ে এসেছে। হঠাৎ তার মনে একটা অজানা! ভয় বারে বারে হানা দ্রিতে লাগলো--"বনের লোকগুলো!” যদি জানতে পারে যে তাত। বিশ্বাস- ঘাতকত। ক:ছে, তথন তার অবস্থ। কী হবে! য়ানেকের কাছে দৌড়ে যাবার সময়ে এ বিপদের সম্ভাবনার কথ। তার মনে আসেনি । রাত যখন এগারোট। তখন গুনতে পেলো, তাতা বেরিয়ে গেলো । সে যে বাড়ী নেই সেকথা! মনে করে নিজেকে ওর অনেকটা হাচ্ক। বোধ হলো। আধ ঘণ্ট। আন্দাঞ্জ পরে সৈনিকদের ভারী পা.ফেলার আওয়াজ আর হিড়ির-বিড়ির করে বলা আলেমানী ভাষা কানে এলে! |. বন্দুকের কুঁদে! দিয়ে তারা দরজার ওপর ঘ। দিচ্ছে। তারী বুটের আওয়াজে ঘর কীপিয়ে জিনিসপত্র তছনছ করে ঘরে এসে ঢুকলো। সৎমা আলোট! উস্কে বাড়িয়ে দিলে! । স্ভ্রন্ক। কোথায়? স্বনের দিকে গেছে। পাকড়াও করবে ব্যাটাচ্ছেলেকে ! দেওয়ালের তলায় গিয়ে দাড়াতে হবে বাছাধনকে । & --ফেন,কি করেছে? সৎম! শুধালে!। কী করেছে? রাগে মুখে ফেনা ভূলে ভেঙাঁলে। কর্পোরাল্‌--আমাদের খবর দেয়নি যে বনের ভেতর *গুপ্ডার” দল লুকিয়ে আছে। ঘণ্টাথানেক আগে আমাদের আক্রমণ করেছিলো । আমাদের একজন মাঁরা পড়েছে। তার জন্তে জবাবদিহী করতে হবে ভ্রন্কাকে। --ভাতা আমাকে আপনাদের খবর দিতে বলেছিলে !-স্থিরভাঁবে বললো ভাদ্‌ক1। কর্পেরাল্‌ অবাক হয়ে তাকালে! তার দিকে । প্র একরঘ্বি পটকা একট! মেয়ের দোষে একজন পাহারাওয়ালার জান্‌ গেছে। তার আশ্চর্যভাব ক্রমে অন্ধরোষে পরিণত হলো । কড়া আলেমানী বুট-শুদ্ধ প1 দিয়ে ধশই করে একটা লাখি মারলে মেয়েটার মুখে । ভান্কার ভাঙা ধাত ছাপিয়ে মুখ দিয়ে রক্ত ঝরতে লাগলে? । তবু সে একটু শব মাত্র করলে৷ না। মাটির ওপর বসে পড়লো । সৎমা! খানিকটা ্ভাকড়া ভিজিয়ে রক্ত বন্ধ করতে চেষ্টা করতে লাগলে! ৷ » অর্থাৎ গুলি করে মারা হবে। ১৬৬৭ | বিশ্ব-সাহিতা ২৭৫ --বল্‌ সত্যি করে-কপৌরাল হুমকি দিয়ে জিজ্ঞেস করে-কাকে খবর দিয়েছিলি যে তোর বাপ তোকে পাহারার আড্ডায় যেতে বলেছিলে1? _কাউকে নয়। বনের ধারটা পর্যন্ত গিয়ে কিরে এসেছিলাম । খুখ অন্ধকার হয়ে গিয়েছিলো ফিরে দেখি তাতা ঘুমিয়ে পড়েছে । _রুক্তাক্ত মুখ দিয়ে কৌনে। রকমে টেনে টেনে খললো ভবাদ্‌কা। আলেমানীরা উঠে দীড়ালো। তারপর আপন ক্ষমতা ও শান্তিহীনতার মর্ধাদ। যথাসম্ভব বজায় রেখে মাথাগ্তপো। খাড়াখাড়াতাবে একটু নামিয়ে দোর দিয়ে বেরিয়ে গেলো । সৎমা মেজের কাছে বসে হাতের ওপর মাথাট। রাখলে! । আলেমানীদের পায়ের শব শোন। যায় না। কুঁড়ের সামনেই কোথাও দাড়িয়ে আছে নিশ্চয়। উত্তেজনা-ত্তক কাটে কয়েকটি মুহূর্ত। ভাদ্‌্ক তার ধনের সন্তানের সুক্ষ শ্রতিশক্তির মাহাঘ্যে বুঝতে পারে তাতার পায়ের শব্দ গাণ্ডে আন্তে এগিয়ে আসছে। .. ভাতা আমছে--বলে শান্তে আস্তে । পায়ের শব্ধ ক্রমে স্পই হয়ে আসে । _-কে রে, ভন্কা নাকি ?--কপোরাল্‌ হাকলে।। টি উত্তর শোনা গেলে! না। সঙ্গে সঙ্গে গুলির শব্দ ঠাই করে উঠলো। সতম! হাত দিয়ে মুখ ঢাকলো।। ভা দ্‌ক! লক্ষা করলো, তার শ্রম-বিরুত হাতদুটে। থরথরিয়ে কাপছে । ভাাদ্‌্কার মুখ ছাপিয়ে ক্ষীণ রক্তের গ্রত্বণ বহে চলেছে । তার আর অস্ত নেই-**.*' ঝ». (সবিন্দুঝ, বিপরীত রেফ,চন্ধ যুক্ত )-ফরাপা?, যৎসামান্ত ?যুক্ত। ঞশু। (ইম্পানী )! ফ.(, তু ল-ইং ঘর ভ্র-ডাং, ভার, সংখ্য।তস্ব পরিসংখ্যানের মজাই এই যে ত। নিখু'ত সত্যি কথা বলে ফেলে। উদাহরণ--যদি একটা চাষীর ছেলে এক ঘণ্টায় তোলে পাচ সের পটল আর একটা মেয়ে তোলে চার সের তাহলে--জিজ্েস করুন কোনে! পরিসংখ্যানবিদকে--তিনি টকাস করে বলে দেবেন, দুজনে একত্রে এক ঘণ্টায় তুলবে ন” মের পটল । এবার খোদ চাধীকে জিজ্ঞেদ করুন, তিনিও তার মত করে ষোগ কষবেন এবং কষে বলবেন, ওর! ছুজনে একটাও পটল তুলবে নাঃ আড়ালে 'আাবভালে শ্রফ গল্প চালাবে। /1 িিউ শরণি | 1৩ [শা )6,,8,, আগত স্মৃতি শ্রীকালিদাস নাগ প্র বীন্দ্রনাথের বন্ধু নাটোররাজ জগণীন্দ্রন|থ রায় শেম জীবনে “শ্রতি-ম্ৃতি” সরু করে অসমাপ্ত রেখে গেছেন। ্ তার থছু যুগ পরে আমর! কব-সান্িধ্য পেয়েছি কিন্ত তবু আমাদের রবীন্ত্র শ্রুতিৎস্বৃতির পশবাও কম নয়, এ স্থৃতি অলিখিত থেকে যাবে। তরুণদের তাগিদে মৌথিক কিছু কিছু বলেছি কিন্তু লেখা হয়নি, গল্প-ভারতীর তাড়'য় যদি কিছু লেখা হয় স্থী হব। প্রবেশি কা-ফটকে পৌছতে তখনও চার বছর থাকি, ১৯০৪ সালে চতুথ শ্রেণীতে উঠেছি, ৩৪ স্ছরের ব$ ধাদা”দের দল আমাদের শোনায় চাঞ্চল্যকর “দেশের কথা” টেনে নিয়ে যায় তাদের আখড়ায়, দেখি ডন বৈঠক ছোর|ছুরি ও লাঠি খেল! থেকে সুরু করে অনেক কিছু খেলা চল্্ছে। মাষ্টারধের মধ্যে যাকে সব চেয়ে ভালখামি তিনি রঙ্গঈলাল ও হেমচন্ত্র থেকে কবিতা আবৃত্তি শেশান 'ভার৩ শুই ঘুমায়ে রয়। “ভারতসঙ্গীত”, থেকে গঠে চলেছেন, মুগ্ধ হনে শুনেছি। ভঠাৎ তিনি ক্লাসের পড়! থামিয়ে আমাদের নিয়ে যেন সভা করণেনঃ বহক্ষণ ধরে পড়ে শোনালেন, রবি ঠাকুরের "স্বদেশ সমাজ” £ আমন, আমরা মনকে প্রস্তত করি। ক্ষুদ্র দলাদলি কুতর্ক পরনিন্দা সংশয় ও অতিবন্ধি হইতে ধয়কে সম্পূর্ণভাবে ক্ষালন করিয়া, অগ্ত মাতৃভূমির বিশেষ প্রয়োজনের দিনে, জননীর বিশেষ আহ্বানের দিনে, চিত্তকে উদার করিয়া, কর্ণের গ্রতি অগ্ুকুল করিয়।'"..."আমাদের সমাজপতিকে অভিভাবক করি; গুভক্ষণে আমাদের দেশের মাতৃগৃইকক্ষে মঙ্গল প্রদীপটিকে উজ্জল করিয়া তুলি-..* রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য তখন অনেক কিছু বুঝিনি কিন্তু ভাষার মধ্য যে স্থুর বেজে উঠছে সেটি গ্রাণকে মাতিয়োছল। তখন থেকে কবির গান ও কবিত। |নিতাসঙ্ী ইল কিন্তু কবিকে দেখেছি, কিছু পরে, (১৯০৫) স্বদেশী সভার তিড়ে এবং (১৯৬) কলকাত। কংগ্রেণ মগুপের শ্বদেশী মেলায়; সভাপতি দাদ1ভাই”এর স্বরাজ মঞ্ত্রের উচ্চারণের সঙ্গে বঙ্কিমের খনেদাতয়ূম গান ও রবীন্দ্রনাথের “মরা গাঙ্গে বান ডেকেছে জয় মা বলে ভাষাই তরী।” শিৎপুরের স্কুল থেকে ক্লাস পালিয়ে ছেঁটে কংগ্রেস মণ্ডপ (ভবানীপুর গোড়াবাজার ) আবার ১৩৬৭ ] রবীন্্-যুগ ২৭৭ শ্ামবাজারে “পীস্তির মাঠে” লাঠি তলোয়ার খেল! দেখতে যাঁওয়া অতি সহজ ছিল, দূরত্ব মনেই হতনা। কথনও আবার চলেছি, এক নয়, সদপবলে নতুন শেখ! স্বদেশী গান গাইতে গাইতে-- একবার তোর৷ ম! বলিয়া ডাক জগত-জনের হাদয় জুড়াক হিমাদ্রি পাষাণ কেদে গলে যাক মুখ তুলে আজি চাহরে। তখনো জানিনা এইটি রবীন্দ্রনাথের গান, শুধু মুগ্ধ হয়ে আমরা গেয়েছি। আমর! মিলেছি আজ মায়ের ডাকে । এ ইগ্রাণমাতান রামপ্রসাদী স্রের গানওতীরই, এই গানটিরবীজনাথ কংগ্রেসেরজ শক্ষণে রচ,1করেন। ১৯০৯ সালে পাশ করে বিদ্যাসাগর কলেজে (10607001110) নাম তথন ) প্রবেশ ; শুধু শিক্ষাই নয় কঠিন জীবন পরীক্ষারও প্রবেশিকা | [7011677)8 তাপ 10 1701 রচয়িতা ব্যারিষ্টার নগেন্্রনাথ ঘোষ ( মহারাঁজ নবরুষ্জের জীবনী লেখক) ভখন অধাক্ষ, আমাকে ভতি করান। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আদর্শ দীপু সহবর্মী পঞ্ডিত কালীর ও চার্যা তার স্থদক্গ সংস্কৃতি পঠন ও প্রেরণা দিয়ে আমাদের ধন্ত করেন। ১৮৯১ সালে বিছ্া|সাগর দ্বগীরোহণ করেন; গার একযুগ পরে আমরা কলেজে এসে তার দীর্ঘজীবনের তাৎপম্য কিছু পেয়েছি রবীন্দ্রনাথের বিদ্াসাগর-চরিত পড়ে £ “আজ আমরা হিগ্যাসাঁঃরকে বেবল কিছ্যা ও দয়ার সাঁগর বলিয়াই ভ!নি** ** কিন্তু এই বৃহৎ পৃথিবীর সংশ্রবে আসিয়। মতই "আমর! মানুষ ভইয়। উঠিব'* ততই আমরা নিজেব অক্সরের মধ্যে অনুতন করিতে থাকিব যে, দয়। নহে, বিদ্তা নছে, ঈশ্বরচন্দ্র বিষ্কাসাগরের চরিত্রে প্রধান গৌরব তাভার অজেয় পৌরুষ; তাহার অক্ষয় মনতস্যত্ব । যতই তাহা অম্ভন করিব ততই "আমাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ ও বিধাতার উদ্দেখ্য সফল হইবে এবৎ খিগ্ঠাসাগরের চরিত বাঙ্গালীর জাতীয় ছীবনে চিরদিনের ভন্য প্রতিঠিত হইয়া থাকিবে ।” কপির পিত়দেব দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম €(১৮১৭--১৯৯৬) বিভ্তাসাগরের কালে (৮২০৯১ দেবেন্দন।থের সহকর্মী সুদ ছিলেন, তাই বিধব! বিবাহ প্রস্তাব যখন কেউ ছাপতে ভরসা পাননি, তখন দ্রেবেন্্রনাথ তীর ভন্ববোধিনী (১৮৪৩ স।লে গ্রচ্িঠিত ) পত্জিকায় বিগ্াসাগরের প্রস্থাণ ছেপে নাখার অধিকর স্বদুর রামমোহন যুগ (১৭৭২--১৮৩৩) থেকে আধুনিক যুগে প্রসাধিত করে দেন। দেবেন্দ্রনাথ যখন দেত্যাগ করেন (১৯০৬) তার আগেই চোখের বালি (১৯০৩) প্রকাশিত হয়েছে; রবীন্দ্রনাথের এই সামাঞ্জিক উপন্তাল বাঙ্গল|। সাহিত্যে শুধু নব্য রীতি নয়, নবধূগের সুচনা করে; সেকথা গল্প-সম্রট শরৎ চট্টোপাধ্যায়ের নিজ মুখে শুনেছি । ৪১ বছরে;বিপত্রীক হয়ে রবীন্ত্রন।থ নব-পর্ষ্য|য় বঙ্গ-দর্শনে নৌকাডুবি এবং চোখের বালি প্রকাশ করেন। এ ছুখানি বই শরৎ সাহিত্যের সুচনা! করে--শরৎচন্ত্রের উদয়ের আগেই । তার- পরে গোরা উপগ্তাস আমর! পাই ও এপ্রবাসী”তে উদগ্রীব হয়ে মাসে মাসে পড়ি। গোর1-ম্ব্দেশী যুগের গছ মহাকাঁবা) সেটি শেষ হল যখন, তখন দুরত্ব ঘুচিয়ে কবিগুরু কাছে ডাকলেন। শুধু আমরা ছাত্ররাই নই__প্রাচীন অভিভাবক দলকেও "গোরার” তর্কে উত্তেজিত দেখেছি। অথচ হৃষ্টির প্রাচু্যে যে সময় রবীন্দ্রনাথ আমাদের মুগ্ধ করেন তখন তাঁর পারিধারিক জীবনে মৃত্যুর ২৭৮ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ করাল অন্ধকার! সহধমিনী মুণালিনী দেবী (১২৮০--১৩০৯ ) ১৯০২ সালে মাত্র ৩* বছরে বিদায় নেন? চিহ্ন তাঁর অমর হয়ে আছে 'ম্মরণের পংক্িতে । দ্বিতীয়া কন্তা রেণুকা (১৮৯৯--১৯০৩) ও কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্্র ( ১৮৯১--১৯০৭) দু'জনেই পিতার হয় শুন্ত করে অকালে পিতাকে ছেড়ে যান। সে যুগের চাপা-কানা প্রচ্ছন্ন আছে গীতাগ্তপার মধ্যে, সেকালের নাট্য রচনায় ঃ কবির.কাছে সে সব কথাও পরে গুনেছি-_ দুঃখের তিমিরে য্দি জলে তব মঙ্গল আলোক তবে তাই হোক । মৃত্যু যদি কাছে আনে তোমার অমুতময় লোক তধে তাহ ছোক। ত্রিশ বছরের স্ত্রীর মৃত্যুশয্যায় বসে যে বেদনা কবিপ্রাণকে মথিত করে তার সাক্মী এই গানটি ন্মরণ' কবিতায় এ যুগের মাম পাবেন। "মতিশধার সিংহাসনে থোকাই ( শমীন্ত্র ) তখন চক্রবর্তী-সম্রাট ছিল। সেই জন্ত লিখতে গেলেই খোকা ও থে:ক।র মার ভাবটুকু হূর্ধ্যান্তের পরবর্তী! মেঘের মত নানা রঙে রঙিয়ে ওঠে । সেই অন্তমিত মাধুরীর সমস্ত !কণ 'এবং বর্ণ আকর্ষণ করে” আমার অশ্রবাম্প এ রকম খেলা খেলেছে, তাঁকে নিবারণ করতে পারিনে ।” 'খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন” গল্প থেকে স্থুর করে, অমর নাটা ডাকঘরের (১৯১২) অমল এবং “শিশু+, “শিশু ভোলানাথ”। ও “পুনশ্চর (১৯৩২ ) শিশু (অল্লাযু দৌহিত্র নীতিন্্র গঙ্গোপাধ্যায়কে উৎলগীত), পর্য্যন্ত কত রচনায় রবীন্দ্রনা4 অপুর্ব শিশুতত্ব প্রচার করে গেছেন: তার সাক্ষী “জগৎ পারাবারের তীরে শিশুরা করে থেল।।৮ ১৯০৭ সালে ছোট ছেলে শমী কলের! হয়ে হঠাৎ মুঙ্গেরে মার! গেল; সে মন্্ান্তিক আঘাতের কথা কর অন্ুস্থ অবস্থায় তার কাছে ধসে শুনেছি । অমলের মৃত্্যুশয্যার পাশে কবি “ঠাকুর্দা' যখন বসেছেন তখন আমাদের শশীর কথা মনে হল। ১৯১৭ কলকাতা কংগ্রেস সেরে গান্ধিজী জোড়াসাকো। ভবনে বসে সে দৃশ্ত দেখেছেন । প্রেক্ষাৃহের পাশ থেকে স্বর এসে সবাইকে চোখের জলে ভাসিয়ে দিল-_ জীবনে ধত পৃজ1 হলন! সারা জানিহে জানি তাও হয়নি হার! যে ফুল না ফুটিতে ঝরেছে ধরণীতে যে নদী মরু পথে হারাল ধার৷ জানি হে জানি তাও হয়নি হারা ॥ শোকের দাহন প্রচণ্ড অথচ কবি শাস্ত। তিনি অসীম ধৈর্য্য ও একাগ্রত। দেখিয়ে বিচিত্র রচনায় বাঙ্গল। পাহিতাকে সমুদ্ধ করেছেন £ রাজা প্রজা থেকে সুরু করে, সমূহ ও স্বদেশ, শিক্ষা ও সমাজের অপূর্ব গণ্য রচনা ১৯০৮ পধ্যন্ত আমরা। পেয়েছি। নান! প্রতিকূলতার মধ্যে তার শান্তিনিকেতন বিগ্ভালয়টি যেমন গড়ে তুলেছেন সেই সঙ্গে ছাত্র ও শিক্ষকদের নিয়ে গভীর স্বাধ্যায় করেছেন তার সাক্ষী অপূর্ব গন্তকাব্য পশান্তিনিকেতন" (১ দেকে ১০ গত ১৯৯৯-১১ ; ৫০ জন্মতিথি পর্যন্ত) ) রবীন্দ্রনাথের গানে উপাসন, “গীতাঞ্জলি (১৯১০) নবধুগের অগ্রদূত। সেই সঙ্গে অদ্ভিনয়ের জন্কও তিনি শারদোৎসব (১৯৮)? রাজা (১৯১০), ১৩৬৭ ] রবীন্দ্র যুগ ২৭৯ ডাকঘর ও অচঙ্গারতন (১৯১২) নাটকগুলি 'ছামাদের শুনিয়ে তৃতীয়বার সমুদ্র-পাড়ি দিয়েছিলেন (১০১২-১৩)। তখন থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত, রবীন্জনাথ বিশ্ব-কবি ও যুগনায়ক রূপে ত্রিশ বছর দেশে ও বিদেশে, বাংল! তথ! ভারত সংস্কৃতি প্রচার করে গিয়েছেন। এ রহম্বময় ভীবনী তার এখন মনে হয় অলিখিত মহাকাব্য; তা”র তৃমিকাটি রবীন্দ্রনাথ দিয়ে গেছেন, তাঁর বিপুল পত্রাবলীতে আর *জীবনম্বতি, £ছিন্নপত্র” ও “ছেপেবেলা'' প্রভৃতি ম্মরণীয় রচনায়। বাংল। উপন্যাস সাহিত্যে তিনি ধুগান্তর এনেছেন “গোরা লিখে, তার মূল্য নির্ধারণ করে গেছেন পাক! জঙহ্থরী শরৎচন্দ্র । তারপর বঙ্গদর্শনে “ব্রাহ্মণ” প্রবন্ধ থেকে সুর করে তত্ববোধিনী পাত্রকা ও প্রবানীতে কি অপূর্ব গগ্যসাহিত্যের বিস্তার দেখেছি; তপোবন ও “ভারতবর্ষের ইতিহাসের ধারা” আমাদের তরুণ শিক্ষার্থী জীবনে এতবড় প্রেরণ। দিয়েছে যা কলেজে বা শিশ্ববিস্থালয়ে আমরা পাইনি । সেই পঞ্চাশ বছর আগে (১৯১০-১১ ) ভারতের প্র]চীন সাহিত্তা ও আদর্শ ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ দ্বে অমোঘ ইঙ্গিত আমাদের দিয়েছিলেন তা থেকেই বাগুলায় ও নিখিল ভারতে "বুচত্তর ভারত” (0160৮ [70835) আমর! সুস্পষ্ট ও সার্থক গ্রতিহাসিক গবেষণার নেত্র বলে চিনেছিলাম! রণীক্রনাথের দ্'ন আমাদের কাছে অবিস্মরণীয় । আমার 'ভারতমৈত্রী মহামগ্ডল ও 101900%61 01 2.8 (১ ৯৫৫) (37:62601" [7718 ( ১৯৬০ ) প্রভৃতি রচনার গ্রতি ছত্রে তার কাছে কৃতজ্ঞত৷ ত্বীকার করেছি। রবীন্ত্রনাথই আমাদের একমাত্র পপুরোধা”, বৈদিক যুগের পথিকৃৎ খবি-নেতা । এই যুগে আরও স্মরণীয় রবীন্্রনাট্য এক অফ্রিনব রূপক ধারা (95101011809 )। মাত্র ১১ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ তার পিতার সঙ্গে বোলপুর গ্রামে আসেন (১৮৭৩ )। সেখানে গাছের তলায় বসে “পৃ্থীরাজ পরাজয়* নামে এক নাট্যকাব্য লেখেন ; সেটি লুপ্ত হলেও অন্ত রচনার মধ্যে তার সন্ধান কিছু বেরয়েছে ও জীবনীকার প্রভাত মুখোপাধ্যায়ের মনে হয়েছে যে (১৮৮১) “রুদ্রচণ্ড” নাট্যকাব্য তারই রূপান্তর। কবির রচিত সেই প্রথম নাটকখানি উৎসর্গ করেন “নটের গুরু? সার দাদ জ্যোতিরিল্ ঠাকুরকে ৷ এই দাদার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ নটভূমিকাঁর় অনেকবার নেমেছেন £ গীতিনাট্য “কালমুগয়া, “বালীকি প্রতিভা” ( ১৮৮১-৮২) পধ্যন্ত। ১৮৮৭তে লেখ! রাজধি উপন্তাস থেকেই কবি ১৮৯০ সনে তার বিখ্যাত নাটক “বিসর্জন” লেখেন ও নিজে রঘুপতি-ভূমিকায় আশ্চর্য্য অভিনয় করে ভারত সদীত সমাজে? ও অন্থত্র অভিনেত। রূপে শ্রেষ্ঠ সম্মান পান। ১৮৮৩ সালে রচিত 'বৌঠাকুরাণীর হাট অবলম্বনে, বহু পরে “প্রায়শ্চিত্ত (১৩১৬) ও “পরিত্রাণ নাটক লিখে অভিনয় করান। ১৮৮৯ সালে লেখা “রাজা ও রাণীতেঃ নাম ভূমিকায় তিনি যুবান্ধপে নেমেছেন। বালক অবস্থায় “অলীকবাবুসতে অভিনয় করে যখন সবাইকে রবীন্দ্রনাথ অবাক করেন তখন কেউ জানু ন! যে ফরাসী হাম্তরসিক ঠ£০11979 এর অতি শুক্র হান্তরসের অবতারণ। কবি রবীন্দ্রনাথই করে যাঁবেন। তার প্রমাণ রয়েছে 'গোড়ায় গলদ? (১৮৯২ ) তথা “শেষরক্ষা” (১৯২৮) 'বৈকুষ্ঠের খাতা” (১৮৯৭) ও 'চিরকুমার সভা”--যা আজও ছেলেমেরেদের নু করে। ১৯০৭ সালে “হাম্য-কৌতুক" ও 'ব্যনকৌতুক” রচন। ছুইটি প্রকাশিত হয়। প্রাণাধিক পুত্র শমীক্ের অকাল মুত্যুর (১৯০৭) পর নাটকের মধ্যে যেন “চোখের জলে লাগল ২৮৪ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ জোয়ার, ; প্রথম খতু'নাট্য শারদোত্সবের মধ্যে যখন খণ শোধএর আভাষ পাই, সেহ সঙ্গে দর্শক আমরা চোখের জলে ভেসে শুনেছি সোনার থালায় সাজাবে! আজ ছুখের অস্রধার জননী গে! গাথব তোমার গলার মুক্তাহার। ছুখের অশ্রধার রবীন্দ্রনাথের নিজের ঘরে যখন বয়েছিল, সে যুগেই সুরু ছল বাঙালী তরুণদের মরণ-দজ ? 'আত্মাহতি দিল কত শত ছেলে মেয়ে আজও তার পুরো! হিসাব মেলেনি : ক্ষুদিরাম কানাই মতোণের ফাসি থেকে শ্মুকধ হয়েছিল মা বোনদের অশ্রপ্ানন; নীরবে স্ভীরা সহ করে গেছেন চরম দুঃখ; পপ্রায়শ্চিত্ত" নাটকে (১১৯) পেলাম কথিকে ধনঞ্ীয় বৈরাগী রূপে । তিনি জনতার মাঝে দিব্য প্রেরণায় গাইছেন আগুন আমার ভাই আমি তোমারি জয় গাই। আর বাউল গ্রে সবাইকে মাতিয়েছেন- বাচান বাচি, মারেন মরি এলে ভাধ ধন্য হরি। ধন্য হরি ভবের ন1টে ধন £রি রাজ্যপাটে ধন্ক হরি শ্শান ঘাটে ধন্ঠ হরি ধন্ত হরি হরিজনদের কল্যাপমিত্র গান্ধিজী দক্ষিণ আফ্রিকায় 1১.881%0 1:98181000 সুরু করার আগেই, কবিতা ও গানের রগকেঁ-বিশেষ “প্রায়শ্চি” নাটকে- রবীন্ত্রনাথ অহিৎস-সংগ্রাম সক করেন) সেকথা আজ অনেকে বিয়ের সঙ্গে স্বীকার করেছেন। নিটুর রাজশক্তির সঙ্গে শ্বদেশ-প্রেমিকের মংঘাত অ|নবার্ধ্য। রপীঞ্ধনাথ ও অরবিন্দ এ সত্য বহুদিন থেকে প্রচার করে এসেছেন; কবির অর্থ, অরবিন্দ রবীন্দের লহ নমদ্কার' কণ্তিটি এই প্রসঙ্গে ম্মরণীয়। মানিকতলা বোমার মামলা, ধারীন ঘোষের ফাসির হুকুম, পরে ঘ্বীপান্তর চাঙ্সান, বাঁউলার সর্বত্র ধরপাঞ্ড়, রাজা-কম্মচারী ও গ্রজা-দলের হত্যা-পর্ব সব আমর! ছাত্রাবস্থায় যেমন দেখেছি, তেমনি তাদের বিরাট সাহিত্যিক পটভূমিকায় কবি 'গোর।” রচন। করে ভখিগ্ততের পথনির্দেশ করেছেন। পণে রাজনৈতিক ক্ষেত্র থেকে মরে এলেও রবীন্দ্রনাথ এযুগে শুধু কবি নন বিরাট জন-নায়ক। তাহ ১৯১২ আলে, খিদেশ যাত্রার পূর্বেও সার রচিত ব্রহ্মদঙ্গীতকে জাতীয় সঙ্দীতরূপে তিনি দিয়ে যান. ঘোর তিমির ঘন নিবিড় নিথাথে পীড়িত মুষ্ছিত দেশে জাগ্রত ছিল তব অবিচল মঙ্গল নত নয়নে অনিমেষে ছুঃস্বপ্পে আতঙ্কে রক্ষা করিলে অঙ্কে, স্নেহময়ী তুমি ম।ত। জনগন দুঃখ) ত্রায়ক জয়ছে--ভারত ভাগা বিধাতা! জয়ছে জয়হে জয়ছে--! অমৃতকথ৷ ও কাহিনা বীতুগ্রীষ্টের কথা-_ _-শিষ্কের! ধীণ্তর নিকটে এসে বললে, স্বর্গরাজ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে? তখন যীশ্ত একটি শিশুকে আপনার কছে এনে বললেন, আম তোমাদের সত্য কথা বলছি, তোমর! যদি না ফের ও শিশুদের মত ন। হয়ে ওঠ তবে কোনমতে স্বর্গরাঁজ্যে প্রধেশ করতে পারবে না । কাজেই যে কেউ নিজেকে শিশুর মণ নত করে সেই স্বরাঙ্জে শ্রেষ্ঠ । 'মারযে কেউ এর মত এটি শিশুকে আমার নামে গ্রহণ করে, সে 'ম।মাকেই গ্রচণ করে। কিন্তু মে ক্ুদ্রগণ মামাতে বিশ্বাদ করে, যে কেউ তাদের মধ্যে একজনেরও বিঘু জন্মায়, তার গলায় বড় ধাতা বেঁধে তাকে সমুদ্রের অগা জলে ডুবিয়ে দেওয়া বরং তার পন্ষে ভাল। বির প্রযুক্ত জগৎকে ধিক! কেনণা» খিম্ব 'অবশ্ই উপস্থিত হয়, কিন্তু ধিক সেই ব্যক্তিকে যার দ্বা। পিক্ষ উপস্থিত হয়! আর তোমার হন্তজ কিন্ব] চরণ যদি ভোমার বিদ্ধ জল্মায়, তবে তা কেটে ফেলে দিও। ছুই হস্ত কিংখা দুই চরণ নিয়ে অনন্ত অগ্নিতে নিক্ষিঞ্কধ হওয়। অপেক্ষা বর? খঞ্জ কিংবা চলা হয়ে গাশবনে প্রবেশ করা তোমার ভাল। আর তোমার চক্ষু যদ্দি তোমার শিখ আল্মায়, ভবে তা উপড়িয়ে ফেলে দিও । ছুই চক্ষু নিয়ে অগ্নিময় নরকে নিক্ষিপ্ত হওয়া অপেক্ষা বরং একচক্ষু হয়ে জীবনে প্রবেশ করা তোমার ভাল। দেখো এহ ক্ষুদ্রগণের মধ্যে একটিকেও ঠুচ্ছ জ্ঞান করোন।। কেননা আমি তোমাদিগকে পলছি। তাদের দূতগণ মণ সময় আমার ম্ব্গহ পিতার মুখ শ্বগে সখসময় দর্শন করেন। কোন ব্যক্তির মদ্ি একশত মেষ থাকে, আর তাদের মধ্যে একটি হারিয়ে যায়, তবে কিসে অগ্গ নিরান্কাইটি ছেড়ে পর্ধঠে গিয়ে ত্র হারান মেন্টির অদ্বেষণ করে না? আর যদি সে কৌনক্রমে সেটি পায় তবে আমি তোমাদের আত বলছি, যে নিরানব্ৰইটি ভারিয়ে মায় নাই, তাদের 'অপেক্গ। সেইটির জগ্ঠ সে বেশী আনশ করে। সেইক্প এই ক্ষুদ্রগণের মধ্যে একজনও যে ধিনষ্ট হয়, ভোমার স্বগস্থ পিতার এমন ইচ্ছা নয়।” এ গী ঁ ক _শ্যীস্ত বললেন তাঁর শিশ্কদের যে, তোমার তাই তোমার নিকটে কোন অপরাধ করে ভবে যাও, যখন কেধল তুমি ও সে থাক তখন সেই দোষ তাকে বুঝিয়ে দিও | তাযদি সে শোনে তাহলে তুমি আপন গাইকে লাভ করলে। কিন্ত ঘদি সে ভা ন। শোনে, তখে ছইজনকে শঙ্গে নিয়ে যাও। তাতেও যদি ন। কাজ হয় তবে মগ্ডপীকে বল। আর ষধি মণ্ডলীর কথাও অমান্ত করে তাহলে সে পরজাতীয় লোকের ও করগ্রাহীর মত হবে। আমি তোমাদের সত্য করে বলছি, তোমরা পৃথিবীতে য। কিছু বন্ধ করবে তা স্বর্গে বন্ধ হবে। এবং পৃথিবীতে যা কিছু মুক্ত করবে তা স্বর্গে মুক্ত হবে। পৃথিবীতে তোমাদের দুর্জন য! কিছু যাঙ্্র/ করবে, সে বিষয়ে যদি একচিত্ হয়» তবে আমার স্র্সস্থ পিতা কতক তদের জন্ত তা কর! যাবে । কেননা যেখানে ছুই কি তিনজন আমার নামে একত্র হয়, সেখানে আমি তাদের মধ্যে আছি।” ধা ” কঃ ১০ ও &স্রীরামকৃষ্ণদেবের কথা-_ --পআমারই ধর্ম ঠিকঃ আর সকলের মিথ্যা, এ ভাব ভাল নয়। আমি দেখি তিনিই সব হয়ে রয়েছেন। মানুষ প্রতিমা, শালগ্রাম, সকলের ভিতরই এক দেখি। এক ছাড়া ছুই আমি দেখি না। অনেকে মনে করে আমদের মত ঠিক, আর সব তুল--আমরা জিতেছি আর সন হেরেছে। কিন্তু যে এগিয়ে এসেছে সে হয়ত একটার জন্তু আটকে গেল। পেছনে যে পড়েছিল ধে তখন এগিয়ে গেল। গোলকধাম খেলায় অনেক এগিয়ে এসে, পোয়। ঘুঁ'টি আর পড়ল না। হারজিত তার হাতে । তার কার্য কিছু বোঝ! যায় না। দেখন। ডাব অত উচুতে থাকে, রোদ পায়, তবু ঠাণ্ড। শক্তি। এদিকে পানিফল জলে থাকে, গরম গুণ । মানুষের শরীগ দেখ। মাথা যেটা! মূল ( গোঁড়া), সেটা উপরে চলে গেল।” 88:86. বাসন) সস ও িি-এ সা রি ট্‌ এ 2 জজ আঠেআজতর এআ ০9১ সরহম নন! এ ৩ সি সর ৪০ ৪৯, টা হু ১৫. -ধ্ী টু, নু এ সহ ৪০ ৪৯০৯৯ চা ঢা আর ৮ এ সি রি স্পা জি রি টার হু সে ্ হি নে, শিশ নদ সস রর ৬ চি বু উ-€ 5: অনন্যপূর্বা শ্রীসীত৷ দেবী। বা রোজ যেমন ভোরে উগিয়। দিনের কাজ আ'রন্ত কেন, সেদিনও ত'ইই করিতেছিলেন। চাঁয়ের যোগাড় করাঃ বাঁজারের পয়সা বাঠির করিয়! রাগ! প্রভৃতি করিতে করিতে হঠাৎ তাহার মাথাট! ভয়ানক ঘুরিয়া গেল। একটা চেয়ার ধরিয়া সামলাইনার চেষ্টা করিতে করিতে তিনি সশবে মেঝের উপর পড়িয়। গেলেন এবং অজ্ঞানই হইয়৷ গেলেন। ভাগ্যে কর্তা বিনোদধাবু সেদিন কি মনে করিয়া সকালেই উঠিয়াছিলেন। পত্তনের শবে তিনি ছুটিয়৷ 'আপিলেন এবং তাহার পর বাড়ীতে রীতিমত গোলমাল বাঁধিয়া গেল। সবাই উঠিয়া পড়িল, ঝি চাঁকর ছুঁটিয়া আমিল। ডাক্তার ডাকিতে লোক চুটিল। সরোজিনীকে ধরাধরি করিয়া ডুপিয়া৷ বিছানায় আনিয়! শোওয়ান হইল। ডাক্তার আধঘণ্টার মধ্যে আসিয়। উপস্থিত হইলেন। ইনি গৃহস্বামীর বন্ধুগোঠির মধ্যে, যদিও বয়সে কিছুটা ছোট। বিনোদবাবুর ছোটভাইয়ের সঙ্গে এককালে কলেজে পড়িয়াছিলেন। নামডাক আছে, পসারও ভাল। বয়স চষ্লিশের দিকে অগ্রসর হইতেছে, কিন্কু ভদ্রলোক এখনও বিবাহ করেন নাই। মরোজিনীর জ্ঞান হইয়াছিল, ছু একট! কথাও ক্ষীণত্বরে বলিতেছিলেন। কথা যেন একটু জড়াইয়া বলিতেছেন। বাদিকটাও তাহার একটু অন্বাভাঁবিক লাগিতেছে। বাড়ীর কাজ কিভাবে চলিবে বলিয়! ক্রমাগত উৎকা প্রকাশ করিতে লাগিলেন। মেয়ে স্বপ্না বলিল, “মি থাম ত বাপু, যেমন করে হয় হবে। বি চাকর রয়েছে ত, তার! ছু চারটে দিন চালাতে পরবে না ?” সরোন্িনী বলিলেন, “ওর ছাই পারে। ন! দেখলে কৌন কাজ হয়? চাকরট| পারে গুধু চুরি করতে আর ঝি ত গুণের ধুকড়ি, পারে গুধু বাসন ভাঙতে |” কর্তী বলিলেন, “ওগো অত কথ বোলো না। ডাক্তার হরেন এসে গিয়েছেন। অত্ব কথা বল্ছ শুনলে রাগারাগি করবেন।” ডাক্তার হরেন্ত্রনাথ সেন আসিয়। ঘরে ঢুকিলেন। ভদ্রলোক দেখিতে বেশ ভালই, তবে রগের কাছে দু চার গাছ! চুল পাফিতে আরম্ত করিয়াছে । দৈর্ঘ্যে মাঝারি, তবে দেহ সুগঠিত ও ম্দবঞ্জিত হওয়ায় তাহাকে লম্াই দেখায়। অন্তসময় ফিটফাট সাঁচেব সাজিয়াই থাকেন। এখন খুব তাড়াতাড়িতে আদিতে হইয়াছে বলিয়া ধুতি পরিয়াই চলিয়৷ আসিয়াছেন। রোগিণীর ঘরে ঢুকিয়া বলিলেন, 'কি বাধালেন আবার? এত করে বলি ধে বয়ম বাড়ছে, সেটা একটু মনে রাখুন। তা মনে রাখেন উল্টো দিকে। বয়স বাড়ছে, অনিয়মও বাড়ছে, খাটুনিও বাড়ছে ।* সরোজিনী ক্ষীণন্থরে বলিলেন, “বাড়ীর গিশ্লীর বিশ্রাম কোথায়? এই তগুয়েছি, তা বাড়ীর লোকের ন৷ হয়েছে চা খাওয়া, না! হয়েছে ভাড়ার দেওয়া ব! বাজারে পাঠান ।” ৩ ২৮৪ গ্জ-শারতী [ অগ্রহায়ণ ডাক্তার রোগ্িণীকে পরীক্ষ। করিতে করিতে বলিলেন, “কেন স্বপ্না কিছু পারেনা? সে ত মন্ত মেয়ে হয়ে গেল। এর পর ত নিঙ্গের সংসারই দেখতে হবে ।» স্বপ্র। কাছেই দীড়াইয়াছিল। ফরসা মুখখানা! লাল করিঘা খলিল, “আমাকে কিছু করতে দিলে ত? মায়ের কারে! কাজ ত পছন্দই হয়না । ন! করে তমার শেখা যায় না?” ডাক্তার বলিলেন, ''করঠে 'আন।র দেবে কে? বাড়ীর কাজ নিজে জোর করে নিয়ে করবে ।” স.রাজিনীর 1)10061 11088010 ম।প1 প্রভৃতি সব রকম পরীক্ষ! হইয়। গেল। ডাক্তার বলিলেন, «এখন মার গিম্সীগিরি করার চেষ্টা করবেণ না। মল্লের উপর দিয়ে গেল, এর চেয়ে ঢের বেশী ৪90৪ হতে পারত। একেবারে চুপ করে শুষে থাকতে হবে, পেশ কিছু দিন। কোনে! অজুগগাতেই উঠবেন ন!। নাপ” আমি পাঠিবে দিচ্ছি। 'অ।পনাকে দেখবে, বাড়ীর কাজেও ম্বপ্পাকে সাহাধা করবে । সংসারের কাজ ন! হয় 'একটু লণ্ডভণ্ড করেই হবে । এই 1)68017600-ট1 আমি নিয়েই যাচ্ছি। সঙ্গে একজন লেক দিন, সে ওষুধট। নিয়ে আসণে। আর ম্বপ্প। মাকে পেখবে, নিয়মমত তেন ওষুধ খান, আর একেবারেই ধেন না! ওঠেন |”, স্বপ্প। মুখ ভার করিয়া বলিল, “কি করে যে কাজ চলবে, তাই ভাবছি। আমি সত্যই কোনোদিন কিছু করিনি।” হরেন্নাথ বলিলেন, “শিখতে আরস্ত করতে হবে ত কোনো সময়? এই সুযোগ বা! দুর্যোগ যাই বল, ্রটাকেই কাজে লাগাও । আচ্ছা, চলি এখন, না আমি যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি।” তিনি ভ্রতপদে বাহির হইয়! গেলেন, বাড়ীর একমাঞ চাকর বিধু তাহার পিছন পিছন চলিল। হরেজ্জনাথের ডিম্পেন্লারি বড় ট্রাম রাস্তার উপরেই । গাড়ী থামাইয়। সেইখানে নামিয়! দেখিলেন দুর্জন কম্পাউগ্ডার ছুইরকম কাজে ব্যন্ত। বড় বীরেন একজন খরিদ্ারের জন্য উষধ গুছাইতেছে। ছোট খষিকেশ একখান সিনেম সংক্রান্ত মাসিকপত্র লয়! গভীর মনোযোগের সঙ্গে পড়িহেছে। হবেন্দনাথ ঢুকিতেই সে ধড়মড় করিয়৷ বই ফেলিয়! দিয় সোজ। হইয়া! বসিল। হরেন্ত্র বলিলেন, “ভূমি এই চিঠি ছুটে! নিয়ে যাও। হাসপাতালেই এদের এখন পাবে। এখনই হয়ত লোক পাওয়া যাবে না, ছু চার ঘণ্ট। দেরি হতে পারে। চিঠিতে সব লিখে দিয়েছি। তোমায় আর কিছু করতে হবে না, শুধু চিঠিগুলে। ঠিক জায়গায় পৌছেছে, এই খবর তুমি নিয়ে আদবে। এখানে আমাকে ন| পাও, বাড়ী গিয়ে খবর দেবে ।', খাধিকেশ ভুতায় পা গপাইতে গলাইতে চিঠি ছথানা লইয়া বাহির হইয়! গেল। ডিস্পেন্সারিতে বসিয়। হরেন্্রনাথ খানিকক্ষণ রোগী দেখিলেন, ও চিকিৎস। সম্বন্ধে পরামর্শ দিলেন। তাহার পর উঠিমা বাড়ী চলিলেন। নাওয়া-থ।ওয়! ও অল্লক্ষণ বিশ্রাম কর! ছাড়া বাড়ীর সঙ্গে সম্পর্ক তাহার বিশেষ নাই। তিনি অবিবাছিত, মা বাব। দেশে থাকেন। ভাই বোনেরা নিগ্ে নিপ্পের সংসারে আছেন। বাড়ীখান। তাহার নিষ্ধের। একল। মাষের অতবড় বাড়ীর কোনো! প্রয়োজন হয় না, তাই একতলার অধিকাংশ ঘর ভাড়া দ্বেওয়া আছে, একটি ঘর শুধু তিনি রাখিয়াছেন, রোগী দেখার জন্ভ। উপরে তিনি থাকেন ও তাহার এক খুড়তুতো ভাই রমেশ থাকে। সেও ডাক্তারী পড়িতেছে। আত্মীয়-স্বজন কলিকাতায় আদিলে মাঝে মাঝে বাড়ীর অন্ত ঘরগুলি ভরিয়া ওঠে, বেশীর ভাগ সময় বাড়ী চুপগপ নিস্তব্ধ পড়িয়াই থাকে। | বাড়ীতে গিয়! স্নান সারিয়া যখন তিনি খাইতে বসিকাছেন, তখন তাহার চিঠির উত্তর আসিল। ১৩৬৭ ] অনন্যপর্ব। ২৮৫ নার তখনই পাওয়। যায় নাই, তথে ব।রোটার মধ্যেই পাওয়া যাইবে খলিয়া একর্জন ড।ন্তরার আশ্বাস দিয়াছেন। আর একজন লিখিয়ছেন যে কালকের মব্যে নিশ্চাই ভিনি লেক জোগাড় করিয়া দিবেন। বিনোদণাবুর বাড়ীর পরিস্থিতি ভাঁবিয়। হরেন্্ন'থের হাসি পাইল । বিনোধবাবু খুব কম্সিষ্ঠ মাষ নয়, গৃহিণীই ঠ্াহাকে চালাইয়া লইয়া বেডাহতেন। আর শ্বপ্র। ত কোনো কাজে ঠাত দিতেই ভয় পায়, এবং নিজের অকর্মণাতার জন্ম মা-ই যে সম্পূর্ণরূপে দয়ী এইটা প্রমাণ করিয়া নিশ্চিন্ত হইয়া থাকে। তাহারা বোধহয় এতক্ষণে মাথার চুল ছি'ড়িতেছে। তাহাতে কোনও আপ ছিল না, খে সরোজিনী পাছে সকলের দুরবস্থা দেখিয়া উঠিয়া পড়েন, এই ভাবিয়া হরেন্ত্রনাথ একটু শঙ্ষিত হুহইলেন। বিনোদণাংদের বাড়ীর অবস্থ। সতাই 'আাশঙ্ক।জনক হইয়া উঠিয়াছিল। কোনোমতে 21 চা খাইতেই ক্সাটট। খাঁজিয়। গেল। তাহার পর চাকর 'ষধ লইয়া! ফিরিটে দরি কর্ধিল, স্থতরাং বাঞ্জার করা, রান্না কর! সব কাজেই অনেক দের হইল। দুপুরের খাওয়া স|রতেই বেলা গঞাইয়া গেল। স্বপ্ন! যখন প্রায় কাদিবার উপক্রম করিতেছে, তখন ঝি আধিয়া পলিল, “একজন মেয়েলোক এয়েছে দিদিমণি। বলছে ডাক্তা৫বাবু পাঠিয়ে প্য়েছেন।১, বর! ছুটিয়। গেল, দ$জার কাছে। একটি ময়ে দাঁড়াইয়া আছে, বছর বাইশ হেইশ বয়স ইইবে। উজ্জল শ্যামপর্ণ বং, বেশ ব$ চোখ, নাক্মুখের কাট বেশ ভাল। মুখখান। স্বপ্লার ভাষায় “বেশ 1018178, তবে মুখখ!ন! গম্ভীর । খেপাটাও ধেশ উঠ হইয়। 'আছে, মাথার কাপড়ের ওলায়। কিন সাঞ্গসজ্জ! বিধব।র মত। হতে কোনে। গহনা নাই, শাদ। ব্াউম ও ফিতা পাড় শাড়ী পর] পাড়ের রংটাও কাল। হাতে খুব ছোট একটা স্ত্রাটুকেন্‌। স্বপ্র। জিজ্ঞাসা কিল, “আপনিই কি না? ডাঃ সেন পাঠিয়ে দিয়েছেন?" মেয়েটি বপিল, "হ্যা, আমিহ ন।স'। ডাঃ সেন পাঠাননি ঠিক, তিনি ডাঃ গুগ্চকে চিঠি দিয়েছেন, তিনি আমায় পাঠালেন ।" স্বপ্ন! বলিল, “ভিতরে আসম্থন। আপনি থেয়ে এসেছেন ত ?” মেয়েটি খলিল, “থেয়েইী এসেছি ।৮ বলিয়া হ্বপ্লার সঙ্গে মদে আসিয়া সরো!জনীর ঘরের সামনে দীাড়াইল। স্বপ্ন! তাহাকে ঘরে ঢুকিতে বলাতে পায়ের স্যাগাল্‌ খুলিয়। ঠিতরে প্রবেশ করিল এবং ঘরের এক কোণে নিজের সুটকেস্‌ নামাইয়। রাখল । বিছানার কাছ আসিয়া রোগিণীকে দেখিয়া, জিজ্ঞাসা করিল. “কি অন্ুখ ?” স্বপ্র/। বলিল, “131001 70:988019 খেশী, আনঙ্গ সকালে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন “ ডাক্তারবাবু ত একেবারে শুইয়ে রাখতে বলেছেন। আচ্ছা, আপনার নাম কি? কি বলে ডাকব?” মেয়েটি বলিল, “আমার নাম বিনত11” সরোগ্জিনী এতক্ষণ তাঁ্ষদৃষ্টিতে বিনতাকে দেখিতেছিলেন। অতিশয় অল্লবয়পী, ম্বপ্রার চেয়ে বড় জোর তিন চার বংসরের বড় হইবে । দেখিতে ত ভালই বলিবে লোকে। গৃহ্িণীর মেজান্ুটা একটু খারাপ হইয়া গেল। এত শল্প বয়সী মেয়ে কান্ম করিতে বেণী পারিবে না, ব! পারিলেও চাঠিবে না। ঘর-সংপারে সাহাষ্য করিতে পারিবে ডাক্তারবাবু বপিলেন, কিন্তু একি জানে কিছু? আজকালকার মেয়েরা ঘাড়ে সংসার যতদিন না জকিয়। বপে, ততদিন কিছু শেখে ন1, কিছু করিতে চায় না। "আরো কপ! এই ঘে, মেক্েটির ম্বভাব চরিত্র কেমন কে বাঁজানে? গৃছিণী একটু সন্দিগ্ক গ্রকৃতির দানুষ। বাড়ীতে বড় ছেলে ২৮৬ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ আছে, কর্ত। স্বম়ং আছেন। ছুজপেই এখনও বিপদে পড়িবার বসের গপ্ডির মধ্যেই আছেন। তবে পোঁধাকে আশাকে মেয়েটি অতিশয় সাদাসিধা! । বিনতাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, নার্সের কাঙ্গ কতদিন করছ?” [ধনভা। বলিল, “ত! এক বছরের উপর হয়ে গেছে।” গৃহিণী বলিলেন, “সব কাজ জান 2+, বিনতা বলিল, প্সবই শিখে নিয়েছি।+ গৃহিণী বঙ্গিলেন, “সংসারের কাজকর্ম ?” বিনতা বলিল, সে সমন্তই জানি। যা করতে বলখেন, সবই পারব» সরোজিনী বপ্িলেন, আজ সকাল থেক যেকি আথাস্তর, তা তোমায় কি বল্ধ বাছ।। নাওয়া, থাওয়!, রাক্প।, বাজার কোনে! কিছু কি ঠিক মত হয়েছে? আমার দশ! দেখ । চান ন। করে পড়ে আছি সকাল থেকে । কি যে গেয়েছি তা ভগবান জানেন।” বিনতা। বিল, “দেখি, আমি কতট। করে উঠতে পারি।” সে ক্ষিগ্র হাতে ঘরখান! গুছাইতে লাগল। ন্বপ্রাকে জিজ্ঞ।সা করিয়া উষধ-পথ্যের ব্যণস্থা সব জানিয়া লইল। সময় হইয়াছে দেখিয়া একদ।গ ওষধ থাওয়াইয়াঁও দ্িল। বাড়ীতে ইলেক্ট্রিক ষ্টোভ আছে জানিয়। জল গরম করিতে বসাইয়! পিয়। আসিল। স্বপ্ন! অবাক হহয়! দেখতে লাগিল যে এই মেয়েটি যেন তাহার মায়ের চেয়েও তাড়াতাড়ি কাঞ্জ করে এবং বেশ পরিপাটি কারা করে। ঘণ্ট। দেড়ের ভিতর বাড়ীর চেহারা বদ্লাইয়। গেল। রোগিণী ওষধ পথ্য সেবন করিয়াছেন। তাহার গা! মোছান, কাপড় ছাড়ান, চুল বাধা সবই হইয়া গিপ্লাছে। ঘরটিও পরিফার-পরিচ্ছন্ন । সরোজিনীর মুখের ভাবেও একটু প্রশাস্তি আসিয়াছে। বাড়ীর আর সকলে এখন চ। খাইতে বসিয়াছে। দেরি হইয়া যাওয়ার খালি এইটুকু চিহ্ন অবশিষ্ট আছে, যে জলখাবারটা আজ ব।ড়ীতে তৈয়ারী নয়, কিনিয়। আন হইয়াছে । সকলের জন্ত চা ঢালিয়া দিয়া বিনত] বটিল, “আমি তাহলে আমার চা-টা নিয়ে শোবার ঘরে যাই, মায়ের যদি কছু দরকার হয় ?* স্বপ্নার ইচ্ছা! ছিল যে বিনতা তাহাদের সঙ্গেই বলিয়া খায়। ষে একবার বিনোদবাবুর দ্রকে তাকাইল। তিনি কিছু বলিতেছেন ন! দেখিয়! সেও ভয়ে কিছু বলিল না। মায়ের আবার য। জাত-বিচারের ঘটা, বিনতা কি জাত তাহা ম্বপ্ন। জানে না। সুতরাং সে টেবিলে বসিয় সকলের সঙ্গে একসঙ্গে খাইলে জাত যাইবে কিন! তাহছাও সে বলিতে পারে না। ধিনত1 চ1 লইয়া চলিয়া গেল। চ৷ খাওয়া শেষ হইতে না হইতে ডাক্তারের গাড়ীর শব্দ শোন! গেল। বিনোদবাবু তাহাকে অভ্যর্থন! করিতে তাড়াতাড়ি উঠিয়া গেলেন। ধীরে-স্ুস্থে চা! জলখাবার শেষ করিয় স্বপ্ন! তাহার পিছন পিছন চলিল। হরেন্দ্রনাথ বাড়ীতে ঢুকিয়াই বলিলেন, “কি খবর ?" বিনোদবাবু বলিলেন, “থানিকট! ভালই ত বোধ হচ্ছে।” “নাস পেয়েছেন?” কর্ত। বলিলেন, “পেয়েছি, বেশ ভালই কাঁজ করছে।” হরেম্্নাথ রোগিনীর ঘরে ঢুকিয়া দেখিলেন যে ঘরথানির চেহারা এবং রোগিনীর মুখের চেহার। একেবারেই বদলাইয়া গিয়াছে। রোগিণীর মাথার কাছে একটি মেয়ে বসিয়াছিল। হরেজ্নাথকে দেখিয়া ১৩৬৭ ] অনন্পূর্ববা ২৮৭ উঠিয়। ধ্লাড়াইল ও নমস্কার করিল। হই নাকি নাস+? এত কম খাস? দাযিতপূর্ণ কীজ করিতে পারিবে কি? সরোজিনীকে ডাক্তার জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেমন "আছেন এবেলা? “অনেকটা ত ভাল মনে হচ্ছে।” "ওষুধ পথা সব ঠিক ঠিক খাচ্ছেন ত? উঠবার চেষ্টা নিশ্চয়ই করেন নি?” সরোজিনী বলিলেন, “যা দশ! হয়েছিল সকালে, তাতে উঠে পড়বারই কথা । তবে ছুপুরে বিনতা এল, তখন থেকে কাজ ঠিক মতই হচ্ছে ।” ডাক্তার বিনতাঁর দিকে ফিরিয়া বলিলেন, প্ডাক্তার গুপ্ু পাঠিয়েছেন আপনাকে ?” বিনতা বলিল, “হ্যা 1” "উনি আপনাকে আগে আগেও কাজে পাঠিয়েছেন?" বিনত! বলিল, *ষ্ঠ্যা, তিন চারবার উনি আমাকে কাজ দিয়েছেন।” "আপনি কতপ্দিন নার্সের কাজ করছেন ?” বিনত। বলিল, পদেড় বছরের কাছাকাছি হবে।” হরেন্্রনাথ আর কিছু জিজ্ঞাসা না করিয়া সরোজিনীর দিকে ফিপিয়া বলিলেন, “এহপার ৩ তাড়াতাড়ি সেরে উঠতে হচ্ছে। স্বপ্লার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছি, “দ্বপ্প। ঘরের দরজার কাছে পাড়াইয়া- ছিল, এই কথ শুনিবামাত্র সে সেখান হইতে পলায়ন করিল। সরোজিনী উৎসাহিত হইয়া বলিলেন “ওমা তাই নাকি? এই ত সত্যিকারের বন্ধুর কাজ। আমার ত মুখে পোকা পড়ে গেল বকতে বকতে, কিন্তু কে শুনছে কার কথা? গা কোথা থকে সম্ব্ এল গুনি একট! ও বাছা বিনতা, তুমি যাও ত ওকে একটু এঘরে আসতে খল, একসঙ্গেই গুনি। সত্যি যা আমার দশা হয়েছে, এখন মেয়ের বিয়ে-টিয়ে দিয়ে যাওয়াই ভাল। হট্‌ করে কোনদিন চলে যাব, তখন কর্ত। যে কি করবেন, তিনিহ জানেন ।” বিনত। ঘর হইতে বাহির হইতেই হবেন্দ্রনাথ বলিলেন, "মেয়েটি থেশ ভাল কাঁজ করছে?” সরোজিনী বলিলেন, “কাজ ত খুব ভাল করছে। যেমন আপনি বলেছিলেন, ঘরের কাঞ্জও করছে আমার কাজও করছে । তবে বড় ছেলেমাষ যে 1” ডাক্তার বলিলেন, “তাতে আর এসে গেল কি? অল্পবয়সে মানুষের থাটবার ক্ষমতা বেণী থাকে ।” সরোজিনী বলিলেন, "তা থাকে বটে, তধে কাজ করার ইচ্ছাটা থাকে না। জার তা ছাড়! ছেলেমানু মেয়ে বাড়ীতে রাখতেও ভয় করে আমার। নানারকম লোকজন আসছে যাচ্ছে ত1?” হরেন্্রনাথ হাসিতে লাগিলেন, বলিলেন পনাঃ, আমাদের দাদাকে আপন একেবারেই বিশ্বাস করেন না দেখছি। ভত্রলোকের মাথার চুল পেকে গেল, এখনও তাঁকে চোখে চোখে রাখতে চান? আর ছেলের বয়স ত নগদ ফোলে, তার জন্তেও আপনার ভয় আছে নাকি?” "আহা ওদের জন্তে ভয় করে তাই কি আর আমি বল্ছি? তবে মেয়েটির বিষয় কিছুই ত জানি না আমি? কাদের মেয়ে কি বিত্বীস্ত? এই যে সংস্কতে বলে ন। যে অজ্ঞাতকুলশীলকে বাড়ীতে রাখতে নেই, তাই আর কি?” ডাক্তার বলিলেন; “রাখুন ত আপনি। একেই কাজের লোক পাওয়া যায় লা, তার উপর আবার ২৮৮ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ রা বদ্দি স্বভাব চরিত্রের সার্টিফিকেট চাইতে হয়, তাহলে লোক আর পাওয়াই যাবে না। ডাক্তার বা নাস নিজের কান্ট! ভালমতে জানে কিনা, এটাই জিজ্ঞান্স, ত'র শ্বভাব চরিত্র যেমনই হোক । এই যে আমি মাসে পঞ্চাশবার ছট্হটু করে ঘরে ঢুকি, আমার বিষয়েই বা আপনি কি জানেন?” সরোৌজিনী বলিলেন, “কি যে বলেন তার ঠিক নেই । আপনি আর অন্ত লোক? নিজের ভাই বা দেওর যদি হতেন, তাঁহলেও ত এর চেয়ে বেশ বিশ্বাস করতে পারতাম ন11” এমন সময় বিদ্তা ও বিনোদবাবু আসিয়। ঢোকাতে তাহাদের এমন মুখরোচক আলোচনাটা থামিয়! গেল। বিনোদবাবু একটু বান্ত হুইয়াই আসিয়াছিলেন, না জাঁনি ডাক্তার সরোজিনী সম্বন্ধে কি বলিবেন। তবে ঘরে ঢুকিয়াহ শুনিলেন যে হরেন্ত্রনাথ স্বপ্রার তন্ট একটা বিবাহের সম্বন্ধ আনিয়।ছেন, শুণিয়াই তাহার মুখটা উজ্জ্বল হইয়া উঠিল। জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি রকম, শুনি একটু। পাত্রটি কে?” হরেন্ত্রনাথ বলিলেন, 'পাত্রটি আমা€ই আবজ্ীয়, তবে খুব নিকট আত্মীয় নয়। দুর সম্পর্কের এক মামাতো! ভায়ের ছেলে । এঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছে, চাঁকরিও পেয়েছে । বাপ মা বর্তমান, এবং ওর উপর নির্ভর করেন না। ভাই বোন যারা আছে, তারা এর চেয়ে বড়, কাছেই এর কোনো ঝামেলা নেই। স্তরাং মনে হল, পাতে দেওয়! চলতে পারে।” বিনোদবাবু এবং তাহার পত্বী দুজনেই সমস্বরে বলিলেন, "তা ত নিশ্চয়ই, কোনোপিক দিয়েই মন্দ শোনাচ্ছে না। তাত্ারা মেয়ে কেমন চান? ছেলের বয়স কত? “বয়স হবে ছাব্বিশ সাতাশ। মেয়ে অবস্ত তাং] আমশ্চর্যরকম কিছু চান না। সাধারণত: লোকে ঘা চায় তাই আর কি? দেখতে মোটামুটি ভাল, লেখাপড়াও খানিক জ্ঞানে, এবং বাপের অবস্থা কাজ চল গোছ সচ্ছল। তবে ছেলেটির একটু ফরসা বউ লাভের আগ্রঠ আছে, তাই স্বপ্লার কথ! চটু করে মনে হল। ওর বয়স হল কত?” সরোজিনী বলিলেন, “আঠারো ।” হরেন্দ্রনাথ জিজ্ঞাস! করিলেন, "কোন্‌ ইয়ারে পড়ছে?" বিনে।দবাবু বলিলেন, “এই ত সেকেও্ ইয়ার শেষ হল, সামনের মাসে টেষ্ট. ।» ডাক্তার বলিলেন, “তাহলে এদের যদি মেয়ে পছন্দ হয়, এবং যদি দূরে আপনাদেপ বনে তাহলে পরীক্ষা দেওয়। অবধি অপেক্গ| করবেন, না! আগেই দিয়ে দেবেন 1? সরে।জিনী ব্যস্ত হইয়। বলিলেন, "ওম অপেক্ষা আবার কেন করতে যাব? ঠিক হলে বিয়ে দিয়েই দেধ। বিয়ের পর কত মেয়ে পরীক্ষ) দেয়, ও তাই দেণে না হয়|” হরেঞ্জনাথ বলিলেন, “আমি ত শান্দালে অনেক কিছু বলে দিলাম তাদের, এখন ষাচাই করে নিতে হবে ষে আমার কথাগুলো ঠিক কিনা । চেহার! ত ঠিকই বলেছি, পড়াপ্তনোর কথাটাও ঠিকই বলেছি। আচ্ছ1, গান করে নাও? ওদের ত আমি বলে দিলাম গান জানে মেয়ে। অনিল, মানে আমার এ ভাইপোটির, একটু গানের বাতিকও আছে।” বিনোদ বাবু ব'ললেন, "গান জানে বল! চলে, তবে খুব যে ওস্তাদ গাইয়ে তা কিছু নয়। মাষ্টার ত এখনও হপ্যায় ছুদিন এসে শেখাচ্ছে। তা! বসে খান ছুই গান শুনিয়ে দিতে ও পারবে ।” ১৩৬৭ ] অনন্যপুর্ববা ২৮৯ সরোজিনী কাজের কথা পাড়িলেন, বলিলেন, “তা গুরা ত মেয়ে দেখতে চাইবেন একবার? এখানেই আছেন ত সব ?* ডাক্তার বলিলেন, “ছেলে আর তার বাধা ত আমার বাড়ীতেই এসে উঠেছেন। মেয়ে দেখতে চাইবে বই কি? আমার কথার আর মুল্য কি বলুন? যে মানুষটা নিজে এত বয়স অবধি একট। বউ জোটাতে পাল না, সে আর বউয়ের ভাল মন্দ কি বুঝবে? নিজেরাই দেখে যাক।৮ গৃহিণী বলিলেন, “আর আমি রইলাম এখন চিৎপাত্ হয়ে শুয়ে, এখন এ সবের ব্যবস্থা করে কে? মেয়ে দেখানোর জোগাড়-জ।গাড় ত আছে? চারটিখানি কথ! ত নয় ?” হরেন্্রনাথ বলিলেন, তাই বলে আপনি যেন এখনি উঠে হৈ-চৈ বাধিয়ে দেবেন না। তাহলে আমি ওদের ভাগিয়ে দেব। আমি তাদের বলেইছি যে মেয়ের মা এখন সম্প্রতি অনুস্থ আছেন। কাজেই খুব (0%2811$, ঘট করে মেয়ে দেখা এথন ভবে না। এমনি যেন বেড়াতে আসছি, এমনি ভংবেই একদিন তাদের নিয়ে আসব । আমি 'আাসব, ওরা বাপ বেট! ছুজনে আসবে, আর ছেলের প্রাণের বন্ধ একজন থাকে এখানে সেও আসবে হয়ত | এই চারজনের বেশী ন।। আপনারাও স্বপ্নার দু একগুন বন্ধু ছাড়। আর কাউকে ডাকবেন না। একটু চা ৬লখাবার থাবে, গান শুনবে, গল্প করবে চলে যাবে। আমি খুব বেশীক্ষণ তাদের এখানে বসে বক বক করতে দেব না। জলখাবার যদি আপনি বাজার থেকে কিনে এনেও খাইয়ে দেন ত তারা কিছু মনে করবে না। ও সব খু'ত মেয়েরাই বেশী ধরে, তা এদের সঙ্গে মেয়ে কেউ আসছে না।” সরোজিনী বলিলেন, “এ ফাকে দিলেন শুনিয়ে আমাকেও একটা কথ।। তা বাজারের জলখাবার থাওয়।ব না একেবারে । আমার চাকর অনেক দিনের, জলখাবার খানিক থানিক করতে জানে। বলে দিলে পারবে। যেদিন আসবেন আপনারা, তার দুর্দিন আগে জানাবেন যেন।” হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “তা ত নিশ্চয় । আচ্ছ।, শুয়ে শুয়ে সব 1018) করুন, আনন্দের আতিশযো : যেন এখনি উঠে ধসবেন না।” বলিয়া তিনি চলিয়া! গেলেন। ২ ডাক্তার বাহির হইয়। যাইবামাত্র বাড়ীর আর যে যেখানে ছিল, সবাই আসিয়া ঘরে ঢুকিল। স্বপ্ন নিজে, তাছার ছোট ভাই নীরেন ও সর্বকনিষ্টা বীণা । বাড়ীর ঝি চাকর ছুঈটজনও আসিয়া জুটিল, তবেন্বপ্লার বাব। এই সময় কি কাজে বাহির হুইয়া গেলেন। স্বপ্না ঢুকিয়াই বঞ্িল, “খুব বলে দিলে গান গাইতে পারে, আমার সঙ্গে বাজাবে কে? আমার ত সঙ্গে বাজনা না থাকলেই ৪০৪19 ভূল হয়ে যায়। নিজেও বাজিয়ে গাইতে পারি না। আর মাষ্টার মশায় ত দু হপ্তার জন্তে ছুটি নিয়ে দেশে চলে গেছেন।” সরোজিনী বলিলেন, “এই নাও সারল এখন | বন্ধুবান্ধব কেউ নেই যে বাজাতে পারে? প্)| আমার বন্ধুরা ত সাক্ষাৎ তানসেন, বাজাতে জানেই ন। কেউ ।” নীরেন বলিল, “বরকেই বাজতে বলিস দিদি ।” সরোজিনী বলিলেন, “নাও আর ফাজলামি করতে হবে না। 'আমি মরছি ভেবে, এখন উনি এলেন রস করতে ।৮ ২৯ গল্প-ভারতী | অগ্রহায়ণ বিনত। অগ্রসর হইয়া আসিয়। বলিল, “অত বেশী কথা বলবেন ন। আগনি, ওতে 10688075 বেড়ে ঘেতে পারে। সরোজিনী বলিলেন, "আমাকে চুপ করতে দিচ্ছে কে? এমন একটা ভাল সম্বন্ধ এল, তা গোড়াতেই প্রতিবন্ধক দেখ। গান ভালখাপে ছেলে, অথচ মেয়ে যদি প্রথমে সেটাই না পারে, তাহলে ওর মন খিচ.ড়ে যাবে না?” বিনতা একট্ক্ষণ চুপ করিয়া থ|কিয়। বলিল, “কি গান করেন আপনি? রবীন্দ্র সঙ্গীতন৷ 01%88101] 7” স্বপ্ন! বলিল, “৫1%85108] গাইবার মত গলা আমর নয়, রবীন্রসঙ্গীতই শিখছি এখন। আধুনিক গান বাবা বড় অপছন্দ করেন, তাই ওটা শিখি না।” বিনত1 বলিল, “রবীন্দ্র সঙ্গীত হলে আমিসঙ্গে বাজিয়ে দিতে পারি, অভ্যাস আছে আমার। যেদিন গাইবেন, তার আগের দিন বলবেন, আপনার সঞ্ধে একটু গ্র্যাকৃটিস্‌ করে নেব ।” সরোজিনী হাঁফ ছাড়িয়া! বাচিলেন। বলিলেন, “কোন গুণটা যে তোমার নেই বাছ! তাই ভাবি। যাক, এখন অন্যদিকে মন দিতে পারব ।” পরদিন সকালে ডাক্তার আমিতেই সরোজিণী জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনার মেয়ে দেখতে আসার দিন কিছু কি ঠিক করলেন ?* হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “অন্থথ-বিন্থ সব তুলে গেছেন বুঝি? এখন শুধু এ এক চিস্তা? আনন এখন পরশু বিকেল বেল1।” বলিগ্না বিণতার দিকে ফিরিয়া বলিলেন, "ওষুধপত্র ঠিক মত থাচ্ছেন ত? অনিয়ম কিছু করেননি ?” বিন্তা বলিল, "ওষুধ ঠিকই খেয়েছেন, অনিয়ম কিছু করেননি ।” সরোজিনী বলিলেন, প্য! কড়। নাস” পাঠিয়েছেন, পান থেকে চুন খপবার জো৷ নেই ওর কাছে।” ডাক্তার বলিলেন, “এ বয়সের অন্ত মেয়ের পক্ষে যা নিন্দে, নাসের পক্ষে তাই প্রশংস1 1” সরোজিনী হঠাৎ বিনতার দিকে ফিরিয়া জিজ্ঞাস। করিলেন “তোমার বয়স কত হয়েছে গা মেয়ে? আমার ত্বপ্রার চেয়ে বড়ই ত হবে?” বিনত বলিল, “গুর চেয়ে আমি অনেক বড়, আমার বযঃস তেইশ ।” হরেজ্নাথ মনে মনে বলিলেন, “অত বড়ও ত দেখায় না। বোধহয় মর্য্যাদ। বাড়াবার জন্গে বাড়িয়ে বলছে।” তিনি অতঃপর উঠিয়া পড়িলেন। বলিলেন, “আপনি ত আন্তে আস্তে ভালর দিকেই এগোচ্ছেন, আমার ছুবার আসবার কোনে! দরকার নেই । কাল সকালে আসব না, সন্ধ্যার সময় আসব। আপনাকে ভাল হাতে রেখে যাচ্ছি, অন্ুবিধ। কিছু হবে না। তবে দরকার মনে করেন ত খবর দেবেন”, বলিয়া বিনতার দিকে তাকাইয়! একটু হাসিয়৷ প্রস্থান করিলেন। সরোজিনীর তখনই কিছু কাজ ছিল না। তিনি বলিলেন, “তুমি যাও ন! বাছা॥ ছাদ থেকে একটু ঘুরে এস স্বপ্রার সঙ্গে । সারাদিন ঘরে বন্ধ হয়ে আছ। গুঁকে একবার ডেকে দিয়ে যাস ত রে স্বপ্ন1।” স্বপ্র। বাবাকে ডাকিয়! দিয়! বিনতাকে লইয়! চলিল। উঠিতে উঠিতে বলিল, “আচ্ছা! বিনত।দি, আপনি লেখাপড়াও অনেক করেছেন নাকি?” ১৩৬৭ ] অনন্তপূর্বা ২৯১ বিনতা৷ বলিল, “ন| ভাই ; গরীবের মেয়ে আমি, বেশী পড়াগুনে করবার অবকাশ পেলাম কোথায়? বাড়ীতে পড়ে কোনোমতে মাট্রিক পাঁদ করেছি। তারপর নান! বিপদের মধ্যে দিয়ে আসতে হল, আর রোজগার করতে ঢুকতে হল আর পড়াশুনা! করতে পারিনি । ঘন কাজে থাকি ন1, তখন ঘরে পড়বার চেষ্ট! করি, কিন্তু আর পরীক্ষা দিতে পারব কিনা জাঁনি ন1।” স্বপ্ন। চুপ করিয়া আছে দেখিয়া! বিনতাই জিজ্ঞাস। করিল, “আপনি পরপু কি গান গাইবেন, ঠিক করেছেন কিছু?” স্বপ্র। বলিল, "অনেক বেশী গান ত এখনও শিখিনি । ভাবছি এফট। শরতের গান গাইব আর একটা হেমন্তের গন গাইব । বেশ সহজ সুর দেখে বেছে নেব।” “তাই নেবেন””, “বলিয়া হঠৎ অন্ত প্রসঙ্গ তুলিল বিনত!, জিজ্ঞাস করিল, “আচ্ছা, ডাক্তারধাঁবু আপনাদের আত্মীয় নাকি ?” হ্বপ্।! বলিল, “না "আমার কাকার সঙ্গে কলেজে পড়েছেন কিনা, তাই দাদ! বলেন বাবাকে। অস্থখ-বিন্ুখ ছলে উনিই দেখেন আমাদের । মায়ের সঃ্গ ঠাট্ট।-তামাসাও করেন, তবে এমনিতে একটু বেশী গম্ভীর বলে আমর! তার ধারে কাছে বেশী ঘেসি না। বিনতা! জিজ্ঞাস। করিল, “বর যিনি আসছেন দেখতে, গরই আত্মীয় ত তিনি ?” স্বপ্র মাথা সঞ্চালনে জাঁনাইল, তাহাই বটে। তাহার পর অন্ত কথ! আসিয়া পড়িল। প্রের দিনটা আগাগোঁড়। হৈ-চৈ করিয়া কাটিয়া গেল। কি জলখাবার কর! হইবে, স্বপ্না কি পরিবে, কে তাহাকে সাজাইবে, কি গান গাহিবে সে ইত্যার্দি। সরোজিনী ক্রমাগত কথ! বলিয়া চলিলেন, বিনতা চেষ্টা করিয়াও তাহাকে থামাইতে পারিল না। গুবে উঠিতে সে তাহাকে কিছুতেই দিল না এবং ওষধ পথ্যও যথাসময়ে খাওয়াইয়। ছাড়িল। তার পরের দিন কনে দেখার পাল1। বিধু বাজারে গেল বেশ কিছু টাক! লইয়া । তাহার মাথার ভিতরট। গজগজ করিতে লাগিল, সরোজিনীর অসংখ্য নির্দেশে । ন্বপ্রা! এবং বিনতা! মিলিয়া৷ বসিবার ঘরট! ভাল করিয়। পরিষ্কার করিয়। গুছাইয়। রাখিল। ন্বপ্পার দুই সখীকে নিমন্ত্রণ করিয়। পাঠান হইল। তাছার৷ এই পাড়াতেই থাকে, কাজেই বেশীদূর ধাওয়। করিতে হইল না, তাহাদের জন্ত । কাপড় জাম, মায়ের নির্দেশদত স্বপ্ন। বাছির করিয়া রাখিল, এবং.বিনতার সঙ্গে বসিয়। গান ছুইটিও একবার অভ্যাস করিয়া লইল। সকলেই শুনিয়। বলিল সে নিভূলিভাবেই গািতে পারিবে । দুপুর বেলার খাওয়া-দাওয়। তাড়াতাড়ি সারিয় সকলে বিকালের জন্ত প্রস্তুত হইতে লাগিল । রান্নাঘর হইতে নানারকম খাবারের সুগন্ধ ত বীণ| ও নীরেনকে উদ্তান্ত করিয়া তূলিল। ্বপ্রার বদ্ুদের আগে আগে আসিতে বল। হইয়াছিল। তাহার! ত উৎসাহের আতিশধ্যে তিনটার সময়েই আসিয়া উপস্থিত হইল, এবং তাড়াহুড়। করিয়। স্বপ্পাকে গ! ধোওয়াইয়। সাজাইতে বসিয়। গেল । এসব পর্ব চলিতে লাগিল সরোজিনীর শোবার ঘরেই, কারণ তিনি সব কিছু দেখিতে চান। স্বপ্রাকে কাপড় পরান হইতেছে এমন সময় তাহার ম! বলিলেন, “আচ্ছা! বিনতা, তৃূমিও ত বসবে ওদের সঙ্গে? তা এ রকম সাদ! কাপড় পরে যেও না, সবাই সেজেগুঙে এসেছে। স্বপ্প(র একখান! ভাল শাড়ী বার করে দিক তোমার জন্টে ?” বিনতা। কি একটু ভাবিল, তাহার পর বলিল, প্থাক মা, অনেক ভেবে-চিন্তে ও সব ছেড়ে দিয়েছি, আর ধরব না। আমি পিছনেই থাকব।” . ২৯২ গল্ল-ভারতী [ অগ্রহায়ণ কনেকে সাজান হইয়া গেল। বিধু আসিয়া খবর দিল খাবার কর! হুইয়! গিয়াছে এবং সে সমম্ত জিনিন জাল আল্মরীতে তুলিয়া রাখিয়াছে। সরোজিনীর নির্দেশমত বরপক্ষের চারজনের জন্য খাবার প্রেটে করিয়! সাজাইয়। রাখ! হইল। বাঁড়ীথ লোকদের পরে যেমন তেমন করিয়। দেওয়া যাইবে এখন। বপিবার ঘরে ছোট-াট একট ফরাস পাতিয়। দেওয়া হহল। মেয়েরা এখানেই বসিবে, গান বাজ্জন! করিবে। বরপক্ষ আসিতে কিছু দেরি করিল না। হরেন্দ্রনাথ অতিশয় সময়জ্ঞানসম্পয় মানুষ, সর্বদ| ঘড়ির কাঁটা ধরিয়। চলেন। "মন্দের বিনোদবাবু 'অন্ার্থনা করিয়া বাঠিরের ঘরে বসাইলেন। ডাক্তার চলিলেন রোগিণীর ঘরে তাহাকে দেখিবার জন্য । সেইথানেই কনে, তার বন্ধু-বান্ধব সকলকেই পাইলেন। স্বপ্রাকে বলিলেন, “বাঃ, দিব্যি দেখাচ্ছে, তোমাকে ঠিক পছন্দ করবে । গানটা] ঠিকমতো! কোরো! |” সরোজিনীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, "উৎসাহের চোটে কোঁনে। অনিয়ম করেননি ত?” সরোজিনী বলিলেন, “বিশ্বাস না! ভয়, বিনতাকে জিজ্ঞ।সা করুন। আপনার নার আপনাকে মিথ্যাকথা বলবে ন11+ হরেন্দ্রনাথ ত!হার দিকে তাঁকাইতেই বিনতা বলিল, “ওষুধ পথ্য সব ঠিক ঠিক খেয়েছেন। বিছানা থেকে নামেননি | ডাক্তার উঠিয়। পড়িয়। বলিলেন, “ভাল, ভাল, আর কয়েকটা! দিন এই রকম লক্ষ্মী হয়ে থাকুন, তাহলেই এবারকার মত উৎরে যাবেন। এখন তোমরা চল ত সব বসবাঁর ঘরে । তোমার বাবা সেধানেই আছেন।” মেয়ের দল তাহার সঙ্গে সঙ্গেই চলিল। বিনতাকেও তাহাদের সঙ্গে যেতে দেখিয়। হবেন্দ্রনাথ একটু বিস্মিত হইলেন, তবে কিছুই বলিলেন ন1। বিনোদবাবু 'একটু আড়ালেই লিজ্ঞাসা করিলেন, “আগে চা দিয়ে দেব নাকি?” "অত তাড়াতাড়ি কি দরকার? একপাল। চ1 ত থেয়েই বেরিয়েছে, যাবার আগে আর একবার খাবে এখন। আলাপ পরিচয় করুক আগে, গানটান গুন্তক |” হরেন্দ্রনাথ নিজেই সকলের সঙ্গে স্বপ্নার আলাপ করাইয়া! দিলেন, “ইনি আমার দাদ, রসিকলাল, এই তার ছেলে অনিল, এইটি অন্লিের বন্ধু ধুগাঙ্ক। আর এটি যে স্বপ্না তা সকলে বুঝতেই পারছেন ।” ত্বপ্ন। রসিকলাল ও হরেন্দ্রকে প্রণাম করিল, যুবকদ্বয়কে নমস্কার করিয়া সঙ্গিনীদের মধ্যে বসিয়া পড়িল। রসিকলাল তাহাকে মামুলি গোটাকয়েক প্রশ্ন করিলেন, সে সন্তোষজনক উত্তরই দিল। তাহার পর ভদ্রলোক বলিলেন, “তুমি বেশ গান কর গুনেছি, আমাদের ছু একট] শুনিয়ে দাও 1 স্বপ্ন! পিছনে উপবিষ্ট বিনতার দিকে চাহিল। সে অগ্রসর হুইয়া আসিয়া! হারমোনিয়মের সামনে বসিল। গান আরম্ভ হইল। স্বপ্ন। প্রথমে গাছিল, “শরতে আজ কোন অতিথি এল প্রাণের দ্বারে।” কোনো ভুল না! করিয়৷ গান শেষ করিল, তবে গল! খুব উঠিল না। আর একটি গাছিতে অনুরুদ্ধ হুইয়া এবার গাছিল “হিমের রাতে প্র গগনের দীপগুলি”, এটাও চঙগনসই একরকম হইল। উপরি উপরি ছুবার গাহিয় ত্বপ্ন। একেবারে হাপাইয়া পড়িয়াছে দেখিয়! হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “এবার অন্ত একজন গাও, ও একটু বিশ্রাম নিক।” অনেক ঠেলাঠেলিতেও স্বপ্র4র বন্ধুর রাজী হয় ন!। স্বপ্রা! তখন ফিস্‌ ফিস্‌ করিয়া বলিল, শবিনস্তাদি, তুমি ভাই একট! গাঁও, নইলে কি মনে করবেন গুর। ?” ১৩৬৭ ] অনম্যপুর্ব্বা ২৯৩ সম্মতিহ্্চক একটু ঘাড় নাড়িয়া বিনতা আবার হারমোনিয়ম টানিয়া লইল। মুখের ভাবটার উপর আরে! যেন একটু বিষাদের ছায়! আসিয়। পড়িল। তার পর মধুর ভাবগন্ভীর কঠে গান ধরিল, “এরে ভিথধারী সাজায়ে কি রঙ তুমি করিলে।” হরেজ্রনাথ হঠাৎ যেন সচফিত হইয়া, সোজা হইয়া বাসলেন। এই খয়সে এমন গান কেন? মুখের ভাবই বা এমন কেন? কিন্তু কি মাশ্পর্য্য সুন্দর গলা) ইহার গান ত একট। শুনিয় তৃপ্তি হয় ন!? ত্বপ্ন'র জন্ত তাছার একটু ভাবনা! হইল । এমন গানের কাছে ত তাহা: ছেলেমানুষী গান দাড়াইতে পারে ন1। যুবকদ্ধয়ের দিকে একখাঁর আড়চোখে তাকাইয়! দেখিলেন। তাহারা একেবারে তকমা হইয়া শুনিতেছে। একট। গান শেষ হইধামাঞ চাঃ্জন শ্রোতাই সমস্বরে আর একবার গান গাহিবার অহরোধ জানাইলেন। এবারে সেআর রখীন্দ্র সঙ্গীত না করিয়! মীরাবাইয়ের একটি ভজন গান ধরিল। গান শুনিবার আরো ইচ্ছ। ছিল সকলের, তবে হরেন্ন:থই থামাইয়। দিলেন। ইহাকে এক্টান! এখানে এতক্ষণ বসাইয়। রাখা উচিত নয়। সরোজিনীর কিছু প্রয়োজন হইতে পারে। আর স্বপ্রার দিক হইতে সকলের মন যি একেণারে সরিয়। যায়, সেটাও ঠিক নয়। কাজেই দ্বিতীয় গান শেষ হইবামাত্র তিনি বলিলেন, “আপনাকে আর বসিয়ে রাখা ঠিক নয়। আপনার 0861976 বোধ হয় একে বাঁরে 3707060976 হয়ে উঠেছেন।” বিনতা সকলকে একট! সমবেত নমস্থ।র জানাইয়। চলিয়া গেল। ইগার পর সাধ্য-সাধন! করিয়। বীণাকে দিয়া একট! গান করান হইল । সে ছেলেমামুষ, ছেলেমানুষের মতই গাহিল। অতঃপর জলখাবার আসিল, চা আদিল । খাইতে খাইতে গৃহকর্তার সহিত বরকর্তা ও হরেনদ্রনাথের থানিক কথাবাত্। হইল। ঘণ্টাদেড়েকের বেশী তাহার! বসিবেন না, বছিয়া হরেন্রনাথ কথ। দিয়াছিলেন, দেড়ঘণ্ট। হইতে না হইতেই ঠিনি সদলবলে প্রস্থান করিলেন। বিনোদণাবু স্ত্রীর ঘরে ঢুকিয়। বলিলেন, “দেখে ত গেল, এখন পছন্দ হল কিন কে জানে 1” সরোজিনী বলিলেন, “কালই খবর পাব ডাক্তারের কাছে। তোমার কি মনে হল, দেখে-গুনে পছন্দ হয়েছে?” "দেখে ত পছন্দ হয়েছে বলে মনে হল, তবে শোনার কথ বলতে পারি না। ষ| গান শোনাল তোমার বিনতা তার পরে আর কারে। গান পছন্দ হবার কথা নয়।” সরোঞজ্িনী বলিলেন, “সত্যি, কি গল! মেয়ের! এঘর থেকে গুনতে পাচ্ছিলাম ! কোন দুঃখে যে নাসের কাজ করছে জানি না। কোন গগুণট! নেই মেয়ের? এক গায়ের রংটা ধখধবে নয়। এরই মধ্যে কপাল পুদুল, ভগনানের কি বিচার !” বিনোদ বাবু পিজ্ঞাসা করিলেন “মেয়েটি বিধবা নাকি ?” «তাইত মনে হয় পোষ[ক-আসাকে। জিগগেম তো! আর করা যায় না» বিনতা৷ আসিয়। পড়ায় তাহাদের কথা থামাইতে হইল । হরেন্ত্রনাথ দলবল সচ বাঁড়ী ফিরিয়া কাপড়-চোপড় বদ্লাইয়।৷ দোতলার সামনের বারান্দায় গিম! বসিলেন। বাড়ীর ভিতর এই স্থানটিতে সবচেয়ে বেশী হাওয়! । বাড়ীতে খন মানব থাকে, সন্ধ্যাট। এই. খানেই কাটায়, কেহই এখান হইতে নড়িতে চাহে না। হরেন্ত্রনাথ সাধারণতঃ এ সমগ্ন বাঙ্টিরেই ঘোরেন, তবে কদিন বাড়ীতেই এখন আছেন, আত্মীয়-বন্ধু সমাগমে | রসিকলালের একটু আফিং খাওয়া অভ্যাস, সন্ধাকালে তিনি তাড়াতাড়ি নিজের শয়নকক্ষে প্রস্থান করিলেন। যুবক দুজন আসিয়া হরেন্ত্রনাথের কাছে বফিল। ২৯৪ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ হরেন্্রনাগ বয়সে অবশ্য বেশ কয়েক বৎসরের বড়, তবু অনিল তাঁহার সঙ্গে মন খুলিয়াই গল্পগাছ। করিত, কাকা বলিয়। গফাৎ হুইয়। থাফিত না। বগিয়াই বলিল, “কাক, গান কেমন শুনলেন আজ ?” ক।কা মুখের সিগারেটট। “আশ. ট্রেতে নামাইয়। হাসিয়া বলিলেন, “কার গানের কথ! বলছ?” অনিল বলিল, «এ যে বিধণ! মেয়েটি গান করল,” “এরে ভিথারী সাজায়ে কি রঙ্গ তুমি করিলে ।” হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “আশ্চর্ধ্য সুন্দর গলা । লোকে সাধারণত: মেয়েদের পাখীর মত গলাই খুব পছন্দ করে, আমার কিন্তু একটু ভারি গলা বেশী ভাল লাগে! ভারি ০%1:65815” পাশ হতে মুগাঙ্ক হঠাৎ বলিল, “মেয়েটি কিন্ত মোটেই বিধবা! নয়।” ভধ্ক্রেনাথ চট করিয়া তাহার দিক ফিরিয়া বপিলেন, বলিলেন, “তুমি ওকে চেন নাকি ?* মৃগাঙ্গ বলিল, "সাক্ষাৎ আলাপ-পরিচয় নেই, তবে ওর বিষয় অনেক কথা জানি। আমার মামার বাড়ীর গ্রামের মেয়ে। ওর নাম বিনত! রায় ত?* হরেন্্রন'থ বলিলেন, "রায় কিনা জানি না, তবে নামটা বিনতাই বটে। কি জান ওর বিষয় ?” মুগাঙ্ক বফ্িল, “আমার মামার বাড়ীর গ্রামে যেতাম মাঝে মাঝে । এ গ্রামেই একটি ছেলের সঙ্গে ওর খুব ভাব ছিল, কলেজে এবসঙ্গে পড়েওছি। বছর চার কি সাড়ে চার আগের কথ! বল্ছি। তখন সবে বি, এ, পাস করেছি! শুনলাম শীতলের বিয়ে হচ্ছে, যাধার জন্যে চিঠি লিখেও পাঠাল। এক ঢিলে ছুই পাখী মারা যাবে, বিয়ে বৌ-ভাতের নেমস্তক্গ খাওয়াও হবে, আবার মামার বাড়ী বেড়ানেও হবে, ভেবে তণ্লি-তল্লা বেধে ত যাত্রা করলাম। মামাবাডীর আদর-যত্ব খুবই উপভোগ করলাম, কিন্তু বিয়ের নেমন্তক্স খেতে গিয়েই বাধল বিপদ | বন্তাপক্ষ, বরপক্ষের মধ্যে কি কথাবা্ত। হয়েছিল, জানি না । দেনা-পাওন! নিয়ে মহ)? গোলমাল বেধে গেল। মেয়ের বাবা নেই, মামা একজন কন্পাকর্ত। হয়ে বিয়ে দিতে দাড়িয়েছিলেন, তিনি কথ! রাখতে পারলেন না। প্রথমে তর্কাতকি, তারপর বকাবকি, গালাগালি এবং শেষে মারামারির হবার উপক্রম হল। বরকর্তা বর উঠিয়ে নিষে বীরদপে বার়ী ফিরে এলেন। আমি বিরক্ত হয়ে বাড়ী চলে গেলাম। মেয়েটির কথ! ভেবে মনট। খারাপ হয়ে গেল। বিয়ের আসরের খণ্ড গ্রলয়ের মধ্যে কেমন স্থির পাথরের মুতির মত বসেছিল। বেশ সুশ্রা মুখ, তাতে ভয় ব! উত্তেজনার কোনে চিহ্ন নেই। বাড়ীতে বসে মনটা ছটফট করতে লাগল, এই নারকীয় নাটকের কি সমাপ্তি হল, জানবার জন্তে। তবে তখনই কোনো খবর নেবার চেষ্টা করলাম না । নিজে যেতে ইচ্ছ। করল না। বরযাত্রীর দলে ছিলাম, কেউ যদ্দি চিনে ফেলে আবার চেঁচামেচি করে সেটা বিশ্রী হবে। ঘণ্টা তিন চার পরে, বাড়ীর একট ছেক্রা চাকরকে পাঠালাম খোজ নিতে । সেফিরে এসে বা বলল, তাতে আরো! অবাক হয়ে গেলাম । শীতল চলে আসার পর চারিদিকে আর একট! বর খোঙ্জার জন্তে ছুটোছুটি আরম্ভ হয়, এবং গাজাখোর গোছের একট! অকর্মা ছোড়াকে ধরেও নিয়ে আস। হয়। কিন্তু মেয়ে হঠাঁৎ বেকে বসল । বল্ল, “আমি এ গাজাখে।রকে বিয়ে করব না। আমাকে কি তোমর! কাঠের পুতুল পেয়েছ? আমি বরং লোকের বাড়ী ঝি-গিরি করে খাব, এই বলে সেই রাতেই সেশুবাড়ীর থেকে বেরিয়ে পালিয়ে গেল। কিছু পরে খোজ নিয়ে জান! গেল যে সে ্রেশনে গিয়েছিল। এবং একটা পান বিদ্িওয়ালার ক্ষাছে কাপোর চুড়ি বাধ! ছিয়ে টাকা নিয়ে টিকিট কফিনে একেবারে কলকাত। চলে গেছে। ১৩৬৭ ] 'অনন্যূর্ববা ২৯৫ মুগাঙ্ক থাঁমিবামাত্র অনিল বলিল, "ভূমি নিজেই কেন বরের আসনে গিয়ে বসলে না, তাহলে 'ত মেয়েটা রক্ষা পেত ।* হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “রক্ষা ত এমনিতেই পেল। অন্থ লোকে রক্ষা! করার চেয়ে যে নিজে জোরে রক্ষ1 পায়, তার রক্ষা! পাওয়াটারই দাম বেশী ।* মৃগাক্ক বলিল, “সে রকম ইচ্ছ! এববার »য়েছিল বটে, তবে কন্তাপক্ষের কেউ কেউ আমাকে চিনতেন। আমি শীতলের বন্ধু, এই নিয়ে পাছে আবার চৈ-চৈ শ্য়, সেই ভয়েই আর গেলাম না।” অনিল বলিল, মেয়েটি অনন্তপূর্ববা হয়ে গেল তবে ? হরেন্দ্রনাথ জিজ্ঞাসা করিলেন, “সে আবার কি পদার্থ?” অনিল বলিল, “কাকা, আপনি একবার বিলেত গিয়ে একেবারে চিরকালের মত সাহ্বে হয়ে গেছেন। অনন্তপূর্ব। হল সেই মেয়ে যার বিয়ের আসর থেকে বর উঠে যায় এবং সেই রাতেই যাকে আর পাত্রস্থ করা যায় না। পাড়াগয়ে এসব মেয়ের আর বরই ফোটে না।” কাক। বলিলেন, “অতি চমৎকার ।” অনিল জিজ্ঞাস করিল, “তারপর মেয়েটির কি হল আর জানতে পারনি কিছু ?” মুগাঙ্ক বলিল, “বছর ছুই পরে আবার মামার বাড়ী গিয়েছিলাম । সেখানে শুনলাম মেয়েটি কলকাতায় পেকে কাজকর্ম করে খাচ্ছে । কি কাজ ঠিক শুনিনি । যে মামার বাড়ী ওরা। ছিল, তাঁকে নিয়ে অনেক হাঙ্গাম! হয়। বিনতাঁর মা আর ভাইকে বাড়ী থেকে বিদায় করে দিয়ে, অনেক নাক কানমল। খেয়ে তবে তিনি নিষ্কৃতি পান । অতঃপর 'আর ও গ্রামেযাই নি, মেয়েটির কথ ভুলেও গিয়েছিলাম । আজ হঠাৎ দেখে চমকে গেলাম। তিনজনে কিছুক্ষণ চুপ করিয়! বলিয়া রহিল । হবেন্্রনাথ আর একট! সিগারেট ধরাইয়া টান দিতে লাগিলেন। হঠাৎ অনিল বলিল, আমার খাড়ীর সকলে যে এই সব বুজরুকিতে বড় বেশী বিশ্বাস করে, না হলে আমিই বিনতাকে বিয়ে করার প্রন্তাব করতাম ।” হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, ও যত মিষ্টি গানই করুক, তোমার মা বাব রাঙ্গী হবেন বলে মনে হয় না। বলত কথাট। তোমার বাবাকে বলে দেখতে পারি” অনিল বলিল, ণনাঃ থাক। অতদূর নিজের খেয়ালে এগোনো। ঠিক নয়। বাঁব মায়ের আবার দাবী অনেক রকম ত? এক্ষেত্রে ত সে সব কিছু মিটবে না। তার উপর আবার এ সামাঞ্জিক অনুশাসন । যাক গে ওর! যা ভাপ বোঝেন করুন। আর এ মেয়েটি যে বিয়ে করতে রাজী হবেন, তারই বা স্থিরত| কি?” হরেক্জ্রনাথ বলিলেন, প্রাজী ন। হবারই কথ।। পুরুষ মানুষের যা পরিচয় উনি পেলেন, তাতে উৎসাহ করে আবার কাউকে বরণ করতে এগোবার কথ! নয়। তবে কোনে বিশেষ মানুষকে পছন্দ করে ফেললে, সে ক্ষেত্রে এগোতে পারেন বটে ।” অনিল বলিল, “তা ঠিক। এ সব নিয়ম হয়েছিল যখন তখন কনেদের বয়স হত ছু বছর, চার বছর। এখনকার সব বড় বড় মেয়ে নিয়ে এসব খেল] খেলতে চাইলে চলবে কেন? সেইটাই যে আমাদের পণ্ডিতর। বোঝেন না” হুরেন্্রনথ বলিলেন, “আচ্ছ1, এখন অগ্ভ কথ! তূলি একট|। আসলে যাঁকে দেখতে গিয়েছিলে, সে মেয়েটিকে লাগল কেমন?” ২৯৬ গল্পা-ভারতী [ অগ্রহায়ণ অনিল বলিল, “দেখতে ত ভালই । অন্ত সব দ্বিকেও ভাল বলেই মনে হল।” হরেন্্রনাথ বলিলেন, “কাল ওদের বাড়ী গেলেই ত ওরা ছে'কে ধরবেন, মতামত জানতে চাইবেন। কি বলব?” অনিল বলিল, “আমার কথায় ত আর কাজ হবে না? বাবাকে জিগগেস ককষন। এসব ক্ষেত্রে আমর! বাঙালী ছেলের! ত বাপের সুপুত্র সবাই। চরেজ্জনাথ বলিলেন, “তাহলে তাই জেনে নি। আর কোনোদ্িকে বাধা কিছু হবে বঙ্গে মনে হয় না, তবে স্বপ্লার ব|বা বেলী বড়লোক নয় কিছু । সাধারণ ছাপোঁষা গৃহ । টাকাকড়ির দাবী খুব বেশী করণে, ত্রার পক্ষে সম্ভব হবে না। ভবে মেয়েটি মোটামুটি ভাল, পরিবারটাও ভাল। খুব দাঞ্েবী নেই, অথচ অজ পাড়!গেঁয়েও নয়, বিয়ে করলে ওখানে ঠকবে না।” এমন সময় হরেনত্রনাথকে কে ডাকিতে আঁসিল। তিনি উঠিয়া নীচে চলিয়। গেলেন । যুবকথঘয় সার খানিকক্ষণ সেইখানে বসি বসিয়া গল্প করিল। তারপর মৃগাঙ্ক নিজের বাড়ী চলিয়া! গেল। অনিল এক- খানি বই লইয়! পড়িতে বসিল! ও) সকাল হইতেই স্বপ্লাদের বাড়ীর তিনজন লোক অন্ততঃ হরেন্দরনাথের পথ চাঠিয়া বসিয়াছিল। বিনোদবাবু আর সরোজিনী ত বটেই, স্বপ্রারও জানার আগ্রহ কম ছিল না যে ধরপক্ষ তাহাকে দেখিনা! পছন্দ করিয়াছে কিনা। নিজে সে দেখিতে ভালই এই ধারণাই তাহার ছিল, আর লেখাপড়া, গান, মেলাই সবই তসেজানে? বাব! যে তাহাকে কিছু দিবেন না, এমনও নয়। স্তরাং ন। পছন্দ হইবার কি আছে? কত কনে দেখার সভায় সে গিয়াছে, তাহার চেয়ে সর্বাংশে খারাপ কনেও লোকে পছন্দ করে দেখিয়াছে। এক বিনতাদি তাহাকে গানে হারাইয়াছে, নইলে গানও তাহার মন্দ ২য় নাই। হ্তরাং বেলা নস্টা সাড়ে ন'টার সময় যখন হকেন্দ্রনাথের গাড়ী আয়া দলাড়াইল, তখন সকলেই উদপ্রীব হইয়া উঠিল। বিনোদবা তাড়াতাড়ি স্ত্রীর শয়নকক্ষে আসিয়! ঢুকিলেন, এবং স্থপ্প। গিয়া ঢুকিল পাশের ঘরে। সরোগ্জিনী ধালিশ হইতে মাথ! তুপিয়! জিজ্ঞ।সা করিলেন, “কি থবর আনলেন, ধলুন ? হরেন্ত্রনাথ বলিলেন * মেয়ে দেখে ত সবাই ভালই বল্ছে, এখন আপনাদের সঙ্গে দরে বনে তবে ত7? আমার ত প্রায় বরের বাড়ীর পিসী আর কনের বাড়ীর মাসির অবস্থা, কাড্ই আমি আর এর ভিতর মাথ| গলাচ্ছি ন!। কাল রপিকদাদ| আসবেন আপনার সঙ্গে কথা বলতে, আগে আগে ষ্দি ব্যাপার চুকিয়ে ফে”্তে চান, তালে বরং আপনিই চলুন আমার বাড়ী সন্ধ্যাবেল|। মে সময় আমি বাড়ী থাকি ।” বিনোদবাঁবু বলিলেন, "তাই যাব, বসে বসে খালি মাথামুণ্ড ভেবে কিছু লাভ নেই।” এমন সময় বিনত। সরোজিনীর চা লইয়া ঘরে ঢুকিল। ইহাঁরই মধ্যে সে বান সারিয়। আসিয়াছে। খোল। চুল হাটু ঢাকিয়া। নামিয়া পড়িয়াছে, মুখখানা আরো ছেলেমান্ষের মত দ্েখাইতেছে। সরোজিনী চায়ের পেয়াল! হাতে করিয়া বলিলেন, “আমি আর কিছু থাই আর নাই খাই, চ1 বার পাচেক না! খেয়ে পারিনা । আপনাকে এনে দেবে এক পেয়াল। চা?” ১৩৬৭] অনন্যপূর্বা ২৯৭ হরেন্্রনাথ বলিলেন, “আমার অত চা খাবার সময় কোথায়? ছু বার যা ধরা আছে, তার বেশী খাই না।” বিনতার দ্রিকে ফিরিয়া বলিলেন, “কোথায় গান গাইঠে শিখেছিলেন আপনি? কাল কি চমৎকার গাইলেন। নাসিংএ না ঢুকে গানের লাইনেই গেলে পারতেন। কম থাটুনি হত।” বিন্তা বলিল, “দেশে যত'দন ছিলাম, বাবার কাছে শিখেছিলাম। তিনি খুব ভাল গাইতেন। তারপর কলকাতায় এসে এক পিস্তৃতো বোনের কাছে মাঝে মাঝে শিখেছি। তবে গান শেখাতে হলে যে ভাবে গান শেখা দরকার, তা ত আমি শিখিনি? কাজেই ওটা ০810" করতে পারতাম না।* সকাল বেলাট|য় কাজের তাড়৷ বেশী, কাজেই হরেন্্রনাথ আর বেশীক্ষণ বসিতে পারিলেন ন1। উঠিয়। ধ।ড়াইয়া সরোজিন'কে বলিলেন, “মার সাত আটদিন গুয়ে থাকলেই আপনার শান্তির অবসান হবে। তবে মেয়ের বিয়ের জন্তে অতিরিক্ত চৈ-চৈ করে আবার পড়বেন না যেন। বিয়ে ঠিক হলেও ত এখন ছু তিন মাস দ্রেরি হবে, কারণ হিন্দু শান্বমতে এখন দিন নেই। সেই অগ্রহায়ণ মাসে হবে হয়ত।” সরোজিনী ব্যগ্রভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বিয়েট। হবে আপনার মনে হচ্ছে ?” ''মনে ত হচ্ছেই। বরের পছন্দ হয়েছে মোটামুটি, আর বরের বাবার পছন্দ হয়ে যাবে এখন, তবিষ্কৎ বেয়াই যদি একটু হাত দরাজ করেন ।” তিনি চলিয়া যাইতেই বাড়ীতে আবার কোলাহল লাগিয়া গেল। বিবা& এখনও পাকাপাকি স্থির হয় নাই, কিন্ত তাহাতে কিই ব1 আগে যায়? সন্ধ্যা হইতে না হইতে বিনোদবাবু আসিয়া উপস্থিত হইলেন হরেন্দ্রনাথের বাঁড়ী। কথাবার্ত। চলিল খানিকক্ষণ। হুরেন্্র বসিয়া থাকায় ছুই পক্ষই একটু রাশ টানিয়! কথাবার্ত। বলিলেন, এবং ব্যাপারটা! ভালয় ভালয় চুকিয়াই গেল। এখন ত আর কয়েকাদন মাত্র শ্রাবণ শেন হইতে বাঞি। ইছার ভিতর কোনে! পক্ষই জোগাড় করিয়! উঠিতে পারিবে না। স্থতরাং অগ্রহায়ণ মাসেই বিবাহ হইবে, এই রকমই কথাবার্ত। হইয়া রহিল। সরোঙ্জিনীকে পর ধিন দেখিতে গিয়া হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “আপনি ত ভালই আছেন দেখছি। আর দিন সাতের বেশী আপনার নাসের দরকার হবে ন|। যদি না অবশ্ত বাড়ীর কাজের জন্তে রাখেন, স্বপ্নার বিয়ে অবধি” মরোজিনী বলিলেন, “কি যে আপনি বলেন তার ঠিক নেই। আমি যেন টাকার ছালার উপর বসে আছি। মাসে নব্বই টাকা দ্বিয়ে ঘরের কাজের জন্তে লোক রাখব। বড় জোর একট! ঝি বেশী রাখতে পারি। টানাটানি চিরকালই, এখন আরে! বেশী হবে, মেয়ের বিয়েতে ত অল্পে নিষ্কৃতি পাব ন।?” '“কে বা পায়? ছেলের বিয়েতে পুষিয়ে নেবেন। আচ্ছা ডাকুন দেখি বিনতাকে, ওর সজে একটু কথা আছে।” বিনত। রান্নাঘরে কি একট! কাজ করিতেছিল, ডাক শুনিয়া সরোজিনীর ঘরে আসিয়। ঢুকিল। সরোজিনী বলিলেন, 'ডাক্তারবাবু কি বলছেন শোন।” বিনতা জিজ্ান্ু দৃষ্টিতে হরেন্ত্রনাথের দিকে তাকাইল। তিনি বলিলেন, “আপনার এখানকার কাঞ্জ ত আর সাত আট দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে, তার পরে অন্ত কোথাও কাজ কি ঠিক কর! আছে?” 3 ৫১ রর ১0, ২৯৮ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায় বিনতা বলিল, “এখন ত ঠিক নেই কিছু। কাল একবার ছুটি নিয়ে মিসেস্‌ রক্ষিতের বাড়ী যাব। উনিই আমাকে বেশী৭ ভাগ কাঙ্জ দেন। যদ্দি কেউ লোক চেয়ে থাকে, তাহলে সেখানে গিয়ে ঠিক করবার চেষ্টা করব |” | হরেন্্রনাথ বলিলেন, “আপনাকে যেখানে পাঠান হয়, সোজ! দেখানে চলে যাঁন 7 কোনে! খো্জ- খবর নেন না ?” বিনতা বলিল, “সে করলে ত মামার চলে ন|? মাসে ছুটে! দিন বসে থাকলেও আমার অনেক ক্ষতি । কাজেই যেধানেই কাজ পাই যেতে হয়।” হরেন্ত্নাথ বলিলেন “এ কাজের পক্ষে আপনি বড় বেী ছেলেমাহম। বাক্‌, অবস্থা বৈগুণ্যে অল্ল- বয়সেও কাজ অনেক রকম রতে হয়। একটা কাজেরই কথ! বলছি এখন। কাজটা আমারই বাড়ীতে ।” সরোজিনী বলিলেন, “আপনার আধার এখানে কে আছে যে নাস লাগবে?” “বাড়ীটাতে জায়গ! বড় বেশী, কাণ্ছে অনেকের চোখ আছে সেটার উপরে। একটি ভাগ্মী খুব অন্ুষ্থ হয়েছেন, মন্তান সম্ভাবনা । ইচ্ছ। করলে নাসিং ছোমে েতে পারতেন, পয়সা কড়ি একেবারে ফে নেই তা নয়। কিন্তু এমন মামার বাড়ী থাকতে সেটা তিনি করবেন কেন? কাজেই আমার বাড়ীতেই আসছেন, অন্ততঃ এক মাসের জন্তে। এখন আমার বাড়ীতে ত স্ত্রীলোক কেউ নেই, বি-ও নাই একট]। একে সারাদিন আগলাবে কে? বয়স বেশী নয়, কলকাতায় কোনোদিন থাকেও নি। হতরাং আপনার শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। এখানকার কাজ হয়ে গেলেই অ1পনি আমার ওখানে যাবেন 1” বিনতা৷ বলিল, “খন বল্বেন তখনই যাখ।” সরোঞ্জিনী বলিলেন, “আপনি যখনই বল্বেন, তখনই আমি ওকে ছেড়ে দেব, আমার সত্যিই এখন কোনে! কাজ নেই। বনৃকাল এত আরামে থাকিনি, তাই মনট! একে ছাড়তে চাইছে না। আগে আগে যখনই নাসের হাতে পড়েছি, তখনই খালি তরি ত্রাহি ডাক ছেড়েছে প্রাণটা, যে কতক্ষণে আবার উঠে দীড়াব।” হয়েন্্নাথ বলিলেন, “এতবড় সার্টিফিকেট সঙ্জে কেউ কাউকে দেয় না, লিখে দিন, তাহলে গর কাজে লাগবে।” সরোজিনী বলিলেন, “এই ত আপনাকে বলেই দিলাম মুখে, আপনিই ত নিচ্ছেন ওকে আমার পরে।” ডান্তার বলিলেন, “অগ্তদের জন্তে বলছি আর কি? আমার কাছে ত সার্টিফিকেটের দরকার ছিণ নাঃ আদি ত ওফে এতদিন ধরে দেখছি। আচ্ছা, চলি এখন। রোজ আসবার এখন দরকার নেই, টেলিফোনে খবর দেবেন প্রয়োজন হলে”, বিন্তার দিকে তাকাইয়া বলিলেন, "আর আমার গ্রশ্বোজন ছলে, আমিও তথনই খবর দেব ।”* বিনত! বলিল, “আচ্ছা ।” হরেন্ত্রনাথ চলিয়া গেলেন। স্বপ্না বলিল; “বাবাঃ, বিনতাদি এরপর মন্ত বড়লোকের বাড়ী যাবে। কত আরামে থাকবে ।* বিনত! বল্ল, "যাচ্ছি কি আরাম করতে? কাজই ত করতে হবে? বপ্। বলিল, “তালেও অতবড় সুন্দর সাজান বাড়ী, গাড়ী, টেলিফোন কত কি? কিছুত ভাগ পাবে?" ১৩৬৭ 1 | অনন্যপূর্বা ২৯৯ বিনত। হাসিল; কিছু বলিল ন।। দিন পাঁচ পরেই বিনতার ডাক আঁদিল। হরেন্দ্রনাথ নিজেই আসিয়া! তাহাকে বলিয়া গেলেন। বলিলেন, “স্বর্ণ কাল দুপুরে আসছে, আপনি সকালে উঠেই যাবেন আমার ওখানে । তার জন্তে ঘরটর ঠিক করতে ছবে। সংসারে তক্ত্রীলোক নেই, কাজেই তাদের জন্তে কি রকম ব্যবস্থা করতে হবে, ত। বুর্ধতে পারা শক্ত। আমি সকালেই গাড়ী পাঠিয়ে দেব।” সরোজিনীর দিকে ফিরিক্! বলিলেন, “আপনার আরামের অবসান হুল এরপর । আবার কোমর বেঁধে কাদে লাগুন।!” সরোজিনী রাত্রেই বিনতার হিসাঁবপত্র চুকাইয়। রাখিলেন। হরেন্ত্রনীথের যেমন ঘড়ির কাট! ধরিয়া চল! অভ্যাস, ভয়ত ভোর রাত্রেই গাড়ী আসিয়! উপস্থিত হইবে। বিনতাও নিজের সামাল্ম জিনিষপ্জ গুছাইয়। রাখিল। বেশ সকাল সকালই গাভী আসিয়! হাজি? হইল । বিনতা সকলের কাছে বিদাঁয় লইক্স গাড়ীতে গিয়া উঠিল। স্বপ্না চুপি চুপি বলিল, “এস কিন্তু ভাই, ঠিক সে সময়।” বিনতা বলিল, “খবর পেলেই আসব। হয়ত বরযাত্রী হয়েই আসব, যদ্দি বেশী দিন ও- বাড়ীতে থাকি ।* অল্পক্ষণের পথ, দেখিতে দেখিতে গাড়ী গন্তব্যস্থানে পৌছিয়া গেল। চাকর বাহির হইয়। আসিয়া জিনিষপত্র নামাইয়া লইল এবং গৃহকর্ত। স্বয়ং বাহির হইয়। আসিলেন তাছাকে অভ্র্থন! করিতে । তাহাকে সঙ্গে করিয়া উপরে উঠিতে উঠিতে বলিলেন, প্বড় তাড়াতাড়ি গাড়ী গিয়ে পড়েছে না? আমি দ্রাইভারকে সকালে যেতে বলেছিলাম তা সেঘুম ভ'ঙতেই চলে গেছে। আপনার চা-টা খাওয়! হয়েছে? বিন্তা বলিল, পনা, হয়নি, ওদের বাড়ীতে একট দ্েরিতেই চ। হয়। এখানে খেয়ে নেব এখন | কিন্তু দেখুন ।” হরেন্্নাথ জিজ্ঞাস দৃষ্টিতে তাহার দিকে তাকাইয়া বলিলেন “কি বল্ছেন, বলুন ?” বিনতা বলিল, “আমাকে 'আপনি? বলবেন না। আমি কত ছোট আপনার চেয়ে।” হরেম্্রনাথ হাসিয়। বলিলেন, “আচ্ছা, ওট। বলতে বেণী অন্গবিধে হবে না, 'আপনি' টা বলতেই বরং অন্ুবিধ! লাগছিল। ন্বপ্রার সমানই ত প্রায়।” বিনতা বলিল, “কোন ঘরে জিনিষগুলে। রাখব ?” ল্যাণ্ডিংএর উপরেই একটি মাঝারি গোছের ঘরের দরজ! পায়ের এক ঠেলায় খুলিয়। দিয়! হরেজ্নাথ ববিলেন, “এই ঘরে রাখ । খাট একট! আছে, আল্নাও আছে। আর কি লাগবে বল?” বিনতা বলিল, "আর কিছু লাগবে না।” হয়েন্ু বলিলেন, “একটা। আয়নারও দরকার নেই 1” বিনতা বলিল; “ছোট আয়ন! একখানা আছে বাকের মধ্যে ।” হরেন্্নাথ বলিলেন পপ্রয্নোজন জিনিটাকে একেবারে উড়িয়েই দিয়েছ দেখছি। আচ্ছাচ! দিয়েছে চল, আগে চা-ট1 খেয়ে নাও, তারপর স্বর্ণের ঘর ঠিক করবে । সে কিন্তু তোমার মত মহাত্মা! গার্থীর শিল্তা নয়। ভার প্রম্নোজন অনেক র্ষম।” . ৩৬৩ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ বিনত1 ভাবিল, “ইনি আমার সঙ্গে এমন ব্যবহ্থার করছেন যেন আমি তার বাড়ীর অভিথি। আমিও ঘে একট] মান্য, তা ত বছবৎসর ভূলে গিয়েছি ।* থাইবার ঘরে চাকর চ1 সাজাইয়া রাখিয়া গিয়াছে। চেয়ার টানিয়া লইয়। বসিয়া হবেন্দ্নাথ বলিলেন, "আমার চাকরটির চা ঢাল! জিনিষটা! আয়তেের মধ্যে নেই । ঢালতে গেলেই চ] পেয়ালায় যতট। ন৷ পড়ে, তত পড়ে পিরীচে আর টেবল্‌ রথে । কাজেই চা আমি নিজেই ঢেলে নিই। বিনতা পেয়ালাগুলি টানিয়া লইয়া! বলিল, “আমি ঢেলে দিচ্ছি। তিন পেয়ালাই ঢালব 1” গৃছশ্বামী বলিলেন, “তাই ঢাল। আর একজন বাসিন্দা আছেন বাড়ীতে, এখনই চোখ মুছতে মুছতে হাজির হবেন ।” বলার সঙ্গে সঙ্গেই একটি বাইশ তেইশ বৎসরের যুবক আগিয়া উপস্থিত হইল। মুখে বিরক্তির ছাপ নুষ্প্ই। রোজ চাকর ডাকাডাকি করিয়া এই সময় তার ঘুম ভাঙাইয়। দেয়, কারণ তাহার উপর এই রকম আদেশ আছে। বিন্তার আসার কথ। সে জানিতই বোধ হয়, কারণ তাহাকে দেখিয়া কিছু বিন্ময় গ্েখাইল না! । হরেন্দ্রনাথ পরিচয় করাইয়। দেওয়াতে, বিনতাকে নমস্কার করিয়া নীরবে খাইতে লাগিল। বিনত! দেখিল এ বাড়ীতে খাওয়ার ঘটা বেশ আছে। আর নাই বা হইবে কেন বড় মানুষের বাড়ী ? হরেন্দ্রনাথ হঠাৎ বলিলেন, "তুমি নিজে যে কিছুই খাচ্ছ না?” বিনতা বলিল, “সকালে বেশী কিছু খাই ন1।” হরেন্্রনাথ বলিলেন, “বেশী ত থাচ্ছ না, কমও যে কিছু খাচ্ছ না? ফলটল অন্ততঃ একট! নাও?” রমেশ একটু কৌতুহলী দৃষ্টিতে দাদার দিকে তাকাইল। কাহারও থাওয়া লইয়। এত মাথ। ঘামাইতে দাদাকে তদেখাযায় না? মেয়েটি চেনা! কেউ নাকি? বিনতা অগত্য। একটা আপেল তুলিয়া লইল। হরেন্দ্রনাথের ব্যবহারে তাহার বিশ্ময় ক্রমেই বাড়িতে লাগিল। তাহার রোগ্গিণী যিনি হইবেন, তিনিও মামার বাড়ী আনিতেছেন, সেও কি মামার বাড়ীই আসিয়াছে? এত আ৭র ত বিগত ছয় সাত বৎসরের ভিতর কেহ তাহাকে করে নাই? খাওয়া হইয়! গেল। রমেশ নিজের ঘরে গ্রস্থান করিল। হরেন্ত্রনাথ বিনতাকে লইয়া দ্বর্ণের ঘর ঠিক করিতে চলিলেন। তাহাকে যে ঘর দিয়াছিলেন, তাহার পাশের একটা ঘরের দরজ। খুলিয়! দিয়] বঙ্গিলেন, “এই ঘরে ও থাকবে । দেখ এখানে খাট ছুটে আছে, বদি এখানে তোমাকে শুতে হয় ত অসুবিধা হবে না। আল্না আছে, ভ্রেসিং টেবল্‌ আছে। আর কি দরকার ?" বিনত। বলিল, “বেশী আর কি দরকার হবে? ড্রেসিং টেবল্‌ দ্রয়ার রয়েছে কাপড়-চোপড় ভাঁতেই রাখবেন। একটা ৪৪৪5 01)%1: গোছের কিছু দিয়ে রাখলে হয়, কখনও যদ্দি বসে থাকতে চান ।” হরেন্্রনাথ বলিলেন, “এধার ওধার অনেক ছড়ান আছে চেয়ার, ছুটে। পাঠিয়ে দিচ্ছি। তোমার ঘরে একট। রেখে নিও। আর ত কিছু চাইনা? আচ্ছা আমাকে এখন বেরতে হচ্ছে। ঘণ্টা কয়েক তোমাকে একলা থাকতে হবে। ঘর দোর গোছাও, আমার শোবার ঘর প্রটা। ওখানে বই আছে চের, বদি সময় না কাটে বই নিয়ে পোড়ো। আমি একেবারে স্বর্ণকে মিয়ে আসব।” বলিয়া তিনি ছলিয়! গেলেন। গোলক নামক এফ চাকর আসিয়! ছুটিল। সাহেব তাঁহাকে বলিয়! গিয়াছেন মাস" দিদিমণিকে ১৩৬৭ | অনন্ঠপূর্বা ৩৯৬ সাহায্য করিতে। তাহার সাহাযো ঘর ছুইথানিকে সে ঠিকঠাক করিয়া, ঝাড়িয়া, মুছিয়া, ঝকঝকে করিয়া তুলিল। দোতলায় দুইটি বাথরম আছে। তাহাদের শুইবার ঘর সংলগ্ন যেটি, সেটিও সে ভাল করিয়! পরিষার করাইল। নিজেত্নান করিয়া লইল। তাহার পর বসিয়া বসিয়। আঁকাশ পাতাল ভাবিতে লাগিল। কতকাল সে গুষ্ককঠে মরুভূ্মর উপর দিয়া হাটিতেছে। কত বিপ?, কত অপমান, তাহার তরুণ জীবনকে বিড়ম্বিত করিয়াছে । বাব ষে ধিন হইতে চলিয়া গিয়াছেন, তখন হইতে তাহাকে কেহ ত মানুষ মনে করে নাই, এমন কি মাও নয়। তিনিও তাহাকে নিজের জীবনের মৃষ্তিমতা ছুর্তাগ্য বলিয়াই মনে করেন। প্রাণপণ পরিশ্রম করিয়। যে তাহাদের প্রতিপালন করিতেছে, তাহার জন্ত কোনে! কৃতজ্ঞতাই তাছার মনে নাই। ইহ যেন করিতে বিনতা বাধ্য । রমেশ খাইয়! কলেজে চলিয়া গেল। বাড়ী একেবারে শুন্ধ ৷ নীচের তলায় চাকররা কাজ করিতেছে। বসিয়া বসিয়া তাহার ঘুম পাইতে আরম্ভ করিল। হঠাৎ বাড়ীর সামনে গাড়ী থামার ও গাড়ীর দ:ঃজ। বন্ধ হইপার শব্ষ শোনা গেল। জানালা দিয়া উকি মারিয়া ধিনত! দেখিল ডাক্তারের গাড়ীই বটে। তিনি নিজে আসিয়াছেন, একটি মেয়ে নামিয়াছেন, এবং এক রাশ জিনিস নামান হইতেছে । বিনতা সিড়ির মুখে গিয়া! গ্লাড়াইল, ইহাদের অভ্যর্থন। করিবার জগ্য। হরেন্রনাথ দ্বর্ণকে লইয়। উপরে উঠিলেন। মেয়েটি বিনতার সমবয়সীই হইবে, এক আধ বৎসরের বড় বা! ছোট হইতে পাবে। কাপড়-চোপড় পরা, কণাবার্ডা, ধরণধারণ কোনে! কিছুতেই ন!গরিকতার ছাপ নাই। উপরে উঠিয়'ই ভরেম্দ্রনাথ বলিলেন, “এই স্বর্ণ, আর এই বিনতা। ত্বরণ ইনি থাকবেন তোমায় সঙ্গে, দেখাশোন1 করবেন । যখন যা দরকার একে বলবে । ঘর ত ঠিক "গাছে, না?” বিনতা৷ বলিল, “ঠিকই অ।ছে, এই যে এদিকে 'আন্ুন।” স্বর্ণ ও হরেন্দ্রনাথ তাহার সঙ্গে সঙ্গে ঘরে আপিয়া ঢুকিলেন। দ্বর্ণ ত আনন্দে আটখান। ! বলিয়। উঠিল, প্বাং, কি স্থন্দর ঘর! তা হবে না কেন? মেজমামা ত বড়মান্ুষ। দিন কতক আয্লাম করে নিই ।” “তা কর আরাঁম। তবে শরীরটাকে ঠিক রেখো। কাল তোমায় দেখতে একজন ডাক্তার আসবেন। তিনি যেমন বলবেন ঠিক তেমনি ভাবে চলবে । বিন্ত। অবশ্য তোমাকে ঠিক পথেই রাখবেন, অত্যন্ত কড়। নাস বলে তার স্থনাম আছে)” হর্ণ বলিল, “এরই মধ্যে এত কড়া হয়ে গেছেন? আমার বয়সীই তহবেন? অমিত একট! কড়। কথা শুনলে এখনও কেঁদে ফেলি ।” হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, "তোমার মত 'আছুরে ত সবাই হয়না? তোমাকে বাপের বাড়ীর সবাই মিলে মাটি করেছেন, এখন আবার শ্বামীরত্ব মাটি করছেন, সকলের ত সে সুবিধা থাকে না?” "মেজমামা যে কি বল তার ঠিক নেই। বাবারে আমার য! গা খিন্‌ ধিন্‌ করছে সারাদিন ট্রেনে চড়ে, একটু পান করতে পারলে হত ।” বিনতা৷ বলিল, “্নানের ত সবই ঠিক 'আছে। আপনার কাপড়-চোপড় কোন বাক্সে আছে বলুন, বায় করে দিচ্ছি।” | সুবর্ণ বলিল, “সব কি এক জায়গায় আছে? এই তিনটে বাক্সে ছড়ান! ভিনটেই খুলতে হবে।” ৩৪২ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ হরেজনাথ বলিলেন, “আচ্ছ! গ্ান-টান সেরে নাও চটপট.» নইলে খাওয়ার দেরি হয়ে যাবে। বিনতা একে নিয়ে একেবারে খাবার ঘরে এস, এর স্নান হয়ে গেলে,” বলিয়! তিনি নিজের ঘরের দিফে প্রস্থান করিঙেন। তবর্ণ বাকা হইতে কাপড়-চোপড় টানিয়! বাহির করিতে করিতে বলিল, “আপনার কি মেজমামার সঙ্জে অনেক দিনের আলাপ 1?” বিনত1 বলিল, “ন! খুব 'অনেক দিন নয়, মাসখানেক হবে।” ত্বর্ণ বলিল, “আচ্ছা, স্সানটা আগে সেরে আনি । বাক্স গুলে। একটু গুছিয়ে দিন না ভাই, ততক্ষণ। আমার ছেঁট হয়ে কাজ করতে ভাল লাগে ন1।” বলিয়! সে স্নানের ঘরে গিয়! ঢুকিল। বিনতা। বঙপ্িয়। বাক্স গুছাইতে লাগিল । খাঁনিক গুছাইয়| ভাবিল, থাক এত গুছাইয়! কাজ নাই, বাহির করিয়। দেরাজেই গুছাইয়! রাখা ভ।ল। তাহা হইলে আর বাক্স টানাটানি করিতে হয় না সারাক্ষণ । কিন্ত স্বর্ণ আগে হ্গান সারিয়া আম্ক, তাহায় পর এসবের ব্যবস্থ। হইবে। মেয়েটি বয়সের পক্ষে অত্যন্ত ছেলেমানুষ অন্ততঃ কথাবার্তায়। তবে কাঁধ্যত হয়ত গৃহিণীপন। কিছু কিছু শিক্ষ। করিয়াছে । কথাবার্তায় মাঝে মাষে মানুষকে অপ্রস্ততে ফেলিবে বলিয়্াই বোধ হয়। ত্বর্ণ বাহির হইয়। বলিল, “বাক্সগুলে। বন্ধ করেন নি যে?” বিনতা৷ বলিল, "ভাবছি সর্ধদ। পরবার কাপড়-চোপড়গুলে। দেরাজেই রেখে দিই, তাহলে আর সারাক্ষণ হেট হয়ে বাস খুলতে হয় না ।” স্বর্ণ বলিল, “তাই রাখুন তাহলে । আর দেখুন ভাই, আপনি ত বড় নয়, কিছু আমার চেয়ে, অত আপনি আজে করতে পারব না আমি । আমিও 'তুমি” বলি আপনিও 'তুমি'ই বলুন। নার্স থাকবে গুনে প্রথমে তেবেছিলাম যে খুব ভারিক্কি বুড়ো মানুষ হবে । কথাই বুঝি বলতে পাঁরব না, তার সঙ্গে । আমি আবার বুড়ে!-টুড়ে। ভালবাসি ন11৮ বিনত| হাসিয়া বলিল, *ষ্থ্যা, অনেকেই চারপাশে ছেলেমানুষই পছনা করে। তা চল, আগে খাওয়াটা সেরে আসি, তোমার মাম! হয়ত অপেক্ষা করছেন ।” থাবার ঘরে যাইবামাত্র হরেন্দ্রনাথও আসিয়! প্রবেশ করিলেন, চ1করাও খাবার লইয়া! আসিল। স্বর্ণ বলিল, “ওরে বাবা, এইরকম সাহেবী কায়দায় খেতে হবে নাকি? ওসব আমি জানি-টানি না।১ তাহার মাম! বলিলেন, “চেয়ারটায় বোস ত, তারপর যেরকম খুশি খাও । নিজে তুলে নিতে অস্থুবিধা হন ত খিনত! তোমাকে দিয়ে দিবেন। শুর নিজের খেতে একটু দেরি হয়ে যাবে, তা হোক। সেবার কাজ যার! নেয়, তাদের অনেক অসুবিধা সন্থ করতে হয়।”” বিনতা৷ বলিল, "টুকু দেরিতে খ্সামার কিছু অন্গুবিধ! হবে না। আপনাকেও দিয়ে দিই?” হরেন্রনাথ বলিলেন, “তা দাও। এফ যাত্রায় পৃথক ফল আর ফেন?” বিনতা ছুইঞ্জনকে পরিবেশন শেষ আল নিজে খাইতে বসিল। বর্ণের খাওয়া শেষ হইতেই সে জিজ্ঞানা করিল, “আচ্ছা, « ঈ টেবি কসছে খেতে বসে তার। একসদেই ওঠে নাকি, খায়, সে তেমন উঠে যায় 1” আমাদের দিশী নিয়মে যেন মেজমাম] বলিলেন। রি ১ সুয়ে এস ত, তারপর এখানে বসে গল্প কর, বতক্ষণ মা আমাদের খাওয়। শেষ হয়। কৌলব নিম পান ঈছবে।% পু | &-&. হ দি & রি মে বি ৫... পু ১৮: ১৩৬৭ ] অনম্যপূর্ববা ৩৯৩ তর্ণ উঠিয়া গেল, গোলক তাহার ব্যবহৃত প্লেট গেলাস সব উঠাইয়া লইয়। গেল। বিনতা বলিল, "উনি এই প্রথম কলকাতায় এলেন বুঝি? সব জিনিষই ওর নতুন লাগছে?” *বাল্যকালে যদ্দি এসে থাকে, আমি যখন বিলেতে ছিলাম। তারপর আর নিশ্চয়ই আসেনি। বিদ্ত তুমি এখনও ত কিছু খাচ্ছ না? এত কম থেয়ে এতক্ষণ খাট কি করে? এ বয়সে আরো! একটু বেলী খাওয়া উচিত ।” “ বিনত| একটু হালিয়।৷ বলিল, প্বাঁব! মারা যাবার পর আর কিছুই থেতে পাব কিন! তার ত ঠিক ছিল না? তাই কত অল্প হলে চলে, তারই অভ্যাস করছিলাম ।” হরেন্্রনাথ বলিলেন, “এখন ত নিজে রোজগার করে খাচ্ছ, এখন আর ত সে ভাবনা ভাববার কথ! নয়? এখন থাওয়াট। আন্তে আস্তে বাড়াও |” বর্ণ হাত মুখ ধুইয়। ফিরিয়া] আসিল। বসিয়! বলিল, "বাবাঃ, মেজমামা, তুমি কি আন্তে আস্তে থাও। এই না সবাই বলে তোমার ভয়ানক প্রায।কৃটিস্‌, মরবার সময় নেই ।” হরেন্্রনাথ বলিলেন, “মরবার চেষ্ট। ত করিনি এ পর্য্স্ত, কাজেই সময় হবে কিনাজানি না। তবে নাইবার, খাবার সময় একটুখানি হাতে রেখেছি, নইলে চল্বে কেন?” সকলের খাওয় হইয়। যাওয়াতে, যে যাহার কাজে চলিয়। গেল। ৪ দিন সাত আটের ভিতরই ম্বর্ণের বেশ মন বসিয়া গেল। ডাক্তারের আদেশ অনেকগুলি পালন করিতে হইত, এই যা ছিল তাহার বিরক্তির কারণ। আর গ্ামীর চিঠি ঠিক সময়মত না! পাইলে সে তৎক্ষণাৎ পা ছড়াইয়া কাদিতে বপিয়! যাইত, এই ছিল আর এক বিপদ। বিনতা তাহাকে বুঝাইয়া॥ ঠাসা করিয়া কোনোমতেই থামাইতে পারিত না1। এমন কি হরেব্দ্রনাথের উপস্থিতিও তাহাকে আত্মসন্থরণ করাইত না। একদিন বকুনি খাইয়। মামাকে বলিয়! বদিল, “নিজের ত ও আপদ নেই, তুমি কি বুঝবে আমার কষ্ট?” হরেন্জনাথ বলিলেন, “একেবারে প্রতাপের বাণী?” কি বুঝিবে তুমি সন্প্যাসী 1” বুঝি ন! হয়ত তবু এটুকু বুঝি যে এরকম করলে তোমার শরীর খারাপ হুবে, এবং আর একটি প্রাণীরও অনি হবে ।” তিনি বাহির হইয়া যাইতেই স্বর্ণ জিভ কাটিয়া! বলিল “মেসামার সঙ্গে ওরকম করে কথা বল! ঠিক হয়নি না 1” বিনতা তাহার কথায় একেবারে বিশ্মিত হইয়া গিয়াছিল। গুরুজনেয় সঙ্গে লোকে এইরকম করিয়। কথা বলে নাকি? তর্ণের কথার উত্তরে বলিল, "ঠিক হয়েছে তা বলতে পারি না! ভাই।” রণ বলিল, “এ রাম+ কিছু যপ্দি মনে করে?” বিনত কিছুই বলিল না । বলিলেই কি? হুরেন্্রকিছু মনে করিষেন, কি করিধেন না, তাহ! বুঝিবে কির়পে? এ খানিক পরে বলিল, “যে সেলাইট করছিলে সেটাই কর না খানিক্গণ মুখ ভার কয়ে ঘসে থেফে কি হবে 1” ৩০৪ গল্প-ভার তী | অগ্রহায়ণ বর্ণ বলিল, “আমার এখন সেলাই-মেলাই কিছু ভাল লাগছে না । একটু গড়িয়ে নিই ।» ছুমিনিট শুইয়া থাকিয়! বলিল, "আচ্ছা ভাই, মেজমামাকে বলে একট ঝি রাখিয়ে দিতে পার আমার জন্যে? বিনতা। বলিল, “আমিই ত রয়েছি, আবার ঝি কি করবে 1", "না ভাই তোমাকে সব কাঞ্জের কথা বল! যায় না। বি থাকলে একটু পা-ট! টিপে দিত, একটু আমাদের পাড়াগায়ের গল্পন্বল্ল করত, রাত্রে যখন ঘুম হয় ন৷ তখন মাথায় হাত বুলোত।” রর বিনতা বলিল, “এ মবই ত মামি করতে পারি। মানুষে নার্স রাখে ত এই সব কাজের জন্তেই ?” জর্ণ বলিল, প্ন। ভাই, তোমাকে আমি পা টিপতে বলতে পারব না। তোমাকে মেজমামা এত খাতির করে চলেন যে তোমাকে নাস-টাস” কিছু মনেই হয়না। আমি যেমন এক ভাগ্লী এসেছি, তুমিও যেন আর একজন এসেছ” বিনত। ভাবিল সতাই তাই। এখানে আসার পর একদিনের জন্তও মনে হয় নাই যে পয়সার পরিবর্থে সেব করিতে আসিয়াছে । যেন নিজের অতি নিকট আত্মীয়ের বাড়ীতেই সে আছে। যে আদর, যে »ন্মান সে পায়, তাহা নিজের ম! বাবার ঘরেও সে পায় নাই । সেবার কাজ ভাহাকে কিই বা করিতে হয়? ন্বর্ণকে সমস্তদিন যথ! নিয়মে শ্নানাহার, নিদ্রা» ওঁধধ সেবন প্রভৃতি করান অবস্ট কম কাজ নয়। তাহকে নার্সের বদলে শিক্ষয়িত্রীর কাজই বেশী করিতে হয়। আর সংসার চালানোর ভারটাও কেমন করিয়। যেন তাহা রই হাতে আসিয়া! পড়িতেছে। চাঁকররা ধরিয়া লইয়াছে যে তাহাকেই সব বিষয় জিজ্ঞাস কর! উচিত, এবং গৃঠকর্তা এমন সানন্দে তাহাতে সম্মতি দিতেছেন যে ইহাই পাকাপাকি নিয়ম হইয়। গীড়াইয়াছে। স্বর্ণের কথার উত্তরে বলিল, “তোমার মেজমাঁমার মত ভদ্রলোক জগতে কট। জল্মায় ভাই? পৃথিবীতে কারো সঙ্গে বোধ হয় তিনি কখনও খারাপ ব্যবহার করেন নি। তা, চা খাবার সময় আমি বল্ব তাঁকে, তারপর তিনি য। স্থির করেন।”। তবর্ণ বলিল, “রেখেই দেবেন দেখে! । টাকা পয়সা ত ওর কাছে থেলামকুচি। আমার বিয়ের এক কথায় এক হাজার টাকা দিয়ে দিলেন সাহায্য বলে।” চাঁ খাওয়ার সময় ত্বর্ণ নিজেই কথাট। পাড়িল। বলিল, “মেজমাম!, আমার জগ্গে একট] ঝি রেখে দেবে?” মেজমাম। বলিলেন, “এখনই কেন? যথাকালে হবে ।” স্বর্ণ বলিল, "আঃ কি যেবল! এই আমার পা-ট। টিপে দ্বেবে, গল্প শবল্প করবে । এর মাইনেটা আমি দিতে পারি। হরেনত্রনাথ বলিলেন, পসারাপিন গড়াগড়ি দিয়ে কাটাও, তাই হাত পাব্যথা করে। তোমার এখন রোজ মাইল ছুই হাট। উচিত। তা এমন বৃষ্টি যে বাড়ীর বার হওয়া যায় না। তা রাখ ঝি, শেষে ভাববে যে মামার বাড়ী এসে যথেষ্ট আদর পাওয়। গেল না । মাইনের কথাট! এখন নাঁই বা ভাবলে? গল্প কি বিনতার সঙ্গে চলেনা?” হবর্ণ বলিল, “ও আমাদের সব পাড়াগায়ের গল্প জানলে ত 1” হরেজ্র নাথ বলিলেন “তর বাড়ীও ত পাড়াগায়েই ?” ১৩৬৭ ] অনন্য পুর্ব্বা ত্বর্ণ বঙ্গিল, “সে কবে ছিল, এখন আর সেখানের কথ। মনে নেই |” হবেন্্রনাথ বলিলেন, “তবে তঝি সর্বাগ্রে দরকার। একে ত বাবাজীবন যখ| সময়ে চিঠি লেখেন না, তার উপর যদি আবার গল্প করার লোকও না! থাঁকে, তাহলে ত জীবন ছুবিবিসহ।” স্বর্ণ কি একট! কাজে উঠিয়! গেল। হরেন্ত্রনাথ তখনও চা খাওয়া! শেষ করেন নাই । বিন্তা বলিল, গুর জগ্তে যর্দি বিই রাখতে হয়, তাহলে আর আমাকে রাখার দরকার ত নেই! গুর এখনকার ঘা কাজ তা ত ছু একদিন দেখিয়ে দিলে ঝিই পারবে ।” হরেন্্রনাথ বলিলেন, “পাগল নাকি তুমি? দ্বর্ণর সব কাজ করবে ঝি? বিয়ের একট। কথাও ও শুনবে? আর আমাদের দেশের বি ত? তাদের গুণপন। আমার অজানা! নেই। সমস্ত মাটি হবে একদিনের মধ্যে। আর ওর খেয়াল ত, আজ ঝি দরকার, কাল ঝিয়ের বদলে রাধুনি দরকার । তুমি পালাতে ব্যস্ত মনে হচ্ছে? এখানে কোনে অন্থবিধ। হচ্ছে?” বিনত!। বলিল, “না, না, একেবারেই তা নয়। পালাতে ব্তন্ত হব কেন? এতদিন কাজ করছি, কোথাও কোনো বাড়ীতে আমি এত নিশ্চিন্ত 'মারামে থাকতে পারিনি । আমি যে ভদ্রলোকের মেয়ে তাও বিশেষ কোথাও ত্বীকার কবেনি কেউ। £1071167 ঝিয়ের মতই থেকেছি । অধশ্ত'মামার কাজটাও অনেকটা সেইরকম 1৮ হরেন্্রনাথ বলিলেন, “তাহলে ত মা মাসীকেও ঝি ভাবতে হয়, তারাও এ কাজই করেন। আচ্ছা, তোমাকে কতগুলে। 709:80781 কথ! জিগ.গেস করি, কিছু মনে কোরে। না। তোমার জীবনের ইতিহাসের খানিকট। আমি গুনেছিল।ম একটি ছেলের কাছে। স্বপ্লাকে যেদিন দেখতে যাঁওয়। হয়, সেদিন সে গিয়েছিল বরের বন্ধুবপে। তোমায় চিনতে পেরেছিল । তার কাছে তোমার কথ শুনলাম, যদিও সব কথ! 866511-এ সেজানে না সেই বাঁভৎস বিবাহ সভায় সে উপস্থিত ছিল। তুমি কি বিরক্ত হচ্ছ?” বিনতা। বলিল, “না, বিরক্ত হব কেন? আমি ত নিজে অপরাধ কিছু করিনি? শুধু অনাবশ্াক কৌতুহল পরিতৃপ্ত করতে অবস্ট নিজের দুঃখের কথা আমি কাউকে বলিতে চাই না । কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই সে জগ্তে জানতে চাইছেন ন1 1, পন! তা নয়। তবে সেদিন থেকেই ভাবছি ধে তোমাকে কোনোদিক দিয়ে যদ কিছু সাচাষ্য করা যাঁয়, তাহলে হয়ত ভাল একট। 68789: তোমার হতে পারে । অত অল্প বয়সে তোমার যে রকম মনের জোর তুমি দ্বেখিয়েছ, তাতে বোঝ! যায় যে তোম।কে সাহায্য করলে সেট বিফল হবে না, য| করতে তুমি চাইবে, তা তুমি পারবে ।” বিনত! আনেক কষ্টে চোখের জল সম্বরণ করিল। সহানুভূতি বা সমবেদনা! সে জীবনেই কখনও পায় নাই বোধ হয়। একটু কম্পিত কণ্ঠে বলিল, “আপনি কি জানতে চান বলুন, আমি উত্তর দিচ্ছি।” হরেন্রনাথ বলিলেন। “পড়াণ্ডনে। কতদুর করেছ ?” বিনতা। বলিল, প্বাঁবা বেচে থাকতে তার কাছে পড়ে ম্যাট্রিক দিয়েছিলাম। পাসও করেছিলাম । তারপর অবসর পেলেই একটু-আধটু পড়েছি, তবে পরীক্ষা দিতে হলে ধতটা। তৈরি হওয়া দরকার ত। হতে পারিনি ।” “এ লাইন বেছে নিলে ফেন 1 ৬০৬ গল্প-ভারতী [ অগ্রহারণ বিন্তা বলিল, প্টাচারি করতে গেলে বা! পেতাম, তাতে আমার মা, ভাই আর আমার নিজের খাওয়া- পরা চলত না। এতে সামান্য কিছু বেশী পাই, সার! মাস কাজ করলে। হরেন্্রনাথ জিজ্ঞাস! করিলেন, “কোথায় থাক তুমি ?, বিনত। বলিল, “এখানে একজন পিসীম! আছেন, তীর বাড়ী থাকি। মাআর ভাই গ্রামে থাকেন, আমার মালিমার সঙ্গে |” “ম।মার বাড়ীর গ্রাম থেকে, এরই কাছে তুমি পালিয়ে এসেছিলে 1”, পয” পআ[চ্ছা। আই. এ. দিতে যদি চাও, তাহলে কঃমাস সময় দরকার হবে তোমার তৈরি হয়ে নেবার জনে ।* “মাস ছয় হলে পারি।” হরেম্রনাথ এইবার চেয়ার ছাড়িয়। উঠিয়া পড়িলেন। বলিলেন, “ভেবে দেখি কি হলে সুবিধা! হুয়।১) বিনতাও খাবার ঘর হইতে বাহির হইয়! গিয়া নিজের ঘরে ঢুফ্লি। তাহার চোখ দিয়া ক্রমাগত কেন যে জল পড়িতে লাগিল, তাহা অগ্ত কেহ বুঝিত না, নিজেও সে পুরোপুরি বুঝিল না । ঝি একজন পরদিনই উপস্থিত হইল। নাম মোতী, গোলকের দুরসম্পর্কের পিসীম! হয় | মাঝবয়সী, বিধব! মানুষ । অন্তকাজ যত পারুক ব| নাই পারুক, পাড়ার্গায়ের গল্প করিতে খুব ভাল পারে, এবং পা টিপিতে বলিলে কোনে। আপত্তি করে না । কাজেই স্বর্ণ তাহাকে অবিলম্বে অত্যন্ত পছন্দ করিয়৷ বসিল। হরেন্রনাথ জিজ্ঞ।স। করিলেন, “কি স্বর্ণ, বি পেয়ে খুব খুশি ত?” স্বণ বলিল, “হা। মেজমাম1, ভারি চমৎকার মানুষ); কত গল্প করেছি কাল রাতে। ঘ্বুমতে বারোটা বেজে গেল।” হরেন্্রনাথ কিছু বলিবার আগেই রমেশ বলিল, “তোমার যে শুধু বারোটা বাজল তা নয়, আমারও বাঞজল। যা ভ্যান্ভা!ন করেছ। আমার ঘর থেকে আবার তোমার ঘরের প্রায় সব কথাই শোনা যায়।” ত্বরণ বলিল, "এ রাম, তাই নাকি? তবে তআন্তে আতন্তে কথ! বলতে হবে| তাহার মেজমাম! বলিলেন, “কথাট। ন। বললেই ভাল রাব্রিবেলা। তোমার ত নটার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়া উচিত। আচ্ছ! বিনতা, ভূমি ত এখন অনেক সময়ই 1799 থাকবে । পড়াগুনোট। কর না কিছু কিছু? বইটই এখানে নিয়ে এসেছ কি?” বিনতা! বলিল, "আনিনি কিছু । ত| আজ বিকেলে গিয়েই নিয়ে আসতে পারি। বাব তাই।” হরেন্ত্রনাথ বলিলেন, "বিকেলে চ1 খাবার পর েও, তখন গাড়ীট! দিতে পারব» বিনত। বলিল, প্গাড়ীর আর কি দরকার? ট্রামেই যাব।” “বার একট! বোঝ| ঘাড়ে করে ট্রামে-বাসে ওঠবার কি দরকার? গাড়ীতেই যেও'”, বলিয়। হরেন উঠিয়। গেলেন। অন্তদিন যে সময়ে ফেরেন, হরেন্্রমাথ তাহার আগেই আজ ফিরিয়া আসিলেন। ঢা খাইবার সফয় টেবিলে বলিয়া শুধু এক পেয়াল1 চ1 খাইলেন। স্বর্ণ বলিল, “তুমি কিছু খাচ্ছ না কেন মেজমাম! ?” হয়ে্্নাথ বলিলেন, পচারদিকে হ। ইন য়েজা, আমারও ছোয়াচ, লেগেছে বোধ হয়। জর আসবেই ১৩৬৭ | অনম্যপূর্বা ৩০৭ মনে হচ্ছে। জার দেখ স্বর্ণ» যদি আমি গুয়েই পড়ি, ঘটা করে আমান দেখতে এস না। 10190607 লাগান এখন তোমার একেবারে চল্বে না। ছায়াই মাঁড়াবে না আমার ঘরের।” বিনতার দিকে ফিরিক়া বলিলেন, “বইগুলো! নিয়ে এস গিয়ে তাড়াতাড়ি, আর ফিরবাঁর পথে আমার ছোট কম্পাউও।র খধিকেশকে অমনি ডেকে নিয়ে আসবে ।” তিনি প্রস্থান করিলেন, স্বর্ণ এবং বিনতাঁও খাবার ঘর ছাড়িয়া চলিয়া গেল। বিনত। তাড়াতাড়ি প্রস্তুত হইয়৷ পিসীমার বাড়ী চলিল। খুব বেশী দূর নয়। দেড়তল! মতন স্থানে, ছুটি ছোট ছোট খুপরির মত ঘর। একটিতে পিসীম! থাকেন, আর একটিতে বিনত। থাকে, যখন তার কাজ থাকে না। পিসীমার ঘর সামান্ত একটু বড়, তবে জিনিসপত্রে ঠাসা। বিনতার ধরে একখান। ছোট তক্তাপৌোষ আছে আর একটি বেতের চেয়ার। কাপড়-চোপড় রাখার জন্য দেয়ালে আটকান আল্না। পিসীমার একটি মেয়ে আছে, সে বিবাহিতা । যখন মায়ের কাছে বেড়াইতে আসে, তখন রাজে বিনতায সঙ্গেই শোয়, মায়ের ঘরে জায়গা হয় না। বিনত। তাড়াতাড়ি নিজের খাত। বই গ্রড়তি সংগ্রহ করিয়। ও ডিস্পেন্সারি হইতে খধিকেশকে সংগ্রহ করিয়! বাড়ী ফিরিয়া আসিল । উপরে গিয়া নিজের ঘরে সেগুলি গুছাইয়া রাখিল। মোতীকে বলিল, “আজ আমার বিছানাট। আমার ঘরেই করে দিও ত।”” তাহার পর হরেন্দ্রনাথের ঘরের দরজার কাছে গিষ়্। দাড়াইল। তিনি থাঁটে বসিয়! খধিকেশের সঙ্গে কথা বলিতেছেন, সে নাকে কাপড় দিয়া সঙের মত ধাড়।ইয়। আছে। দেখিয়! বিনতার গাটা বিরক্তিতে অলিয়! গেল। খষিকেশ বাহির হইতেই সে-ঘরে ঢুকিয়া বলিল, "কি জ্বর সত্যিই এসেছে ?” হরেন্দ্র বলিলেন, “এসেইছে মনে হচ্ছে। তুমি ঘরে যে ঢুকছ, যর্দি আবার তোমার হয়? স্বর্ণও ত তাহলে বিপদে পড়বে ?” বিনত। বলিল, "ওর ঘরে আজ আর যাঁবই না আমি । মোঁতী ওর কাজ করছে করুক, ওকেই দ্বর্ণের বেশী পছন্দ । আপনাকে কে দেখবে, সবাই দুরে সরে দাড়িয়ে থাকলে?” হরেন্্র বলিলেন, “আমার অস্থথ-বিস্তথ করে এনই কম যে আমার দেখাশোন। করার লোক বিশেষ কেউ নেই। ভাবছিলাম খধিকেশটাকে একটু কাজে লাগাব, তা তার নাকে কাপড় দেওয়ার ঘটা দেখে আর ভরস! হচ্ছে না, ভয়েই মরে যাবে ।” বিনতা বলিল, “আমি করে দিচ্ছি আপনার সব কাজ। নাকে কাপড়ও দেব না, ভয়েও মরব ন। 1” চরেন্দ্রনাথ বলিলেন, "তুমি পুরুষ 0861976-এরও কাজ করেছ নাকি 1” বিনত। বলিল, “করেছি, ছৃতিন জনের । একেবারে শধ্যাগত রোগী নয় অব্ত। তারা কাজে সন্ধষ্টই ছিলেন।” হরেক্্রনাথ বলিলেন, “অসন্তষ্ট আর হবেন কোন দুংখে? অন্য দেশেও সব রকম 2%60$এর কাজই মেয়ে নাস'রা করে। আমাদের দেশেই নানা বাধা আছে। যাক কেমন থাকি আগে দেখি। আচ্ছা, ধার্ধোমিটারট। দাও ত এ দেরাজ থেকে ।” বিনতা থার্মোমিটার বাছির করিয়! জবর দেখিল, ইছারই মধ্যে ১*২০-এর উপরে উঠিয়াছে। হয়েজ্নাথকে দেখাইয়। আবার থার্মোমিটার সরাইয়! রাখিল। মোতী ঝি বাহির হইতে ডিজাস! করিল, “ফিছিমপি জানতে চাইছেন মামাবাবুক্স কি সত্যিই জর হয়েছে 1” ৩০৮ ণায্ল-ভারতী [ অগ্রহায়ণ বিনত। দরজার কাছে আসিয়। বলিল, “সত্যিই জর হয়েছে, বেশ বেশী অয়। দিদিমণি যেন এদ্দিকে না আসেন।” হরেন শুইয়া শুইয়। একখান! মাসিকপত্র উপ্টাইতেছিলেন। বলিলেন, প্অন্থুখের সবচেয়ে মুস্কিল হচ্ছে যে করবার কিছু থাকে না। মানুষ ভয়ানক ক্লাস্ত আর বিরক্ত হয়ে যায় এতে ।” বিনতা। জিজ্ঞাস! করিল, “কিছু পড়ে শোনাব 1” “শোনাঁও । গান অত স্ুদার কর, পড়তেও নিশ্চয়ই ভাল পার। একটু কবিতা পড়ে শোঁনাও, প্রায় গানের মতই লাগবে ।” বিনতা1 জিজ্ঞাসা কৰিল, “কি বই থেকে শোনাব ?” পত্রী আলমারিট1 খোল, ওতে কাবা গ্র্থ আছে সবগুলো । ওর থেকে “যৌবন বেদন। রসে উচ্ছল আমর দিনগুলি" কবিতাট। শোনাও ।” বিনত! বই বাহির করিয়া পড়িতে বসিল । চেয়ারট। খাটের খুব কাছে টানিয়! লইল। মুছকণ্ঠেই পড়িতে লাগিল । খুব বড় কবিতা! নয়, অল্লক্ষণের মধ্যেই শেষ হইয়া গেল। হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “পড়াট।ও দেখি গানের মত ভাল আসে তোমার । আচ্ছা, এইনার পস্থর্গ হইতে বিদ্বায়*্টা পড় দেখি।” ন্নিতা পাত। উল্টাইয়। কবিতাটি বাছির করিল। হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, গ্ধাড়াও ঘরের এ বড় আলোট| নিভিয়ে দাও ত। এই কোণের আলোটা জাল, বইয়ের উপর ঠিক আলে! পড়বে, আমার মুখে গড়বে ন1।” নির্দেশমত আলো! জালিয়া ও নিভাইয়া! বিনতা আবার পড়িতে বসিল। এ কবিতাটি শেষ হইলে হরেন্দ্রনাথ জিজ্ঞাসা করিলেন “যেতে নাহি দিব* পড়তে পারবে ?” বিনতা৷ একটু থামিয়৷ বলিল, “ওটা জোরে জোরে পড়তে আমি পারি না, চোখে জল এসে যাঁয়। বড় বেশী বাবার কথ মনে পড়ে ।” হরেন্ত্রনাথ বলিলেন, “থাঁক তাহলে। একটু বিশ্রাম করে নাও । ভাগ্যে ছিলে বাড়ীতে, না হলে খধিকেশকে সম্বল করে এই রোগের দুস্তর সাগর কি করে পার হতাম জানি না। আরযাঁই করুক, এমন সুন্দর করে কবিতা পড়ত না। তুমি রবীন্দ্রনাথের সব বই পড়েছ ?” বিনতা বলিল “দব বই তহাতে পাইনি? যতগুলি পেয়েছি, পড়েছি, অনেকবার করে পড়েছি ।” হরেন্ত্রনাথ বলিলেন, “তোমার খুব ভাল লাগে ও"র লেখা 1” বিনতা বলিল, “গুর লেখ! ভাল না লাগাও সম্ভব নাকি 1” হরেন্ত্রনাথ বলিলেন, “সম্ভব না হবে কেন? আমাদের দেশ ত ভর্তি এই সব অসম্ভব সম্ভাবনায় ।” বিনতা বলিল, “আপনি বারবার চুলের ভিতর আঙ্গুল চালাচ্ছেন, আপনার নিশ্চয় মাথ! ব্যথ। করছে । আমি টিপে দিই?” হবেন্্রনাথ বলিলেন, প্দাও টিপে । তবে বিছানায় উঠে বসতে হবে, অত দুর থেকে টেপ! ঘাবে ন1।* বিছানায় উঠিয়া! বসিয়াই বিনতা তাহার মাথা টিপিতে লাগিঙগ। মাথাট! বেশ উত্ত, অর আরে। বাড়িয়াছে যোধহয়। একটু পরে হরেজ্রনাঁথ বলিলেন, প্তুমি থেকে তো আমায় বাঢালে, কিন্তু তোমার ১৩৬৭ | অনম্যপূর্বা ৩০৯ নিজের ত বিপদ ঘটতে পারে। আমি ছুই একদিনে উঠব না, বুঝতেই পারছি । কদিন তোমায় এই জরের রুগী নিয়ে বসে থাকতে হবে তার ঠিকানা নেই। তারপর যদি তুমি রোগে পড়, তখন তোমায় দেখবে কে?” বিনতা বলিল, “বাড়ী পাঠিয়ে দেবেন ।” “বাড়ীতেই বা! তোমাকে দেখবে কে? শ্রবুদ্ধা পিসীম! ?” বিনতা বলিল, “আর কেউ যদি না থাকে আমার ত কি আর করা যাবে ?” হরেন্্র বলিলেন, “কেউ না থাকলেও সেবা-যত্র হওয়া সম্ভব, ৩1 দেখেই পাচ্ছ। তোমারও এরকম করে হবে, যদি দরকার হয়।” হাসিবার চেষ্টা করিয়া বিনতা বলিল, “কি নাসের জন্যে আর একট! নার্স রেখে দেবেন ?* হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “তুমি নার্স এইটেই কি তোম।র একমাক্র পরিচয়?” ধিনতা বলিল, “তা নয়। তবে অন্তলোকে ত আমার আর কোনে পরিচয় স্বীকার করেনি, তাই ত্যামিও সেগুলে। ভূলে যেতে বসেছিলাম।” হরেন্্রনাথ বলিলেন, “নিগ্গে যে মানুষ, সে পরিচয়টা যে ভোলেনি, তার প্রমাণ ত পাচ্ছি। কিন্ত তোমার কি আজ খাওয়া-দাওয়ারও দরকার নেই, রাত বেশ হয়েছে ন। 1” ধিনতা বলিল, পন, বেশী কিছু রাত হয়নি । আমার খাবার তুলে রাখতে বলে আস্ছি, পরে থাব এখন। আপনি কি খাবেন বলুন, তৈরি করতে বলে আসি ।” হরেন্ত্রনাথ বলিলেন, “বালিওয়াটার ছাড়া আর কিছু আমার থাওয়। চল্বে না এখন। তাই করতে বল।” বাহির হইয় গিয়! বিনত। প্রয়োজনমত নির্দেশ দিয়া আসিল। খধিকেশ এই সময় কতগুলি ওষুধপত্র লইয়া আসিয়া উপস্থিত হইল। টেবিলে সেগুলি নামাইয়৷ রাখিয়! ও হরেন্দ্রনাথের কয়েকট! নির্দেশ শুনিয়া তাড়াতাড়ি প্রস্থান করিল। বিনতা আসিয়া গুষধাদি ভাল করিয়া গুছাইয়। রাখিতে লাগিল। হরেন্ত্রনাথ বলিলেন, “এই ছেলের আবার ডাক্তার হবার সথ ছিল। আমাকে দিয়ে চিঠি লিখিয়ে কত সুবিধা করবার চেষ্টা করেছে ।” বিনতা৷ বলিল, “সব মানুষ সব কাজ পারে না। আমার একটি মামাতে। ভাই আছে, রক্ত দেখলেই তার ফিট হয়। আমার যদ্দি ডাক্তার হবার সুযোগ থাকত, তাহলে ভালই ডাক্তার হতে পারতাম। রোগকে ভয় পাই না, যুচ্ছণাও যাই না কাট ছেঁড়া দেখলে ।” হরেন্ত্রনাথ বলিলেন, “আই. এস. সি পাস করে ডাক্তারী পাম করতে ত তোমার ত্রিশ বছর বয়স হয়ে যাবে ।” বিনতা বলিল, ০গুধু তাতে ত ছুঃথ ছিল না, ন! হয় হলই ত্রিশ বছর। কিন্ত এই সাত আট বছর আমার মা আর ভাইয়ের কি হত? আর আমারই ব খরচ চলত কি করে?” হরেন্ত্রনাথ বলিলেন, “দে ত বটে, ও লাইনে ভাব! চল্বে না। জরট। ছাড়ক আগে, তারপর ও নিয়ে আলোচন! করা যাবে । আচ্ছা, ও 6519% দাও ত ছটো। বিনতা জল আনিল, বধ আনিল। বাথরুম হইতে তোয়ালে লইয়া আমিল, মুখ মুছিবার জন্ত । তাহার পর আবার সব সরাইয়া গুছাইয়। রাখিল। হরেন্ত্রনাথের জর বোধহয় আবার বাড়িতে আরগ্ ৩১ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ করিল। বিনতা আবার মাথ! টিপিতে খসিল। মাথার যন্ত্র»! একটু কমিয়াছে দেখিয়া, পা হাত টিপিতে বমিল। সারাট। রাত তাহার প্র।য় এইভাবে চলিল। হরেন্জনাথ একবার বলিলেন, “তোমাকে এরকম করে ভোঁগাঁতে আমার খড় সঞ্জোচ বোধ হচ্ছে বিনতা |” বিনত। বলিল, “কি আশ্চর্য । সেবা করতে ধসলে এ লব ভাবা যায় নাকি? আমার কাজই ত এই? আপনি যদ্দি আমার নিজেপ দাদা হতেন, আমি করতাম না? একটুও কিচ্ছু ভাববেন ন। আপনি। বারোমাস ত আমি এই কাজ করি?” "কর, উপায় যখন নেই । 'আমি রোগে পড়িনি বহুদিন, তাই বড় অস্থির লাগছে। চুলটা একটু টেনে টেনে দাও ত?* বিনতা। খিছানায় বসিয়া! আখর আত্তে আন্তে চুলের গোছ। টানিয়! টানিয়া দিতে লাগিল। খানিক পরে ধলিল, “খালিট। নিয়ে আপি, আপনি থেয়ে নিন ত। তারপর ঘুমবার চেষ্টা করুন। “আচ্ছ। আন। ঘ্ুমট] আসতে আসতেও আসছে না।” বিনত। গিয়া খালি লইয়া আসিল । খাওয়ান হইয়। গেলে নিজে একছুটে গিয়া ছুইগ্রাস ভাত খাইয়! আমিল। একেবারে মিথ্য। কথ! বলিলে ত হরেন্ত্রণাথ খিশ্বাস করিবেন না। তবুও তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “এরহ মধ্যে থাওয়। হয়ে গেল?” বিনত! বলিল, প্যেদিন 738৮৮ ৭এঠয্র করি, সেদিন রাত্রে বেণী কিছু খাই না।” "ভালই কর। তবে সত্যি কিছু একটু খেয়েছ ত1?* বিনতা বলিল, প্নিশ্চয়। নইলে গেলাম কি করতে 1” সে আন্তে আন্তে বিছানা বালিশ সব ভাল করিয়। ঝাড়িয়া। গুছ।ইয়া দিল। বাদল] হাওয়] অ।সিতেছে দোখয়! ছুই একট! জান্লা বন্ধ কররিল। তাহার পর প্রয়োজন মত হাত পা৷ টিপয়া, মাথায় হাত বুলাইয়া রোগীকে ঘুম পাড়াইবার চেষ্টা করিতে লাগিল। মাঝরাত পধ্যস্ত রোগের কষ্ট সমানই চলিল, তাহার পর অবিরাম পরিচধ্যার ফলেই হোক্‌ বা যে কারণেই হে!ক, যন্ত্রণ। কমিতে আরস্ত করিল। কিন্ত বিন্ত। উঠিল না, সেইখানে বসিয়। যেমন কাজ ক্রিতেছিল, করিতে লাগিল। নিদ্দেশমত আবার ওষধ খাওয়াইল। রাত একটার কাছাকাছি হরেন্ত্রনাথ ঘুমায়! পড়িলেন। পাছে ঘুম ভাঙে বলিয়! এবার বিনতা। হাত সরাইয়। লইল। থাট হইতে নাঁমিয়া খাটের সঙ্গে লাগান একট! চেয়ারে বদিল। ঘরের কোণের দ্বিকের একটা থোল৷ জানালার পথে বর্ষার রজনীর মেঘ ভারাক্রান্ত আকাশ দেখা! যাইতেছে। ঘরে স্তিমিত আলেো!, অর্ধেক ছায়া, অঞ্ধেক আলো। হরেন্দ্রনাথের মৃতিটা যেন পাথরের থোদ। মুর্তির মত দেখাইতেছে। তাহার অল্প অল্প ঘুম আগিতে লাগিল। তবুজোর করিয়া খুমাইল না, আবার বদি হরেন্্রনাথ জাগিয়। ওঠেন। কিন্তু ডোর রাত্রির কাছাকাছি পধ্যন্ত তিনি জাগিলেন না। এই সময় পরিশ্রাস্ত হইয়া চেয়ারে বসিয়াই বিনত। ঘুমাইয়া পড়িলেন, এবং তাহার মিনিট পনেরো কুড়ি পরেই হরেন্্রনাথ চোখ খুলিয়। তাকাইলেন। ঘরের আলোট! বড় স্তিমিত, তাতার মধ্যে নিদ্রিতা বিনতাকে কেমন যেন ছায়া মত দেখাইতেছে। অতান্ত ছেলেমাহব দেখাইতেছে, যেন ঘুমের মধ্যে তাহার বয়স আরো পাচ বংসয় কষমিয়া গিয়াছে। ১৩৬৭ ] অনম্যপূর্বা। ৩১১ ৫ মানুষের দৃষ্টির একট! প্রভাব আছে বোধ হয়। হরেজ্ত্রনাথ কিছুক্ষণ বিনতার দিকে তাকাইয়া থাকিতে থাকিতেই সে হঠাৎ চোখ খুলিয়! তাকাইল। হবেন্দ্রনাথ জাগিয়া আছেন দেখিয়া উহ্িগ্নভাবে প্রশ্ন করিল, “কতক্ষণ উঠেছেন?” হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “বেশীক্ষণ না, মিনিট দশ পনেরে| হবে। তুমি একটুও ঘুমতে পারলে ?” ঘণ্টাথানিক ঘুমিয়েছি। হবেন্দ্রনাথ বলিলেন, "আমি অন্ততঃ চারঘণ্টা ঘুমিয়েছি। একটু সুস্থ বোধ হচ্ছে এখন। জ্রট! কমছে বোধ হয়। তুমি না থাকলে আজ আমি যন্ত্রণায় পাগল হয়ে যেতাম বিনতা। এইরকম কষ্ট নিযে একলা পড়ে থাক, একট] ভয়াবহ ব্যাপার।” বিনা বলিল, “কেউ কি আর আসত না? তা কখনও হয়? এন্তগুলো লোক রয়েছে বাড়ীতে ?” "আসবার মত কে আছে? ঘর্ণ আসতে পারেনা । রমেশ ত অদ্ধেক দিন কলেজে ৫5 দেয় রাত্রে। না দিলেও আমার ধারে কাছে আসত কিনা সন্দেহ । সেও একটি দ্বিতীয় খধিকেশ। আরবি চাকরের কথ! ছেড়ে দাও ।* বিনতা বলিল, “নার্স একট! আনিয়ে নিতে ত পারতেন, মেয়ে হে।ক, পুরুষ হোক ।” প্রথম দ্দিনই কাউকে ডাকার কথ। মনে হত কিনা সন্দেহ । এমন চট করে বেড়ে য!বে তা ভাঁবিনি। আর মেয়ে নাস একজন অপরিচিত এসে আমার কতট! সেবা করত জানি না। তুমি বাড়ীর মানুষের মত হয়ে গেছ তাই তোমার কাছে এতটা গুশ্রাষ। নিতে পারলাম । কোনে! 77915 70156 হয়ত জুটতেন শেষ পধ্যস্ত এবং তার চট ওঠ হাতের ঘর্ষণে আমার গাঁয়ের অদ্ধেক চামড়া! এতক্ষণে উঠে যেত।” বিনতা বলিল, “বেচারারা। তাদের হাত নরম নয় ত তারা আর কি করবে ?" “করবে ন| কিছুই । সেবা করাটা] মেয়েদেরই কাঁজ, তার। করলেই ভাল। শিশু আর রোগী 'এরা মেয়েদের হাতে যতট' ভাল থাকে ততট। আর কারো কাছে থাকে না”। বিনত| বলিল, “জ্বর কতট1 আছে দেখব এখন ?” “দেখ।” থার্মোমিটার বাহির করিয়া বিনতা জর পরীক্ষা করিল | এখন ১০১* ডিগ্রী । বলিঙ্গ, “বেশ খানি কট! কমেছে । মাঝ রাতে গায়ে হাত দিয়ে মনে হচ্ছিল যেন এর চেয়ে আরো ছু ডিগ্রী বেশী।” হরেন্্রনাথ বলিলেন, “আর একটু কমবে হয়ত। তবে দিনের বেল1, বিশেষ করে বিকালের দিকে আবার বাড়বে। তুমি দুপুরে ঘুমিয়ে নিও খানিকট1” প্নেব। দ্রিনের বেলা! আপনি যখন ঘুমিয়ে যাবেন, সেই সময় আমিও ঘুমিয়ে নেব ।” হরেম্নাথ বলিলেন, “ভোর হয়ে আসছে। আর এখন ঘুমতে ইচ্ছা করছে না । মুখ হাত ধুয়ে একটু চা! খেতে পারলে হত। তা শ্রীমান গোলকের এখনও উঠতে দেরী আছে।” বিনতা বলিল, “তার জন্যে বসে থাকার কি ব! দরকার? উপরে ইলেক্‌টিক ষ্োভ রয়েছে, আমি এখনি করে আনতে পারি। দ্লাড়ান আপনার মুখ ধোওয়ার ব্যবস্থাট! আগে করে দিই। যাবাদলা, গরম জল ব্যবহার করাই ভাল।* ৩১২ গল্প-ভারতী [ অগ্রহাযণ সে বাহির হইয়া গিয়! নিজের হাত মুখ ধুইয়া ফেলিল। ঘুমের ঘোরট। কাটিয়৷ গেল। তারপর জল একটু গরম করিয়৷ রোগীর মুখ ধোয়ার জন্ত লইয়! আদিল। তাহার নির্দেশ মত টুথপেষ্ট ব্রাশ, প্রভৃতি বাহির করিয়। আনিল, তোয়ালে আনিল, ছোট গামলা আনিয়া ছোট টেবিলের উপর রাখিল। হরেন্ত্র হাসিয়া বলিলেন, “তুমি এইবার জানাল! দিয়ে পাঁচ মিনিট তাকিয়ে থাক । আমার দাত খিচনে! মুতিটা। তোমাকে দেখাতে ইচ্ছা করি না ।” বিনত1 হাপিয়া বলিল, “বাবা আপনি বড় বেশী এ করেন। অস্থথ করেছে, এখন অত ভদ্রত৷ করলে চলে? আচ্ছ! আমি ততক্ষণ চা-টা করি গিয়ে, আপনি মুখ ধুয়ে নিন”, বলিয়া সে বাহির হইয়। গেল। খানিক পরে চায়ের ট্রে হাতে করিয়৷ ঘরে ঢুকিল। হরেন মুখ ধুইয়া বসিয়। আছেন। বলিলেন, “শুধু একটা পেয়াল। কেন? আর একটা নিয়ে এস। তুমিও থাঁও, সারারাত জেগে রয়েছ ।” বিনতা। আর একট! পেয়ালা লইয়া আসিল। ভাবিয়! হাসি পাইল যে বেশীর ভাগ বাড়ীতেই তাহাকে ঝিদের সঙ্গেই চা, ভাত সব খাইতে দেওয়া হইত। হা'সিট। মুখ হুইতে ভাল করিয়া মুছিবার আগেই সে ঘরে ঢুকিয়া পড়িয়াছিল। হরেন্্রনাথ জিজ্ঞাসা করিলেন, “হাসছ কেন?” বিনতাঁকে কারণটা বলিতে হইল। হরেন্ত্রনাথ বলিলেন, “তাঁদের অত দোষ দিও না বিন্তা। সেখানে টাকার সম্পর্কটাই ছিপ শুধু। তার! টাকা দিয়েছে, তুমি কাজ দিয়েছে। এখানের সম্পর্কট! প্রায় আত্ম'য়তার সম্পর্ক হয়ে গড়িয়েছে, এখানে সে রকম ব্যবহার তুমি কি করে পেতে পার?" বিনতা কিছু না বলিয়। নীরবে চা] ঢালিতে লাগিল। এক পেয়াগ। চা হরেন্ত্রনাথের দিকে অগ্রসর করিয় দিয়। বলিল, “আরো আছে থানিকট! টি পটে ।” হরেন্দ্রনাথ চ1 খাইতে খাইতে ধলিলেন, “এই ক করছ ত অনেক দিন, কিন্ত আগাগোড়াই 26567 করেছ মনে হচ্ছে” বিনত! তাহার দিকে তাকাইয়! বলিল, “:০5০:৮ করিনি, কিন্তু মনে খুব কষ্ট পেয়েছি। ছোটবেলায় গ্রামে যখন ছিলাম, তখন বড়লোক ছিলাম না, কিন্ত গ্রামের মধ্যে আমার বাবারই খ্যাতি ও সম্মান বেশী ছিল পাগ্ডত্যের জন্তে, সাঁধুতার জন্তে। আমি তাঁর মেয়ে হয়ে এতই নীচে নেমে গেলাম? একেবারে ঝি চাকরের দলে চলে গেলাম?” হরেম্ত্রনাথ বলিলেন, “কষ্ট হতে পারে বটে তোমার । অনৃষ্টচক্রে মা্ষকে অনেক রকম ছুঃখ পেতে হয়। অন্ত কোন লাইনে গেলে ভাল করতে । কিন্ত তোমাকে পরামর্শ দেবার ব1 সাহায্য করবার কেউ ছিল না যে। আশা করছি আমি এবার তোমার জন্তে আর একটু ভাল ব্যবস্থা করতে পারব। কোন কাজট1 সবচেয়ে তোমার পছন্দলই হবে তাই ভাবছি। অবশ্য রোজগারও খানিকটা কর চাইত।”% বাড়ীর চাঁকর-বাকরের সাড়া এইবার পাওয়া যাইতে লাগিল । বিন্তা বলিল, “ওরা বখন চ! করবে, আপনার জঙ্কে আবার আনব ?” "আন। তবে ত্বর্ণের ধারে কাছে যেও না।” র "না, না, ও উঠবার আগেই আমি ত্নান করে, কাপড় বদলে ফেল্ব। তাতেই হবে, না?” হরেন্্রনাথ বলিলেন, প্তাতেই হবে। আমার সত্যিই ত আর বসস্ত হয়নি। তবে মেয়েটা অন্থ্স্থ, তাই ভাবনা বেশী। বড় একট! ট্রেতে করে তোমার চাও এই ঘরেই নিয়ে এস।” ১৩৬৭ অনম্তপূর্বা ৩১৩ চায়ের বাসন-কোধণ তুলিয়া লইয়। বিনতা! বাহির হইয়া গেল। সে সব যথাস্থানে রাখিয়া বাহির হইতেছে, এমন সময় ন্বর্ণ হাই তুলিতে তুলিতে দরজার কাছে আসিয়া! ধাড়াইল, বিনতাকে দেখিয়! জিজাসা করিল, 'কেমন আছেন মেজমাম1 ?* বিনতা বলিল, “আছেন এখন একটু ভাল, রাত্রে বড় কষ্ট পেয়েছেন। কিন্তু তুমি রাস্তা ছেড়ে দাড়াও ভাই, আমার কাছে এসে! না । আমিক্নান করে আসি আগে, তারপর তোমার সঙ্গে কথ বলব | “বাবাঃ, তোমাদের এতও ঝামেল।। হয়েছে ত ভারী একটু জর। তাতে এত ছোয়াছু'য়ির ভাবনা । আমরা ত সব এক ঘরেই শুই, অর হলেও ।” বিনত! বলিল, তা শে।ও হয়ত। কিন্ত এখন যে তোমার শরীর ঠিক নেই।” বলিয়। শ্বর্কে আর কথ। বলিবার অবসর ন। দিয়। সে তাড়াতাড়ি স্নান করিতে চলিয়া গেল। স্নান করিয়া নিগ্গে চ1-ট খাইয়াই লইল। রোগীর ঘরে বসিয়। খাইতে কেমন যেন লজ্জা করে। তাহার পর হরেন্ত্রনাথের চা লইয়। তাঁহার ঘরে চলিল। পথে রমেশের সঙ্গে দেখা। বিনতাকে দেখিয়া জিজ্ঞাস! করিল, “মেজদার জর খুব রয়েছে এখনও 1” বিনতা বলিল, ণ্জর আছে এখনও । তবে রাত্রে যতটা বেড়েছিল, ততটা আর নেই ।” রমেশ বলিল, কাল রাত্রে ফিরতে আমার দেরি হয়ে গিয়েছিল। তখন ভাবলাম, আর 11861) করব না। আঙ্গ দরকার হলে আমাকে ডাকবেন।” বিনতা বলিল, “আচ্ছা! । আজ হয়ত ভালই থাকবেন।” চ1 লইয়।৷ ঘরে ঢুকিয়! দেখিল বড় কম্পাউগ্তার বীরেন গ্লাড়াইয়া কথা বলিতেছে। বিনতাকে দেখিয়া নমস্কার করিল, তাহার পরে বাহির হইয়! চলিয়া গেল। হরেন্্রনাথ বলিলেন “চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। এখন জনেকেই খোঁজ-খবর নিতে আসছেন। কিন্তু গুধু আমার চা কেন?” বিনতা৷ বলিল, “আমি থেয়ে এসেছি |” “আচ্ছা । এ ওষুধগুলে| দেখে রাখ, চা খাওয়ার আধঘণ্ট! খানিক পর থেকে খাওয়াতে আরগ্ত কোরো । আমি ভাল থাকতে ত আমার বিশ্রাম নেই, অন্রথে পড়লেই এক বিধ্াম। তা শরীরে বেদী যন্তরণ। থাকলে এ বিশ্রামও কাঁজে লাগে না।” বিনত বলিল, “আজ হয়ত কষ্ট হবে না অত।৮ "আজই খুব বেলী ভাল থাকব না। দেখা যাক, গোলকটাকে বল ত খবরের কাগজ-টাগজ গুলে দিয়ে যেতে । তুমি কাগজ পড়ে! না?” "পড়ি, তবে ইংরিজি কাগজ সব সময় হাতে আসে না। পিসীম! একখান! বাংলা কাগজ নেন, সেটাই পড়ি, যখন তার কাছে থাকি । আচ্ছা, বিছানার চাদর আর বালিশের ওয়াড়গুলো। ব্দলে দিই? কোথায় থাকে ধোওয়! চাদর ?” “উর আলমারিটাতে । এই নাঁও চাবি” বিনতা। আলমারি খুলিয়! চার প্রভৃতি বাহির করিল, বলিল, “আপনার উঠবার কিছু দরকার নেই, আমি এমনিই পারব ।” ৩১৪ গল্প-ভারতী [ অগ্রন্থায়ণ বিছানা ঠিক করিয়! হরেন্দ্রের কপালে হাত দিয়! বলিল, “আপনার অর আর একটু কমেছে বোধহয়। দেখব 1” “মেজদা”, বলিয়া ডাক দিয়া রমেশ এই সময় ঘরে আসিয়া ঢুকিল। জিজ্ঞাসা করিল, “এখন হর কত?” ' “এখনই চ1 খেলাম, দেখব একটু পরে। তা তুই যে এসে জুটলি, যদি £01908107 লাগে ?* রমেশ বলিল, "লাগে লাগবে, কলেজে কি কেউ আমাকে অত থাতির করে চলে? কোন রোগট। ন! ঘণাটছি?” হবেন্্র বলিলেন, “সে কাজের খাতিরে যা কর তা কর। এখানে এখন দরকার ত নেই কিছু, বিনতাই সন করছেন।* রমেশ বঠির হইয়া গেল । বাছির হইতে মোতী বি খবর লইয়া গেল, এবং গোলক খবরের কাগজ দিয়। গেল। হরেন্্র নলিলেন, “বিখ্যাত ব্যক্তি হলে কাগঙে 1011990 ছাপিয়ে দিলে হত, সকলেই একসঙ্গে জানতে পারত ।” দিনের কাজ ধীরে ধীরে চলিতে লাগিল। ছুপুরেয় পর হইতেই জব বাড়িতে আরম্ভ করিল। কাজেই হাঞ্জার অন্থরোধ সব্েও বিনতা। খুম।ইতে যাইতে পাঁরিল না। রোগীর ঘরেই চেয়ারে বসিয়া মাঝে মাঝে দশ পনেরো মিনিট করিয়া বিমাইয়া লইতে লাগিল। হরেন্দ্রনাথ একবার জিজ্ঞাসা করিলেন, “বীরেনটাকে আসতে বলব নাকি? সেরাজী আছে।” বিনত। বলিল, “আজই কিছু দরকার নেই। আমি উপরি উপরি তিন চার রাত জেগেছি কত। আর এখন ত শুধু বসে আছি, করতে হচ্ছে নাত কিছু?” “রারে হবে। আচ্ছ!ঃ আজকের দিনট। দ্েখ। কালকেও যদি ধেশ খানিকটা! ন| কমে, তাহলে আর একট। লৌক একদিনের জন্তে হলেও রাখতে হবে। নইলে তোমার নিশ্চয় অস্থুথ করবে, আমি সেট। একেবারে চাই না” সন্ধা হইতে আবার মাথার যন্ত্রণা সুরু হইল, জরও ব।ড়িল। বিনা আবার আগের রাত্রেরই মত জাগিয়! কাটাইল। তবে যন্ত্রণা অত তীব্র নয়, জরও অত বাড়িল ন।। মাথা টিপিতে হইল ন!, বসিয়া বিয়া চুলের ভিতর দিয়। আঙ্গুলি চালন। করিয়াই বিনত। রোগীকে ঘুম পাঁড়াইয়া দিল। শেষ রাত্রের দিকে কিছুক্ষণ হাত পা টিপিতে হইল । ভোরবেল। হরেন্্রনাথের ঘুম ভাঁঙিল। বলিলেন, “সকালের কাজগুলে! করে দিয়ে তুমি ছুটি নাও আজকের মত। সন্ধার আগে আর এদিকে এসো না। বীরেনকে ডেকে পাঠাচ্ছি, সে দ্বিনের বেঙাটা খাঁকবে। রাত্রে হয়ত আবার তোমায় ডাকতে হবে। তোমার পরিচর্ধ্য। ছাড়া ঘুমতে পারব না।” বিনত! বলিল, “আপনি অনর্থক ভাবছেন দেখুন। আমি ঠিক পারব। আচ্ছা, আপনি বীরেন- বাবুকে ডাকুন ছুপুরের জগ্গে, মামি একটু ঘুমিয়ে নিই, তার পর আরে! তিন রাত উপরি উপরি জাগতে পারব। অবশ্ট তার দরকার হবে না। আজ ত মনে হচ্ছেজর আরে! কমে গেছে।” . ইরেন্্রনাথ বলিলেন, “দাও দেখি থার্দ্োমিটারট|, কম হতে পারে।” জ্বর সকালে খুবই কম দেখা গেল। হরেন্ত্রনাথ বলিলেন, “কাল হয়ত ছেড়ে যেতে পারে। মাথাটাও হাল্কা হয়ে গেছে, গলাটা ও 1১8661, এ নিতান্ত তোমার সেবার গুণে বিনতা। যেরকমভাবে আরম্ভ হল, তাতে আশ। করিনি থে এত সহজে নিষ্কৃতি পাব।” বিনত। বলিল, “আগে একেবারে সেরে যান ত?” হরেন্্নাথ বলিলেন, “কাল না হয় পরপ্ড সেরেই যাখ। এক গশতকাঁর কিছুদিন আগে বলেছিলেন বটে যে, শীগগিরই একট! শারীরিক উৎপাতের সম্ভাবনা! অছে।” বিনত। বলিল, “এইটুকুই বলতে বুঝি তার বুদ্ধিতে কুলল? ভাল কিছু বলতে পারলেন ন1?” ভালমন্দ ঢের কিছুই বলেছেন। কতদুর ঘটে ওটে দেখা যাঁক। দাও এখন ওষুধ। আর আমার ডিস্পেন্সারিতে একটা টেলিফোন করে এস, বীরেন যেন দশটার পরে চলে আলে । চারটে পধ্যন্ত তাকে থাকতে হবে ।” বিনত। নির্দেশ পালন করিয়া আসিল । ফরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “আচ্ছা, এখন ত অনেকটা ভাল আছি। তোমার ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আলোচন! করাযাক। তোমার এমন কিছুর মধ্যে যাওয়া উচিত, যার 00089 খুব লম্বা! নয়, ধর ছ"মাস থেকে একবছর । এর ভিতর গান ভাল করে শিখতে পার? বেশ শেখাবার মত ?” বিনতা বলিল, “গানের £9০০080189৭ স্ুল বা কলেজ যা আছে, সেগুলোর ৫০00189 অত ছোট নয়, চার পাচ বৎসর লাগবে । বাড়ীতে শেখ! যায় অল্প সময়ে ওত্ভাদ রেখে, কিন্তু সে একে খরচ অত্যন্ত বেনী, তার উপর একট! ডিগ্রী বা ভিপ্রোমা না থাকলে, চাকরি পাওয়ারও স্থবিধ। থাকে না।” হরেন্দ্র বলিলেন, “মা্টারীর লাইনে যদ্দি যাও, তা সেও চার পাচ বৎসরের কম হবে না। অন্তত: বি. টি. পাস না! করলে ত ভাল কাজ পাবে না?” “সেই ত, কোনদ্িকেই স্থগম পথ কিছু নেই ।” ভরেন্্র বলিলেন, প্অল্লসময়ে, মানে এর চেয়ে অল্প সময়ে, নাসিংএর ডিপ্লোম। তোমার ছুটে যেতে পারে। অনেকদিন একাজ করেছ, সেটারও খানিক মূল্য আছে। তবে এই লাইনের যোগ্যতা তোমার যতই থাক, কাজট। তুমি পছন্দ কর না। আমারও ভাবতে ভাল লাগে ন। যে তুমি চিরকাল রোগ থেঁটেই দিন কাটিয়ে দেবে । আরো দ্বু একট! লাইন আচে অবশ্য, কিন্তু সে বিষয়ে ভাল করে খোঁজ-খবর না নিয়ে কিছু বল্ব না ।” আজ সামান্ত কিছু পথ্যও সেবন করিলেন। থাইয়া-দরায়া বিনতা যখন আবার হরেন্দ্রনাথের ঘরে ঢুকিগ, তখন বীরেন আসিয়া বসিয়া আছে। ওঁধধাদি কখন কি দিতে হইবে সব তাহাকে বুঝাইয়! দির! বিনা বলিল, “ঠিক চারটে বাপ্লেই আসব আমি। আপনার চ। একেবারেই নিয়ে আসব ।” ঘরে চুকিতেই শুনিল স্বর্ণের ঘরে উচ্চকণ্ঠে কাহার৷ গল্প করিতেছে । আজ ছুটির দিন, রমেশের কলেজ নাই, তাহারই গলা । দ্বর্ণের কোন এক প্রশ্নের উত্তরে সে বলিল, “মেজদার আবার ভাবনা যা ঞোর কপাল নিয়ে জন্মেছেন। আমাদের জর হলে কেউ কখনও বাট! মেরেও জিগগেস করে ন|। আর ওকে দেখ, এমন মোলায়েম সেবা! পাচ্ছেন ষে মাথা ধর! সারার বদলে আরে বেড়ে যাবে । এমন বধ কি লোকে হাতছাড়। করতে চায় সহজে?” প্র্ণ বলিল, “তুমি বড় ফাজিল বাপু। নার্স সেব করছে তাও ভোমার সয় না? নিজেরা গেলেই পারতে?” | প্আমাকে ত ধরে ঢুকতে দিতেই চাঁয় না, মেজদা । নাস বটে, তবে শুর নাস হয়ে জাসেনি ত?” ণ ৩১৬ গল্ল-ভারতী [ অগ্রহাণ “তা নাই এল। ওর ত আমার পিছমে বেদী খাটতে হচ্ছিল না, বসেই ছিল প্রায়। একজন মাছব অত কষ্ট পাচ্ছে, দেখে যাবেনা? তাও মেজমামার মত মানুষ, যিনি নাকি সকলের জন্তে সব করতে প্রস্তত।” "সাধে কি আর বলি মেজদার কপাল ভাল? তৃমি হেন চীঞ্জ, তুমিও তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ»” গল্পট! এবার তাহাদের অগ্রদিকে চলিয়া গেল। কণ! গুনিয়। প্রথমে বিনতার রাগ হুইল, কি ফাজিল ছেলে, সভ্যই। তাহার পর ভাবি তাহার যাচিয়। সেব। করিতে যাওয়ার এইক্ধপ অর্থ মান্ষে করিলেও করিতে পারে। অন্ত কত জাক়গণয় সে কাঙ্গ করিয়াছে, কিন্ত যাহ। নিদিষ্ট কাজ, তাহার বেশী করে নাই। কিন্তু কোথায় ব সে নিজে পাওনার বেদী পাইয়াছে? এখানেও ত দেনা-পাওনা সমানই যাইতেছে না? সে পাইতেছে বেশী, বিবার ইচ্ছাও ভাঙার বেশী। যাহা পাইতেছে তাছারও বেণী কি? চিস্তার ধারাট। সে জোর করিয়া অন্গদিকে ঘুরাইয়৷ লইল। দুপুর বেল! খানিকক্ষণ ঘুমাইল। অবশ্য যতক্ষণ ঘুমাইবার ইচ্ছ! ছিল তাহ! পারিল ন1। মনট৷ ছটফট কফিতে লাগিল। বীরেন ঠিকমত পরিচধ্য| করিতে পারিতেছে কিন! কে জানে? দায়িত্ব জান ঠিকমত আছে কি? ঘড়ি দেখিল প্রায় তিনটা । এখনও ঘণ্টাথানিক তাহার ছুটি আছে। কি করিয়া কাটা বায়? বই লইয়া! পড়িতে আরম্ভ করিল, কিন্তু মন ভাল করিয়া লাগিল না । অবশেষে চারটা! বাঞজিবার জোগাড় করিল। বিনত৷ উঠিয়া, মুখ হাত ধুইয়, চুল বাঁধি! প্রস্তত হইয়। লইল। চা তৈরি হইতেছে কিন দেখিবার জন্ত খাইবার ঘরে গেল | গোলক চা করিতেছে। চ| ও খানকতক বিস্কুট লইক্সা হরেন্্রনাথের ঘরে ঢুকিল। বীরেদ নাই, হরেন্ত্র একলাই শুইয়া বই পড়িতেছেন। চায়ের ট্রে টেবিলের উপর নামাইয়। রাখিয়া বিনত। প্রিজন! করিল, “বীরেনবাবু এরই মধো চলে গেছেন ?” হরেন্্রন।থ বলিলেন, “অনিচ্ছুক মানুষকে বেশীক্ষণ ধরে রাখতে জাঙ্গ লাগে না। তাই আধঘগটা জাগই ছেড়ে দিক্ষেছি। তুমি চ1 খেয়েছ? “না খাইনি। আমারটাও নিয়ে আসছি ।” বলিয়া বাছির হইয়া গিয়। একটা পেয়াল। লইয় আসিল। জিজ্ঞাসা করিল, “কেমন আছেন এখন? জকি উঠেছে? মাথা! কেমন আছে?” হরেন বলিলেন, “জর সামান্য একটু আছে। মাথাট! ত তালই 191959 করছে এখনও পর্যন্ত । স্ব বেরিয়ে গেছে বোধয় 1” বিনতা কলিল, “কোথার গেল?” "একটু আগে আবেদন পাঠিয়েছিল তার ঝিকে দিয়ে। সে তার পিস্শাশুরীর বাড়ী যেতে, চায় রাত্রে আনবে। একলা ঝি তার গল্প করার স্পৃহা মিটতে পারছে না বোধহয়। যেতেই বল্প'ম। গাড়ী ভাঙে পৌছে ছয়ে, ফিরল কিনা, সেটায় খবর নিও খানিক পরে। চা-টা ঢাল। তোমারও কি বিদ্কুটেট ক্ষিদে বাবে?” বিনগ্জা বজিল, “বিকেজে আছি চিরধাঙ শুধু ঢা খাই।, এখানে আপনি জেদ করেন বলে, কিছু খেতে হয়।” চ ১১৩? ] টি হরেন্নাথ বলিলেন, “নিতাস্ত আর দুজন প্রাণী তোমার উপর নির্ভর করে আছেন তাই, ন| হলে চাঁক্রী-বাকরীর তোমার দরকার হত না। দিব্যি পিসীমার বাড়ী না খেয়ে বসে থাকতে । আজচ্ছা, একটা কথা জানতে চাই। তুমি বিধবার মত বেশ কর কেন?” মিনিট খানিক চুপ করিয়া থাকিহ! বিনত। বলিল, “দ্বেখগাম এই বেশটা একটু আড়ালের কাজ করে। মানুষে বেশী নঞ্র দেয় না।” হরেন্্র জিজ্ঞাসা করিলেন, “নজর দেওয়ার উৎপাতও ঘটেছে তা হলে?” বিনত কলিল, “কিছু কিছু এ উৎপাত সঞ্লকেই সহা করতে হয়। “যিনি আমায় কাজ জেন, সেই মিসেস্‌ রক্ষিত আমায় প্রথমেই সাবধান করে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন ভয় ন। পেতে, বেশী 00896 না হতে ।” হরেন্জ্র বলিলেন, “বিধবা! সেজে বিশেষ কিছু লাত হয়েছে 1” “ধুব না হোক, কিছু হয়েছে। একটু যেন দৃষ্টিপাতের অযোগ্য ভাবে মানুষর। |” হরেন বলিলেন, “ভাল । স্বজাতি সম্বন্ধে শ্রদ্ধ! কিছু বাড়ছে না। আচ্ছা, এইবার চায়ের রাসনগুলে! সরিয়ে রেখে এস। যদিও বেদ্দেছে মোটে সাড়ে চারটা, তবু মেঘের কল্যাণে অন্ধকার হয় এমেছে। একবার ইচ্ছা করছে মালে। জালতে, আবার এই বাদল অন্ধকারট। উপভোগ করতেও হচ্ছ করছে । একট! গান গুনিয়ে দেবে?” “আপনি শুনতে চাইলেই গাইতে পারি। কি গান গাইব ?” বালিশে ঠেশ দিয়! একটুখানি উঠিয়া বসিয়। হর়েন্্রনাথ বলিলেন, “সেদিন “এরে ভিথারী সাজায়ে কি রঙ্গ তুমি ফরিলে,” গেয়েছিলে। গানট। অপন্ধপ, তুমি গেয়েও ছিলে অতি সুদ্দর করে। রিন্ধ ও গান আঙ্জ শুনতে চাই না। তুমি মীরাবাইএর গান-টান কিছু গাও আগে। তারপর বাংল! গান শুনব । সর্বশেষের জগ্কেই মিষ্টি জিনিষ রাখতে হয়।” বিনত। প্রথমে গুনগুন করিয়া, পরে একটু গল! চড়াইয়। গংহিল, “মেরে জনম মরণকে সাথী, ক্ষণে নহী বিসরু দিন রাতি। তুম্‌ দেখ্য। বিন ফলন পড়ত হায়, জানত মেরী ছাতী। উঠী চধ চু পদ্থ নিহাক্ষ, রোয়, রোগ, আাখিয় রাতী" চোখের উপর হাত চাপ! দিয়! হরেন্ত্রনাথ গান গুনিতেছিলেন। হঠাৎ ভাত সরাইয়। বলিলেন, "মানেট। জান নিশ্চয়ই ?* “জানি | "একটু বল ত।” বিনত|। বলিল, “হে আমার জনম মরণের সাথী, তোমাকে হেন দিন রাতে কখনও বিশ্বত না হই। তোমার দর্শন বিনা শাস্তিলা হয় না, আমার অন্তর ইহ! জানে। উচ্চে উঠি! আমি তোমার পথ নিরীক্ষণ করিতেছি । ক্রন্দন করিয়। করিয়! আমার চক্ষু রক্রবর্ণ হইয়াছে ।* হরেন ধলিলেন। “এ মানে কোথায় গেলে?” ৩১৮ স্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ বিনতা ধলিল, “বাধার ক'ছে একখানি 'বঙ্গদজীত” ছিল, তাতেই এ ব্যাখ্যা ছিল। বাবা গানের কণার সঙ্গে এগুলিও মুখস্থ করিয়েছিলেন ।” হরেন্দ্রনাথ মিনিট ছুই চুপ করিয়া রঠিলেন,' তাহার পর বলিলেন, “গানটাই তোমার যথাযোগ্য 0999] হত, কিন্ধু খড় যে সময় লাগবে । খুধ যদি আধুনিকা হতে, তাহলে বলতাম 0195 10808 ৪1081 হও, তাতে পয়সাও ছিল। কিন্ধ সম্ভবতঃ তোমার ভাল লাগত না” বিনতা। বলিল, “ভাল সাঁত্যই লাগত না। গান গাই প্রাণের শাস্তির জন্কে। কিন্তু পয়সার খাতিরে সারাক্ষণ যে য। গাইতে বলবে তাই গইণ, এ হয়ত ভাল লাগত ন1।১ এমন সময় শুরেন্দ্রনাথের দুই দদ্ধু তাহাবে দেখিবার জন্য আসিয়া উপস্থিত হইলেন। গোলকের সাহাযো ঘরে আরো গোট। দুই তিন চেয়ার আনাইয়। দিয়। বিনত। প্রস্থান করিল । সে রাত্রে হপেন্ত্র ভালই ঘুমাইলেন। পরপিন সকালে দেখা গেল, তাহার অর ছাড়িয়া! গিয়াছে। ৬ সকাল হহতেহ খিন্তাকে ডাকিয়া হরেন্দ্রনাথ খলিলেন, “আমার ব্যবহার করা সব কিছু ধোপারবাড়ী পাঠিয়ে দাও ।” খিনত| বলিল, “অ।জকের দিনট! না দেখেই 1?” “কতকগুলে। ত দিয়ে দাও। আর নিজের কাপড়-চোপড় সব 106৮০] দিয়ে কেচে নাও। আবার ত সকলের লঙ্গে মেলামেশ। করবে ।” “আচ্ছা, তা নিচ্ছি। ডিস্পেন্সারির কাউকে ক্ছি খবর দিতে হবে?” “খীরেনটাকে একবার ডেকে দিও । আর দেখ নিজে খুব ভাল করে বিশ্রাম কর। কিছুতে যেন অন্থথ না করে। খিনত। খশিপ, "আমার হাড় শক্ত হয়ে গেছে। রাত জাগা নূতন নয় আমার কাছে, 101806707 সম্বন্ধে আমার একটু 1000)0016 হয়ে গেছে। আমার কোনে! অস্ত্র করবে ন11” “অত বড়াই আগেই কোরে! না, দেখ ছু চার দ্বিন।» সেদিনটা ভালই গেল। কোনে অন্থথ কাহারও করিল ন|। ছুপুরে নিরুপদ্রবে অনেকক্ষণ ঘুমাইয়। লইল বিনতা। মধ্যে মধ্যে গিয়া! হরেন্্রনাথের খেজ লইয়া আসিতে লাগিল। তাহারও শারীরিক কোন কষ্ট আছে বলিয়া বোধ হইল ন|। দু একদিনের ভিতরই হরেন্দ্রনাথ উঠিয়। পড়িলেন। যেদিন অক্পপথ্ায করিলেন, সেইদিনই থাখার টেধিলে বসিয়া বলিলেন, “নিজে ত সারলাম, এখন রুগীগুলির আমার কি দশা হয়েছে, দেখতে হয়। কণ্টা মরল কেজানে? তাদের দেখার ভার অবশ্য আর একজন ডাক্তারের হাতে দিয়েছিলাম, তবে তিনি কতদুর কি করতে পেরেছেন জানি না।” তর্ণ বলিল, “এখনই আবার ছুটোছুটি করবে? হূর্বল লাগে না?” “লাগছে খানিকটা! । খুব ছুটোছুটি এখনই করতে পারব না। তবে সকালের দিকে একবাল্প করে বেরতে হবে। কয়েক ধিন এখন এই রকম চলুক। তারপর আবার ন্সান্তে আস্তে ফিরে যেতে হবে আমার পুরনো রুটিনে। শিনত। এবার পড়াশোনাট। আরম্ত কর।” ১৩৬৭ ] অনম্থপূর্বা ৩১৯ কর্ণ বলিল, “সময় কোথায় পাবে? আমার ঝি ঠাকুরুণ ত আবার চললেন। তার মেয়ের অন্থথ করেছে।” বিনতা বলিল, “তোমার কাজ 'গার কতটুকু? ওরহ মনো ঢের সময় করতে পারব আমি ।* স্বর্ণর তখন চিঠি ত্খার প্রয়োজন ছিল, সে উঠিগা গেল। বিনভাও উঠিতে যাইঙেছিল, হগেন্দ্রনাথ বলিলেন, “তোমার এখনই কোন কাজ আছে ?” বিনত| বলিল, “এখনই কাজ কিছু নেই ।” “তাহলে বোসে। এখানে একটু ॥ তোমার রঙ্গে থান আলোচনা দরকার।” খিনতা বসিল। হরেন্দ্র বলিলেন, “মেয়েদের অনেক রকম ০27907 ত আছে আজকাল, কিন্ত চিরকালের ০৪79:টার খিষম কি ভেবেছ তুমি ?” ৰিনত! কম্পিত কণ্ঠে বলিল, “কসের কথা বলছেন আপন ?” “এই ঘর-সংসার করা । য| সব নয়েই করে আমাদের দেশে ।” বিনতা বলিল, “তা ৩ আমার আর হওয়া সম্ভব নয়, আপান ত ভানেন আমা ইতিহাস, আমদের দেশাচারও জানেন ।” “জানি সবই। গ্রামে ফিরে গিয়ে বিয়ে কর যাকে হোক একটা, এ আম বলছি না। সম্ভব সেটা হয়ত নয়। কিন্ত ধর এমন ছেলে যাঁদ পাওয়া যায়, যার এসব কুসংস্কার নেই, রাষ্ত্রীয় আইনে সে তোমাকে স্বচ্ছন্দ বিয়ে করতে পারে। কলকাতা ই থাকবে ভোমরা, পল্লীনশাঞ্জ নিয়ে ভাতে হবে না। অবস্ত খু উদ্ধার হৃদয়, সচ্চরিত্র ছেলে হওয়া দরকার, যে ভোমার পুব হীহহাদের কথা জীবনে আর তুলবে না। এ রকম যর্দি পাওয়] যায়, তকি বল তুমি?” বিনতা অনেকক্ষণ নী:ব হহয়। রহিল, তাহার পর বলল, “দেখুন এ বিষয়ে কারো সঙ্গে কখনও কথ! বলিনি অ|মি, বলবার কেউ ছিলও না৷ । আজ আপনাকে বলছি । আপনি আমার অনাত্মীয় এ ভেবে সক্কোচ আমি করব ন।। নিকটতম আত্মায়কে যে ভাবে ব্ল্ভাম। «সই ভাবেহ বল্ছি। গ্রাম থেকে যখন পালিয়ে আসি, তখন স্থিরই করেছিলাম, বিয়ে আমি আর করব না । আমাদের দেশে সত্রাপোককে কেউ পুরোপুরি মানুষ ভাবে না, মানুষের মত ব্যবহারও করে নাঃ তার্ধের ধঙ্গে। আর আমার পাশ। থেলার গুটি হবার ইচ্ছা! ছিল না । তবে সেটা অত্যন্ত আঘ|ত খাওয়ার একটা৷ প্রতিক্রিয়া । ক্রমে সে জালাটা জুড়িয়ে এল, মন আর মতের কিছু পরিবর্তন হল। আমি মাশুষ ত সমাঞ্জ আমাকে যাই ভাবুক । তাহ সাধারণ মেয়ের মত .ঘর-সংসার করার ইচ্ছাও যে কখনও হয়নি তা বলতে পারি না। তবে এক বিষয়ে মত আমার স্থিরই রইল ,» হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “কি বিষয়ে 1” মাথা নীচু করিয়া মুছুক্ঠে বিনতা বলিল, “নিজের 'ভরণপোষণের জনন বিয়ে আমি করব ন।। এমন কাউকে বিয়ে আমি করব না, ধাকে আমি ভাল করে না চিনি। শুধু আমার জগ্চেই আমাকে নিতে চায় এমন মানুষ যণ্দ কেউ থাকেন তাহলে আমি তেখে দেখতে পারি। তাও যদি তার প্রতি আমার পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা আর বিশ্বাস থাকে । খিয়ের পর আমি হঠাৎ আধিক্ষার করতে চাইনা যেআমি নিঘ।রুণ ভূল করেছি ।% হরেজনাথ বলিলেন, “তোমার সংকল্পের বিরুদ্ধে কিছু আমি বলতে চাই না, এইটাই হওয়া উচিত। ৩২০ গল্লপ-ভারতী [ অগ্রায়ৎ তবে এরকম ছেলে পেতে ছলে তোমার পাচজনের নঙ্গে মেলামেশ! করা দরকার। আর সকল দিক দিয়ে ফোগ্য পাত্র অন্ত লোকে খুঁজে দিতে পারে, কিন্তু তুমি কাকে ভাল্বাদতে পারবে, সে তুমি ছাড়। ফে বুঝবে? যদি তোমার আপত্তি ন। থাঁকে, তবে কয়েকজন মানুষের সঙ্গে আমি তোমার আলাপ করিয়ে দিতে পাপি। মান্ষগুলি সচ্চরিত্র এবং পরিবার প্রতিপালনে সক্ষম নিশ্চয় হবেঃ এই অবধি আমি বলতে পারি। বাকিটা, তোমার নিজের পরথ করে নিতে হবে । আমি ব্ল্ছিন! যে তুমি এখন থেকে কাজকর্ম পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে খালি এই এক চিন্তা নিয়ে থাক। তুমি যা করছ সবই কর, লঙ্গে সঙ্গে জীবনের এই দিককার সম্ভাবনাট1ও ভাব। কেমন রাজী আছ?” বিনতা বলিল, “আপনার কথায় রাজী আমি হবই, যা আপনি করতে বলেন। গামার ফল্যাগ!কাজ্জী এবং কল্যাণ করতে সক্ষম, পৃথিবীতে মার কেউই নেই। আপনি আমার জন্যে য| ব্যবস্থা কঃতেন তাতে আমার অমজল কখনও হনে ন।” হরেন্ত্রনাথ একটু বিষগভাবে হাসিয়। বলিলেন, “অতথাশি বিশ্বস কাউকে কি করা যায় খিনত। ? মানুষ চেষ্টাই করতে পারে অন্টের কল্যাণের জন্তে, কিন্তু ফল.ফল ত ভগবানের হাতে? যাই হোক, চেষ্টাট। ত করব। আর দেখ, আর একট। কথ।।", বিনতা বিল, «বলুন ।”, তুমি এই বিধবা সেজে বেড়ীনট। ছাড়। ধরেছিলে যখন প্রথম তখন নজর এড়াবার গন্তেই ধরেছিলে। এখন যে নজরটাই পড়া দরকার তোমার উপর? ভাবী বধূুকে কেউ এরকম সঙ্জায় দেখতে য় না। চেহারাট। ত তোমার ভালই, সেটার স্ব(ভাবিক শ্রী অবলুপ্ত বরার আমন প্রবল চেষ্ট। *াই হ করলে ?", বিনত। বলিল, “সে ত অর্থ সাগেক্ষ ব্যাপার, এখনি করা শক্ত । তা ছাড়া লজ্জাও করবে” লজ্জার কথ] ছেড়ে দাও, তুমি ত অন্তায় কিছু করছ না? আর অর্থ যালাগেতা আমি দিয়ে দিচ্ছি। এতে কিছু সক্কোচ কোরো না। আমাকে অনাত্মীয় ভূমি ভান না, সেই রকম করেই এট। নাও, যেন ঝড় ভাইয়ের কাছ থেকে নিচ্ছ। তাতেও তোমার খারাপ লাগে ত খণ বলেই নাও। যখন পারবে তখন ফেরৎ দেবে।” বিনতা৷ বলিল, “তাই দেব।” টেলিফোনে ডাক আসাতে, হরেন্দ্রনাথ উঠিয়া গেলেন। বিনত। কিছুক্ষণ খাইবার ঘরেই বসিয়া রহিল, তাহার পর উঠিয়। নিজের ঘরে চলিয়া গেল। পড়াগুন। তখন কর! চলিত, কিন্ত কিছু করিতে ইচ্ছ। করিল ন1। বই নাড়িয়া-চাড়িয়! সরাইয়া রাখিল। অনেকক্ষণ শুইয়া শুইয়া চিন্তা করিল, তাহার পর কখন এক সময় ঘুমাইয়৷ পড়িল। জাগিল বখন তৎন প্রায় চা খাওয়ার সময় হইয়। গিষাছে। খাইবার ঘরে আসিয়া দেখিল, সকলেই উপস্থিত, এমন কি ছুটির দ্বিন বলিয়! রমেশও হাজির। সর্ণ বঙ্ি, প্অন্দিন সবার আগে বিনতাপ্িই আসে ব্যবস্থা করতে, আজ সেই সব শেষে এল। এরকম করে ত কখনও ঘুমাও না তুমি? শরীর-ট্রর খারাপ ত করেনি ?” "ন! শরীর খারাপ করেনি, অনেকর্দিন ঘুম কম হয়েছিল, আজ তাই একটু ঘুষিয়ে বিলাম। কেন কাজ ছিল নাকি কিছু?” "না কাজ কিছু ছিল না। আমার ত ভারি কাজ। কতদিন পরে রেখ বিকেলট। পরিষ্কার ১৩৬৭ ] অনম্ঠপূর্বা ৩২১ হয়েছে আজ। ইচ্ছে করছে কোথাও বেড়িয়ে আসি, বা একটা সিনেমা দেখে আসি। কিন্ত কেই ব নিয়ে যাবে? আমি ত শহুরে মেয়েদের মত সব জায়গায় হট হট করে একলা ঘুরতে পারি না?” হরেন্জনাথ বলিলেন, ”বিনতা যাবে ?* বিনতা বলিল, পসিনেমা দেখতে ত ইচ্ছা করছে না, তবে বেড়াতে গেলে যেতে পারি। খোল। হাওয়া লাগানোও মাঝে মাঝে দরকার ।” হরেন্্র বলিলেন, “তাহলে চল সকলে মিলে একধার ময়দানেই ঘুরে আসা যাক। হ্াটাটা স্বর খুবই দরকার। রমেশ যাবি?” রমেশ বলিল, “তোমর! যে আজ বেরবে, তা তজান! ছিল না? আর একটা 00010800608 করে ফেলেছি যে?” হরেআ্নাথ বলিলেন, “মাচ্ছ। তবে যে যেযাণে, সে সে গণ হও। আমিও আসছি একটু ধর থেকে, বলিয়া উঠিয়। গেলেন ।” স্বর্ণ অবশ্য রঙীন শাড়ী, গঃনা পরিয়। রীতিমত সাজিয়! আসিল । বিনতার চুল বাধা ছাড়া আর কিছু করিবার ছিল না। হরেন্দ্র ঘর হইতে বাঠির হহয়া বলিলেন, “তোমার বাজার হাট কি করতে হবে বিনতা, তাড়ীতাড়ি করে নাও। স্বণ্ণকে নিয়ে এরপর তোমাকে প্রায়ই বেরতে হবে। তখন এরকম উধ। সন্ধা! সেজে বেরলে চলবে না। একরকম কাপড়-চে'পড়ই পরতে হবে ।” স্বর্ণ বলিল, “সত্যি মেজমাম।, কি যে মেয়ের জেদ, ভূত সেজে সে বেড়াবেই। এই ত বয়েস, লঙ্জাও করে না। এখনই না হয় বিয়ে হয়নি, কিন্ত হবে ত একদিন, মেয়ে হয়ে বঙ্ন জলে? এই রকম কি করতে মাছে? ভাবী স্বামীরও অমঙ্গল হয় এতে ।” হরেন্দ্রনাথ হাসিয়া বলিলেন, “নাও, স্বর্ণ শিরোমণি কি বিধান দিচ্ছেন শোন। কোন হতঙজ্াগার পরমাধু ক্ষয় করছ কেজানে?” বিনতা বলিল, “বদলেই ত ফেলছি সাজপো যাক ।” ময়দানে খানিক বেড়ান হইল। ন্বর্ণেরই বেড়ান সবচেয়ে প্রয়োজন, কিন্তু হাটিতে সবচেয়ে অনিচ্ছুকও সেই। এতবার তাহার বসিবার প্রয়োজন হইল যে তাহার মেজমামার শেষে বিরক্তি ধরি গেল। বলিলেন, “থাক আজ আর দরকার নেঈ, নিজেকে খুব বেশী শ্রাস্ত করে ফেল! ঠিক নয়। বিনত। কোনে! দোকানে যেতে চাও ?” বিনত। লিল, পসময় ত রয়েছে ঢের, গেলেও হয়।” তাহারা ফিরিয়া চলিল। খানিক দূর গিয়! হরেন্দাথ একটা বড় দোকানে ঢুকিলেন। এবং প্রায় জোর করিয়াই থান দশ শাড়ী ও কয়েকটা জামার কাপড় কিনিয়! বসিলেন। এতগুলি জিনিষ এবং এন্ড দামী জিনিষ কিনিবার ইচ্ছা! বিনতার ছিল না, কিন্ত হরেন্্রনাথের উপর কথা কছিতে পারিল ন1। আবার গাড়ীতে উঠিয়াই ত্বর্ণ বলিল, “কি স্ুপ্দর সুন্দর শাড়ী ভাই, দেখলেই গ্লোকান শুদ্ধ কিনে নিতে ইচ্ছে করে। আন্বক ও, এই পাঁচ ছ'দিন পরেই ত আসছে, চারখান! শাড়ী অন্তত; ন। নিতে আমি ছাড়ছি না।” হরেজলাখ বলিলেন, “দোকানে থাকতে বললে না কেন? চারখান। শাড়ী কি আর মাম! তোম!কে কিনে দিতে প।রত না?” ঙ্২২ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ “আহা, আমি কি পগল নাকি? একে ত খাওয়া-দাওয়া, ডাক্তার, নান, ঝি, কোন খরচটা আয় আমার জন্কে না হচ্ছে? এর উপর আবার শাড়ী কিনি। কেন ও দেবেনা কেন? বেশ আরাম করছে বাড়ী বসে, অ।মার জন্তে ওকে করতে হচ্ছে বা কি?” হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “হ্যা, 0017007)0 27697886 শুদ্ধ সব আদায় করে নিও। ফ।কি দেবে কেন?” বাড়ী আলিয়া শিনত1 শাড়ী জামার ধোঝা লইয়া একবার নিজের ঘরে ঢুকিল। তাহার ঘরেও এখন ড্রয়ার সহ ড্রেসিং টেবিল আসিয়াছে । শাড়ীগুলি তাচার ভিতর ঢুকাইয় রাখিয়া ভাবিল, “কোথায় থেকে কোথায় যে ভেসে যাচ্ছ জানি না। নিজে কোনে দিনই হত এসব আবার পরতাম না, কিন্ত গুর কথা অমাগ্ করার ক্ষমত। আমার নেই ।” সকালে উঠিয়! নরুন পাড় ধুতি আর সে পরিল না। নক্লাকাটা লাল পাড়ের শাড়ী পরিয়াই বাহির হইল। ত্বরণ একেবারে হাততালি দিয়! উঠিল, “দেখ মেলমামা, চেহারা ওর একেবারে বদলে গেছে না? বয়সও যেন কমে গেছে।” মেজমাম! বলিলেন, “বয়েসট। গর অ।সলে কমই। ভারিক্কী হবার জন্তে বাড়িয়ে বেশী বলেন।” বিনতা হাপিয়। বলিল, “মোটেই ত! নয় যদিও । বাড়ীতে যখন ছিলম, তখন মা জেদ করতেন, চাঁর ধছর বয়েস কমিয়ে বলার জন্তে। যখন আমার 'মাঠ:রে! বছর বয়স তখন চোদ্দ বছর বলা হুত। দেখতে আমি ঠিক আঠারো বছরের মতই ছিলাম, কাছেই কিসের জন্টে যে বল! হত জানি না,” খ্বর্ণ বলিল, “ও বাপু বলতে হয় পাড়াগায়ে। আমার ত প্রায় কুড়ি বছর বয়সে বিয়ে হয়েছে, কিন্তু বলা হত তৎন যোলে।।” চায়ের টেবিল ছাড়িয়। অতঃপর যে যাহার ঘরে চলিয়া! গেল। হরেন্জ্রনাথ আজ কাজে বাহির 5ইলেন একবার। যাইবার সময় বিনতাকে লি! গেলেন, “আজ আমার এক ডাক্তারবন্ধু হয়ত চা খেতে আসবেন, জোগাড় রেখো । আর দেখ একট। লোক আমবে আন্দাজ দশটার সময় কিছু সোনার জিনিষ নিয়ে। তার কাছ থেকে বাল৷ হোক, চুড়ি-.ভোক, কিছু একট। নিও নিশ্চয়। দাম বেশীকি কম, সে সব তুমি ভাবতে যেয়ো না। 'আ৷মিই ওদের বাড়ীর ডাক্তার, কাণ্েই টাকার ব্যবস্থা সেই স্থত্রেই হয়ে যাবে।” বিনতা বলিল, “কাঞ্জ করতে এসে 'আমি যে এক উৎপাত হয়ে দাড়ালাম আপনার পক্ষে । আমার ভারি লজ্জা করছে ।” হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “উৎপাত আবার কি? তুমি ত টাকা ধার নিচ্ছ। আর কা করতে এসেছিলে সেট। নাইবা ভাঘলে? রজের সম্পর্কে আত্মীয়তা ছাড়াও অন্ত আর একরকম আত্মীয়তা আছে ত সংসারে? বন্ধুত্বের সম্পর্ক বলে একট! জিনিষ আছে য| রক্ত সম্পর্কের কাছাকাছিই যায়। একজন আর একজনের জগ্ভে অনেক কিছু করতে পারে এ ক্ষেত্রে। এতে লজ্জার কিছু ত নেই? এই যে এত করে সেব। করলে আমার, এতে ত লজ্জাবোধ করলাম না আমি? এটা ত তুমি বন্ধুত্বের দিক দিয়েই করেছিলে, পয়সার জন্তে করোনি? পয়স। দিতে গেলে নেবে?” (িনতা। বলিল, “তা কখনও আমি নিতে পারি ?” হরেন্্রনাথ বলিলেন, ভবে আমার কাজটাও এইদিক ধিয়েই বিচার ফোরে।। আচ্ছা চলি এখন। বখাসস্তব লীগ.গিরই ফিরে আসব।” ১৩৬৭ ] অনন্যপূর্বা ৬২৩ বিন্তা নিজের দিনের কাঁজের দিকে মন দিতে চেষ্টা করিল, কিন্তু মন্ট। তাঁচার বড়ই বিক্ষি্ হইয়। রহিল । কোনো কাজে যেন রস পাইল না। জীবনের ধাঁরা তাহার এক খাঁতে বহিতে ছিল, কে যেন মাঝপথে তাহ! অবরুষ্ধ করিয়া দ্াড়াইল, জোর করিয়। আোতটাকে ভিন্নমুখী করিয়া দিল। ইহাতে তাহার কল্যাণ হইবে ন। অকল্যাণ হইবে? সে বুঝিতে পারে না। কিন্তু তাহার এতবড় হিতাকাজ্ষী উপকারী মাধ আর আছেই বাকে? তিনি যাহ1 চাঠিতেছেন, তাহা ন! করিয়া সে পারে কি? গহন। লইয়া! লোক যথাকালেই উপস্থিত হইল। ন্বর্ণ ত মহ? খুসি অমন শন্দর সুন্দর জিনিষ দেখিয়া । এত ন্ন্দর জিনিষ থাঁকিতে ধিনতা যে কেন দুগাছি প্রেন্‌ কুলী পছন্দ করিল, তাহ। সে ভাবিয়াই পাইল না। যাহা! হউক, সেই দুগাছিই পরাইয়া বিনতার হাত ছুখান। অনেকবার উল্টাইয়। পাণ্টাইয়। দেখিল। বলিল, “কি সুন্দর হাত ভাই তোমার? এত খাট তবু কিরকম নরম ।৮ হরেন্দ্রনাথ ফিরিয়া আসিলেন দশটার পরে। বিনতার অলঙ্কার পর! হাত তাহার দৃষ্টি এড়াইল না। চা খাইবার সময় হরেন্দ্রনাথের এক ডাক্তার বন্ধু, ডাক্তার অমূল্য গুহ আসিয়া উপস্থিত হইলেন। বয়সে হরেন্দ্রের অপেক্ষা কিছু ছোট মনে হয়। চলনসই চেহারা, স্ত্রীও নয়, কুৎসিতও নয়। কথাবার্ত! ভালই বলেন। বিনতা বুঝিতে পারিল ন। যে ইনি কি শ্থত্রে আসিয়াছেন। [বনতা'র সঙ্গে আলাপ করাইধার জন্তই কি ইহাকে আন। হইয়াছে, না অন্ত কারণে আসয়াছেন? বোঝা গেল না ঠিক। যাহ! হউক, মে সকলকে ঢা জলখাবার পরিবেশন করিল, কথাবাত্ডাও বলিল । ম্বর্ণ একবার আসিয়। বসিল বটে, তে কিছু পরেই উঠিয়া পলায়ন করিল । হরেন্দ্রনাথ আর বিনতা বপিয়া অতিথির সঙ্গে কথা বলিতে লাগিলেন। রমেশ সন্ধার দিকে একবার আপিল, চ। থাইতেও বসিল। ডাক্তার গুহকে চিনিত আগে বোধহয়, দুচারট! কথাবার্ত! বলিল। দৃষ্টি! কিন্তু তাছার স্থসজ্জিত বিনতার দিকেই আটুকাইয়া রহিল। হরেন্্রনাথ সেট লক্ষ্য করিতেছেন দেখিয়া শেষে অপ্রস্তত হইয়া চোখ ফিরাইয়া লইল। অতিথি চলিয়! গেলে ব্বর্ণ আবার আসিয়৷ বসিল। বলিল, “তোমাদের সবই সাহেবীয়ান। বাপু । দেশে গ্রামে অমন হুটু করে লোককে অন্দরমহলে আনে না, বাইরে বসায়, সেইখানেই খেতে দেয়।” হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “আমার আবার সদর অন্দর কি? আইবুড়ে। লোকের বাড়ী।” স্বর্ণ বলিল, ত1 হলই না হয়, মেয়েছেলে এখন রয়েছে ত দুজন ?” হরেন্্নাথ বলিলেন, “আচ্ছা! সে ভাবনা তোমার ভাবতে হবে না। এখানে অত পার্দ। কেউ মানে না। এই যে এত সিনেমার ভক্ত, সেখানে কি ঘোমট] দিয়ে আলা] জায়গায় বোস?” "আহা, সে হল, সব অচেনা, তাদের কে ধরছে? আচ্ছা! মেজমামা, যাদে একবার সিনেমায় নিয়ে? তুমি ত বিকেলে এখন কদিন কাজে বেরবে না।” . হরেন্্রনাথ বলিলেন, “যেতে পারি, সবাই যদি যায়। কালযাব নাহয়। রমেশ কাল আর মন্ধ্যায় কোনো ৪00০9879609970 কোরো না ।”5 রমেশ বলিল, “আচ্ছ। |” হরেন্্রনীথ বলিলেন, "তাহলে আজই টিকিট কিনে রেখে দেব। কি ছবি দেখবে? বাংলা, ইংরিঞ্রি। ন। হিন্দী ?” বর্ণ বলিল, “ইংরিজি ত এক অক্ষর জানি না, ছিন্দিও জানি ন। ভাল। বাঁংলাই দেখব। বেশ নাচ গান আছে এমন ছবি | ্ ৩২৪ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ “তোম।য় দেখতে নিয়ে যাচ্ছি যখন, তখন তোঁম!র পছন্দমত ছবিই বাঁছব।” সেপ্দিন চায়ের পরণন্ভী সভ। আর বেণীক্ষণ বসিল না। গৃহস্বামী তাহার নীচের ঘরে একজন রোগী দেখিতে গেলেন। ন্বর্ণ ছাদে উঠিল বেড়াইবার হন্ত, রমেশ প্রস্থান করিল। বিনতা। খানিকক্ষণ নিজের ঘরে বসিয়া বই পড়িবার হেষ্ট। করিল, ভাল লাগিল না, সেও তখন স্বর্ণের অনুসরণে উপরে উঠিয়। গেল। মোতা তখনও বাঁড়ী যায় নাই, রত্রেযাইবে তাগার সঙ্গে স্বর্ণের একটা কি গভীর আলোচন] চলিতেছিল। একল। একল। খানিকক্গণ বেড়াইয়। দিনতা নীচে ন।মিয়া গেল। দোতলায় মান্ষ্গন কেহ আছে বলিয়া মনে হইল না। সব ঘরই অন্ধক|র। পড়াশুনা! করিবার আবার চেষ্ট। করিল, পারিল ন।। মনের অস্থাভাখিক ভারারশস্ত অবস্থায় নিজেই অবাক হইয়া! গেল । তাঁহার ভিতর যেন দুইজন নরী বাস করিতেছে। একনন বুদ্ধি দিয়া সব খে|ঝে, সেই ভাখেই শিজের জীবনকে চাপিত করিতে চায়, অন্থজন কিছু বোঝে না, তাহাকে সম্পূর্ণ অবোধা এক শক্তি তড়াইয়া লইয়! বেড়ায়। পরদিন সক|ল হইতেই স্বর্ন সিনেমার ভাবনা ভ।ধিতে বসিয়! গেল। কি পরিয়া সে যাইবে? গল্পট। কি রকম? কে কে যাংবে? কথন প্রস্তত হইঠে হইবে? মেজমাম! টিকিট করিয়াছেন কি না? সন্ধ্ হইতে তাগার যেন' আর তর নহে ন। তাহার তাড়ায় সঞ্চলেই যথ! সময়ের পুর্বে প্রস্তভ হইল, এবং বাহির হইয়াও পড়িল । হবেন্দ্রনাথ বলিলেন, “দেখ কেমন লাগে। ঠোমার গ'ন শুনবার আগ্রহে “তানসেনে”্র টিকিটই কিনলাম । হিন্দিট। সহজ, আর গল্পও তুমি খানিক খানিক শুনেই নিয়েছে। বিনতারও ভাল লাগবে, যা গানের ভক্ত তুমি। এসেই পড়েছি যখন তখন যথাস্থ।নে গিয়েই বসা যাক্‌।” উপরে উঠিবার আগেই একজন যুবক আসিয়! হরেন্দ্রনাথকে নমস্কার করিল। তিনি বলিলেন, ঠিক সময়েই এসেছেন, উপরে উঠে গেলে থোজ পেতে দেরি ৯ত, অন্ধকারের মধ্যে। ধিনতা, ইনি আমার এক বন্ধু মুগাঙ্ক দত ।” বিনতা। নমপ্ধার করিল, যুবকটি প্রতিনমন্কার করিল, তবে তাহার চোখের দৃষ্টিতে সামান্য যেন একটু বিস্ময়ের ভাব দেখা গেল। বিনত। বুঝিল, এই সেই ছেলে যে স্বপ্নার দেখার দ্রিন বরের সঙ্গে গিয়াছিল। তাহার মামার বাড়ীর দেশের ছেলে। সেদিন বিধবার বেশে তাহাকে দেখিয়াছিল, আজ এত হুসজ্জিত। দেখিয়া ।অবাক হইতেছে বোধ ভয়। উপরে গিয়া সকলে নিজ নিজ আসন অধিকার করিল। হরেন্দ্রনাথের পাশে বিনতা, তাছার পাশে বর্ণ, প্ৰর্ণের পাশে রমেশ। সর্বশেষে মৃগাঞ্চ। বিনতা বুঝিল মৃগান্ক হরেন্ত্রনাথের নিমন্ত্রণেই আসিয়াছে। গীড়িত চিত্তে ভাবিল আমি ভদ্রলোকের গলায় যেন কাটার মত আট্কাইয়া গিয়াছি। কোনোমতে কাহারও ঘাড়ে গছাইয়া দিতে পারিলেই বাচেন। কিন্তু ছি, ছি, এমন অকৃতজ্ঞ আমার হওয়া উচিত নয়। উহার ত কোনো! দায় ছিপ না, আমাকে এমনিই বিদায় করিয়া দেওয়| যাইত। আমার কলযাণ কামনা করেন বলিয়াই তাহার এ চেষ্টা । কিন্তু এ চেষ্টায় কোনে। ফল হইবে কি? ছবি সকলের ভালই লাগিল । দ্বর্ণ আহ উহ করিল খিশ্র, হ্থ।নে স্থানে তাহার চোখে জল আসিয়াই গেল। হরেন্ত্রনাথ বিনতাকে প্রিজাসা করিলেন, *তোমার কেমন লাগছে বিনতা? গানগুলো শিখে দিতে পারবে, একবার শুনে? তানসেনকে জীবন্দান করার জন্তে মেয়েটির গানট। ভারি সুন্দর । ওরকম গান গুনলে মরতে মরতে বেঁচে ওঠাও সম্ভব বোধহয় ।” ৮৫ অনন্যপূ্বা ৩২৫ বিনতা বলিল, “লাগছে ত খুব ভাল । তবে একবার শুনে কি আর শিখতে পারব ?” বাহির হইয়া যৃগাক্ক সকলকে নমস্কার করিয়। ও রমেশের সঙ্গে কয়েকট। কথা বলিয়া প্রস্থান করিল । বিন্তা'র! বাড়ী ফিরিল। ন্র্ণ মারাঁপথ বক্নক্‌ করিল। রমেশ দুচারবার বিদ্রপ করিবার চেষ্ট। করিল, বিশেষ সফলকাম হইল না। ্বর্ণ উপরে উঠিতে উঠিতে বলিল, “কি চমৎকার ভাই! দেখে কেঁদে মার বাতি না। হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “নুন্দর জিনিষ দেখলে কি তোমার কান পায় স্বর্ণ ?” “তা পায় মাঝে মাঝে । খুব খুসি হলেও ম'ঝে মাঝে কেঁদে ফেল ।” “তা হলে তোমার চোখের জলের মানে বোঝ সহজ নয় দেখছি |” ত্বর্ণ বলিল, “কার্ই বা সহজ ?” ৭ মোতী ঝি চলিয়া গেলে দিন ছুই বিনহার ক|জ বাড়িল। স্বর্ণ কথা ন1 বলিয়! থাকিতে পারে না, সারাদিনই তাহার গল্প শুনিতে হয়। 'আক্তকাঁল কেন কে জানে শিনভাঁর পড় অপির্য্য লাগে । কেন এ মেয়েটি এমন অনর্গল বকিয়া মরে? অথচ ইভাঁর পরিচর্ধা। করিবার জন্তুই বিনতাকে আনা হইয়াছিল! সেকথা ধেন সে তুিয়াই গিয়াছে । সে ঘর সংসার দেখে, হরেন্নাথের বন্ধু-বাঁন্ধণ 'জাসিলে তাভাদের মন্বর্ধনার ব্যবস্থ| করে, আলাপ করে, এবং ত্বর্ণের দেখাশোন! করে এবং তাচার বরের গল্প শোনে। হরেন্ত্রনাথ কাজ করিবাঁর সময় বাড়াইয়াছেনঃ তবে পুরাদস্বর কাজ এখনও করিতেছেন না। অনেক সময় বাড়ী থাকেন | বৈকালিক চায়ের আসরে বদ্ধু-বান্ধবের আগমন প্রায়ই হয়। ডাক্তার অমূল্য গুহ প্রায় আসেন, মৃগাঙ্ককেও মাঝে মাঝে দেখা যাঁয়। আর একটি ছেলে আসে সে বাঙালী নয়, কিন্ধ বাংলাদেশে থ|কিয়। থাকিয়। বাঙালী হইয়! গিয়াছে । নীম বিম।নপিহারী। চেহারাটা বেশ স্ুশ্রী। বিনতার সহিত আলাপ-পরিচয় সকলেরই খানিকট। হহয়াছিল। তাহার ইতিহাস ইহারা সকলেই জানে হয়ত। কথাবার্তায় কিছু বোঝা যায় ন।। যুগাঙ্কের সবই জানার কথা, সেও কিছু ধর1 ছোওয়া। দেয় না। কি শ্থক্রে যে হরেন্ত্রনাথের গৃহে এমনভাবে খিনতা আছ্ছে হাহা কেহ কিজানে? না বলিয়। দিলে কাহারও ত বুঝিবার সম্ভাবনা! নাই। সে যেন এবাড়ীর কর্তার ভগিনী কি 'নন্য কোনো স্সেহাম্পদা আত্মীয় । সেই ভাবেই সকলে ব্যবহার করে তাহার সঙ্গে । রমেশ ইহ! লইয়! সাঁর।ক্ষণ মন্তন্য করে ত্বর্ণের কাছে। অবশ্ঠ মেজদ। ব। বিনতা যাহাতে শুনিতে না পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখে। | ত্র্ণ সোঞ্জান্ুজি মানুষ, সে একদিন বলিয়। বসিল, “তোমার অত ছিংসে কেন বাপু? বিনভাদি কি তোমার ভ1গট। কেড়ে নিচ্ছে? মেজমাম! ত সংসারি নয়, টাকাও আছে ঢের। যদি অনাথ! মেয়ের জন্তে কিছু করেনই ত1 তোমার বুকে কাটা ফোটে কেন? “অনাথাকে সনাথা কর।র যে রকম চেষ্টা করছেন, তাতে মনে হচ্ছে, শানাই বাল প্রায় বাড়ীতে ।” ত্বর্ণ বলিল, “ত। বাজুক না । ক্ষতি কি?” ক্ষতি আরকি? ভাবছি ঘরে ঘরেই ন| হয়ে যাঁয়।” বর্ণ তাহার পিঠে এক চড় মারিয়া বলিল, “কি যে বক তুমি রমেশ মাম! তাঁর ঠিক নেই। মেজমামার বদি বিয়েতেই মন থাকবে ত| হলে এতদ্দিন তিনি বসে আছেন? ওর মত স্পাত্র, চাইলে ত রাঁজকন্ত| বিয়ে করতে পারতেন ।” ৩২৬ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ “খেয়াল হয়নি তখন, এখন হয়ত হচ্ছে। সুন্দরী মেয়ে যদি সারাক্ষণ চোখের সামনে খুরঘুর করে, আর দরকার হলেই গান শোনায় আর গায়ে মাথায় হাত বুলোয়, তাহলে মন সেদিকে ন! গিয়ে পারে পুরুষ মাগষের? যতই শুকদেব গোস্বামী হোক! দেখ এখন গরীবের কথা বাসি হলে মিষ্টি লাগে।” ত্ব্ণ বলিল, “হোকু না, আমার কি বয়েযাচ্ছে? আমি কিছু অখুসি হব না। বয়সে খানিকট। ছোট হবে এই যা। নইলে ও খুব ভাল মেরে, সুন্বরী মেয়ে, ভদ্রঘরের মেয়ে। লেখাপড়াও জানে, গান জানে, সেলাই জানে ।” “তুমি যে ঘটকণীর মত পাত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ একেবারে ।” এমন সময় সিঁড়িতে হরেন্দ্রনাথের পায়ের শব গুনিয়া রমেশ সেখান হইতে পলায়ন করিল। স্বর্ণ কথা পেটে বাঁখিতে পারিত ন।। গল্প-গ1ছার সুত্রে কিছু কিছু বিনতার কানে গিয়াও পৌছিল। রমেশের উপর বিরাগ আরো খানিকট! তাছার বাড়িয়া গেল। বিনতার দিন ভাল যাইতেছিল না। এখানে এত যত্বে সে থাকে, এত খাওয়া-দাওয়ার ঘটা, এত বিশ্রীমণ পায়, অথ ভিতরে ভিতবে দারুণ একট! দুর্বলতা! অনুভব করে। মনও যেন সার!ক্ষণ বিভ্রান্ত, পথ খুঁজিয়৷ পায় না। ভবিষ্যৎ জীবনট। ক্রমেই যেন ঝাপসা হুইয়। আসিতেছে । এ বাড়ীতে কর্্মকোলাহল লাগিয়াই থাকে। বদ্ধু-খান্ধব নিত্য আসে, নিজের মন লইয়া বসিয়। থাকিবার সময় সে খুব পায় না। পড়াণ্ডনাও করে ইহার মধ্যে মধ্যে। ব্যাপারটা হরেন্ত্রনাথও লক্ষ্য করিতেছিলেন। সাময়িক কিছু গোলযোগ হইয়া থাকিবে, ভাবিয়া কিছুই বলিলেন না৷ প্রথম। কিন্ধ বিনতার মুখ আরও যেন বিমর্ষ হইয়। যাইতেছে । একদিন সকালে চা খাওয়ার পর তাহাকে নিজের ঘরে লইয়া! গিয়! বলিলেন, «কি হয়েছে তোমার ?” বিনতা নিজেকে যেন একটুখানি সাম্পাইয়া লইয়। বলিল, “কিছু ত হয়নি ।” “কিছু হয়নি ত, ক্রমেই শুঁধিয়ে যাচ্ছ কেন? মুখটাই বা অত 7219 হয়ে গিয়েছে কেন? ঘরেই একটা ডাক্তার রয়েছে তাকে বল! ত যায় দরকার হলে 1?” বিনত। বলিল, “দরকার হয়নি বলেই বলিনি” হরেন্দ্রনাথ খানিকক্ষণ বসিয়া তাহণকে শরীর সম্বন্ধে নানারকম প্রশ্ন করিলেন, তাহার পর বলিলেন, “তুমি থাও বড় কম, আর একটু বাড়াতে হবে। খোল! হাওয়াও তোমার আরে! বেশী দরকার। স্বর্ণকে আরও বেণী টেনে বার কর না কেন?” “না বেরোতে চাইলে কি করব? ও ঘরে বসে বসে গল্প করতেই ভালবাসে । আর এখানে ও আছেই বা কতদিন? বলছে ত ওর স্বামী এলে তার সঙ্গে ফিরে যাবে।” হরেন্ত্রনাথ বলিলেন, “গেলেই হল আর কি? ও ত কিছুই সারেনি। পাড়াায়ে গিয়ে এক বিপদ? করুক আর কি? ওর স্বামীকে বুঝিয়ে বলতে হবে। ও চলে গেলে নিজেও ছাড়া পাবে এই আশায় বুঝি খুব খুসি হয়ে উঠেছ ?” বিনত মিনিটখানেক চুপ করিয়! থাকিয়া বলিল, “আমার খুসি হবার কি আছে এর মধ্যে?” হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “তবে খুসি হওনি ?” বিনতা। হাসিতে গেল, কিন্ত সে চেষ্টার তাহার চোখে প্রায় জল বাহির হইয়া আমিল। হরেননাথ ডাছার মুখের দিকে চাহিয়া আছেন দেখিয়া! তাহার আরও অপ্রস্তত লাগিল। বলিল, “কিসের জন্তে খুসি ১৩৬৭ ] অনস্থপূর্ববা ৩২৭ হব? আবার সেই ঝিয়ের জীবনে ফিরে যাওয়ার জন্তে? আবার "সই উৎপাত, সেই অপমান আর সেই ভয়? এখানে মানুষের মত আছি, প্পেহ মমত1 পাচ্ছি, সেটা বুঝি আমার সহা হচ্ছে না?” হরেন্্রনাথ বলিলেন, “কথাটা আমি অর্দেকট। ঠাট্র। করে ধলেছিলাম বিনহ1। তুমি অত 8971008]% ওটাকে নিও না। প্রবঝিয়ের জীবনে তোৌসায় আর যেতে যাতে না হয়, তার জন্তে চেষ্টা ত কম করছিনা। কিন্তু তুমি পুরোপুরি সহযোগিতা করছ কই ?” বিনত। বিষগ্ভাবে বলিল, “যতট] সাধ্য তাত করছি 1 “তার বেণী আর মানুষে কি করতে পারে? আচ্ছা, আমর ত পেরবার সময় হল । আজ সন্ধাট। হয়ত পরিষ্ষীর থাকবে । একটু ভীড় কম এমন জায়গা ত কলকাতায় কোথাও নেই । গঙ্গার ধারে আজ বেড়িয়ে আস! যাবে খানিক, “বলিয়া হরেজনাথ বাহির হইয়া গেলেন। বিনতা আবার স্বর্ণের কাছে বসিল। একলা থাকিতে তাহার কেমন যেন ভয় ভয় করিতে লাগিল। সন্ধ্যাটা মেঘমুক্তই রহিল। কাজেই সকলে বেড়াইতে চলিল। গঙ্গার ধারে আজ লোকজন কম, কখন বৃষ্টি আগিয়া পড়ে এই ভয়ে বেশী জনসমাগম হয় নাই। গা ছান্ডিয়। তাভার। ইাটিয়াই চলিল খানিকক্ষণ । দূরে দেখ। গেল মূগাঙ্ক আসিতেছে। স্বর্ণ বলিল, “আমরা কখন কোথায় বেড়াতে যাব, এ ভদ্রলোক জানে কি কবে বল ত?” হরেন্্রনাথ বলিলেন, “মন্ত্রতম্ন জানে বোধ হয় কিছু |” মন্ত্র যে কি তাহ! বিনতার জ!ন! ছিল। তাহার মুখে একটু ক্ষীণ হাসির রেখা দেখ! দ্িল। অবশ্য তখনই সেট! অদৃশ্য হইয়া গেল। মৃগাঙ্ক আসিয়। পৌছিল এবং তাহাদের সকলকে যথাযোগ্য অভিবাদন করিয়া সঙ্গে সঙ্গে হাটিয়! চঙ্সিল। আকাশে আবার ধীরে ধারে মেঘ সঞ্চার হইতেছে দেখ! গেল। স্বর্ণ বাঁলল, “ভাল সময়ই আমি কলকাতায় এলাম বাপু, খালি বিষ্টি আর বিষ্টি |” অগত্যা বাড়ীই ফিরিতে হইল। মুগাষ্ক তাহাদের সঙ্গেই আপিল। বসিধাও ঘরে ঢুকিয়। হরেন্্নাথ বলিলেন, “এই গোলক, আমার ঘর থেকে নূতন রেবর্ডগুলে' আন্ত। বল্তে ভূলে গিয়েছিলাম যে তানসেন'এর রেকর্ড অনেকগুলে! কফিনে এনেছি । বিনতা এবার শিখে নিতে পারবে ৮ কিন্নরী কণ্ঠে বর্ষ আবাহনের গান ধ্বনিত হইয়া উঠিল। থানিক শুনিয়া স্বর্ণ মন্তব্য করিল, “আর বর্ধাকে ডেকে কাজ নাই বাপু, বর্ষার আালায় ত অস্কির। বর্ষ! দূর করবার গান যদি কিছু থাকে ত বাজাও ।” মৃগাঙ্ক বলিল, “রবীন্দ্রনাথ বোধ হয় ওরকম গন কিছু লেখেননি। উনি আবার যা বর্ষার ভক্ত। কলেজে পড়তাম যখন, তখন প্রায়ই বলাবলি করতাম বৃষ্টির দরকার হলে, যে কষে একট] প্বর্ষ। মঙ্গল” জুড়ে দাও, হুড়মুড় করে বৃষ্টি নামবে ।” রমেশ বলিল, “রবীআ্রনাথের অনেক আগের এক অজ্ঞাত কবি একটা লিখে গিয়েছেন, গান ন। হোক কবিতা, এ বিষয়ে ।” মুগান্ক বলিল, “সেটি কি?” রমেশ বলিল, প্য। বৃষ্টি চলে যা, লেবু পাত। করমচ। ।” ৩২৮ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ বণ বলিল, “রমেশমামার মত বাজে কথা বলতে কেউ যদি পারে । আচ্ছা, রেকর্ডের গান ত হুল, এবার বিনতার্দি একট] গান করত। বর্ষার গান নয় কিন্তু।” মুগার্গের সামনে গান গাহিবার ইচ্ছা! বিনতাঁর কিছু ছিল না। কিন্তু হরেন্্রও ম্বর্ণের গ্রন্তাব সমর্থন করাতে তাঠ।কে গাহিতেই হইল। কি গান গাহিণে স্থির করিতে পারিল না প্রথম, উঠিয়। গিয়া গানের বহ লইয়া আসিল। পাতা উল্টাইতে উপ্টাইতে এক জায়গায় থামিয়া গিয়। গান ধরিল, “সন্ধ্যা হল গে!! ওমা সন্ধ্যা ভল, বুকে ধর, অতল কালো স্নেহের মাঝে ডুবিয়ে আমায় স্নিগ্ধ কর। ফিরিয়ে নে মা, ফিরিয়ে নে গে, সব যে কোথায় ভারিয়েছে গে! ছড়ানো! এই জীবন তোমার আধার মাঝে হোক না জড়।” নিজের মুখের উপর আলো না পড়ে এমন ভাবে সে সরিয়া “পিয়াছিল, তবু তাহার মনে হইতে লাগিল, সকলেই যেন তাহার দ্রিকে এবদৃষ্টে তাকাইয়া আছে। হরেন্দ্রনাথের দৃষ্টিটা যেন সে সর্ধাঙ্গ দিয়া অন্তভব করিতে লাগিল। পালাইতে পারিলে সে বাচে, কিন্ত কিছু না বলিয়। কি পালান যাঁয়? গান শেষ হইতেই রমেশ বলিল, মেয়েদের গান ত হল, এমঠিতে এবং রেকর্ডেও, এবার ছেলেদের দিক থেকে একটা গাওঠ1 উচিত ।৮* ত্বর্ণ বলিল, “তুমি করন। একটা, ছেলেবেল৷ ত বেশ গাইতে ?” রমেশ বলিল, ণ“চচ্চ1 না রাখলে কি মনে থাকে? মড়া কাটতে কাটতে কি আর গান হয়? মুগাঙ্ক- বাবু কিন্ত বেশ গাইতে পারেন আঁমি জানি ।” হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “তাহলে তিনি আমাদের একটু আনন্দ দান করুন না1” মুগাঙ্ক বলিল, “গাই না যে একেবারে তা নয়, তবে হিন্দি গানই শিখেছিলাম লোক রেখে, সেইগুলোই গলাতে আসে । বাংল৷ গান ভাল জানি না, অন্ততঃ এক্ষেত্রে গাইবার সাহস হখে না।* “হিন্দি গানই করুন ।” মূগান্ন উপরি উপরি দুখান] হিন্দি গান করিল। গলা ভাল, গানের শিক্ষাও আছে। গান শেষ হইতেই বলিল, “বৃষ্টিটা একটু ধরেছে । এই বেল! পালান ভাল, নইলে আবার জোরে এলে বিপদে পড়তে হবে ।” সে চলিয় গেলে হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “বিনত! তুমি হিন্দি গান শেখনি কখনও ? ভাল লাগেনা 1” "শিখি'ন বিশেষ। বাবা ও-সবের চচ্চা করতেন না। শুনে গুনে এর ওর কাছে দুএকট। শিখেছি। ভালই লাগে, তবে বাংল! গান যেরকম মনকে ম্পর্শ করে এ ততা করে না?” রমেশ এই সময় উঠিয়। গেল। দ্বর্ণ জিজ্ঞাস। করিল, আচ্ছা, মেজমামা, তুমি কখনও গান করতে না?” হরেন্্রনাথ বলিলেন, মনে ত পড়ে না, তবে গান শুনতে চিরকালই খুব ভালবাসি । তুই নিজে শিখিস্নি ফোনে দিন ?” স্ঠ্যাঃ, পাড়ার্গীয়ে ওসব কেই বা শেখাচ্ছে? তবু খান ছুই তিন গান পাড়ার মেয়েদের কাছে শিখেছিলাম। ম] বল্ত মেয়ে দ্বেখতে এলেই ত গান গুনতে চাইবে, তখন গাইতে হবে ত 1” বিনতা৷ বলিল, “তুমি একট! গান কর ন। ভাই ।” *্যাঃ, তোমার সামনে আবার আমি গান গাইব। সব তৃল সুরের বিচ্ছিরি গান।” অতঃপর সেঙদিনকার মত সভা ভঙ্গ হইয়া গেল। ১৩৬৭ ] অনন্থপূর্বা! ৬২৯ পরদিন দ্বর্ণর ম্বামী আসিয়। উপস্থিত হইলেন। ত্বর্ণ তাহাকে লইয়া এমন বান্ত হইয়। রহিল যে, বিনতা তাহার ধারে-কাছেই ধেঁষিতে পারল ন!। বাড়ীতে টেগামেচি গল্পগুজব টের ধাঁড়িয়া গেল। রমেশ এমনিতে বেশী ধাড়ী থাকিত না, কিন্ত প্রায় সমবয়সী একজন পুরুষ ব।ড়াতে আসিয়! জোটাতে, সেও গঞ্জের লোভে অনেক সময় বাড়ীতেই কাটাইতে লাগিল। স্বর্ণের স্বামী প্রতুল অ।পিয়াই অবশ্য বিনভাঁকে লক্ষ/ করিল। জিজ্ঞাস। করিল, “এ ভদ্রম্িলা কে 1” রমেশ উপস্থিত ছিল, সে বলিপ, “ওটি মেগদার পুস্িকন্টে ৷” স্বর্ণ বলিল, "ভুমি চুপ করত রমেশ মাম। | সব সময় থালি ঠেস দিয়ে কথা খল1। পুষ্ঠি কন্টেটছে। নয়, আমার দেখাশুনো ক£তেই মেজমাম। গুঁকে এনেছিলেন। তখন থেকেই আছেন আর কি?” বর্ণ স্ব/মীর সঙ্গে ফিরিয়া য]হবে, না আরে! কিছুদিন থাকিবে, তাহ। লইয়। আলোচন! চলিল। হরেন্দ্রনাথ যাওয়ার প্রস্তাব অগ্রাহ্হ করিয়া দিলেন! তাহার কথ!র উপর আর কেহ কথা! বলিতে সাহস করিল না। ন্বর্ণ একটু ক্ষুণ্ন হইল, তবে পরের মাসে তাহার স্বামী আসিয়া কয়েকদিন থাঁকয়! যাইবে বথা দেওয়াতে, সে থাকিতে রাজী হইল । বিনতার মনে হইল, তাহার বুকের উপর হইতে কে যেন পাষাণভার তুলিয়। লইল। কেন যে এমন মুক্তির নিঃশ্বাস ফেলিল, তাহ যেন প্রথমে খুঝিতেহ পারিল না প€ মুহূর্তেই ভাঙার বুকের রক্ত হিম হুইয়! আদিল । এ কোন বটিকাক্ষুন্ধ সাগরে একেবারে কুলে আসিয়। সে দীড়াইয়।ছে? আর এক পা অগ্রসর হইলেই ত নিশ্চিত মরণ? ইহাণহ জন্য তাহ।র হাদয় এতধিন কাদিয়া মরিতেছে, মুর্খ সে বুঝিতে পারে নাই কেন? ইঞার মুখ যে চেন! নয়, তাই সে পদোঝে নাই। হহার ম্পর্শও জীবনে সে প্রথম পাইল। বাড়ীতে জামাই আসায় গোলমাল ত খাড়িলই, বেড়ানো, সিনেমা! দেখিতে যাওয়।, আত্মীয়-স্বগনের সঙ্গে দেখা করিতে যাওয়। সবই ধাড়িল। মাঝে মাঝে বিনত। সঙ্গে যাঁয়, মাঝে মাঝে যায়ও না। শরীর যেন তাহার ক্রমেই ভাঙিতে লাগিল । রবিবার সকালে ব্বণ বলিল, “আঞ্জ ভাই আমর! ছুজনেই বাইরে খাব, তুমি সেই রকম ব্যবস্থা করে দিও। পিস্শাগুড়ীর বাড়ী যাচ্ছি।” বিনত। জিজ্ঞাসা করিল “কখন আসবে 1” স্বর্ন বলিল “আসব সেই রাত্রে। মেজমামাকে বপেছি।” “আচ্ছ। সেই রকম বলে দিচ্ছি ঠাঁকুরটাকে 1” অল্পক্ষণ পরেই স্বর্ণ ও তাহার স্বামী বাহির হুইয়। গেল। বিনতার হঠাৎ মনে পড়িল, বছকাল সেও পিসীমার খবর নেয় নাই। আগে আগে যখনই কাজে বাহির হইয়াছে, মধ্যে মধ্যে গিয়া বৃদ্ধাকে দেখিয়া আনিয়াছে। তিনি ক্রমেই অক্ষম হইয়া! পর়িতেছেন। তাহার একমাত্র কন্তাও তাহাকে দোঁথতে আগিতে খুব বেশী পারে না । হরেন্রনাথকে বলিয়া সেও ত আজ সারাদিনের মত ছুটি পাইতে পাযর়ে। নিচের ঘরেই তিনি আছেন বলিয়। বোধ হইল । পরদার এ পাশে দাড়াইয়! জিজ্ঞাসা করিল, “ভিতরে আসব ?” “কে বিনতা, এস ।” ঘরে ঢুকিয়া বিনতা দেখিপ হরেন্্রনাথ খাটে গুইয়। খবরের কাগজ পড়িতেছেন। খিনতাকে ঘেখিয়। উঠিয়া! বপিলেন, জিজ্ঞাস। করিলেন, “কি খবর 1” বিনতা৷ বলিল, “দ্বর্ণ আর প্রতুলবাবু বোরয়ে গেলেন ।” ৩৩ "” গল্প-ভারতী | [ অগ্রহায়ণ “জানি, আমায় বলেই গিয়েছে” বিনতা একটু ইতস্ততঃ করিয়া বলিল, “আজ ত কাজ নেইকিছু! ভাবছিলাম একবার গিয়ে পিমীমাকে দেখে আসি, অনেকদিন তার কোনো খবর নিতে পারিনি ।” “বেশ ত যাওঃ আমি আজ এখনি বেরচ্ছি ন7া। তোমায় পৌছে দিয়ে আস্গক। খাবার সময় ফিরছ তি ?” বিনতা বলিল, “ভাবছিলাম একেবারে রাত্রে ফিরব । স্বর্ণও ত সেই সময় ফিরবে» স্বর্ণ না থাকলে বুঝি বাড়ীতে থাকা যায় না? তোমার সঙ্গে অনেক কথা ছিল যে?” বিনতা বলিল, "তাহলে এখন যাব ন।। একেবারে খাওয়া-দাওয়া করে বেরিয়ে যাব । আপনার সময় হবে এখন ?” “তবে । বোসে। তুমি ।” বলিয়া খবরের কাগজখান! পাট করিয়া টেবিলের উপর রাখিয়া আসিলেন। আবার আসিয়া খাটেই বগিলেন। জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেমন আছ এখন ?” প্র একই রকম হরেন্ত্রনাথ বলিলেন, “আমার ডাক্তারীতেও তোমার বিশ্বাস নেই, যা বলি তা শোনও না। থাওয়। বাড়াতে বলেছিলাম, থাওয়! বাড়ানোর বদলে আরে! কমিয়েছ মনে হচ্ছে চেহারা দেখে । আর একজন তাঁল ডাক্তারকে দিয়ে ভাবছি তোমায় পরীক্ষা করাব। নইলে শক্ত অস্থথে গড়বে তুমি ।৮ বিনতা বলিল, “আপনার চেয়ে ভাল ডাক্তারে আমার দরকার নেই কিছু । আপনার কথা শুনতে আমি খুব চেষ্টাকরি। কিন্তু বেশী খেতে কিছুতেই পারি না আমি। হয়ত শীতকালে ভাল থাকব। এই ভ্যাপজা গরমট। সহ হয় না৷ আমার । “থাকতেও পার, নাও থাকতে পার। আচ্ছা! শোন, আমার অন্ত কথাটা । মাসখানেক আগে যা বলেছিলাম, মনে আছে আশা করি।” এই তিনটি ছেলের সঙ্গে মিশলে কিছুদিন, তারাও মিশলেন। এখন যদি তাদের মধ্যে কেউ বিবাহের প্রস্তাব করেন তাহলে কি বল্বে তুমি? আমি মুগাঙ্কের কথা বলছি আমায় জানিয়েছে সে বিবাহ করতে চায়। আর বেশী দেরী না করে। তুমি কি বল?” বিনতা চেয়ারের হাতলট। শক্ত মুঠায় ধরিয়া বলিল, “কি আর বলব ? ওর প্রস্তাবে আমি সম্মতি দিতে পারলাম না।” সপপছন্দ ছল না?” বিনতার মুখ তখন প্রায় সাদ! হুইয়। আসিয়াছে, আরো নীচু গলায় বলিল, “পছন্দ অপছন্দ আর ফি? উনি ভদ্রলোক, শিক্ষিত লোক, সচ্চরিত্র লোক, এটা! হ্বীকার করছি।” “কিন্তু ভবিষৎ স্বামীরূপে তাকে কল্পনা করতে পার না ?” বি্ত। বলিল। “পারি না একেবারেই । কোনো দিন পাঁরবও না। দেখুন, এই পরীক্ষা থামিয়ে গিন দয়া করে। বিয়ে আমি ওদের কাউকে করতে পারব না। অন্ত লোক ডেকে এনেও লাভ নেই কিছু, বিয়ে করতেই আমি বোধ হয় পারব না! ।” হরেজনাথ একটা সিগারেট ধরাইতে ধরাইতে বলিলেন, “সেট। আগে বুঝতে পারনি? তখন বলেছিলে যে সাধারণ মানুষের মত সংসারী হবার ইচ্ছে তোমারও মাঝে মাঝে হুয়েছে।” “তখন য। বলেছিলাম, তখনকার পক্ষে ঠিকই বলেছিলাম । এখন মনট। আরো! বদলে গেছে ।” ১৩৬৭ ] অনন্যপূর্বা রহ "কোনোদিনই কাউকে বিয়ে করতে পারবে ন! মনে হচ্ছে?” “প্রায় তাই। সুদুর ভবিষ্ঘতের কথা বলতে পারি না। দেখুন একট। কথা বলছি, এট| হয়ত আস্পর্ধার মত শোনাবে, কিন্তু এটা ভিক্ষা মাত্র। আমার জন্যে আর কিড় করতে চেষ্টা করবেন ন! আপনি। আমার অদৃষ্ট অ।মাকে যে দিকে টেনে নিয়ে যায়, সেই দিকেই যেতে দিন। একদল মানুষ আছে, ভগবানও যাদ্দের ভাল করতে পারে না, আমি সেই দলের। ভাল আমার কোনোদিন কিছু হবে না। আপনি শুধু শুধু চেষ্টা করে বিফল হয়ে কষ্ট পাবেন কেন ?” এতগুলি কথা একদঙ্গে বলিয়। বিনতা যেন হফাইয়া উঠিল । চোখ জলে ভরিয়া আসিল। হরেন্দ্রনাথ এতক্ষণ নীরবে তাহার কথা শুনিতেছিলেন। এখন সিগাঁরেটট। বাহিরে ছু'ড়ির ফেলিয়া দিয়া বলিলেন, “বিনতা চোখটা! মোছ। অত বিচলিত হোয়ো না । তোমার ভিক্ষা আমি পূর্ণ করতে পারলাম না । তোমার জীবনটাকে নষ্ট হয়ে যেতে দিতে আমি পারব না। চেষ্ট। করব অবশ্য বিয়ে দেবার, চেষ্টাই যে করব, তা বলছি না। ভগবান তোমার অদৃষ্টে কি লিখেছেন, তার তুমি জানই বাকি? ভাল কিছুই হতে পারে না, এই বা তুমি নিশ্চয় করে জানলে কি করে?” বিনতা বলিল, “আমি আর ক'দ্িনই বা আছি এখানে ?” ভরেন্্রনাথ বলিলেন, “ও ক্ষেত্রেও নিশ্চিত করে কিই বা খল। যায়?” ৮ স্বর্ণ সেদিন বেশ রাত করিয়াই ফিরিল, বিনতারও ফিরিতে দেরিহই হইল । হরেন্দ্রনাথের ঘর হইতে বাহির হইয়া সে অনেকক্ষণ নিজের ঘরে পড়িয়া কাদিল। বুকের তর কিছুই কমিল ন|। হরেন্দ্রনাথ বাহির হইয়া গেলেন, সেই শব শুনিয়া সে উঠিল, স্নান করিল, খাইবার চেষ্টা করিল। কিছু যেন তার গল। দিয়া আজকাল পার হইতে চায় নাঁ। তাহার পর গেল পিসীমার বাড়ী। তিনি বিনতাকে দেখিয়া হা-হুতাশ করিলেন। বড়লোকের বাড়ী, খাওয়া-দাওয়া ভাঁল, কাজও বেশী নয়, তাহা হইলে এমন চেহার। হইল কেন? বিন্তাকে তিনি অঙ্গরোঁধ করিতে লাগিলেন, কাজ ছাড়িয়। দিয়] চলিয়া আসিতে । কিছুদিন বসিয়। বিশ্রাম করিয়া তাহার পর ষেন কাজে যায়। বিনতা বলিল, আর এখন ছেড়ে কি হবে পিসীমা যে মেয়েটির জঙ্কে আমাকে ওরা ডেকেছিলেন সে ত কিছুদিন পরে চলে যাবে; তখন ত আমায় চলেই আসতে হবে।” পিসীম! জিজ্ঞাস করিলেন, “ওরা! তোর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে?” “খুব । বাঁড়ীর কর্তা যিনি, তিনি দেবতার মত মানুষ, জীবনে বোধ হয় কারে! সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন নি।” “থাওয়া-দাওয়াও খুব ভাল হয় বল্ছিস, অথচ কি শ্রীই হয়েছে ।” বজিয়। বসিয়া অনেক কথা হইল । ভাগাক্রমে আজ পিস্তুতো। বোনটিও আপিয়াছিল, তাহার সঙ্গে অনেকদিন পরে দেখা । কাঁজেই ফিরিতে রাঁতই হুইয়। গেল। খাবার সময় সকলে একত্রিত হইতেই হরেন্দ্রনাথ বলিলেন “সবাঁকারই আজ ৭%ড ০? ছিল নাকি? দুপুরে এলাম একবার একট! মানুষও দেখতে পেলাম ন1।” উত্তর কাহারও কাছে প্রত্যাশা করিলেন ন!, পাইলেনও ন1।” ি ৩৩২ গ্প-ভারতী [ অগ্রহারিণ বর্ণ বলিল, “কালও আমি একটু বেরধ মেজমামা। তবে আজ যে রকম সায়াধিন খাইরে রইলাম লে রকম থাকব না| সক্কালে বেরব আর চা থাবার সময় হতে নাহতে ফিরে আসব ।” হরেজ্জনাথ বলিলেন, “ভাল, বিনতাও কাল বেরতে চাও নাকি 1?” বিনতা বলিল, “না, আমার আর কোথাও যাবার নেই। পড়াগুনে। কিছু হচ্ছে না, কাল ভাল করে একটু পড়ব ভাবছি ।। বেশী কথাবার্তা আর কিছু হইল ন', খাইয়া-দাইযজ! যে যাঁচার ঘরে প্রস্থান করিল। বিনত। অনেক রাত জাগিয়া নানা ভাবনা ভাবিল, তাহার পর শ্রাস্তদেহে এবং শ্রাস্ততর মনে ঘুমাইয়। পড়িল। সকালে চ! করিতেছে, এমন সময় হবেন্ত্রনাথ ঘরে ঢুকিয়া বলিলেন, “চ1 খাওয়া! হয়ে গেলে একবার এস ত আমার ঘরে । আবার তোমার জন্তে 01520 করছি।” বিনতা। বিক্ষারিত নেত্রে তাহার দিকে তাকাইবামান্র বলিলেন, “ভয় নেই, ভয় নেই, আবার বিয়ের ব্যবস্থ। নয়। তিনটে বরকেই ত অপছন্দ করে দিলে, আবার এখনি বর কোথায় পাব 1?” এ 0187টা অন্ত রকম ।” দ্বর্প আর প্রতুল এই সময় আসিয়া জোটাতে হরেন আর কোন কথ! বলিলেন না। চা খাইয়া চলিয়! গেলেন। প্রতুল, ত্বর্ণ ও রমেশ যতক্ষণ বসিয়া চা থাইল ও বকৃ বকৃ করিল, ততক্ষণ বিনতাকে ঘরেই থাকিতে হইল। চ1 খাওয়ার শেষে স্বর্ণ বাহিরে যাইবার জন্ত যখন জিনিসপত্র গুছাইল, তখনও তাহাঞ্ষে সাহায্য করিল। সকালে চাকরকে বাজারে পাঠাইল। তাহার পর নিজের ঘরে গিয়া কয়েক মিনিট চুপ করিয়। বসিয়া রছিল। হরেন্ত্রনাথ আবার কি বলিবেন কে জানে? সে শাস্তভাবে শুনিতে পারিধে ত? পারিতেই হইবে। হরেন্দ্রনাথের ঘরে গিয়া দেখিল তিনি ছোট টেবিলের সামনে চেয়ারে বসিয়! কতকগুলি ছাঁপান কাগজ লইয়! নাঁড়াচাড়া করিতেছেন। বিনতাকে দেখিয়া বলিলেন, “দেখ বিনতা, যে কাজ এতদিন করলে সেই কাজটাই তোমার সুবিধাজনক হবে। অনেকদিন করেছ, অভ্যাস হয়ে গেছে। নতুন কিছুর ভিতর যেতে তোমার হয়ত ভাল লাগবে ন1। নাসিংএর ট্রেনিং নেবার একটা স্থুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এটা পাস করতে পারলে তুমি ঢের বেশী রোজগার করতে পারবে । খুব বেশী দিনের ০01:89 নয়। এ সময়টায় তোমার যে দিকে যা টাক! দাগে, তা আমি দিয়ে দেব। তুমি ধার বলে নেবে আমার কাছে, কথ! দিয়েছ। নাও এই 1০"গটায় সই করে দাও একট11 বিনতা একখান] ফর্ম তুলিয়া লইল পড়িবার জন্ত। প্রথম লাইন পড়িয়াই তাহার মনে হইল তাহার হৎপিণ্ডের উপর কে যেন সজোরে আঘাত করিল। পাংশুবর্ণ মুখে সে যে চেয়ারট। কাছে ছিল, তাহার উপর ধপ. করিয়া বসিক্পা পড়িল। হরেন্্রনাথ তাহার কাছে উঠিয়। আসিলেন, ব্যস্ত হইয়া! জিজাস। করিলেন, “কি হল বিনত! ? শরীর খারাপ লাগছে?” বিনত কদ্ধকণ্ে বলিল, “আমি যেতে পারব ন1।” হরেন্্রনাথ মিনিটখানিক চুপ করিয়! রহিলেন, তাহার পর জিজ্ঞাস করিলেন, “কেন 1 ন! যেতে চাও ত আমি জোর করছি না, কিন্তু কেন যেতে চাইছ না?” বিনতার হাত কীপিয়৷ কর্মটা মাটিতে পড়িয়। গেল। মাথ! হেট করিয়। বলিল, “ফলফাতায় যাইরে গিয়ে আমি থাকতে পারব না।* ১১৬৭ ] অনম্যপূর্ব্ব1 ৩৩৩ হরেন্্রনাথ বলিলেন, “কত জায়গায়, কত অবস্থায় ত থেফেছ। এটাও ছৃদ্দিনে অভ্যাস হয়ে যেত। ৮:০৪১৪০$-টা ভালই ছিল বিনত', তোমার লাভই হত। একবার চেষ্টা করবে ন! ?” বিনতার মুখ দিয়া কথা বাহির হইতেছিল না, সে শুধু অসম্মতিস্চক মাথা নাড়িল। হরেক্রনাথ বলিলেন, “কি বাধাঃ কোথায় বাঁধ! বল্বে আমাকে? বদি সে বিষয়ে কিছু করা'যায়? বিনতা। ভাঙ। গলায় বলিল, “আমি পারব না, মরে যাব।” তাহার মাথাটা! টেবিলের উপর ঝুকি পড়িল, কোনমতে নিজেকে যেন সে আড়াল করিতে চায়। হরেন্দ্রনাথ বিনতার চিবুকে হাত দিয়! হঠাৎ তাহার মুখট। তুলিয়া ধরিলেন। জিজ1স। করিলেন, “বন্ধুকে ছেড়ে যেতে এত কষ্ট হবে তোমার?” বিনত। ছুই হাতে মুখ ঢাকিয়া কাদতে লাগিল। পিতৃহ্ীন। হইবার পর এক অনৃশ্ট বর্দে সে নিজের হৃদয়কে আবৃত করিয়। রাখিয়াছিল। অভ!ব, দু:খ, গ্লানি, অপমান, সন যেন এই বর্দে ঠেকিয়। হারিয়। যাইত, বিনতাকে স্পর্শ করিত না। আজ স্নেহের স্পর্শে সেই বর্ম তাহার খান্থান্‌ হইয়া ভাঙিয়া পড়িল। ক্রন্দনের আবেগে তাহার সমস্ত শরীর কাপিতে লাগিল। অশ্রু সাগরের ভিতর যেন সে একেবারে মিলাইয়া! যাইতে চায়। হরেন্দ্রনাণের কথার সে কোনে উত্তর দিতে পারিল ন|। হরেন্্রনাথ নিজের চেয়ারটা তাহার কাছে টানিয়। আনিলেন। বিনতার অবনত মাথার উপর হাত বুলাইতে বুলাইতে বলিলেন, “এখানেও ত মরে যেতেই বসেছ। এমন কি ছুঃখ ধার কোনে। প্রতিকার নেই? মুখ ফুটে একবার বল! যায়না?” বিনত। উত্তর দিল না। হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “বিন্তা, লক্্মীটি তুমি নিজেকে একটু সামলাতে চেষ্টা কর। তোমার এ কান্না আমার আর সহ্‌ হচ্ছে না। তুমি এরপর অজ্ঞান হয়ে যাবে । চেয়ার ছেড়ে খাটে এসে বোসে!। তুমি পড়ে যাবে এখনই |” বলিয়! নিজেই তাহাকে ধরিয়! তুলিলেন । খাটের উপর বসাইয়া, নিজে তাহার পাশে বসিয়। বলিলেন, “শোনো বিনতা, ভূমি বলতে পারছ না যখন, আমিই বলছি। কিছুই বুঝিনি এতদ্বিন ত| মনে কোরে! না । কিন্তু উপায় খুজে পেতে একটু দেরি হছল। তুমি চিরকাল থাকতে চাও আমার কাছে, একেবারে আমার হয়ে?” বিনতা। এতক্ষণে মুখের উপর হইতে হাত সরাইল । তখনও তাগ্থার চোথ দিয়! অবিরলধারে অস্র ঝরিতেছে। প্রায় শোন। যায় না, এমন স্বরে বলিল, “এ যে অসম্ভব দুরাশ!, তা আমি জানি।” একহাতে জড়াইয়। ধরিয়া হরেন্দ্রনাথ বিনতাকে তাহার বুকের কাছে টানিয়া আনিলেন, “বলিলেন, অসম্ভব কেন বিনত1? আর ছুরাশাই বা কেন? আমি অবিবাহিত, ্থ, উপার্জনক্ষম। তুমি কুমারী, সাবালিক। এবং রক্ত সম্পর্কে আমার কোনে। আত্মীয়াও নও। আইনতঃ কোনে! বাধাই নেই, বিবাছে।” বিনতার মাথাট। হরেন্ত্রনাথের বুকের উপর লুটাইয়া৷ পড়িল, দাকণ হতাশ'-ভর! কে বলিল, "আমি একেবারে আপনার অযোগ্য । দরিদ্রের মেয়ে, প্রায় অশিক্ষিত, কি ভাবে আমার জীবন কেটেছে এতদিন তা ত জানেন। আমাকে গ্রহণ করলে সমাজে আপনি নিন্দিত হবেন, উপহাসের পাত্র হবেন ।” হরেন্নাথ বলিলেন, “যোগ্যতার বিচার কি দিয়ে করবে বিনত? খুব বড়লোকের মেয়ে হলেই কফি যোগ্য হুয়? সে রকম ্ুটেছিল ত অনেকবার, কিন্তু কখনও ইচ্ছ। হয়নি নিজের জীবনকে জড়াতে তাঙ্দের কারো! সঙ্গে। তুমি ভদ্রলোকের মেয়ে, আমিও ভদ্রলোকের ছেলে, এক্ষেত্রে সাম্যই আছে। লেখাপড়া আমি খানিকটা! করেছি, তুমি ততটা করতে পারনি, স্ুবিধ! পাওনি। সুবিধা! এখন পাবে, এবং ০ দস১,44 10815458415 ৩৩৪ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ এক্ষেত্রেও সমানই ভয়ে দাড়াবে । এতদিন খেটে খেয়েছ, কারে! পদণনত হওনি, এটা তোমার গৌরব, অপযশ নয়। আর 'আমার নিন্দা! যদি হয় হবে, আমি গ্রাহা করি না। উপহাস যদি করে আমার কানেও মাসবে না। কিন্তু এ সব ত বাইরের যোগ্যতার বিচার । সেখানে সম্পদ কিছু কিনেই? এমন সুন্দর চেহারা, এমন মিষ্টি গলা» 'এমন মমতায় ভর। ছুথানি হাত, এর কোনো মূল্য নেই? তুমি অবাক হচ্ছ আমার কথা শুনে, না? সত্যি এসব কথার মানে কিছু "নই । আমার বিয়ের কোনো প্রয়োজন ছিল ন1। সেইজন্ত ভালমন্দ ওজন করে তোমাকে গ্রহণ করতে চাইছি, তাও ত নয়। তোমাকে বাদ দ্বিয়ে আজ আমর চলছে না, জীবনটা এমন শুন্ধ, এমন নিরর্থক মনে হচ্ছে যে তা ভাবায় প্রকাশ করা যাঁয় না। আর তুমি যে আমাকে ঠিক আমারই মহ করে ভালণাসছ, তাও কি আমি বুঝিনি? আমার অনুমান সত্য কিন! তুমিই বল।” বিনতা বলিল, “এর চেয়ে বড় মতা জ্তীবনে আমার আর কিছু নেই। এতক্ষণে হরেজ্রনাথের মুখের দিকে পৃণ্দৃষ্টিতে সে একবার তাকাইল, বলিল, "পৃথিবীতে ভাল যর্ধি কাউকে বেসে থাকি? সে আপনাকে । শক্তি যদি কাউকে করে াঁকি সেও আপনাকে ।” একনিষ্ঠ ভালধাসাই পাঁব।র অধিকার দিতে পারে, আর কিছুতে পারে ন।।” বিশতার অঠাত জীধনডা যেন হঠাৎ হারীহফ। গেল। এখনই কিসে জন্মলাভ করিল এই আনন্দ- লোকের মধো? তাহার ছুঃখ নিপীড়িত কৈশোর ও প্রথম যৌবনের দিনগুলি কি ইঠারই জন্য তপস্থ। করিয়াছিল? চোখের জল তাহার শুথাইয়া গিয়াছিল, কিন্ত মুখে অনেকক্ষণ ভাষা! আসিল না। হরেন্দ্রনাথের আলিঙ্গনের মধ্যে, ঠাহার বুকে মাথা রাখিয়া অনেক্ষণ নীরণ হইয়া রহিল, শুধু ছু£ হাতে তাহার একখানা হাত নিঞ্জের বুকের কাছে ধরিয়া রাখিল। হরেন্ত্রনাথও খানিকক্ষণ নীরব হুইয়াই রহিলেন, তাহার পর বিনতার চুলের উপর হাত বুলাইতে বুলাইতে বপিলেন, “একেবারে কথা বলছ ন1! কেন বিনতা ?” বিনতা বলিল, “কি কথা বলব? খুঁজে পাচ্ছি ন।৮ “খুসি হওনি ?” খিনত| বলিল, “ও কি কথ দিয়ে আমি বোঝাতে পার ?” হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “পারা যায় ন। বটে। সব চেয়ে বড় খুসি, আর সব চেয়ে বড় দুঃখ, কোনোটাই কথায় বোঝান যায়না। থাক গে ওটা আমাদের বুকের ভিতরেই এখন, ও নিয়ে নাড়াচাড়া করে এখন কাজ নেং। কিছু হাল্ক! আনন্দের কথ! বল, সাধারণ প্রতিদিনকার কথ।ই বল। গলার ত্বরটা! তোমার সারাক্ষণই যে শুন্তে ইচ্ছ। করে।” বিনত৷ নীচু গলায় বলিল, “একট! কথ! বল্ব? ভারি জানতে ইচ্ছা! করছে।” হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “একট! কেন, একশট1 বল না? কি কি জানতে চাও খল?” বিনতা বলিল, “এমন করে দুরে সরিয়ে দিতে চাইছিলেন কেন? কি করেই বা আমার অন্ত জায়গার বিয়ে দেবার ব্যবস্থা করছিলেন! এত ভালবেসে এমন করে কষ্ট দেওয়। যায় ?” হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, দব্যবহারটা! আমার যুভিসগতও হয়নি, বুদ্ধিমানের মতও হয়নি । এট! নিয়ে মনে ক্ষোভ রেখো ন! বিনতা, ক্ষমা কোরো! আমাকে । নিজের মন আমি প্রথমেই ভাল করে বুঝতে পারিনি । দ্বারুণ একট। বন্ধনের মধ্যে গিয়ে পড়ছি, এট! বুঝবামাত্র, মুক্ত হবার একটা প্রাণপণ প্রয্লাস ১৩৬৭ ] অনন্থপূর্্ব! ৩৩৫ মনের মধ্যে জেগে উঠল। ক্ষণিকের মোহই এটাকে ভেবেছিলাম প্রথমে । প্রথম যৌবনে একবার ঘ। থেয়েছিলাম। তখন যণেষ্ট বড়লোক হইনি, সেইগন্তে প্রত্যাখাডত হখেছিলাম এক জায়গয়। হৃদয়ে ভাঘাত খানিকট! লেগেছিল, তার চেয়ে বেশী লেগেছিল আত্মাভিমানে। স্থির করেছিলাম, বিয়ে করবই না, তবে সন্ন্যাসীও হব ন1। নারীকে জীবনে স্থান ন1 দিয়েও যে স্থুথে সংসারে থাকা যায় সেইটাই দেখাব । দেখাতে পেরেও ছিলাম এতদ্দিন।৮ বিনতা বিশ্ময়ভরা কে বলিল, “আপনাকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে এমন নির্বোধ মেয়েও পৃথিবীতে জগ্মায় ?” হরেন্দ্রনাথ হাসিয়া বলিলেন, “সে ত তোঁমার চে।খ দিয়ে আমায় দেখেনি । আর গ্রত্যাখ্যানট। সেই করেছিল, না তার অিভাধকরাই করিয়েছিলেন ত| ঠিক জানি না। আমি আজ তে।মাকে দুর্লভতম রত বলে বুকে করে নিচ্ছি, কিন্জ তোমাকেও 'অবহেলাঁয় ফেলে পালিয়েছে, এমন নির্বোধ মাচষও দেখেছ। কিন্ত যাক, যে কথা বলছিলাম । দেখ সহজে হাল ছাড়িনি। নারীসঙ্গবঞ্জিত জীবন ছিল আমার, তার জন্তে ছুঃথখ করিনি কখনও | কিন্তু তুমি বাড়ীতে আসবার পর কি করে জানিনা আব হাওয়াট]! বদলে গেল। তুমি দেখতে ন্ন্দর, কিন্তু সুন্দরী মেয়ে ত আগেও দেখেছি । গলাটা ভারি মিষ্টি, কিখব তাও কি আগে কখনও শুনিনি? বুঝতেই পারিনি প্রথমে ব্যাপারটা কি ঘটেছে ।”, বিনতা অন্ধু'ট ত্বরে বলিল, “ঠিক আমারই দশা । আমিই কি প্রথমে বুঝতে পেরেছিলাম?” হরেন্ত্রনাথ বলিলেন, প্প্রথমেই ভয়ত সবাই বোঝে ন।। আমি প্রথম বুঝলাম 'অস্থুখে পড়ে। পাগল হতে যেটুকু বাকী ছিল, তাও জন্পূর্ণ হল। অমন সেব। জীবনে কথনে কারো কাছে পাইনি । তখন বুঝলাম যে অত ভাল লাগছে কেন সেবাটা। তুমি করেছ থে? তোমার হাত আমাকে ম্পশ করে আছে বলে রোগশয্যাও আমার কাছে অমুতময় হয়ে উঠেছে । মাথার কাছে বসে বসে হাত বুলতে, আর আমার প্রাণ ছটফট. করত তোমাকে আরও কাঁছে পাবর জন্তে। বুঝলাম এবার আমার 'আর রক্ষা নেই, যদি না তোমাকে সরাতে পারি জীবন থেকে । তাই এসব চেষ্ট। আরস্তভ করলাম, যদিও জানতাম যে নিজের পায়ে নিজে এমন কুঠারাঘ।ত করছি, যে জীবনটা একেবারেই পঙ্গু হয়ে যাবে এরপর |, বিনতা অভিমানভরা কে বলিল, “বিদায় ত এমনিই করে দিতে পারতেন । আমি মরতাম ঠিকই, কিন্তু আপনি চিরদিনের মত নিশ্চিন্ত গতেন।” হরেন্্রনাথ বলিলেন, "সে ক্ষমতা আমার ছিল না বিনত।। খুব সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে থাকবে, আমাকে ভুলতে পারবে এমন কিছু যদি হতে পারত, হয়ত তার মধ্যে তোম।কে প্রতিষ্ঠিত করে সরে আসতে পারতাম। কিন্তু আর কিছুর মধ্যে তোমাকে ছেড়ে দেওয়! আমার পক্ষে অসম্ভব ছিল।” বিনতা৷ বলিল, “পৃথিবীতে এমন কিছু ত আমি কল্পনাও করতে পারি না, যার মধো থেকে আমি আপনাকে হারানোর হুঃথ ভুলতে পারতাম |” “বিনতা, তুমি ছেলেমানগষ বলেই বোধ হয়'নিজেকে সহদ্দে চিনেছিলে। আমি হাজার গোলক- ধাধায় ঘুরে কেমন যেন সব কিছু ঝাপস। করে ফেলেছিলাম । ভাবছিলাম যদি অন্ত কাউকে বিয়ে করে তুমি দূরে চলে যাও, তাহলে হয়ত আমি একটু ভুলতে পারবে, অন্ততঃ চিরকালের মত হাতে: বাইরে যে চলে] গেল, 'তাকে জীবন থেকে খানিকট। বাদ দিয়ে দিতেই হবে। কিন্তু সে ত তুমি ঘটতে দিলে না। আমায় আত্মহত্যার চেষ্টা তৃমি ব্যর্থই করে দিলে। নিঞ্জের কাছে খাটিই রইলে। তারপর আজকের এই ৩১৬ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ শেষ চেষ্টা দুরে সরানোর । এও তোমার চোখের জলের বানে ভেসে গেল। আমাকে বাচালে ভূমি । এমনি করে এদে যদি আমার ঝুকে না পড়তে তুমি, তাহলে আমি হতভাগ! তোমাকে চিরফিনের জন্টে হারাতাম ৮ আর কিছু জানতে চাও? বিনা! বলিল, ণ্ন11+, হরেন্দ্রনাথ এইবার বিনতার মুখখান। ছুইহাতে তুলিয়া ধরিলেন। বলিলেন, “তোমাকেও আমার একট! ছিজ্ঞান্ত আছে বিনতা।। রূঢ় শোনাবে হয়ত, কিন্ত রাগ কোরে। না। আমার জানা দরকার।' বিনতা ভীতচক্ষে তাহার দিকে তাকাইয়! বলিল, “বলুন |” “দ্বেখ, একদিকে আমাদের একটা বড় পার্থক্য রয়েছে, সেট! ধ্য়সের। আমি তোমার চেয়ে সতেরো বৎসরের বড়। এখনও অধশ্ত বুড়ো হইনি। কিন্তু আরো কুড়ি বৎসর পরের কথা ভাখ। তুমি তখনও স্থন্দরী যুবর্তী থাকবে, আর 'আমি হয়ে যাব পলিতকেশ বুদ্ধ। তখনও এই অনুরাগ কি থাকবে? খ্বামী বলে ভাবতে খারাপ ল!গবে না?” বিনতা চমকাইয়! হরেন্্নাথের আলিঙ্গন ছাঁড়াইয়৷ দুরে সরিয়া গেল। বাম্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলিল, “আপনি কি আমকে একেবারে জানোয়ার মনে করেন? আমি কি মানুষ নয়? আপনার বয়স বেশী হলে আর আমি আপনাকে ভালবাসতে পারব না? মানুষ কি শুধু রূপ আর যৌবনটাকেই ভালবামে ? পৃথিবীতে আম,র যদি কেউ ভক্তির পাত্র, ভালবাসার পাত্র থাকেন ত সে আপনিই, ত ত বিশ্বাস করেন? আপনার পায়ে হাত দিয়ে বল্ছি, অমন দুর্মতি হবার আগে আমার মাথায় যেন বজঘাত হয়।” সে হরেন্্রনাথের ছুই পা ধরিয়া! তাহার উপর মাথ! রাখিল। হরেন্ত্রনাথ তাহাকে আবার টানিয়। লইলেন নিজের বাহুবন্ধনে। বলিলেন, “মুখের কথায় বললেই আমি বিশ্বাস করব বিনতা, প ছুয়ে বলার দরকার নেই। তুমি কণ্ঠ পেলে, রাগও করলে বোধ হয়, কিন্তু কথাট! জান! আমার দরকার ছিল। আমি ডাক্তার, অন্ুস্থ দেহ, অনুস্থ মন এই নিয়েই আমার কাজ। বহু বৎসর শুধু এদের নিয়েই আমি আছি। তাই মানুষের ন্বভাব সম্বন্ধে থানিকট! অবিশ্বাস আমার এসে গেছে। মানুষের মন পরিবর্তনশীল, সেটাকে অপরাধও বল যায় না। দিও সেটা তোমার কাছে এখন দ্বারুণ অপরাধ মনে হচ্ছে। বয়সের সঙ্গে দৃষ্টিত্গীও বদলায়। সেটাও স্বাভাবিক । কিন্তু তুমি যেন এমনই থাক, ভগবানের কাছে এই প্রার্থনাই করি একাগ্র একনি মন নিয়ে ঢের মেয়ে জন্মেছে আমাদের দেশে, বিধাতার আবীর্বাদে চিরকালই জল্মাবে। তুমি ত আমাদের মহাভারতের যুগের সাবিত্রীর জাতের মেয়ে। তিনি স্বামী ক'দিন পরে মার! যাবেন জেনেও তাকেই বিয়ে করেছিলেন। তুমিও স্বামী তোষার ঢের আগে বুড়ো হয়ে যাবেন জেনেও তাকেই গ্রহণ করেছ।” বিনতা বলিল, “ দেখুন, মানুষ যখন দেবতাকে ভালবাসে তখন কি তার বয়স বিচার করে?” "তা করে না, কারণ তারা চিরযৌবনের অধিকারী । আমর! বে মানুষ ।” বিনতা বলিল, “মানুষের কাছে দেবতা ত বেশীর ভাগ মানুষের রূপেই আসেন ?” “আসেন হয়ত । ভাবিনি ও বিষয়ে বেশী কিছু ।” বিনতা অনেকক্ষণ আবার চুপ করিয়া! রহিল। কথা বলিতে চার, কিন্ত কথা বলিতে পারে না । একট! ধিনে মানুষের জীবনে এমন পরিবর্তন কি করিয়া আসে? ভোরবেল! বেদন! ভারাক্রান্ত হায়ে থে বিনত! জগতের দিকে চাহিয়াছিল, এ কি সেই ? হরেআনাথের হাতের উপর হাত বুলাইতে বুলাইতে বলিল, “দেখুন--” ১৩৬৭ 1 অনন্থাপূর্ধবা ৩৩৭ হরেজ্নাথ বলিলেন, “দেখছি, কিন্তু একট! আবেদন আমার রাখবে ?” বিনত। বলিল, “গ্জাপনার কথা রাখব ন।, এত হতে পারে না, কিন্তু আবেদন বলবেন না, শুনতে কানে খারাপ লাগে।” | হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “আহবেদন না হয় নাই হল, কথাটা হচ্ছে এই। লক্ষী মেয়ে তুমি আর আমাকে 'আপনি' বলে সম্বোধন কোরো! না, “তুমিই” বল। বৃদ্ধন্তা তরুণী ভার্ধ্যা হতে যাচ্ছ সেটা আমায় ভূলে থাকতে দাও। বয়সটার কথ! আমি আর ভাবতে চাই না।» বিনতা হরেন্দ্রনাথের হাতটায় নিঙ্জের ওঠঠাধর স্পর্শ করিয়া বলিল, “তাঁই বলব, তাই বল্ব। আর তুমি আমার একট! ভিক্ষ। মঞ্জুর কর, আমার কাছে আর নিজেকে কোনোরিন বৃদ্ধ বোলোন।, শুনলে কে যেন আমার কানে গরম লোহার ছ্যাক৷ দেয়। তোমার কোনে! বয়ল নেই আমার কাছে, তুমি আজও ঘ।, আমার শেষ দিন অবধি তাই থাকবে ।” হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “ভাল, দুক্জনের কথাই ছুঙ্নে রাখলাম। কিন্তু তুমি প্রথমে বলতে যাচ্ছিলে কি, যখন তোমায় বাধ! দিলাম ?* বিনতা জিজ্ঞ।সা করিল, "আত্মীয়-স্বঞজনকে জানান হবে ত1?” হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “জানান হবে বই কি? এতলুকবার কিছু নয়? তোমার ধারা আত্মীয় আছেন জানাও তাদের। আমিও বাড়ীতে চিঠি লিখে দিচ্ছি। সম্প্রতি বাড়ীতে যারা আছে, তাদের ত মুখেই বল যাবে ।» বিনতা বলিল, “মন! ত একেবারে বিস্ময়ে হতবুদ্ধি হয়ে যাবেন। তার মতে ত অনন্ঠপূর্বব1 মেয়ের বিয়েই হতে পারে না। তার মুস্তিমতী ছূর্ভাগ্যন্ধপিণী মেয়ের এমন কপাল হবেঃ এ তিনি ধারণাও করতে পারবেন না।+' হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “্ধারণ। না! করুন, বাস্তব 1দনিষটকে ত্বীকার তাকে করতেই হবে। তোমার পিলীম। কি বলবেন ?” তিনি খুব খুসী হবেন। ওর ওসব কুসংস্কার নেই। তবে করতে কিছুই পারবেন না, অক্ষম হয়ে পড়েছেন।” “থুসী হওয়ার লোকেরই অভাব, কজ করবার লোক ঢের জোটে ।” বিনত! বলিল, “আর একজন লোক খুশী হুবে না, সে তোমার ভাই রমেশ।” হরেন্ত্রনাথ বলিলেন, “তাই নাকি? তিনিও বুঝি তোমার দিকে দৃষ্টি দিচ্ছিলেন? চোখ দেখে তার, মাঝে মাঝে তাই মনে ছত।” বিন্তা বলিল, “তা জানি না, তবে তুমি আমাকে নিলে, এ তার সম্থ হবে না। স্বর্ণকে সারাক্ষণ সে এ কথাই শোনায়। তোমার যে চেষ্টা আমার বিয়ে দেবার» পেট! নিতান্তই লোক দেখান, আসলে নিজের জন্তেই আমাকে £559:5ও করে রেখেচ ।৮ হরেআ্জনাথ হাসিয়া বলিলেন, ণ্বাদর ছলে কি হয়, ধরেছে ঠিক । মৃগাঞ্ষকে বিয়ে করবে ন! বল্লে যখনঃ তখন মনে হল আমার যেন ফাসির হুকুম রদ হল।” বিনতা বলিল, “সত্যিই পুরুষদের বুঝি না আমি। এই মন নিয়েজন্ত লোকের সঙ্গে আমার বিয়েক় ঠিক করছিলে? আমি হলে ত আত্মহত্যা করতাম, ঘদ্দি দেখতাম তৃমি অন্ত কাউকে বিয়ে করছ।” ৩৩৮ : গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ হরেন্্রনাথ বলিলেন, “আত্মহত্যাই আমিও করছিলাম বিনতী, নিশ্তাস্ত ভগবানের কৃপায় রক্ষ! পেলাম । তোমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েযে আমি বেঁচে থাকতাম, সে এই হরেন নয়। তাকে দেখলে তুমি চিন্তে পারতে না। আচ্ছা প্র বোকা লোকটাকে একটা চিঠি লিখব ?” “কেন বোকা লোককে ?” “যে তোমায় অনন্তপূর্ব! করে ফেলে পালাল। কার্যাতঃ করে গেল অনন্তপূর্ব। | পুরুষজাতের উপরেই চটে গেলে । নিগ্গেকে রেখে দিলে আমারই জন্যে একান্ত করে। ও লোকট! আমার খুব বড় উপকার করেছে। বিনত বলিল, “সত্যি কথাই । ওর! যদি উঠে না যেত তাহলে এতদিনে কোন নরকে যেতাম কেজানে 2 সেইটাকেই মেনে নিতাম হয়ত।” হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “আমাদের দেশের বেশীর ভাগ মন্ম এই নরকেই বাস করে বিনতা। দেছের দিক থকে ঘনিষ্ঠতম হয়ে যায়, কিন্ত মনের তফাৎ তাদের স্মমের আর কুমেরুর তফাতের চেয়েও বেশী। কিন্ত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখ ক'ট। বেজেছে।” বিনতা৷ তাঁকাইল। তাড়াতাড়ি সরিয়া যাইবার চেষ্টা করিল, ধলিল, “কি তীন্ণ দেরি করিয়ে দিলাম তোমার । তুমি ত এর দুঘণ্ট। আগে বেরিয়ে যাও ।” হরেন্ত্রনাথ বলিলেন “অন্ধদিনের নিয়মে কি আজও কাঁজ চল্বে? আর তুমি অতব্যস্ত চোয়ো না পালাবার জন্তে। ন হয় আজ একটু ফাকিই দিলাম কাজে? কোনোদিন ত দিইনি?” বিনতা বলিল, “যা তোমার খুসি ।” হরেন্্নাথ এইবার বিনতাকে মুক্তি দ্রিয়। উঠিয়া পড়িলেন। বলিলেন, “তুমিও চল আমার সঙ্গে |” বিশ্মিত। বিনতা জিজ্ঞাস। করিল “কোথায়? রোগী দেখতে ?” “রোগীদের কাছ অবধি তোমাকে নিয়ে যাব না। হিংসেয় তাঁদের রোগ আরে! বেড়ে যাবে। বেশী নয়, গোটা ছুই রোগীকে মাত্র আঁজ দেখতে যাব। তারপর তোমাকে নিয়ে বাজারে যাব ।৮ বিনত। বলিল, “ন। দেখ, ঢের ত রয়েছে, এখনি আবার কেন? চিরজীবন ধরে পাই ত তোমার কাছে?” হরেন্ত্রনাথ তাহার গাল টিপিয়! দিয়া বলিলেন, প্বুড়ী গিম্নীর মত পাকামী কোরোন! ত এখনি । নৃতন বউ হুতে যাচ্ছ, ঠিক তেমনি চুপ করে থাকবে । আর শাশুড়ী যখন এখানে উপস্থিত নেই, তখন তার পুত্রের হুকুমমত সাজপজ্জ: করবে । আমার বউ অন্ত কারে! কাছে ত হার মানতে পারে না?” বিনতা বলিল, “আচ্ছা, তাই হবে। তোমার কথার উপর কথ। বল! আমার উচিত হয়নি ।” হরেন্ত্রনাথ বলিলেন, “অন্থচিত আরকি? তবে কট! দ্িন সবুর কর একটু । যে ক'টা সাধ আছে তা একটু মিটিয়ে নিই। তারপর ত তোমার অবাধ্য হবার সব অধিকারই রইল। যাও দেখি, একটু তৈরি হয়ে এস। বাড়ীতে কাজ আছে নাকি?” বিনতা বঞ্চিল, “কিছু নেই, সব সকালে মিটিয়ে রেখেছি । ভাবছিলাম তুমি ন৷ জানি কি আবার বল্‌বেঃ আর কেঁদে মরতে হবেসারাদিন। নিজের কাছে ধর! পড়ার পর এঁ ত ছিল আমার কাজ। থেতে পারতাম না, ঘুমুতে পারতাম নাঃ কোনো কাঁজে মন দিতে পারতাম ন।। খালি ভয় করত এই বুঝি তুমি দিলে আমায় বিদায় করে। এমন কষ্ট জীবনে আমি পাইনি |” ১৬৬৭ অনম্যপূর্কা ৩৩৯ হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, “একটু যদি আগে আমাকে জানতে দিতে । ত| হলে এতদিন বসে বসে এই ৰোকামীগুলে। করতাম ন1।।” ধিনতা বলিল, তুমি আজ বলিয়ে নিলে, তাই বলতে পারলাম। নিজের থেকে পারতাম না, বুক ফেটে মরে গেলেও পারতাম না ।” হরেন্ত্রনাথ আবার তাহাকে কাছে টানিয়া নিলেন। বলিলেন, “কেন বিনতা? ভালবাসা কি এতবড় অপরাধ? এটা স্বীকার করতে মেয়ের এত লজ্জা পায় কেন?” বিনতা বলিল, “ভয় পায় বলে বোধহয়। প্রতিদ্দান যদি না পায়, তা হলে সে লজ্জা ঢাকবার পৃথিবীতে আর কোথায় জায়গা থাকে ?” হরেন্দ্রনাথ বলিলেন, ণ“এট। কিন্তু আমরা পারি বিনতা। দেখ আমাকে দেখে কি খুব ব্যর্থ প্রেমিক মনে হয়? আগে যে ভালবাসার সামান্ত আচও আমার জীবনে লেগেছিল, তাও ত ভুলে গেছি।” বিনতা৷ হাসিয়। হরেন্দ্রনাথের কাধে মাথাট! রাখিয়! বলিল, “গুধু আচ বলেই অত সহজে ভুলেছ। আমার মত যদি দ্াবানলের মধ্যে পড়তে, তাহলে তুলতে পারতে না। ভালবাস! বলে যা কিছু চলে, তার বেশীর ভাগই ত ভালবাস নয়।” হখ্েন্ত্রনাথ বলিলেন, “শতকরা নিরানবব,ইট। নয়। কিন্তু আধার যদি এখন প্রেমালাপ আরম্ত করি তাহলে আমার আঞ্জ মার বেরনই হবে না। অতএব একটু নির্মম হয়েই তোমাকে সরিয়ে দিচ্ছি বুকের উপর থেকে । যাও লক্্ম।টি, তাড়াতাড়ি ₹9805 হয়ে এস ৮ বিনতা আরক্ত মুখে ঘরের বাহির হুইয়াই পড়িল রমেশের সামনে । জলন্ত দৃষ্টিতে বিনতার আনন্দ উচ্ছ্বসিত মুখ ও চোখের দ্রিকে তাকাইয়! সে সি'ড়ির মুখ হইতে সরিয়া গেল। বিনতার সন্দেহ হুইল সে হরেন্দ্রনাথের ঘরে কি কথ! হয়, তাচা শুনিবার জন্ুই এখানে ধাড়াইয়াছিল। কি শুনিয়াছে কে জানে? তাহারা কেহই বিশেষ নীচু গলায় কথা বলে নাই। হরেন্দ্রনাথের অগ্ভমান কি সত্য? রমেশও কি বিনতার দিকে আকৃষ্ট হইয়াছিল? কে জানে? তাহার দিকে মন দিবার বিন্দুমাত্র অবকাশও বিনতার ছিল না। গ্রস্তত হইয়া যখন হরেন্দ্রনাথের ঘরে ফিরিয়া আসিল, তখন তিনিও প্রস্তত। বিনতাকে দেখিয়! বলিলেন, “আজ বিয়ের 19818678602 এর নে।টীশ দিয়ে দিলে কেমন হয়? তার পরেও পনেরো! দিন বসে থাকতে হুবে। দ্বেরি করে কোনে লাভ আছে?” বিনতা৷ বলিল, “কিছুমাত্র লাভ নেই ।” হরেন্্রনাথ বলিলেন, “চল বেরই। যতট! কাজ এক সঙ্গে সেরে আস! যায়। আজকে ঘরেই বেঞীর ভাগ সময় কাটাতে চাই। একজনের ভবিষ্যতের [17 নিয়েই এতদিন ব্যত্ত ছিলাম, এখন দুজনের একসঙ্গে 0150 করতে হবে ।” |] হরেন্্রনাথ যতক্ষণ ফয়োগী দেখিলেম, ততক্ষণ বিমতা গাড়ীতে বসিয়া নিজেকে একটু শাস্ত করিবার ঢেষ্টা করিতে লাগিল। কিন্তু রক্তধারার উন্মন্ত নৃত্যকে থামাইতে পারিল না» হাদয়াবেগের প্রবলতায় নিজেই বিস্মিত হইয়া গেল। আনন্দের আতিশধ্যে কি শেষে সে অন্ুস্থ হুইয়। পড়িবে? হবেজ্নাথ ফিরিয়া আসিয়। বলিলেন, “তোমার মুখ চোখ এমম ছল্ছল্‌ করছে কেন? অন্ুস্থ লাগছে ?* ও ৩৪, গল্প-ভারতী | অগ্রহীয়ণ বিনতা৷ বলিল, “অসুস্থ নয়, কিন্তু ্বাভাবিকও নয় ।” হরেন্ত্রনাথ তাঁহার নাড়ী দেখিয়া বলিলেন, বড় বেশী চঞ্চল। অতখানি 056:2089 তোমার সহ হয়নি। চল বাড়ী ফিরে। আজ শুধু আংটিট! নিয়ে যাই, বাকী কাজ কাল হবে।” বিনত! বলিল, “কি বিচ্ছিরি, আজই শেষে অন্ুখ বাধাব নাকি ?” হরেন্ত্রনাথ বলিলেন, “না, না, অস্ুথ নয়। বাড়ীতেই ডাক্তার রয়েছে তোমার ভাবনা কি? মুক্কিল এই যে তিনি ত গুধু ডাক্তার নন, ভাবী স্থামী এবং প্রণয়ীও বটেন। অন্থথের মূলেও তিনি, অবসান করবার ভারও তার উপরে ।” হীরার আংটির মাপটা দেওয়। ছাড়! আর কিছু বিনতাকে করিতে হইল না। আংটি পরিয়া বাড়ী আসিয়। সিঁড়ি দিয়া উঠিতে উঠিতে বলিল, “আর কাউকে কিছু বোঝাতে হবে না; এইটে দেখলেই বাড়ীর সবাই বুঝবে। স্বর্ণ যার্টেগোবে। তার মতে ত তুমি মুনি-খধষিদের দলে। কোনে! স্ত্রীলোকের দিকে তাকাওই না । হরেন্ত্রনাথ বলিলেন, “পৌরাণিক খধিরা ত সবাই প্রায় পরীক্ষায় ফেল। একটি অঞ্গরা দেখলেই কাৎ হয়ে পড়তেন। আমি যাঁকে দেখে কাঁৎ হলাম তিনি ত ঢের বেশী উচু দরের জিনিষ। আচ্ছা, এখন ত থাঁওয়ার সময় হোলো । খেয়ে-দেয়ে একটু ঘুমিয়ে নাও ত লক্ষ্মী মেয়ের মত। তাহলেই বিকেলে আবার সুস্থ হয়ে উঠবে।” বিনত! তাহার হাত ধরিয়। বলিল, “একটু অবাধ্য হব এবার, এখন ঘুমতে পারব না|” হরেন্ত্রনাথ বেশী জেদ করিলেন না, কারণ বিনতার অনুস্থতাট৷ মারাত্মক কিছু ছিল ন1। চাকর-বাকর ছাড়া বাড়ীতে কেহ ছিল না। দুপুরের খাওয়া চুকিয়। গেলে, ছুজনে মিলিয়৷ সাম্প্রতিক কর্তব্য বিষয়ে আলোচন। করিতে বদিলেন, কিন্তু দেখিতে দেখিতে কথাবান্ডার মোড় অন্তদিকে ফিরিয়! গেল। বিনতাকে শেষ পধ্যপ্ত ঘণ্টাখানিক ঘুমাইবার চেষ্টা করিতে হইল, কিন্ত হাজার চেষ্টাতেও সে ঘুমাইতে পারিল না। বিকাল হইতে না হইতে কাজের চুতা করিয়া উঠিয়া! পড়িল। হরেক্্নাথ বলিলেন, “সকাল থেকে বাড়ীটা চুপচাপ ছিল আজ, সেট মন্ত লাভ। নইলে সকলের চোখ কান বাচিয়ে চলতে হত। সেটা পারা শক্ত, বেশী উত্তেজনার মুখে। মেয়ের কেঁদে কেটে খানিক হাক্ষা হয়ে যায, আমর। যে তাও পারি না। সকালে বুঝতে পারছিলাম না! অনেক সময় পায়ের তলায় মাটি আছে কিন1।” বিনতা বলিল, “বাইরে তুমি এত শক্ত দেখতে, যে কেউ কখনও বুঝবে ন! যে, ভিতরে তুমি এই রকম ।* “তুমি ত বুঝবে তাহলেই হল। ভিতরটার সঙ্জে আর আমার কাঁরই বা সম্পর্ক? চিরদিন ত আমি একলা । আচ্ছ। এইবার সব ফিরল বলে, জালাবে খানিক । বেশী 8881 হয়ো না, যে যাই বলুক । তোমার নাড়ীর চাঞ্চল্য এখনও ধায় নি। বিনত। বলিল, “কোনদিন যাবেও ন1।” চ1 খাইবার সময় বাড়ীর যাহার! বাহিয়ে ছিল, তাহার! প্রায় সকলেই এক সঙ্গে ফিরিয়! আসিল । বিনতার ছাতের ছবিকে চাহিয়া অন্তের অলক্ষ্যে একট! বিকট সুখতর্গী করিয়। রষেশ নিজের ঘরে চলিক! ১৩৬৭] অনস্থপূর্বা ৩৪১ গেল। ত্বরণ বিনতাকে দেখিয়াই চীৎকার করিয়া! উঠিল, বিনতাদি, একি কা? তোমাকে আংট পরাল কে?” হরেন্্রাথ ধরে ঢুকিয়া বলিলেন, *বিবাহযোগ্য পুরুষ মানুষ ত এ বাড়ীতে একজনই আছে, সেই পরিয়েছে।” বর্ণ বলিল, “এ রাম, বিনতাদি শেষে মামী হয়ে বসল? প্রণাম করতে হবে এরপর? রমেশ মামাটা ফাজিল হলে কি হয় ঠিকই বুঝেছিল। আমিই বরং বলতাম মেক্গমাম! সন্ন্যাসী মানুষ ওর ওপরে মন নেই। কোন মেয়ের দিকে তাকায়ই না।! মেজমাম। বলিলেন, “একবার ভাল করে তাকিয়েই ত এই দশা। বর্ণ বলিল, বিয়ে কবে হবে মেজমামা1? আমি থাকতে থাকতে হবে ত?» হরেন্্রনাথ বলিলেন, “নিশ্চয়, তোকে ত বরবর্ত্রী, কণ্তাকর্ত্রী ুইই হতে হবে। বউয়ের জন্ত কি কি দরকার ভাল করে একট! ফর্দ করত। তুইই ভাল পারবি। বিনতা! ত কনে মানুষ, তার লজ্জা করবে। তাছাড়া সে জানেই বাকি? বিয়ে ত আগে করেনি। তর্ণ বলিল, “সে ত বটে। তা ছাড়া নিজের বিয়ের কাজ, নিজে করতে নেই ।"। ৯ কিছুদিন পরের কথা। স্বপ্নার বাড়ীতেও বিবাহের ঘটা লাগিয়েছে। প্রথম! কল্ঠার বিবাহ, ধুমধাম হইতেছে সাধ্যমত। গোধূলি লগ্নে বিবাহ । কাজেই তাড়াতাড়ি কাজ হইতেছে। ইহারই মধ্যে কনেকে সাজান হইতেছে, ঘর একেবারে ভণ্ি। এ ঘর ছাড়িয়া কেহ নড়িবার নাম করিতেছে না। সরোজিনী আসিয়া মাঝে মাঝে দেখিয়। যাইতেছেন। সপ্ন! জিজ্ঞাস করিল, “মা বিনতাদি আসবে না! অজ ?% মা বলিলেন, “আসতে ত অনেক করে বলে দিয়েচি, তার বাড়ী থেকেই ত বর বেরচ্ছে। এখন আর দিদি বলছিস্‌ কেন, কাকী হয়ে বসেছে ।” ত্বপ্ন। বলিল, “কি দারুণ কপাল বাব! মেয়ের । এল নাস” হয়ে, হল রাজরাণী।” সরোজিনী বলিল, “তা মেয়ের গু আছে বাছা। রূপে ভোলায়নি। এমন সেবা করেছে যে তাতেই জিতে গেছে। নে সব তাড়াতাড়ি, এখনি বর এসে পড়বে ।” বরের বাড়ী, অর্থাৎ বরের কাকার বাড়ীতে মহাঁধুম। আত্মীয়দ্বজনে বাড়ী গম্গম্‌ করিতেছে। অনিলের মায়ের হাতে আজকার গৃহিদীপনার ভার দিয়া» বিনত। নিজের ঘরে বসিয়া স্বামীকে বুঝাইতে চেষ্টা করিতেছে যে ন্বপ্রাদের বাড়ী অন্ততঃ এত সাজিয়! যাওয়া! তাহার ভাল দেখায় না। সেখানে সে ছিল আর একভাবে । হরেম্রনাথ বলিলেন, "তুমি আমার কথ শুনবে কিনা বল। তার উপর নির্ভর করবে আমার যাওয়া ।” বিনত| মিনতিপূর্ণ চোখে তাকাইয়া বলিল, “কবে তোমার কথ! ন! গুনি আমি? আজ একদিন র্দি আমার কথাটা! গুনতে ।” ৩৪২ গয্প-ভারতী [ অগ্রছায়ণ হরেন্্র বলিলেন, “বেশ, আমিও যাব না, তুমিও যেয়ে! না।” বলিয়া লগ্ব। হইয়া খাটের উপর শুইয়া পড়িলেন। বিনতা ছুই হাত ধরিয়। তাহাকে টানিয়া তুলিল, বলিল, “রাগ কোরোনা, রাগ কোরোনাঃ য বলছ তুমি তাই হবে। এ রকম পাথরের মত চোথ করে আম।র দিকে তাঁকিও না, আমার বুকের ভিতরটা হিম হয়ে যাঁয়” বলিয়! স্বামীর কঠালিঙ্গন করিল। অতঃপর বিনতার সাজসজ্জা নিব্বিবাদেই সম্পন্ন হইল, এবং হরেন্দ্রনাথের চোঁখে-মুখেও আর রাগের চিহ্ন দেখ! গেল না। গোল।পী বেনারণী ও হীরার গহনায় সাপ্জিয়। বিন্তার মনের য| লজ্জ! তাহা! মনেই রহিয়! গেল। বাছিরে আর প্রকাশ করিল না। শঙ্ঘধ্বনি ও হুলুধবনির ভিতর বরযাত্রীর দল বাহির হইয়া পড়িল। বিবাহ বাসরে তখন মহাভীড়। বরযাত্রীর দলের আশায় সকলে আসিয়া রাস্তায় দাড়াইয়াছে। রম্থুন চৌকীর বানা, শহ্বধ্বনি ও হুগুধবনির মধ্যে বরযাত্রীরা আমিয়। পৌছিল। প্রথমে সুসজ্জিত বরের গাড়ী। দর খুলিয়। দিতেই নামিলেন বর, বরকর্তী, রমেশ ও একজন বন্ধু। পরের গাড়ীট! ডাঃ হরেন্দ্রনাথের | অভ]াগত্তর। তাক ইল বরের গাড়ীর দিকে, বাড়ীর লোকের! বেশী কিয়া তাকাইল দ্বিতীয় গাড়ীখানার দিকে । হরেন্দ্রনাথ পুরাতন বন্ধু, সুদর্শন হইপেও, নূতন নয়। সঙ্গিনীটি স্বন্দরী ও অতি সুসজ্ঞজিতা, সেও নূতন নয়, কিন্ত আজ নৃতন রূপেই আসিয়াছে । সরোজিনী ছুটিয়া আসিলেন অভ্যর্থন করিতে, "এস ভাই এস, এই ঘরে স্বপ্না আছে ।” বিনতার বড়ই অগ্রতিভ লাগিতেছিল। কিন্তু উপায় ত নাই। তাঁহার উপর যে ভালবাস! নিত্য বধিত হইতেছে, তাহাতে সে প্রায় নিজেকে হারাইচ। ফেলিয়াছে, হরেন্দত্রনীথের সামানততম কথাও সে না রাখিয়া পারে না। স্বপ্ন! বলিল, “বাবাঃ, য। দেখাচ্ছে। আমার দ্বিকে কেউ আজ আর তাঁক!বে না।” বিনত। বলিল, “যার তাঁকাবার সে ঠিকই তাকাবে । দেখ ভাই কথা দিয়েছিলাম যে বরযাত্রী হয়ে আসব হয়ত তাই এলাম।১, স্বপ্ন! বলিল, *্ট্যা বেশীদিন থাকলে বরযাত্রী হবে বলেছিলে বটে। তা একেবারে চিরদিনের মত থেকে গেলে। তোমার ঠিক গল্পের 01019:6118-র মত কপাল ।% ররর রাহা রাস্তার ধারে একটা জঙ্গলের পাশে একদল ভবঘুরে এসে আশ্রয় নিয়েছে । তাদের দলে মেয়েপুরুষ ছেলেমেয়ে সবই আছে। শিল্পী বেরিয়েছেন তার বিষয়বস্তর খোজে। ঘুরতে ঘুরতে তিনি এসে পড়লেন সেই ভবঘুরের দলের সামনে । লক্ষ্য করে দেখলেন তিনিঃ একটি তরুণী মাতা তার স্তন্তপানরত সন্তানের মুখের দিকে কি আকুল আগ্রছে চেয়ে আছে। শিশুটিও তার মায়ের গল! জড়িয়ে যেন একটি পরম শাস্তির আশ্রয় খুজে পেয়েছে--এইভাবে চেয়ে আছে তার মায়ের মুখের দিকে। শিল্পীর চোখে মাতৃত্ব এক নূতন রূপ নিয়ে ধর! দিল। দৃশ্ঠটি মনে গেঁথে নিয়ে তিনি ফিরে এলেন তার শিল্পাগারে। আজও র্যাফেলের মাডোন! জগৎজোড়! খ্যাতি নিয়ে রয়েছে। মাতৃত্বের ছবি অমনটি আর কোথাও নেই। ১ ৯ পা র্‌ “1 টু "১ / £ এ 4 হা 8 পা 1154 চিনি 4 88৮১5 ৯ 3 " / রর মি কি ল্, টু ২০ ০7814 (৮:42 রে হি যা রর ০) 18 দৈট ৪৫367720585 ৮712271 পরিতৃপ্তিতে গড় অবশেষে কটিন পরিশ্রম ও দুশ্চিষ্ভায় ভয়! সুদীর্ঘ দিনগুলির থবসাম হ'দ। তিনি কর্মঙ্ষেঞ থেকে অবমর গ্রহণ করলেন। স্ীবনের মকল দাসত্ব তিনি সুষ্ঠভাবে পালন করতে পেরেছেন। এখন মেয়াদ পূর্ণ হওয়া জীবনবীমার পলিসি থেকে একটি নিয়মিত ও নিদ্টি আয় থাকায় তিনি ঠার অবসর জীবনের দিনগুলিকে প্রথ ও পরিতৃপ্তথির সঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন। আপনার মেয়ের বিয়ে, ছেলেমেয়েদের উপযুক্ত শিক্ষ। ও তাদ্ছের উচ্চতর কর্ম গীবনে গ্রতিষিত কয়ার খরচপত্র এবং আপনার অবসয় জীবনে একটি নিয়মিত সচ্ছল আয়ের খাবস্থা করা গুরুদধায়িত্ব জীবনবীমার উপর দিয়ে নিশ্চিন্ত হোন। মনে রাখবেন, এই সমন্ত স্ুবিধ। আপনার জীধদশার তে। থাকবেই আপনার হঠাৎ কিছু একট! হ'লেও এর বাতিক্রম হবে না। * প্রতি বছর এল,আই.ি, ২৮ কে!টিরও বেশী টাকার দাবী মিটিয়ে থাকে । এর মধ্য ২১ কোটি টাকারও বেশী পেয়ে ধাকেন জীবিত বীষাফারীগণ ... কোন ত্িকল্প £ বরীন্দ প12৮৭০/ রবীন্দ্রনাথ ও সাহিত্য-জিজ্ঞাস1! (২) ৰং আলঙ্কারিকদের বিরুদ্ধে আধুনিক সাহিত্য-পাঠকের অভিযোগ এই যে, তাহার! সামগ্রিক এ দষ্টতৈ কোন কবি-কৃতির বিচার করেন নাই, সমগ্রভাবে কোন কাব্য বা নাটকেরই সৌন্দর্য বিশ্লেষণ করেন নাই। তীহার! কাব্যের অগ্পগ্রত্যঙ্গকে থণ্ড খণ্ড করিয়া! প্রতিটি অংশের অর্থাৎ শ্লোক বা বাক্যের রস, দোষ, গুণ, রীতি, ধ্বনি, অলঙ্কার প্রভৃতি নির্ণয় করিয়াছেন, স্থতরাঁং অনেক ক্ষেত্রে তাহারা অপূর্বব বিঙ্লেষণ-শক্তির পরিচয় দিলেও কোন কাব্যের উপর নুতন আলোকপাত করিতে পারেন নাই। যেরূপ সমালোচনাকে নূতন স্ষষ্টি বল! যায়, সে ধরণের সমালোচনা হয়তে| ভারতবর্ষে ছিল ন| কিন্তু যে ধরণের সাহিত্যবিচারের “পদ্ধতি ভারতবর্ষে ছিল, তাঁহার কোন সার্থকতা নাই, এমন কথাও বল! যায় ন1। আঁলংকারিকদের আলোচনার ফলেই এদেশের ধাহারা রসঅষ্টা তাহারা শব্চচয়নে এবং দোঁম-পরিহারে' অতি মাত্রায় সচেতন 'হইতেন। অবশ্য, এই আলঙ্কারিক বিধিনিষেধই আবার কবিগণের হ্বচ্ছন্দবিহারিণী কল্পনাকে কিছু পরিমাণে ব্যাহত করিত। কিন্তু একমাত্র ভারতবর্ষেই আলঙ্কারিকগণ রসজতার সঙ্গে হুল্মঘশিনী নৈয়ায়িকী বুদ্ধির পরিচয় দিয়াছেন। সুতরাং ধাহারা মনে করেন, এদেশে সাহিত্য-বিচারের অর্থ কাব্য- শরীরের ব্যবচ্ছেদ মাও (1188908102১, তাহার ত্রাস্ত। পাশ্চাত্য দেশে হৃষ্টিধম্মী সমালোচনার অভাব নাই । তাহার! সমগ্রভাবে কাব্যের বিচার করিয়া কবি-কৃতির মধ্য দিয় কবির অন্তর্পোকে প্রবেশের চেষ্টা করিয়াছেন, কবির বিশিষ্ট প্রকাশ-ভির (81519) মধ্য দিয়া তাহার ব্যক্তি-সভাকে উদ্ঘাটন করিয়াছেন, কখনও বা কোন শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকের রচনাবলীর কালানুক্রমিক আলোচন! করিয়। কবি-মানসের অভিব্যক্তির ধারাটি অনুসরণ করিয়াছেন, কেহ বা সাহিত্য হইতে সমাজচিত্র সংগ্রহ ব। রতিহাসিক তথ্য আহরণ করিতে চেষ্টা পাইয়াছেন। আবার কেহ বা ব্যক্তিগত ভালো-লাগ। বা না-লাগার মানদগুটি আবিষ্কার করিতে চাহিয়াছেন। কিন্তু তাহারা যখন মহাকাব্য, গীতিকাব্য, নাটক, উপন্াস, ছোট গল্প গ্রভৃতির লক্ষণ নির্ণয়ের চেষ্টা! করিয়াছেন, তখন তাহারা সাহিত্যের গ্রত্যেকটি প্রকার-ভেদের (1180:82) 10005 ) সীমারেখা চিহ্নিত করিয়াছেন। আমর! মনে করি, সাহিত্য- বিচায়ে এইকপ কন্মুলার আশ্রয়্-গ্রহণ কৃত্রিম ও অনেকাংশে বিভ্রান্তিজনক | এইদূপ 'ফগ্পুলা আয়ত করিয়াই আমরা! বলিয়া! থাকি, মধুদুদনের মেঘনাদবধ মহাকাব্য হয় নাই, কালিদাসের শকুন্তলা (অন্তত প্রথম চাঁরিটি অন্ধ লইয়! বিচার করিলে ) নাটক হয় নাই, হইয়াছে গীতিকাব্য, আর নাটক রচনায় রবীন্দ্রনাথ লিদ্ধকাম হন নাই। আমরা .এইকপ মন্তব্যের সারবত্তা শ্বীকাঁর করি না, দ্বয়ং রবীন্ত্রনাথও করেন নাই। রবীন্দ্রনাথ যেমন ভারতের প্রাচীন আলঙ্কারিকদের মত কাব্যের দোষ, গণ, রীতি, অলঙ্কার প্রভৃতির আলোচনায় প্রবৃস্ত হন নাই, তেমনি আবার সাহিত্যের প্রকার-ভেদ লইয়াও কোনরূপ বিচার-বিক্লেষণ করেন নাই। রবীন্ত্রনাথের সাহিত্য-বিষয়ক নিবদ্ধ-সমূছে আমর! "সাহিত্যের তথ্য ও সত্য” 'সাহিত্য-তনব। 'লাহিত্যিন্র্মা, সাহিত্যের তাৎপর্ধ্য প্রভৃতি নান। বিষয়ে কৰির ধ্যান-ধারণার সঙ্গে পরিচিত হই। ৬৪৬ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ আমর! বঙলিয়াছি, “কাব্যং রসীত্মকং বাঁক২,,-_-কাব্য ব সাহিত্যের এই সংজ্ঞা রবীন্দ্রনাথ গ্রহণ করিয়াছেন । সাহিত্যের এই রস নিত্যবস্ত, ইহ! দেশ বা কালের অপেক্ষ! রাখে না, এইজন্য শ্রেষ্ঠ সাহিত্য যে দেশে বা যে কালেই রচিত হউক না কেন, উহ! সকল দেশের কল কালের রসিকসমাজের উপভোগা, অম্নন কুন্থমের মালার মত সহৃদয় ব্যক্তি উহাকে কে ধারণ করিয়া থাকেন। রবীন্্রনাথ বলেন, সাহিত্যিকের লক্ষ্য লোকঠিতৈষণ! নহে, স.হিত্যস্থষ্টি বিধাতার -শ্ৃষ্টির মতই আানন্দ হইতে উদ্ভৃত। সাহিত্য প্রয়োজনের অতীত সামগ্রী । অবশ্থ, আমর সাহিত্য হইতে কোন শিক্ষা আহরণ করিতে পারি না, এ কথ্য সত্য নয়। রামায়ণ ও মহাভারত আমাদিগকে মহত্ব ও মনুষ্যত্বের প্রেরণ! দেয় এ কথ সভ্য, কিন্তু মহাকাব্য হিসাবেই এই ছুইথানি গ্রন্থের গৌরব । সুতরাং দার্শনিক, নীতিশাস্ত্রবেত্া ও কবির লক্ষ্য এক নয়। রবীন্দ্রণাথ কিন্তু মেঘদুতের আলোচনা-প্রসঙ্গে বলিয়াছেন-কালিদাসের মেঘদুতের মত পৃথিবীর সকল শ্রেষ্ঠ কাব্যেরই পূর্বমেঘ ও উত্তরমেঘ আছে। পূর্বমেঘ আমাদিগকে পথের বিচিত্র নয়নন্শুভগ সৌন্দর্যা দেখ।ইয়৷ মুগ্ধ ও বিশ্মিতকরে আর উত্তরমেঘ আমাদিগকে শ্রেয় বা কল্যাণের পথের নির্দেশ দেয়। “ভাষা! ও ছন্দে মহধি বান্মীকি দেখধি নার্দকে বলিতেছেন- মানুষের ভাষা! এতকাল প্রয়োজনের সীমার মধ্যে বন্ধ ছিল, কিন্তু কাব্যের ভাষ| অপ্রয়োজনের ভাষা, সে ভাষা মানুষকে মুক্তপক্ষ বিহঙ্গের স্থায় প্রয়োজনের উর্ধে ভাবের স্বর্গলোকে লইয়া যাইবে । শুধু তাহাই নহে আমি অভিনব ছন্দে যেকাব্য রচনা করিব, তাহ।তে মহামানবের চরিত্র কীর্তন করিয়! মানুষকে দ্েপ্তা করিয়া তুলিব-. “দেবতার স্তবগীতে দেবেরে মানব করি আনে, তুলিব দেবতা করি মানুষেরে মোর ছন্দে গানে । ভাবাবিষ্ট বাশ্ীকি নারদকে যাহ! বলিয়াছেন, তাহার তাৎপর্য এই-_কাব্য যেমন মানুষকে আনন্দ পরিবেশন করেঃ তেমনই তাহার আশ। ও আকাঙ্ষাকে মহৎ করিয়া তোলে, তাহাকে শ্রেয়ের পথ নির্দেশ করে। এবিষয়ে বন্ধিমচন্ত্রের অভিমতও ন্ুস্পষ্ট। তিনি বলিয়াছেন, যিনি রস্থষ্টির মধ্য দিয়া লোক-কল্যাণ সাধন করিতে পারেন, তিনিই শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক। এ বিষয়ে আমাদের প্রাচীন পণ্ডিতদের অভিমত এই যে, কাব্য আমাদিগকে উপদেশ প্রদণন করে বটে কিন্ত সে উপদেশ কাস্তাসম্মিত। বিশ্বনাথ কবিরাজ বলেন “যাহার! অল্পধী, তাহারাও কাব্যের অনুশীলনের ফলে অনায়াসে চতুর্বরগ ফল লাভ করিতে পারেন। রামায়ণ আমাদিগকে এই শিক্ষাই দেয় যে রামচন্ত্র লক্ষণ প্রভৃতির দৃষ্টান্তই আমাদের অনুসরণ করিতে হইবে, কেননা, উহ্থাই শ্রেয়ের পণ, আর রাবণ প্রভৃতি যে পথে গিক্লাছেন, উহ! বিনষ্টির পথ। বিশ্বনাথ যাহা বলিয়াছেন, তাহার সমর্থনের জন্ত একটি উদ্ধৃতি দিয়াছেন-- ধর্ধার্থকামমোক্ষেযু বৈচক্ষণ্যং কলাম চ। করোতি কীত্তিং শ্রীতি্* সাধুকাব্যনিষেবণম্ ॥ বেদাদি শাস্ত্র নীরস, সুতরাং যাহার! তীক্ষধী, তাহাদেরই বন্ধ ক্লেশে এই সব শাস্ত্রের চ্চার দ্বার! চতূর্বরগ লাভ হইয়। থাকে । কিন্তু কাব্য আমাদের অনির্বচনীয় আনন্দ উৎপাদন করে, সুতরাং ধাহার! স্কুমারমতি, তাহারাও অক্েশে কাব্য পাঠের বায়! চতুর্বর্গ লাভ করিতে পারেন। এখন প্রশ্ন হইল : ধাহারা। পরিণতবুদ্ধি বা তীক্ষধী, বেদাদি শান্তর থাকিতে তাহাদের কাব্যপাঠে ১৩৬৭ " রবীন্দ্র-পাঠচক্র ৩৪৭ প্রবৃত্তি হইবে কেন? উত্তরে বিশ্বনাথ জিজ্ঞাসা করিতেছেন--যদ্ি এমন হয় যে কটু উধধেও যে রোগের উপশম হয়, মিষ্ট ওষধেও সেই ব্যাধিরই নাশ হয়, তবে মিষ্ট উষধ সেবনে কোন্‌ রোগীর না প্রবৃত্বি হইবে? রবীন্দ্রনাথ হয়তো! বলিতে চাহিয়াছেন, কবি লোক-কল্যাণ সাধন করেন বটে কিন্ত সে সম্পর্কে ফোন সচেতন আদর্শ কবির মনে বর্তমান থাকে না। আর এই কল্যাণের আদর্শ কাবোর মধ্যে যত বেশি ্রচ্ছন্ন থাকে, কাব্য হয় তত বেশি রসঘন। কালিদাসের শকুস্তলা, মেঘদুত বা কুমারসম্ভবে মঙ্গলের আদর্শ আছে বটে কিন্তু উহা কোথাও প্রকট ভ্ইয়া উঠে নাই, উহ! সুন্দরের আদর্শের সঙ্গে অভিন্ন । রবীন্দ্রনাথ উপনিষদের মন্ত্রে দীক্ষিত, গুঁপনিষদিক ভাবধ।রায় নিষ্ণাত, তাই কাব্যবিচারেও তিনি এই প্রভাবকে অতিক্রম করিতে পারেন নাই। উপনিষদ ধলেন_-'আনন্দাাছ্ধোব থান্বম নি ভূতানি জায়ন্তে আনন্দেন জাতামি জীবস্তি আনন্দং খলু প্রযস্ত্যাভিসংবিশস্তি'। “আনন্দ ১ইতে ভূতগণ জন্ম লাভ করে, তাচার। আনন্দেই বিধৃত, আবার আনন্দেই তাহারা অন্ুপ্রবিষ্ট হয়।” রবীন্দ্রনাথ বলেন, খিধাতার হৃষ্টির স্তায় কবির হৃষ্টিও আনন্দেরই প্রকাশ, উহ! যেন কবির লীলাখিলাস। বিধাতার মনে যখন সিল্যক্গ! জাগে, তখন তিনি বলেন_-“একোহ্হং বু স্যাম্‌ গ্রজায়েয় ইতি” । “আমি এক আছি, আমি পু হইব, আমি প্রজা সষ্টি করিব । কবির মনেও বু হইবার, নিজেকে বিচিঝ্রর্ূপে প্রকাশ করিবার বাসনা জাগে । আবার উপনিষদ আমাদিগকে শিক্ষা দেয়, ব্রদ্মের সে যুক্ত হওয়ার অর্থই নিখিলের সঙ্গে যুক্ত হওয়!। ঈশোপনিষদ্‌ বলেন-_ যস্ত সর্বাণি ভৃতানি আত্মন্তেবান পশ্যতি। সর্ধবভূতেষু চাত্মানং ততো ন বিজুগ্ুগ্গতে ॥ ষন্মিন্‌ সর্ববাণি ভূতানি আত্জমৈবাতৃদ্বিজানতঃ। তন্ত্র কো মোহঃ কঃ শোকঃ একত্বমন্পশ্থাতঃ” ॥ খিনি সমস্ত প্রাণিবর্গকে নিজের আত্মায় দর্শন করেন এবং নিজের আত্মাকে সর্বভূতে দর্শন করেন, তিনি কাহাকেও দ্বণা। করেন না। একত্বদর্শা পুরুষ ধখন নিজের আত্মায় সর্বভূতকে দর্শন করেন, তখন তিনি শোক ও মোহের অতীত হন। রবীন্দ্রনাথ বলেন, মানুষ যখন নিজের মধ্যে বিশ্বমানবের সঙ্গে মিলনের প্রেরণা অনুভব করে, তখনই সে বিচিত্ররূপে-কাব্যে, চিত্রে সংগীতে, স্থাপত্যে, ভাস্কর্ষেয আপনাকে প্রকাশ করে। “কাব্য'*'যদ্দি আনন্দের প্রকাশ হয়ঃ তবে সে মৃড্যুজয়ী”। সাহিত্যের বিষয়-বস্ত কি? দুল ভাবে বলা যায়, মানুষ, প্রকৃতি ও ঈশ্বর। কিন্তু এই তিনটির বাহিরে তে। কোন বিষয়বস্তই নাই, থাকিলেও তাহা মানুষের চিন্তার অগম্য। সাহিত্যের বিশেষত্ব এই যে, উহাতে শ্রেণীর প্রাধান্ত নয়, ব্যক্ষিরই প্রাধান্ত । বিজ্ঞানে আমর! শ্রেণীবিভাগ (0188815085109 ) বা জাতি-নিরয়ের প্রয়াস:দেখিতে পাই, ইতিহাস বা নৃতত্বে নানা জাতির পরিচয় লাভ করি, কিন্তু ব্যক্তিই সাহিত্যের আশ্রয়। রবীন্দ্রনাথ এই ব্যক্তি কথাটিকে ব্যাপক অর্থে প্রয়োগ করিয়াছেন। তিনি বলেন--“সাহিত্যের ব্যক্তি কেবল মান্য নয়, বিশ্বের যে কোন পদার্থ ই সাহিত্যে সুস্পষ্ট, তাই ব্যক্তি”। সাহিত্যে অলংকরণ জিনিষটি বাহির হইতে আক্ষিণ্ড নয়, “অলঙ্কার; কটককুগুলাদিবৎ, অর্থাৎ, অলঙ্কার সাহিত্য শরীরের অঙ্গে কটক, কুগুল প্রভৃতির মত, বিশ্বনাথের এ কথা সত্য নয়, কবির! ভাব বা অন্ধুততিকে প্রকাশ করিতে গরিয়াই বিনা প্রযত্বে অলংকারের আশ্রয় নিয়া থাকেন, তাই আমাদের দেশের অনেক রসগ্রাহী মনীবীর দৃষ্টিতে অলংকার অপৃথগযন্নির্বর্ড্য” | রবীন্্নাথের দৃষ্টিতেও রসাত্মক বাক্য ও অলংকৃত বাক্য অভিন্ন। ৯১ ৩৪৮ শল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ লালসার ব। উগ্র ভোগাকাজ্ষার অসংযমের ছার! যে সাহিত্য বিকৃত, সেই সাহিত্যই বস্ততান্ত্রিক, এরূপ মনে করিবার কোন কারণ নাই। সাহিত্যের সৌন্দর্ধয সংযমে ও গুচিতায়। সাহিত্য অবশ্য জীবনকে অস্বীকার করে না! বা মানুষের সহজ প্রবৃত্তির গ্রতি, তাঁহার জীবধর্শের প্রতি উপেক্ষা করে না। কিন্তু এক কালে বাংল! দেশে এক শ্রেণীর তরুণ লেখক অতি আধুনিকতার নামে সাহিত্যে উদগ্র ইন্দ্িয়-লালসার আমদানি” করিয়্াছিলেন। রবীন্দ্রনাথ একথা অকুষ্টিত চিত্তে স্বীকার করিয়াছেন যে ইহাদের মধ্যে শক্তির পরিচয় আছে ও চিস্তার সবলতা৷ আছে, কিন্তু দেশের যথার্থ সমন্যার সঙ্গে ইহাদের যোগ নাই এবং বিদেশী ভাবধারার ভ্বারা ইহার! অতিমাত্রায় প্রভাবিত, তাই ইচারা সত্যকারের সাহিত্য হ্ষ্টি করিতে পারেন নাই। ইহাদের অধিকাংশই সাহিত্যে “সহজিয়া” সাধন গ্রহণ করিয়াছেন। এই সহজ পন্থার অনুসরণ করিয়া অপরের কাছে বাছব। পাইবার ইচ্ছাকে রবান্ত্রনাথ বলিয়াছেন 'সাহিত্যিক কাপুরুষতা” | আমর! ষে অতি-মধুনিক সাহিত্যকদ্ধের কথা বলিলাম, তাহার! অনেকেই ফ্য়েডীয় মনোবিকপনের (785070-4515519 ) দ্বারা গ্রভাবিত হইয়াছিলেন। তাহাদের মনে এইরূপ ধারণ! জঙ্গিয়াছিল যে, মান্গষের সকল শুভ ব৷ অগ্ডভ কর্ম-গ্রচেষ্টার মূলে আছে কাম বা যৌন লালসা আর এই সত্যটিকে সাহিত্যের মধ্যে গ্রকাশ করাটাই যথাথ সাহসের পরিচায়ক। সাহিত্যিকদের এইকপ প্রবৃত্তি লক্ষ্য করিয়৷ রবীন্দ্রনাথ বলিয়াছেন--'সাছিত্যে সমগ্রকে সমগ্র দৃষ্টি দিয়েই দেখতে হবে। আজকাল সাইকো-গ্যানালিসিসের বুলি অনেকের মনকে পেয়ে বসে? * মাচুষের চিত্তের উপকরণে নানাপ্রকার প্রবৃত্তি আছে--কাম, ক্রোধ, অহংকার ইত্যাদি । ছিন্ন করে গেধলে যে বন্ত-পরিচয় পাওয়া যায়, সম্মিলিত আকারে তা পাওয়! যায় না। &র বিশ্লেষণে হীরকে অঙ্গারে প্রভেদ নেই হৃষ্টির ইন্দ্রজালে আছে। সন্দেশে কার্বন আছে, নাইট্রোজেন আছে, কিন্ত সেই উপকরণের দ্বার! সন্দেশের চরম বিচার করতে গেলে বুতর বিসৃশ ও বিস্বাদ পদার্থের সঙ্গে তাকে একশ্রেণীতে ফেলতে হয়) কিন্তু এতে করেই সন্দেশের চরম পরিচয় আচ্ছন্ন হয়। কার্বন ও নাইট্রোজেন উপাদানের মধ্যে ধরা পড়। সত্বেও জোর করে খলতে হবে যে, সন্দেশ পচ! মাংসের সঙ্গে একশ্রেণীতুক্ত হতে পারে না। কেননা, উয়ের উপাদান এক কিন্তু গ্রকাঁশ স্বতগ্র। চতুর লোক বলবে, প্রকাশট। চাতুরী, তার উত্তরে বলতে হয়, বিশ্ব-গৎটাই সেই চাতুরী। বিশ্বের অন্ততম শ্রেষ্ঠ অভিযাত্রী নান্সেন একদিন বক্তৃত! করছিলেন সেপ্ট এগু জ বিশ্ববিদ্তালয়ের ছাত্রদের সম্মুখে । কথ! প্রসঙ্গে বললেন £ আমি যখন এগিয়ে চলি তখন পেছনের নৌকা পুড়িয়ে দিই, পার হওয়। সেতু উড়িয়ে দিই । পিছু হঠার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়, থাকে কেবল সামনে এগিয়ে যাওয়া । সমুখে চলার এর এক মন্ত্রঃ বার্ম দি বোট--পিছনে ফেরার কথা চিন্তা কোরো ন! । অর্থনৈতিক আলোচনা পশ্চিম বঙ্গের খসড়া তৃতীয় পঞ্চবাধিকী পরিকপ্পনা সম্প্রতি পশ্চিম বধ সরকারের উন্নয়ন বিভাগের পক্ষ হইতে পশ্চিম বঙ্গের তৃতীয় পঞ্চবাধিকী পরি" কল্পনার খসড়া প্রকাশ করা হইয়াছে। এই গরিকল্পনায় মোট ৩৪৬*০৩ কোটি টাকা ব্যয় করা হইবে বলিয়া গ্রস্তাব করা হইয়াছে। প্রধান প্রধান খাতে নিয়ন্ধপ বায় ধর! হইয়াছে £ মোট টাকা শতকর! (কোটি টাকার হিসাবে) হিসাব ১। কৃষি ও ক্ষুদ্র সেচ পরিকল্পনা ৮১:৪৫ ১০৬৮৭ ৩১ ২। সমষ্টি উন্নয়ন ও সমবায় ২৫৪২ ৩। বড় ও মাঝারি সেচ পরিকল্পন! ১৯৩৬ ] ৫৭৮৬ ১৭ ৪। বিদ্যুৎ ৩৮৫০ ৫। গ্রাম্য ও ক্ষুদ্র শিল্প ১০:৫৯ ] ১৩'১৪ ৬। শিল্প ও থনিজ ২'৫৫ ৭| পরিবহন ও যোগাযোগ ২৬৫৩ ৮ ৮। সমাজ সেব। ৯৪৩৮ ২৭ ৯। বিবিধ ১৩৪ ৪২'২৮ ১২ ১৯1 বিশেষ পরিকল্পনা ৪০৯৪ ১১। দামোদর উপত্যকা পরিকল্পন। ৫৩৪ ৩৪৬০৩ ১০০ শ্ঞ ভরত পরিকল্পনা! কমিশনের হিসাব অনুসারে দেখা যায়, পশ্চিম বঙ্গের গ্রথম পঞ্চবাধিকী পরিকল্পনায় ১৫১৯ কোটি টাক! এবং দ্বিতীয় পরিকল্পনায় ১৫৩৭ (বিহ্বারের কয়েকটি অঞ্চল পশ্চিম বঙ্গে যুক্ত হুইবার ফলে পরিবরিত হিসাবে ১৫৭৭) কোটি টাক। ব্যয় বরাদ্দ হইয়াছে। এই দিক হইতে বিবেচন! করিলে পশ্চিম বঙ্গের তৃতীয় পঞ্চবাধিকী পরিকল্পনা খুবই বৃহৎ হইয়াছে বলা! যায়। পরিকল্পনা কমিশন পশ্চিম বঙ্গের তৃতীয় পঞ্চবাধিকী পরিকল্পনার বায় বরাদ্দ ৩০৮৪ কোটি টাকার মধ্যে আবদ্ধ রাখিবার পক্ষে অভিমত প্রকাশ করিয়াছেন। কিন্তু পশ্চিম বঙ্গ সরকার অতিরিক্ত আরও ৩৬০৯ কোটি টাঁকা ব্যয়ের সিদ্ধান্ত করিয়াছেন। খাগ্শস্য উৎপাদনে পশ্চিম বঙ্গের ব্যাপক ঘাটতি পুরণ, দুর্গাপুর অঞ্চলের শিল্প সম্প্রসারণ, গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বুদ্ধি, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মাণ প্রভৃতি কার্য সম্পক্প করিতে হইলে এই অতিরিক্ত অর্থ বায় না করিয়। উপায় নাই। ৩৫৯ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ মূল খসড়া পরিকল্পনাকে অন্থদরণ করিয়া পশ্চিম বঙ্গের প্রস্তাবিত পরিকল্পনাতেও ঘোষণ। কর! হইয়াছে, (১) খান্তশত্তে শ্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিঃ এবং (২) ইন্পাত, জালানি, বিদ্যুৎ গ্রভতি মূল শিল্পের সম্প্রসারণের উপর সববাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হইবে। পশ্চিম বঙ্গের ক্রমবর্ধমান বেকার সমস্যার কথা উল্লেখ করিয়া বল। হইয়াছে, “ছোট, মাঝারি ও বড় শিল্পের সম্প্রসারণের দ্বারাই কেবলমাত্র এই তীব্র বেকার সমস্যার সম।ধান সম্ভব ।”১ তৃতীয় পরিকল্পনাকালে পশ্চিমবঙ্গে শিল্পখাতে সর্বমোট ১৩১৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হইবে। ৬ হইতে ১১ বৎসর পর্যন্ত বয়সের সকল বালক-বালিকাকে তৃতীয় পরিকল্পনা-কাঁলে অবৈতনিক ও বাধ্যত!মূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান কর! সম্ভব হইবে বলিয়া! আশা প্রকাশ করা হইয়াছে। তৃতীয় পরিকল্পনাকালে পশ্চিম বঙ্গে যে সব গুরুত্বপূর্ণ কার্য স্থরু কর হইবে, তাহার মধ্যে নিয়- লিখিতগুলি উল্লেখযোগ্য £ (১) দুর্গাপুরে একটি সার প্রস্তুতের কারখানা; (২) ছৃর্গাপুরে একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র; (৩) ব্যাণ্ডেলে একটি উচ্চ পর্যায়ের ভাপ দিছ্যুৎ কেন্দ্র; এবং (৪) কলিকাত। হইতে দুর্গাপুর এবং কলিকাতা হইতে দমদম পর্যস্ত ভ্রুত চলাচলের রান্তা। রান্ত। দুইটির জন্ত প্রায় ১৫ কোটি টাক বায় হইবে। জলঢাক! জল-বিছ্যুৎ পরিকল্পনার কাজও তৃতীয় পরিকল্পনাকালে যথেষ্ট অগ্রসর হইবে বলিয়া আশা কর! যায়। পশ্চিম বঙ্গের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফারাকা বাধের কোন উল্লেখ খসড়া পরিকল্পনায় নাই। পরিকল্পনার জন্ অর্থ সংস্থানের বিষয়ে বলা হইয়াছে, পরিকল্পনা কমিশন ১৬০ কোটি টাকা দিতে স্বীকৃত হইয়াছেন । রাজ্যের বর্তমান অর্থসংস্থানের হিসাবে আরও ৯২৮১ কোটি টাক! সংগ্রহ করে যাইবে। অর্থাৎ মোট ২৫২৮১ কোটি টাকার ব্যবস্থা হইবে। ইহার পরেও ৮৮ কোটি টাকার ঘাটতি থাকিয়৷ যাইবে। এই ঘাটতি পূরণের জন্ত একদিকে কেন্ত্রীয় সরকারের সাহায্য বুদ্ধির জন্ত চেষ্টা করিতে হইবে এবং অপরদিকে রাজ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহের ব্যবস্থা করিতে হুইবে। ভদ্রলোকটি পার্কে এসে আর একটি ভদ্রলোকের পাশে বসলেন, ভাব জমিয়ে বেশ হাঁসিমুখেই বল্পেন_-"এক টিপ নম্তি আছে নাঁকি মশাই ?* - “আজ্ঞে না, এখন ওট1 ছেড়েছি, ওট1 ছিল আমার পঞ্চধশ বাধিক পরিকল্পন1।” তা হলে, একটা সিগারেট ?--” --”আজে। সেটাও ছিল বিংশ বাধিক পরিকল্পন1। এখন ছেড়েছি ।* -প্অন্ততঃ, একটু দোক্তা বা জার্দ! ?” -“আজে ওটাও ছিল পঞ্চবিংশতি বাধিক পরিকল্পনা! ৷” স্প্তবে পকেটে যর ফ্লাঙ্ক থাকে, তবে তার খানিকটা! ? --সেটাও ছিল ব্রিংশতিবাধিক পরিকল্পনা--” --প্ছতেই পারে না,--এই বলে প্রথম ভদ্রলোকটি দ্বিতীয় ব্যক্তির পকেট থেকে ফ্লাঙ্ছটি টেনে বার করলেন। বিউগন বীর্চঁ আটলান্টিক মহাসাগরের মানচিত্র খান্ব, খনিজ এবং জালানী দ্রব্যের জন্টে মানুষ আজ হাত বাড়িয়েছে সমুদ্রের দিকে । কিন্ত সে জানে না সাগরের কোন অতলে আছে খনিজ সম্পদ কিংবা কোথায় বিচরণ করছে মংস্যকুল। অতএব প্রয়োজন হয়েছে একটি অভিনব মানচিত্র প্রণয়নের। আমেরিকান জিয়োগ্রাফিক্যাল সোসাইটির উদ্ভোগে উত্তর আটলার্টিক মহাসাগরের বিচিত্র মানচিত্র তৈরী হতে চলেছে। বিষুবরেখ। থেকে উত্তর মেরু পর্বস্ত বিভ্তৃত এই মহাসাগরের প্রতিটি অঞ্চলের জলচর প্রাণী ও জলজ উদ্ভিদ এবং সমুদ্র-গভীরে বিভিন্ন পদাথের স্বরূপ ও তার রাসায়নিক পরিবর্তন সম্বদ্ধে তথ্যসমুদ্ধ হবে এই মানচিত্র সামুড্রিক ফস ঘরে তোলার জন্তে যে গবেষণা চলবে তার বিশদ বিবরণ যাচিয়ে দেখ! হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেন্দে এখানে প্রাণীতত্ব এবং ভূগোল উভয় শান্ত্রেরই অনুপ্রবেশ ঘটেছে। কাঁজেই এ গোল বায়োজিয়োগ্রাফিক্যাল মানচিত্র যা ইতিপূর্বে কোথাও রচিত হয়নি। এ মানচিত্রের প্রয়োজনীয়তা কতখানি তা বোঝ! যাবে একটি পরিকল্পনা! থেকে । উডস হোল ওন্যানো গ্রাফিক ইন্দটিটিউশনের ডাঃ কলাস্থিন আইসলিন একটি পরিকল্পনার উল্লেখ করেছেন : সেণ্ট লরেন্স উপসাগরের তলদেশে বাতাস পাম্প করা হবে, যদি এর ফলে তলদেশের উঞ্ণ সমুদ্রশ্বোত ওপরে উঠে আসে তাহলে সমগ্র উপসাগরীয় অঞ্চলটি বরফমুক্ত হয়ে শীতকালেও নৌচলাঁচলের উপযোগী হবে, নোভা ম্বশিয়া ও নিউফাউগুল্যাণ্ডের জলবাযু উষ্ণতর হবে এবং পর্যাপ্ত মাছের ফপল উঠবে ধীবরের জালে একটি সঠিক মানচিত্রের সাহায্যে আজ জীবনের মান উন্নয়নের ছুরম্ত আশা। মহাসাগরের বারোশ* ফুট নীচে রয়েছে ম্যাকারেল জাতীয় মাছ। এখন এ মাছ হৃপ্রাপ্য। মানচিত্রে এ মাছের অবস্থান জানা গেলে মানুষের খান্সমস্যার স্থরাহ। হবে। ইউরোপ আমেরিকা এ ছুই মহাদেশের মাঝথানে যে লবণাক্ত সমুদ্রের বিষ্তার তার অতল রহস্য উদ্ধারে ব্রতী হয়েছেন মাফিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অন্তান্ত দেশের বিজ্ঞানী। মানুষ আজ আকাশের চাদ চায়, রত্বাকরের রত্রও চায়। আলোকের অতীত আলোক আমেরিকা ধখন মহাসমুত্রের গভীরে ডুব দিচ্ছে সোভিয়েট রাশিয়া! তখন মহাশূন্যে ১ শত কোটি আলোকবর্ষ দূরত্ব অতিক্রমের আয়োজন করছে। মস্কোর কাছেই একটি নূতন মানমন্দিরে অতি শক্তিশালী এক রেডিও টেলিস্কোপ নির্মাণের কাজ সুরু হয়েছে । এর সাহায্যে ১০ শত কোটি আলোকবর্ষ দুরে অবস্থিত নক্ষত্র সম্পর্কে তথ্যাদি জানা যাবে । আলোর গতি প্রতি সেকেণ্ডে ১১৮৬১০০* মাইল। এই গতিতে এক বৎসরে একটি আলোক রেখ! যে দুরত্ব অতিক্রম করে সেই দূরত্ধকে বল! হয় এক আলোকবর্ষ বা লাইট ইয়ার । ব্রিটেনে বিদ্যুৎ উত্পাদনের আধুনিক পর্যায় পারমাণবিক বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদনের একটি ব্যাপক কর্মস্থটী গৃহীত হয়েছে ব্রিটেনে । যে ছুটি বিছ্যুৎ*শক্কিকেন্ত্র নির্াণের কাজ শেষ হয়ে এসেছে তার একটি বার্কলেতে, অপরটি ব্র্যাড ওয়েলে। প্রথমটি থেকে ২৭ মেগাওয়েট ও দ্বিতীয়টি থেকে ৩** মেগাওয়েট বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপাদিত হবে। সমগ্র ব্রিটেনের বিরাট চাহিদার বছলাংশ এর দ্বারাই মিটবে। পরমাণুকে বিশ্লি্ট করার কাজে যে রিয়্যাক্টর তৈরী হচ্ছে তার কাছে কর্মীদের থাক! বিপজ্জনক ৩৫২ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ ব্াওয়েলে একটি ৩* টনের মেসিন বসানে। হচ্ছে যার দ্বারা কর্মীর দূর থেকে সমস্ত কাজ চালাতে পারবেন। কর্মীদের সুবিধার জন্য টেলিভিশনও বসানে। হচ্ছে। বিশ্ের বহুস্তম রেডিও টেলিক্ষোপ মাঁকন যুক্তরাষ্ট্রে অন্তর্গত ক্যালিফোনিয়ার সান ভিয়াগোতে যে রেডিও-টেলি- গ্কোপ তৈরী হচ্ছে তার খুঁটিনাটি পরীক্ষ। করছেন কর্মীরা । একটি শুকনো হদের বুকে এটি গড়ে উঠছে, তিন দিকে সাপটা রোজা পর্বতমালার প্রহরা । স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের চলমান গ্রাফে মহা- জাগতিক শক্তি বিকিরণের তথ্যাদি রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে। ষুদ্রীকৃতি রাডার শক্তিকেজ্দ বর্তমান জেট প্রেনের যুগে নভোচারী বিমান চলাচল সমন্তা। সমাধান করার উদ্দেশ্টে এটি উত্তাবিত। একখানি ইটের আয়তন বিশিষ্ট এই যন্ত্রটি বিশ্বের বিভিন্ন বিমানধাটিতে এবং বিমানের রাডার যন্ত্রে সন্সিবেশিত হচ্ছে, এটির দ্বারা রাঁডারের সঙ্কেত অনুধাবন শক্তি একশ” গু৭ বেড়ে গেছে। খু 5 25 শ সত 5 দত শি রও ও জি রঃ শি ্ ॥ শ্দিশশ শখ ৭৩ পে শিপবুসে পা পি ৬ তি টি 3 নর পা * বঃ সর. ০5 তত নি. ৯৫০৯ নি খ শিরিন তি তে ্ টু ঠৈ ই সি তি 5 হা & বিরতি সত দন ৰং ই বত, ডু ৮: এ | ৬ হুজি সপ , দে ৯০১, উন 4৩৬৭০ ই চি পাকিস্তানী ক্রিকেট দলের আসন্ধ ভারভ ভ্রমণ এবারে শীতের মরগুমে পাকিস্তান ক্রিকেট দল ভারত ভ্রমণে 'আমছেন সে সংখাদ আগেই প্রগরিত হয়েছে। পাকিস্তান দলের নতুন অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন আত্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন থেলোয়াড় ফজল মামুদ। এ পধ্যস্ত পাকিত্তান ক্রিকেট দলের নায়কপদে আসীন ছিলেন ভারতীয় প্রাক্তন টেষ্ট খেলোয়াড় আবছুল হাফিজ কারদার। ফজল মামুদ্দও ১৯৪৬ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অষ্ট্রেলিয়া ভ্রমণের সময় দলে স্থান লাভ করেছিলেন। কিন্তু দেশখিভাগের জন্য শেষ পর্য্যন্ত দলের সঙ্গে য1ওয়| বন্ধ করে দেন। পাকিস্তানের যে দল নির্বাচন কর! হয়েছে তাতে খ্যাটিং এবং ধোঁলং ছ।ডাও ফিল্ঢিংএ সকলেই পারদর্শা। এছাড়া ধার ওপর ক্রিকেট থেলোয়াড়দের শিশ্গাশিবির পরিচালনার ভার পড়েছে, তিনিও এক সময়ে ভারতীয় দলের টে খেলোয়াড় ছিলেন। তার নাম ডা; জাহার্দার খ।। গত ১৯৫২-৫৩ সালে যে দল ভারত ভ্রমণ করে গিয়েছিলেন তাঁর তুলনায় আজ পাকিস্তান ক্রিকেট দল অনেক অভিজ্ঞ এবং দক্ষ । ইংলও ও ওয়েষ্ট ই্ডজ দলকে টেষ্টে হারিয়ে দিয়ে পাকিস্তান যে সমস্ত দেশ ক্রিকেট থেলে সেই সমন্ত দেশের মধ্যে নিজের স্থান স্দুঢ় করে নিয়েছেন। পাকিস্তানী ক্রিকেট খেলোয়াড়দের যে নামের তালিক। লাহোর থেকে প্রচারিত হয়েছে তার শক্তি সম্বন্ধে আমাদের প্রাথমিক মন্তব্য হল যে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে এবার পৃথিবীর অগ্ততম শ্রেষ্ঠ দলের সঙ্গে পান্জ। দ্বিতে হবে। ফজল মামুদ্বের মত বিখ্যাত অলরাউগ্ডার ছাড়াও দলের সঙ্গে যে চারজন ফাস্ট বোলার আছেন তাদের মধ্যে একজন মহম্মদ ফারুক । মহম্মদ ফারুকের সম্পর্কে পাকিস্তানী দলের অধিনায়ক ফঞ্জল মামুদ খুবই উচ্চাশ। পোষণ করেন। পাকিস্তান দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যান বিশ্বরেকর্ড হষ্টিকারী হানিফ মহম্মদ সম্পর্কে নূতন করে কিছু বলা নিপ্রয়োজন। এ ছাড়া ইমতিয়াজ আহমেদ, সৈয়দ আহমেদ, আলান্মদ্দীন, ওয়ালিশ ম্যাথিয়াঁস, নুজাউন্দীন এব। সকলেই শুধু উইকেটে দাড়িয়ে থাকতে সক্ষম নয়, ক্রুত রাণ তোলার দরকার হলে সমান পারদপিতার সঙ্গে উইকেটের চারদিকে মারের খেল! খেলতে পারেন। আর সবচেয়ে বড় কথ হল এর! সকলেই দলের সন্মান রক্ষার জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করে খেলায় অংশ গ্রহণ করেন। পাকিস্তান দলের সফরের প্রথম খেল। পুণায় ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একাদশের বিপক্ষে ১৮১১৯ ও ২০শে নভেঘর অনুষ্ঠিত হবে। এবারের সফরে পাকিস্তান দল পাঁচটি টেস্ট ছাড় আরও ৭টি খেলায় অংশ গ্রহণ করবেন। আঞ্চলিক খেলার তালিকা বাদ দিলে রাষ্ট্রপতির একাদশের সঙ্গে বাঙ্জালোরের খেল। উল্লেখযোগ্য । "থো স্বিং” সম্পর্কে বিতর্কের শেষ পর্যায় আগে আমরা অষ্ট্রেলিয়া ও ইংলগ্ডের মধ্যে ক্রিকেট খলের “থোয়িং সম্পর্কে আলোচন! করেছিলাম। আম্পায়ারদের “থোয়িং বল সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞ। প্রয়োগ নিয়ে যে তুমুল বাঁক-বিতণ্ডার ঝড় উঠেছে সেটা আপাতত প্রশমিত হয়েছে সাম্প্রতিক এক চুক্তির মারফৎ্। খেলার ব্যাপারে, বিশেষ করে ৬৫৪ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ ক্রিকেট খেলায় এই ধরণের চুক্তি একেবারে অভূতপূর্ব । ইংলণ্ডে ভ্রমণরত অস্ট্রেলিয়ার দলের প্রথম টে খেলার আগে পর্্স্ত কোনরকম সনে করে বোলারদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ। প্রয়োগ করা চলবে না। অর্থাৎ একটি বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্ত করা হয়েছে যে এক পক্ষের ( আষ্ট্রেলিয়ার) বোলাররা! ভাল করে হাত না ঘুরিয়ে ক্রিকেট বল ছু'ড়ে দেন। আম্পয়ারদের বল! হয়েছে যে সন্দেহজনক বোলারদের সম্পর্কে রিপোর্ট পেশ করতে। তারপর প্র সমন্ত বোলরদের সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ কর! হবে। কাজেই আমাদের আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। রী ও ধু রী রা পেশাদারী টেনিস খেলোয়াড়দের ভারত ভ্রমণ মাত্র কদিন আগে ভারতে বিখ্যাত গেশ'দারী টেনিস খেলোয়াড়ের দল ভারত ভ্রমণ করে গেলেন। কলকাতায় ধরা প্রথম দিন গিয়েছিলেন তারা নিরাশ হলেও দ্বিতীয় দিনে প্রথম শ্রেণীর টেনিস খেল! উপস্থিত ক্রীড়ামোদী দর্শকবৃন্দকে আনন্দ দিয়েছিল। স্পেনের থেলোয়াড় জিমেলের এবং অস্ট্রেলিয়ার ম্যাল এগ্ডারসনের সাঞ্িমও দীর্ঘকাল সকলের মনে থাকবে। আগামী ২৪শে ডিসেম্বর থেকে ক্যালকাট1 সাউথ ক্লাবে জাতীয় লন টেনিস প্রতিযোগিতা! মুর হবে। আর ডিসেম্বরের শেষে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কলকাতায় টেষ্ট খেল, সব মিলে শীতের কোলকাঁতা সর্বব ভারতীয় ৃষ্টিশক্তিকে আবর্ষণ করার পক্ষে যথেষ্ট। ক্রীড়াঙ্গনে স্বাস্থ্য প্রস্ খেলাধূলার জগতে হালফিল হামেশ! রেকর্ড ভঙ্গের কাহিনী শোন! যাচ্ছে। কোনে! সর্দেহ নেই প্রতিযোগী প্রাণপণ চেষ্টায় অন্শীলন করে চলেছেন যাঁর ঘারা পূর্বেকার সমন্ত জয়গীরব ম্লান হয়ে যাঁয়। এর জন্তে গ্রতৃত শারীরিক পরিশ্রম করতে হচ্ছে এবং এই দক্ষত! অর্জনের ক্ষেত্রে তার। কোন শেষ দ্বেখতে পাচ্ছেন না, অর্থাৎ কোথায় গিয়ে যে এই রেকর্ড ভঙ্গ করার ব্যাপারটি দাড়াবে তা কেউ বলতে পারছেন না। সম্প্রতি প্রশ্ন উঠেছে এতে শরীরের কোন ক্ষতি হয় কিন!) ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্ণালের পক্ষ থেকে বল। হয়েছে যে অত্যধিক শারীরিক পরিশ্রমযুক্ত জীড়াচর্চার ফলে পরবর্তী জীবনে হার্টের কোন অন্ুখ হয় ন।। কিন্ত ট্রেনিং এর ফলাফল গবেষণা করে দেখা গেছে যে ট্রেনিং বন্ধ হয়ে গেলে শারীরশজির করেত অবনতি ঘটে। আর একটি পর্যবেক্ষণের ছার! এই সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়েছে যে ত্রীড়াক্ষেত্রে উন্নতিলাভের জন্ট সম্পূর্ণ- রূপে ক্লান্ত হয়ে পড়ার পূর্বমহূর্ত পর্যস্ত ট্রেনিং চল! উচিত। কিন্তু জার্ালের মতে উপরোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে গ্রতিযোগীকে এই আঙ্বীস দেওয়া দরকার যে দীর্ঘ-রত্বমূলক প্রতিযোগিতার ক্ষেজে যে ধরণের মারাত্মক বিপা দেখ! দেয় এক্ষেত্রে তা হবে ন।। আ্যাথলিটদের শারীরিক সহন ক্ষমত। বৃদ্ধির উপায় অদ্থেষিত হচ্ছে এবং সম্ভবতঃ এই পথেই এ সমন্তার সমাধান আমসবে। (লাকো-ঘিভূষণ রাইমোহন সত্যপ্রিয় ঘোৰ বিশ চারটে নাগাদ লোকো অফিসের কেরাণীদের মধো যখন ভাই উঠতে থাকে তখন সেই অবসাদ আর আলম্তের একমাত্র ওষুধ শ্রীল শ্রীযুক্ত রাইমোহন আচ্য। তখন লোকে! রিক্রিয়েশন ক্লাবের আযাকটিং-সেক্রেটারি অজিত ব্যানার্ভী (নাস্বার ওয়ান) টেবিল থেকে ইঞ্জিনের হিসেবপত্র দুর ক'রে দিয়ে, দ্রয়ারে ঝোলানো! প্লিপের কাঁগজ ছিড়ে ছিড়ে, কলমের উপ্টে। পিঠ লাল কালিতে চুবিয়ে চুবিয়ে, ঝপাঝপ ঝপাঝপ কতগুলি লেবেল তৈরী করে ফ্যালে। একাজ তাকে একা করতে হয় না। কী ক'রে যে খবর হয়ে যায়, পাশের ঘর থেকে সালেক চলে আসে, পাল আসে, এ-ঘরের শাসে অজিত ব্যানাজী (নাম্বার টু), ননী দত্ত, কপি, অজিত সিন্হা, মান্না ইত্যাদি । ছু-একজন চাঁপরাসীও জুটে যায়, দপ্তরী গফুরও হাঙ্জির থাকে ঠিক। লেবেল প্রস্তুতির ফড়যন্ত্র। যথাসস্তণ ুপিমারেই হয়| লেবেলে নানারকম কিনুত- কিমাকার মৃতি আকা হয়__যার যা হাতে আসে, আর লেখ। হয় নানান খেতাব, পরিচিতি, উপাধি-_ ইংরেজীতে, বংলায়--যার যা মনে আসে, যেমন £ ৪২০, সাবধান কামড়ে দেবে, গাধা, পীরাইমোহন দি গ্রেট চামচিক1-- ম্যাটিক (প্লাক্ঠ.), ওয়াগ্ডারফুল ক্রিয়েচোর 'অধ গড, বিশ্বকর্মার বাইপ্রোডাক্ট, লুঙ্গ শাটিং, আমার নাম অষ্টাবক্র, লৌকো-ধিভূষণ-ইত্যাদি। তারপর লেবেলগুলি হাতে হাতে ছড়িয়ে যায়। এক হাতে লেবেল অন্ত হাতে আলপিন। ওগুলো এখন আটা হবে রাইমোহনের কাছায় কিংবা জামার পেছনে, সবাই তকে- তক্কেথাকে। গফুর আবার আলপিনের কাজ জানে ন।, দপ্তুরী তো, সে তার লেবেলটায় বেশ ক'রে আঠা! মাখিয়ে নেয়। তালেগোলে কেঁটে দেবে রাইমোহনের পিঠে। বেড়াজালের মতো সবাই ঘিরে ধরে রাইমোহনকে। অবকাশ আর আলশ্ত কোথায় উড়ে যায় মুহূর্তে, রাইমোহন বনাম বাকি সক্কলের এই হামলায় ঘরের ম্যাড়মেড়ে হাওয়াটা! নিমেষের মধ্যেই চাঙ্গা দিয়ে ওঠে, সবাই ফের ঝরঝরে বোধ করে। লেবেল আটার আগেকার কাজ খেপিয়ে তোল।। থেপে উঠলে যখন নে বাহজ্ঞানশৃন্ত হবে, দাতমুখ, খিঁচিয়ে তেড়ে তেড়ে আসবে, তখন টকাটক টকাটক লেবেলিং হয়ে যাবে। খেপানোর কাজে, সব চাইতে দক্ষ অগগিত ব্যানাঞ্জী ( নাস্বার ওয়ান ), কারণ সে ধলে বড়ে| ভালে! | বপিয়ে বসিয়ে এমন বাক্যবাণ জোরালো গলায় দূর থেকেই সে ছাড়তে পারে যা একেবারে মোক্ষম। সঙ্গে সঙ্গে আর সবাই ধুয়া ধরে, পাঁচফোড়ন দিতে থাকে, আর সেই তণ্ু তেলের কড়ার মধ্যে পগড়ে জ্যান্ত কাটা কইয়ের মতো রাইমোহন লাফিয়ে লাফিয়ে উঠতে থাকে চেয়ার থেকে। ঘরের এক কোঁণের ঘুপচিতে শ্রীরাইমোহনের দগ্থর। ঘুপচি হলেও আপন এলাকা'র কাছাকাছি হওয়! মাত্র, অফিসাররা আর চীফ ক্লার্ক বাঁদে, আর সবাইকেই রাইমোহনের কাছে নিধিচারে বেইজ্জত হতে হয়। প্রবাদ এই যে, ইনিই হচ্ছেন সেই বহু প্রত্যাশিত কদ্ধি অবতার যিনি কলিমুগে ছুষ্টের পালন ও শিষ্টের দমন চিরতরে কায়েমী করবার জন্তে ভারগ্রা। এমন যে রাইমোহন লে এ অফিসের ষ্টোর সেকশনের রেকর্ড ক্লার্ক। যত চিঠি আসে তার আগমনী ৯২ ৩৫৬ গল্প-ভারতী [ হিসাব রাখার সুবৃহৎ দায়িত্ব তার স্ন্ধে ন্তস্ত। হাজরে খাতায় তার নামের পাশে চাকরিনাম। লেখা আছে “জে, সি. ডর্লিউ' যার দ্বারা প্রকাশ পায় যে সে তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী হলেও কেরাশীসমাজে আপাঙ.ক্তেয়। তার বয়সের নাকি গাছপাঁথর নেই কিন্ধ সবাই জানে তার চাকরি আর মাস পাচেক আছে অর্থাৎ তখন অফিসের ফাইলে তার বয়স পঞ্চানন পূর্ণ হবে। যথানিয়মে আজও স্থরু হয়ে গেছে। জিত খ্যানাঞ্জী (নাস্বার ওয়ান ) কায়দামতো প্লেসিং নিয়েছে । মাঝথানে গোটা-ছুই টেবিলের ব্যবধান রেখে রাইমোৌহনের দিকে মুখ করে সে দ্ীড়িয়েছে। শুরু করেছে তেল গরম কর! বচন। তাই গুনে শুনে তেল যখন ফুটিফুটি হয়ে উঠবে সেই সময় চাঁপরানী নন্দকিশোর ব1 অন্ত কেউ বকের মতো এগিয়ে রাইমোছনকে একটা খোঁচা মারলেই ব্য অমনি লেগে যাবে--খ্যাক ক'রে উঠবে রাইমোহন | অজিত (নাগর ওয়ান ) বলছে, “আচ্ছা! গৌতমবাবুং আপনি তে। বাঙলায় অনার্প। বলুন দিকিনি রাইমোহনদার যা চ্য|হারা তার হুটু ডেসক্রিপশন বাঁংলা ভাষায় কি সম্ভব? ধরুন কাউকে যি বোঝাতে হয় দেখতে উনি কেমনটি, তো! দেখছি আইদার ছবি খিচে নিতে হবে, অথবা! গোবরের ছাচে মুখখান! তুলে নিতে হবে । নয়কি? আপনি কী বলেন? স্য।?, গৌতম নিরুস্তরে হাসতে থাকে রাইমোহনের দিকে তাকিয়ে । “বিশ্বকর্ম। গুকে নিজে-হাঁতে গড়েনি জানেন তো। ?,--অজিত নতুন দম টেনে শুরু করে, “বিশ্বকর্ম! ওয়াজ আদারওয়াইজ বিজি। তার ফ্যাক্টরির এক ক্যাজুয়াল লেবারের হাতে উনি তৈরী। তার নাঁম উদ্বো। উদ্দো৷ গুকে বানাতে বানাতে আন্ফিনিশ্ঈ রেখে, গীজায় একটু দম দিয়ে নেবার জন্যে বাইরে গেছে, ইত্যবসরে একটা ফিটার সেখানে ঢুকে সেই ইনকমপ্রিট রাইমোহনদাকে দেখেই আতকে উঠে দ1তকপাটি ! ব্যাপার দেখে চার্জম্যান তো! খুপচুরিয়াস । বললে হেঁকে, অভি হঠাও এই মুঠি হি'য়াসে, এত না৷ কদাকার মুর্তি নেই মাংতা। বলতেই, ফিটার-মিস্ত্রি ছুটে এসে দাদাকে আনফিনিশঠ. অবস্থাতেই পৃথিবীতে ডেসপ্যাচ করেছে। এই হচ্ছে গর হিষ্রি।, রাইমোহন একটু নড়েচড়ে উঠলো । নাকের ডগায় ঝুলে পড়া বাইফোকাল চশমার ফাক দিয়ে তার চোখজোড়ার খরতুষ্টি বিহ্যুৎপাতের মতে। একবার ঝিলিক মারলে। অজিতের দিকে । অজিত বুঝলো আরে দরকার । নয়তে। ঝড় উঠবে না, আকাশে এখনো মেঘ জমেনি, হাওয়া গরম হয়নি। অতএব শুরু করলো, “আমর! ডি. এম. ই.-র কাছে গর এগেন্ষ্টে জয়েপ্ট কমপ্পেন করছি জানেন তো? সািস রেজিষ্টারে উনি বয়স ভা।ড়িয়েছেন। লোকের একট। ক'রে বয়স থাকে, উনি তিনটে বয়স মেনটেন করছেন। ইক্ষুলে__থুড়ি পাঠশালা য়--পড়াকলীন একট! বয়স বাপে এসে জানিয়ে গেছলো, বিয়ে বসতে গিয়ে আরেকট। বয়স হ,লো-তিরিশ-পেরনে। আইবুড়ে। ধাড়ি নিজেকে অরুেশে তেইশ ব'লে চালিয়ে লবকাত্তিকটি সেজে এগারো! বছরের এক ইনেসেন্ট গার্লকে বিয়ে করেছে, তারপর সাত ঘাটের জল থেয়ে রেলে অফিলে এসে বয়স লিথিয্সেছে বাইশ--যখন উনি পাকা বিয়ালিশ। লোকে সািস-এজ দু-চাঁর বছর ম্যানেজ করে, কিন্ত তর একদম বিশটি বছর পাঁধাণ করা আছে। এ লোক-জানাজানি হয়ে গেলে আমাদের অফিসের প্রেছিজ যে টিলে হয়ে যাবে ।” 'আরে য্যা-যা3,--রাইমোহন এবার পেটের অন্থখের মতে। মুখ ক/রে খি চিয়ে উঠলো, «তোদের আবার গ্রেষ্টিঙজ! আদাড় কোথাকার!" ন্‌ / চান ॥. এ রঃ ৪১] 5 হাউ মাত নী এ, বিনিন পর, ০15৮ পি ॥ ৯ ও হত সচহঠ 8 হট ৪ কাতাদ ০৮, এদদ পর ১ "2৯: ১৩৬৭ ] লোকো-বিভৃষণ রাইমোহন ৩৪৭ হ্যা তাই বটে। প্রেষ্টিজ হচ্ছে আমাদের দাদার !-_সাড়া পেয়ে তবিগুণ উৎসাহে অজিত সীড়তে লাগলো, গৌতমবাবু, আপনি তো৷ এ অফিসে নতুন। দাদার রেলের এজেন্ট হবার গল্পোট। শ্ুনৈছেম ? .. বলি শুচুন। দাদ। ফরিদপুরের অজ পাড়ার্গার লোক। বার পাঁচেক এন্ট্রা্স দিয়ে দিয়ে হাঁপলে গেছে, কিছুতেই আর চৌকাঠ ডিঙতে পারে না, তো বাঁপ-মা বাঁড়ি থেকে খেদিয়ে দিয়েছে। বললে, অনেক অক্প ধ্বংস করেছিস, এবার চরে খাগে যা। কী এমন কথা? দাদা গরম মেজাজে একবস্্রে বাড়ি থেকে বেরিয়ে, ডর্লিউ. টি. মেরে, কলকাতায় এসে পড়লেন। তারপর দ্-চার দিনের মধ্যেই দাদা চাকরি জুটিয়ে ফেলেছে। এ চ্যাহারা আর মেজাজ দেখে কোন্‌ বাপের বেট। অখছে দাদাকে নো-ভ্যাকান্সি বলবে? দাদা কলম বাগিয়ে বাপের কাছে চিঠি ঝেড়ে ধিলে! রেল কোম্পানির এজেণ্ট হইয়াছি। শীত সই বাঁড়ি যাইবার ইচ্ছা আছে। সেই চিঠি গায়ে পৌছতেই আশে-পাশে তিন-চারটে গ্রাম সহ সব বাজার গরম ! রেলকোম্পানীর এজেন্ট? বাপরে, সোজা কথা? বাহাছুর ছেলে বটে রাইমোহন, গায়ের অন্ধকারে আটকে থাকতে এনট্ম্ঘটাও ডিঙোঁতে পারেনি, কিন্ত কলকাতার আলোতে প1 দিতে না- দিতেই রেলকোম্পানির সব্বেসব্ব| হয়ে বসলো? (জানেন তে, রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে আগে এজেন্ট বলা হত) তে। রাইমেহনকে রিসিভ করতে স্টেশনে শত শত লোক ছুটে গেছে। ঢাঁক চোল কাঁড়া-নাকাঁড়! নিয়ে ছ-বেহারার পালকি রেডি। বাপ নতুন কাপড় আর উড্ভুনি গায়ে দিয়ে এসেছে : ছেলে এজেন্ট তার প্রেস্টিজ রক্ষা করা চাই তো। এদিকে ছেলে ট্রেন থেকে নেমেই তে। আক্েেল গুড়ম! ওদিকে লোকেরাও ভেবেছিলো» রাইমোহন সেলুন থেকে চাঁপরাসীদের কোলে চেপে নামবে--তা না এ যে থার্ড ক্লাসের ড।ব্ব! থেকে জানাল! গলিয়ে ক্র করে নামলো। কী ব্যাপার কী ব্যাপার? ন|! তখন প্রকাশ হ'লে! যে, রেলের এজেণ্ট মানে চোলকোম্পানির দাদের মলমের এজেন্ট | সেই চাকরি দাদা পেয়েছে। সাত টাক থেকে চার আনা করে ইনক্রিমেন্ট হয়ে বারো! টাক। পর্যস্ত গ্রেড । দাদার পকেটে তথন চাঁর টাক! দশ পয়স! খাবি খাচ্ছে। ওদিকে পালকি ভাড়াই লাগবে তিন টাক! আর বাজনার দরুন সপাচ টাকা । কী করা এখন? দাদা তখন প্রেস্টিজ বাড়ালেন কী ক'রে জানেন? উপস্থিত ধোঁলাইর হাত থেকে রক্ষ। পাবার জন্যে সব্বাইকে একটা করে দাদের মলমের কৌট! ফ্রি ডিস্টি বিউট করে দাদ] শ্রেফ গ! ঢাকা দিলেন। সেকশনন্ুদ্ধ হাসির হয়ুরা উঠলে! । রাইমোহন এবার চিৎকার দিয়ে উঠলো, “এইটা কি অফিস? ন! বাগানবাড়ি? শ্বরাজজ পেয়ে গেছে সব। হ'ত আগেকার দিন, টাইট দিয়ে ছেড়ে দিত, অফিসের মধ্যে ভোহো-হিহি বেরিয়ে যেত। ছি-ছি-ছি! ইজ ইট অ]ান অফিস! ছি.ছি-ছি! বয়োজ্যেষ্ঠর প্রতি এই ব্যাভার। কী অধঃপতন । এইজগ্তই বাঙালী মরেছে__ব+লে গেছেন হরেন বাড়াইজ্যা, রামমোহন রায়, স্বগঁয় অঙিনীকুমার দত্ত | এইটুকু বলেই রাইমোহুন চুপ । ফলে অজিত (নাহার ওয়ান) ফের শুরু করলো, “দাদার ইংরিজি জ্ঞানের হি গুনেছেন ? শুছুন বলি। ঢোলফোন্পানির চাকরি থেকে ভিসমিস হবার পর দাদ নামের পাশে বি. 'খ লিখে প্রাইভেট টিউশানি করা গুরু ক'রে দিলে। একদিন ছাত্তর জিগেযস করেছে : ম্যাস্টারমশাই, টিকটিকি ইংরিজি কী? দাঁদা কি দমবার পাত্র, ঝাঁকসে বলে দিপে, লিটল্‌ ক্রোকোডাইল। আবার একদিন ছাত্বরের কাক! ধরখাপ্ত লিখবে তে! দাদাকে জিগোস করেছে : ন্যাস্টারমশাই, ম্যানেজার ৩৫৮ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ বানান কী? দাদা বললে: কাধে লেখা হচ্ছে? না, রেলের ভি. এম.। তো খললে, তবে দুটো এম্‌ দিয়ে দিন । আর সেই ক্যালকাট। গুড সের গল্পটা! ?,--অনিল মিত্বির উস্কে দেয়। 'জানেন ন1?৮_অঞ্জিত গলা আরো চড়িয়ে স্বর করলো, তখন দাদা গুড.সে বিজি-সিজ ন্‌ টালিক্লার্ক। একদিন মালপগুপদদোমে ডি. সি. এস. গিয়ে উপস্থিত, তখন বড়োমালবাবু সদ্ধ আর সবাই কে কোথায় দাও মারার ফিকিরে আছে, সেই ফাকে দাদা বড়োমালবাবুর চেয়ারে চিতিয়ে বসে একটু বিমিয়ে নিচ্ছে। ডি, পি, এস. ভাবলে, এইই বুঝি বড়োবাবু। এদিকে হয়েছে ক, গুদোমে প্রচুর আলু জমেছিলো, সেই আলু পচে রস গড়াচ্ছে। সায়েক তো সে দিকে পয়েন্ট আউট করে ধমকে উঠেছে £ ওয়াট ইজ দিস? ধমক দিয়ে দাদ] আলুর ইংরিজি ভুলে মেরে ধিয়েছে। কী করে বোঝায় এখন? কিন্তু দাদা কি দ্মবার পাত্র? ঝণ করে বলে দিলে চোস্ত বিলিতি ঢঙে ১ স্যাল্ম্য।ন্‌ আযাল্‌ প্যাপস্‌ আযাণ্ড ভ্যাপস্। অর্থাৎ কিনা যোল মন আলু পচে ভেপসে গেছে। শুনে সায়েবের চোখ ট্যারা। অল্রাইট বলে চলে গেলো! । দাদ! ভাবলো! সর্বরক্ষে। কিন্ধ পরের ধিনই দাদার খবর হয়ে গেলে! 1,--অঞ্জিত চোখমুখ উল্টে দাদার খতম হয়ে যাবার ভঙ্গী করতেই সমন্ত সেকশন হাপিতে ফেটে পড়লে। | “ফের বলি শুনুন। এ বঝীত্তির পর দাদ। নাম ভাঁড়িয়ে বেলেঘাটা লোকো৷ শেডে কোল-মুনশীর চাকরি পেয়ে বেধড়ক কীচ। কয়ল| পাচার করতে লেগেছে । তে! একদিন এ, 'এম, ই. সায়েবের ইন্সপেক্- শন। সায়েক কোল-স্টেজে গিয়ে কয়ল। শর্ট দ্রেখে বললে : চোয়াই স্ট্যাক শর্ট? দাদ! তখন কোথাও কিছু না পেয়ে বলে ফেলেছে : মোষ কয়ল! খেয়ে নিয়েছে শ্যার। সায়েব ইংরেজ, বাংলা বোঝে না। বললে, ওয়াট? দাদা তখন মোষের ইংরেজী ভাবছে আর হাত বেঁকিয়ে মোষের শিংটা দেখাচ্ছে, হঠাৎ সেখানে এক মোষের আবির্ভাব, লোকে ইয়ার্ডে অল্প অল্প ঘাস আছে তাই খাচ্ছে। দাদা অমনি চিৎকার দিয়ে উঠছে; দেয়ার দি ট্রানয্লেশন গোজ, স্তর । গ্নেয়ারিং ইন্দট্যান্স শ্যর। ইটিং কোল শ্তর। ব্যস, বলতেই দাদার কাল হ,লো। সঙ্গে সঙ্গে চাকরি নট হয়ে গেল। ইতিমধ্যে সালেক গোবেচারীর মতে মুখ করে রাইমোহনের কাছে গিয়ে একট! বিড়ি চেয়েছিলে। । চাইতেই রাইমোহন তেলেবেগুনে জলে উঠে তাকে তাড়া করেছিলে! কিল উচিয়ে। সালেক অমনি এ-টেবিল ও-টেবিলের ফাঁক ফোকর গলিয়ে পালিয়েছে। রাইমোহন চেয়ার ছেড়ে এগোতেই পেছনে ননী দত্ব তৈরীই ছিলো--সে পেছন থেকে ছু-বগলে ভাত দিয়ে রাইমোহনকে অবলীলায় শৃস্ভে তুলে ধরেছিলে! (রাইমোহুনের ওজন তিরিশ সেরের বেশি হবে কিন! সন্দেহ ), রাইমোহন ননীকে আচ্ছ৷ করে কান মলে দিয়ে শান্তি দিয়েছে-_কিন্তু এদিকে তার পিঠে লেখেলিং হয়ে গেছে, অজিত ব্যানাঞ্জি (নাম্বার টু) তার কাছায় খাঁড়া শিংওয়াল! হাটিমাটিম্টিমের ছবি সেটে দিয়েছে। লেবেল-লাগানে! অবস্থায় রাইমোহন মুখটাকে বমি বমি করে চেয়ারে ফিরে হাফাচ্ছিলে।। এই অবস্থায় অজিত ব্যানার্জী (নাগ্বার ওয়ান) কদম কদম এগিয়ে গেলে! রাইমোহুনের দিকে। পালাবার ব্যবস্থা রেখে সে এবার কাছে গিয়েই দড়িঘ্েছে। শুরু করলো, “গৌতমবাবু, দাদার জলহন্তী- দর্শনের কাহিনীটা জানেন না তো, ন1? জবর ব্যাপার। বলি শুহ্থন। পঞ্চাশ সালের দুতিক্ষের সময় গভর্ণমেপ্ট চারিদিকে লঙ্গরখান। খুলে দিয়েছে । দাদ! ফিকির বুঝে বাড়ীতে রাল্নাবায়ার পাট তুলে দিয়ে ১৩৬৭] লোকো-বিভূষণ রাইমোহন ৩৫৯ লঙ্গরখানাতেই খানাপিনা! ক'রে বেড়াত। তাতে, মনে আছে তো, সেই সবুজ রঙের হালিমুগের থিচুড়িভোগ আর তরকারি বলতে কচু-ঘেচু আর থোড়-বড়ি-খাঁড়! দিয়ে তৈরী একটা খ্যাট। তো একদিন ছেলেমেয়ে বউ নিয়ে দাদা বেণিয়ে পড়েছে। খিচুড়ি-টিচুড়ি নিয়ে দাদ। বলছে কি, যেখানে-সেখানে বসে খেলে ঞেস্টিজ টিলে হয়ে যাবে । লাটসায়েবের বাড়ির সামনে বসে খেতে হবে। সেখানে গিয়ে আঠারো জন থেতে ঝসে গেলো । খাওয়া দাওয়ার পর দাদা ভাখছে এখন কি করা যায়। উকি মেরে হোয়াইটওয়ে-লেডলর ঘড়িতে দেখে নিলে আড়াইটে মাঞ্জ বেজেছে। বল্‌্লে চলো এবার চিড়িয়াখানায় গিয়ে হাওয়া খেয়ে আঁসি। সেই দঙ্গল নিয়ে দাদ। এতেবারে মাঠ বরাবর চললো চিড়িয়াখানায় । গেটে বললে, আমর! সব লাটসায়েবের জ্ঞাতিগুষ্টি। ভাইতে ঢুকতে আর পয়না! লাগলো! না। ঢুকে তো দাদা বউ আর সতেরোট। ছেঁলেমেয়েকে জস্থজানোয়ার সব দেখাচ্ছে । কে নটা কী জানোয়ার জিগ্যেস করতেই দাদা প্র্যাকার্ডে লেখা ইংরেজী পড়ে পণ্ড়ে সবাইকে অর্থ বুঝিয়ে দিচ্ছে। হতে হতে জলহস্তীর কাছে এসে পড়েছে । তো! বউদ্দি জিগ্যেস করছে, হ্যাগা, ওডা আবার কোন্‌ জানোয়ার? দাদা লাইফে জলহস্তী দেখেনি । এদিকে নাম যা লেখ! আছে তা দাদার উচ্চারণ হয় না। কিন্ত গিন্নীর কাছে গ্রোস্টিঞ গেলে তো মৃতু্যু। তাই দ্রাদা বেমালুম চেপে গিয়ে বললে ; চুখছে উঠছে, চুখাঁন খাইছে, কোন্‌ উটজাতীয় জন্ধ হইব। এইটেই ইংরেজীতে লেখ। আছে, ঠিক বুঝবা না। ঘরের মধ্যে আবার একট। হাসির গোলা ফাটতেই রাইমোহন দাতমুখ খিচিয়ে অজিতকে আক্রমণ করলো। লগ্থ। চওড়া দশাসহ চেহার! অভিতের, তার কাছে রাইমোহনকে একটা পোকার মতো দেখতে লাগে। কিন্তু তা বললে কী হবে, কুলকুগুলিনী জাগ্রত হলে রাইমোহনের মধ্যে রুদ্রপক্তির ভর হয়। রাইমোহনের তখনকার তেজে কাবু হবে না এমন রাণী এখনো! রেলে জঙ্মায়নি। ফলে অজিত এ-টেবিল ও-টেখিলের ফাক গলিয়ে দৌড়চ্ছে এব* রাইমোহন তাকে ধরবার জন্তে ছিটকে ছিটকে যাঁচ্ছে। তাঁর চোখছুটে। জলছে দুঃশাসনের রক্তরপিপান্থ ভীমের মতো । ইতিমধ্যে দপ্তরী গফুর আঠ! দিয়ে আরেকটা লেখেল সেটে দিয়েছে তার পিঠে। অনেক চেষ্টা করেও অজিতকে পাকড়াতে না পেরে রাইমোহন থেপা খট্টাশের মতো! ফুসতে ফুঁসতে চেয়ারে ফিরে এলো । চতুদিক থেকে তার এই দুরবস্থার প্রার্ত সহান্চভূতি বধিত হতে লাগলো । কিন্ধ তাতে ভুলবার পাত্র রাইমোহন নয়। সে খা্যাকখ্যাক করতেই লাগলো» থাক থাক, আমি সবাইকেই চিনি। এ অফিসে” মানুষ বলতে একটাও নাই, নট এ সিঙ্গল্‌। সধাই দুরৃত্ত। আজ একাদশী, সারাদিন আমি উপাসী। আমার প্রতি এ কি ব্যাভার!,_-বলতে বলতে রাইমোহন টেবিলের এপাশে-ওপাশে কী খুঁজতে লাগলে! । খোয়া! গেছে বালির বোতল। মন্ত একটা বোতলে করে সে রোজ'বালি নিয়ে আসে। মাঝে মাঝে বোতল উপুড় ক'রে ঢকঢকিয়ে সেই বালি গেলে । আজ আধ বোতল খাওয়া হয়ে গেছে, বাকিট। রেখেছিলে! অফিস থেকে বেরুবার সময় থেয়ে বেরুবে ঝলে। কিন্ত এই হাঙ্গামার সময় সেটি কে গায়েব ক'রে ফেলেছে । “কী হয়েছে দাদার 1৮-পরেশ দাতরা কোথ। থেকে এসে ভালোমামূষ সেজে রাইমোছনেরকাছে উঠ গল্প-ভারতী [ অগ্রন্থায়ণ এগিয়ে গেলো, 'অঙ্জিত আবার গেছনে লেগেছে বুঝি? রাগেন কেন দাদা। অজিত আপনাকে ভালবাসে তাই. অমন করে। আপনিও তো দেখি ওকেই বেশী ক'রে হতুকী খাওয়ান। দিন দিন, একটু হতুকী দিন তো। আজ সারা দিনে একটুও হত্বকী পাইনি 'তোমাকে দেব পরেশভাই+_রাইমোহন টগবগ করতে করতে বললো, “তোমাকে দেব! ইউ আর এ জেন্টলম্যান। কিন্ত আর কাউকে আমি দেব না।--বলে জামার তলাকার মোট। ফতুয়ার পকেট থেকে ছোটমাপের একট! বাল্লির কৌটা বের করলো, তার মধ্য থেকে বেরুলো হরীতকী। অল্প একটু খুঁটে নিয়ে সন্গেছে পরেশকে দিলে! । 'দা!, আমাকে ?,_অজিত ব্যানান্তী (নাম্বার ওয়ান) এসে হাত পেতে দাড়িয়েছে গোবেচারী সেজে। জজ! নাই তোর 1,-রাইমোহন গর্জে উঠলো, “নির্লজ্জ দুর্বৃত্ত কথাকার! আমারে তুই এত যন্ত্রণ! গ্যাস, আবার হত্তবকী চাঁস! “দাদার কাছে ছোটভাই আবদার করবে না?,--অজিত আরে৷ স্কাকা সাজলো। আই আযম নট ইওর দাদা । নো। হটো!। হটে হিয়াসে। দাদা বলে ডাঁকিস, কিন্ত কী তোর ব্যাভীর! আগে চরিত্র গঠন কর। জাস্ট বিদ্ড আপ ইওর ক্যারেকটর, ছু-মাস দেখি, তারপরে আই শ্ঠাল পারমিট ইউ টু কল মি দাঁদা।, পেছন থেকে চাপরাসী নন্দকিশোর তার পকেট মারার চেষ্ট। করতেই রাইমোহন সপ্তমে চ'ড়ে গেলো, তুচ্ছ কাঁটান্গকীট চাঁপরাশীর এত ম্পর্ধ। আমার সঙ্গে ইয়াফি। কালে কালে একী হ'লে! ছি ছি ছি! হত আগেকার দিন টাইট দিয়ে ছেড়ে দিতাম। ক্ষীরোদবাবুর আমলে চাঁপরাসী-ক্লাসকে আমি এমন কণ্টোল করতাম, অফিসের সমন্ত ক্লার্ক আমারে সাপোর্ট করত। আইজকার দিনের মতো! কেরানীরা চাঁপরাসীদের মাথায় তুলে নাচত না৷! ছিছিছি! ছিন্দীতে বাত করব, প্সাঙলের ডগায় ওঠাব-নসাঁব, তবে তে। চাঁপরাসী । এ কী অনাচার। ক্গীরোপবাবুর আমলে _ “ক্ষীরোদবাবুর আমলে,_অজিত কথ! কেড়ে নিয়ে বললো, উনি নিজে কিন্ত ছিলেন লিটারেট দপ্তরী। যৌল টাক মাইনে। অফিসের সবাই ডাকত ল্যাডার-ম্যান ঝ'লে। তখন অনেক উচুতে র্যাক ছিলে। তো, মই লাগিয়ে ফাইল নাবাতে হুত। ওর কাজ ছেলো সেই মই ঘাড়ে ক'রে দৌড়নো আর তাই বেয়ে উঠে ফাইল খুঁজে খুঁজে বের করা। একদিন দণ্টরী আসেনিকো, দৌয়াত কালি দেবে কে? অর্ডার হয়ে গেলে। : রাইমোহন সকলের দৌয়াতে_. টো হি'বাসে_রাইমোহন সহসা ভীষণভাবে চীৎকার ক'রে উঠলো, “হোয়াট ইজ দিস, বাড়োবাবু? কান্ট ইউ ম্যানেজ অফিস ?+ বড়োবাবু সাধারপত এ-সব ব্যাপারে কান দেন না। নিজেও চুপচাপ রগড় দ্েখেন। কিন্ত রাইমোহুন এমন বিজ্রী গলায় চিৎকার করে ওঠার ্রুনই হোক অথব। অন্ত যে-কারণেই হোক, তিনি ভয়ানক্ষ অসন্ঃ হলেন এবং সবাইকে উদ্দেশ করেই তিনি জোর বকুনি লাগালেন। অজিতকে ডেকে বললেন, সে মাত্রা ছাঁড়িকে যাচ্ছে এবং এমনি অবস্থা আবার সৃষ্টি হলে শেষ পর্যন্ত তাকে ডি, এম. ই.-র কাছে রিপোর্ট করতে হবে। ুর্কে সমত্ত অফিস ঠান্ডা দেয়ে গেলো। মানের বাজার সহসা যেন তন গির্ধায় পরিণত হলো! | ১৩৬৭ ] লোকো-বিভূষণ রাইমোহন ৬৬১ তখনো! পাঁচট! বাজতে আধঘন্টা বাকি। অ্িতের উদ্যোগে খানিক পরেই পাশের ঘরে সভা! ডাক! হ'লো, রাইমোহুনের পেছনে লাগ! ব্যাপারে যারা অগ্রণী তাঁদের নিয়ে। সর্বসম্মতিক্রমে সিন্ধাস্ত গৃহীত হলো, যতদিন পর্ধস্ত রাইমোহন সকলের কাছে ক্ষমা না চাইবে তত্গিন পর্যন্ত কেউ আর তার পেছনে লাগবে না, সবাই তার সঙ্গে অতি শিষ্ট ভদ্র ব্যবহার করবে, মোলায়েম ভাষায় কথা কইবে, কেউ তার কাছে হরীতকী কিংবা বিড়ির জন্ত হত্যে দেবে না। তাতে করে অফিমট।কে যদি মরুভূমি বলে মনে হতে থাকে তাহ'লে না হয় অন্ত কারো পেছনে লাগ! বাবে, কিন্ত রাইমোহনের পেছনে আর কিছুতেই না, তুলেও না। সভার দ্বিতীয় প্রস্তাব অনুযায়ী লুকনে। বালির বোতলট। অবিলম্বে ফেরত পাঠানে। হলো! । যে কথ সেই কাজ। এ অফিসের এীক্য-_বড়ো! মারাত্বক, একটু এদ্দিক-ওদ্িক হবার জে! নেই। সতীন ভৌমিকের ভাষায় এ অফিসে ঘাড় শুধু একদিকে হেলে। ফলে রাইমোহন সম্পর্কে সবাই নিবিকার, উদ্দাসীন হয়ে গেছে । কারণ, হায়, বিন! দরকারে এ সংসারে কে কার ধার ধারে বলে!। অদরকারের দরকার সেও তো, একরকমের দরকার । কিন্ত সেদিনের &ঁ ঘটনার পরে রাইমোহনের সঙ্গে সকলের সেই “অদ্রকারের দরকার'ও চিরতরে ঘুচে গেছে । কেউ আর তাকে ডেকে জিগ্যেস করে না। রাইমোহন কাউকে কিছু জিগ্যেস করলে শান্ত মোলায়েম জবাব পায়। কেউ আর তাকে উত্ত্যন্ত কর! দুরে থাকুক, সপ্তাহথানেক অমনি কাটার পরে দম-বন্ধ-হয়ে-ষাওয়। রাইমোহন একদিন অঞ্জিত বা|নাজী ( নাহার ওয়ান )-কে যখন জিগ্যেস করলো, 'কী অঙজিত ভাই, তোর মেয়ের নাকি অস্থুথ ?,--তখন অজিত যে অজিত সেই অজিতও কিনা ভদ্রতান্চক কাঠ্ঠহাস্ত ক'রে বললো, “এখন ভালোর দিকে । আপনি ভালে! ? একটু শুকনে। শুঝনে! দেখছি?,--বঃলে উত্তরের প্রত্যাশায় না থেকে সে ব্যস্তভাবে গ্রাফডেক্স প্যানেলের ইঞ্জিনের নম্বর সাজাতে লাগলে! ! আর কত সহ করবে রাইমোহন। তার মনের মধ্যে প্রাণের মধ্যে ফাৎফাৎ করে, অফিসের মধ্যে এখন যেন তার দম বন্ধ হয়ে আসে। চাকরির বাকি আছে আঁর পাঁচ মাপ মাত্র, কিন্তু এ-অবস্থায় রাইমোহনের আর একদিনও বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে না। কেন যে তার এইদাহ, তাও সে মুখ ফুটে কাউকে বলতে পারে ন1। দিন দশেকের মাথায় একদিন রাইমোহন সমস্ত সঙ্কোচ ঝেড়ে ফেলে পাশের ঘরে ব্যোমকেশ ভৌমিকের শরণাপন্ন হ'লে! । কারণ ব্যোমকেশ অফিস-ইউনিয়নের সেক্রেটারি ) “কী ব্যোমকেশ ভাই, দাদারে আর ডাইক্যা জিগ্যেস করে না, কী এমন অপরাধ করলাম 1-সম্লান ছেসে ব্যোমকেশের টেবিলের পাশে এসে রাইমোহন বললো! । “আরে দাঁদ| বন্ুন বহন,--রাইমোহনকে টুলে বসিয়ে ব্যোমকেশ বললো “হভ্ুকী দিন।' রাইমোহনের চোখেমুখে আভা ফুটলে।। বালির কৌটোটি বের ক'রে হরীতকী দিলো৷। গুধু ব্যোমকেশকেই নয়, ব্যোমকেশের ইশারা পেয়ে ইতিমধ্যে কয়েকজন রাইমোহনকে ঘিরে ধরেছে, তারাও সবাই হাত বাড়াতে রাইমোছন সণাইকেই একটু একটু দিলো । সকলের চোখেমুখে চ1পা-হাসি। “ভালে। আছেন দাধ। ?--ব্যোমকেশ বললে! । 'না রে ভাই'--তোবড়ানো। গালে মধুর ছেসে রাইমোহন বললো, প্যাটটার এইখানে একট! ফিক ৩৬২ গল্প-ভারতী | অগ্রহায়ণ ব্যথ৷ কয়দিন যাবৎ। এজন্যই পাতুলে বসেছি। ডাইন পাওট! তুলে বসলে একটু আরাম হয়, প্যাটটায় চাপ পড়ে তো। এঁজন্ত আমি ট্রামের মধ্যেও ডাইন পাঁওট! তুলে বসি), ইতিমধ্যে ব্যোমকেশের ইদিত পেয়ে পরেশ সাতিরা চলে গেছে শাস্তির দৌত্যে অজিত ব্যানার্জী (নাস্বার ওয়ান )-এর কাছে। বললো, 'এই অজিত, দাদাকে আর দগ্ধাসনি। বেচারা সারেনডার করেছে।” «তাহলে আবার গুরু হবে ?-অজিতও যেন এই সংবাদের অপেক্ষাতেই ছিলে! সঙ্গে সঙ্গে কুইকমার্চ ক'রে সে পাশের ঘরে গিয়ে পেছন থেকে রাইমোহনের পেটে একটা গৌত্তা মেরে শুরু করলো, “কই দাদা, বিড়ি দিন।, রাইমোহন চিবিড়িয়ে উঠলো, 'উঃ। দেখলে দেখলে দুর্ুন্তর কাণ্ডটা? এই তো এতগুলি লোক, সবাই জেণ্টলম্যান, তোর মতে। অভব্য চামা তো কেউ না! আবার বিড়ি চাস! দাদা ঝলে ডাকিস আবার বিড়িও চাস! অঙ্গিত খপ. ক'রে রাইমোহুনের পকেট ধ'রে টান মারতেই লেগে গেলে ধন্তাধস্তি। আর চেঁচামেচি । ঘরন্ুদ্ধ লোকের মন্তব্য আর হাসাহাসি । পেছন থেকে সেই অবসরে রাইমোহনের পিঠে লেবেলিং-ও হয়ে গেলে। মুরারি এবং নরেনের তত্পরনায়। 'াদ]! দাদ1!,-রাইমোহন বেবুনের মতো মুখ খিচোতে লাগলো, “আগে চরিত্র গঠন কর তারপর দ্বা্দ। ডাঁকিস, তারপর খিড়ি চাইতে আসিস। নির্লজ্জ বেলাহাজ আদাড় কথাকার।” কিন্ত অজিত নাছোড়। সে বিড়ি নেবেই। রাইমোহন বললো, বিড়ি মেই। অভিত বললে “চেক করে দেখি ।, ফিক ক:রে রাইমোহন হেসে ফেলে £ 'দুবুত্ত কথাকার !,--ব”লে সিগারেটের প্যাকেট বের ক'রে তার থেকে একটি বিড়ি মে অজিতকে দিলে! । বিডি শুধু দ্রিলেই হবে না, ফের ধরিয়েও দিতে হবে। রাইমোহন দেশলাই জাললো, ধরানোর অছিলায় অজিত ফাৎ্ ক'রে নিশ্বাস ছাড়লে, আগুন নিবে গেলে! । সঙ্গে সঙ্গে রাইমোহন রেগে আগুন, “দেখলে? সবাই দেখলে তো ও কত বড়! থচ্চর। গরীব মানুষের কাঠি ও কেমন লোকসান করে দেখলে তো ব্যোমকেশ ভাই । তোমরাই বিচার করো ।, “আচ্ছ। এবার দম বন্ধ ক”রে ধরাব! আর একট! জবালুন।+ “নে1।”- বালে রাইমোহন গজ গজ করতে করতে পাশের ঘরে নিজের চেয়ারে চলে গেলো। অজিত পিছু নিলো । শেষ প্যস্ত আরেকট। কাঠি রাইমোহনকে জালতে হ,লে। কিন্তু সেটাও অঞ্জিতের মন্ত নিশ্বাসে নিবলো।। থাবা মেরে অজিত তখন দেশলাইট! কেড়ে নিয়ে পালালো । নিরাপদ দূরত্বে দাড়িয়ে অজিত শুরু করলো, দাদার কীন্তি শুনুন সবাই । দিনকয়েক আগে দাদা রথ দেখবি চ” বলে ছেলেপিলে বউ সব্বাইকে নিয়ে শেয়ালদ-বৌবাজারের মোড়ে রথের টান হয় তে। তাইতে গেছে। বেজায় ভিড় ঠেলাঠেলি, বউছেলেমেয়ে তাতে কে কোথায় ছিটকে গেছে হুশ পর্যন্ত নেই, দাদা পাপর আর জিলিপি কিনে নিয়ে রথে চড়ে খাবে ব+লে পড়ি-কি-মরি আযাটেম্পট নিয়েছে। কোর্টের সামনেটায় আছাড় খেয়ে প'ড়ে তে। জিলিপির হাড়ি ফটাস। কাদ। থেকে জিলিপিগুলি কুড়িয়ে নিয়ে একে- ওকে গলিয়ে রথে কিন্তু দাদা উঠে ছেড়েছে । উঠে একটেরে বসে দাধা হাপাতে হাঁপাতে একহাতে জিলিপি একহাতে পাপর তো৷ একবার এতে কামড় একবার ওতে কামড় দিচ্ছে। এমন সময় একট! চিল ছে। মেরে ভিলিপির ঠোঙ। কেড়ে নিয়েছে । ১৩৬৭ ] লোকো-বিভূষ্ণ রাইমোহন ৩৬৩ শুনে রাইমোহন খেপলো না। মিটিমিটি চোখে সে টিপিটিপি হাঁসতে লাগলে! । দাদা, ইহ! কি সভ্য ?'- শ্রীবিশ্বনাথ নাটুকে গলায় জিগ্যেস করলো । দুর খ্যাপা !”-_রাইমোহন ফিকফিক হেসে বললো, 'শয়তানটার প্যাটে প্যাটে এতও থাঁকে | বেশ বানাতে পারে !, বানানো! গল্প ?”--পোড়। বিড়ির টুকরোটা রাইমোহনের টেবিলে ফেলে দিয়ে অজিত খার। হয়ে বলতে লাগলো, “আচ্ছা তাহ'লে আরে! ফাক করে দিচ্ছি শুষন সবাই । এই বর্ষার সিজ ন্ভর দাদ। রোজ ধাপা যাচ্ছে। অফিন থেকে বেরিয়ে সোজা । সারা মুখে ফোটাচন্দন কেটে নিমাই সেজে যায়। বাসে গেলে টিকিট লাগে, সেইজন্তে শেয়ালদা সাউথ টু ধাপা কর্পোরেশনের ময়লা টানার ট্রেন আছে তাইতে চুপিসারে চেপে চলে যায়। ধাপার মাঠে চাষীদের থেতে আড়তে গোলায় গোলায় চ্ছরকৃ চ্ছরুক ক'রে খঞ্জনি বাজিয়ে দাদ] কেত্তন গায় ঘুরে ঘুরে। এক কলি ছু-কলি গাইতেই চাষীরা কেউ এক পাঁজা পুই শাক, কেউ চারটি নটে শাক, কেউ একট! লাঁউ, কেউ ব| কুমড়ো বেগুন, ঝিঙে, ঢেঁড়স যার যা আছে খয়রাত করে। সমস্ত জিনিস কালেক্ট করার পরে দেখ! গেলো পুরো এক ঠেলা-মতে| মল হবে। তখন ওদেরই কাছ থেকে চেয়ে-চিন্তে একটা ঠেলাও যোগাড় করে নেয়। আবার বলে কিনা, ঠেলে নিয়ে যাবার জন্ঠে ছুটে! লোক দাও। পরী করতে করতে রাত ছুটো!। সেই ঠেল! নিয়ে দাদ! রাতারাতি বৌধাজার কোলে বিল্ডিং-এ চঃলেযায়। €োর চারটে নাগাদ পাইকিরি রেটে সব ধিক্রি ক'রে দিয়ে দাদা পকেট বাজাতে বাঁজাতে বাড়ি ফেরে! রাইমোহন তখন বিড়ি টানছে বু'দ হয়ে অর্ধনিমীলিত নেত্রে। অজিত গল! চড়িয়ে বলতে লাগলো, “এই বর্ধার সিজ.নে দাদার খাড়িতে কেউযাবেন তো দেখতে পাবেন দাদা তিনটে চৌবাচ্চ! খুঁড়ে রেখেছে । তাতে ক্লাক-ওয়াইজ মাছ লিয়ানো হয়। একটাতে শুধু কই, একটাতে শিং-মাগুর, আরেকটাতে শোল-ল্যাটা। এসব মাছ যোগাড় হয় কোথেকে বলুন দিকিন? ধাপা। ফিরবার আর ছুটির দিনে দাদা ছিপ নিয়ে চললো» সারা বর্ষার সিজন। সেখানে গিয়ে ঘ।সবনে পা ডুবিয়ে ছিপ নাচিয়ে নাচিয়ে মাছ ধরবে। একদিন একট। কই মাছও টোপ গিলেছে, ওদিকে একটা! দ্রাড়াস সাপ দাদার পায়ের বুড়ো আঙ,লটাকে ব্যাঙ মনে ক'রে কামড়েও ধরেছে । কিন্তু দাদা সাপে কামড়ানো অগ্রাহু ক'রে আগে মাছকে তুলছে । বলুক দিকিনি এও বানানে! গঞ্ে। !” ঘাড় ভুলিয়ে দুলিয়ে রাইমোহন হাসতেই লাগলে! । আঙ্ত আর সে কিছুতেই থেপবে না বলে পণ করেছে যেন। রর কিন্ত রাইমোহন ন! খেপলে অজিতের শান্তি নেই। সে এবার বর্ষা ছেড়ে শীতের প্রসঙ্গ তুললো । রমিয়ে রসিয়ে বললো, সার! শীতকাল দাদার হাতে একটা মাথা-বাকানে। ছড়ি দেখা যায়। তাই দিয়ে নাকি সে ধাপার খেত থেকে অন্ধকারের মধ্যে কপি চুরি করে। গরম হওয়! দুরে থাক, রাইমোহন এবার রসাবেশে কীর্তন ধরলো : «কার যেন ভরা খেতে রে আমি দিয়াছিলাম হাত সেই পাপেতে ছেড়ে বুঝি গেল প্রাণনাথ। ও-ও-ও আমায় পাগল কৈরা গেলারে প্রাণনাথ-্ঃ ঞবিশ্বনাথ নাটুকে গলায় ধমকে উঠলো, “হোয়াট ইজ দিস! ইজ ইট নট আযান অফিল ০০ ্ ৩৬৪ গল্প-ভায়তী [ অগ্রহায়ণ 'অফিসের তো ইজ্জৎ টিলে করে দ্িলে”_-বলে অজিত হঠাৎ লক্ষ্য করলে। রাইমোহনের চেয়ারের পিঠে একট গামছ।। আরযাবে কোথায়, অজিত চেঁচিয়ে উঠলো, অফিসে গামছ। শুকনো? গোরুর গা পু'ছে শুকোতে দিয়েছ নাকি আয?” “অফিসে গোরু কোথায় ?--সতীন জিগ্যেস করলে|। নিজেই তো একটা । শেডে থাকাকালীন চেয়ার তে! দুরস্থান, টুল ব! ভাঙা বেঞ্িও দাঁঘ। এন্টাই- টেল্ড্‌ ছিলে! ন]। ষ্টোরগুদমে ইঞ্জিনের বাফার পড়ে থাকে তে| তাই চেপে বসতে হত। আর অফিসে এসে ফোকটে চেয়ার পেয়ে গিয়ে তাতে গামছ। শুকোচ্ছে! মানসন্মান আর থাকলো না কিছু অফিসের! “মানের গলায় ছাই ঢেলে দে+--রাইমোহন বললো বড়ো-বড়ে! চোখ কঃরে, “বলে গেছেন গুরুসদয় দত্ত। মানের গোড়ায় ছাই ঢেলে দে !,--খলে সে গুরুসদয়ের উদ্দেখ্যে বারংবার নমস্কার ঠুকলে]। বচনে কাজ হচ্ছে না দেখে 'অজিত হঠাৎ লাফিয়ে পড়ে রাইমোহনের আঙ্ল থেকে ঢলঢলে আংটিট। টেনে খুলে নিয়ে পালালে। ৷ অষ্টধাতু বসানে। মাঝখানে দেখনাগরী অক্ষরে তান্ত্রিক লেখ! পেতলের আংটি, রাইমোহন ক।লীঘাট মন্দিরে মন্ত্রপুত ক'রে এই আংটি ধারণ করেছে । আংটি নেওয়াতে রাইমোহন চটলো।, কিন্তু কী কারণে কে জানে, সে চেচামিচি করলো না। গুম হয়ে রইলো! । এবার অঙ্জিত আরেকট। গল্প ছাড়লো, “গৌতমবাবু হিন্পু হয়ে দ।দা গোহত্যার পাতকী, জানেন তো? দাদার বকুনা গাহ ছেলো। একট1। পাঁচ-ছ সের করে দুধ দ্িত। কিন্তু উপযুক্ত রকম থেতেটেতে দিত না, সেটাকে, থখচ্চা হবে যে। অর্ধাহারে গোক্টা ব্যাধিতে পণ্ড়ে গেলো । পণ্ড চিকিতৎসালয়ে খোঁজ কর! হ'লে! । বেলগাছিয়ায় কে।ন বেড খালি নেই আর বালিগঞ্জেরটায় একটা খলি আছে কিন্তু সেটা ফ্রি-বেড নয়কে।ঃ দশ টাকা দিলে তবে পেশেণ্ট ভতি হবে । দশ টাকার মায়! ছাড়াতে ছাড়াতে গোরুটারই প্রাণের ময় ছেড়ে গেলো । মর গোর নিয়ে দাদার তখন আরেক ফ্যাপাদদ। কলকাতায় গোরু ফেলার জায়গা নেই কো, কী কর যায়? কর্পেরেশনের গাড়ীতে জমা করতে গেলে আট-্দশ টাকার মামলা! । দাদ! তথন ডেড অব নাইটে মর। গোকুট। রাস্তার ওপারে টেনে নিয়ে গিয়ে ফেলে রাখলো।--বেওয়াবিল মাল হয়ে গেলো আর কি, “অতে। বড়ো! ধুমলে। মরা! গোর দাঁদ। একাই বইতে পারলো। ?,--কানাই বোন জিগ্যেস করলে! । «“এক। কেন। চার ছেলে তিন মেয়ে আর তিন জাম!ই রয়েছে কী জন্যে? সবাই মিলে ধরাধরি---, রাইমোহন সহস।! রামপ্রসাঁদী সুরে গাঁন ধরলো £ 'যত বানর রূপে এ ভবে জীবের আগমন, যেমন ইচ্ছে হয়েছে কিন। হতেছে পাছে তার মতন-_ অঅঅঅঅঅঅন। যত বানর রূপে-- “বড়োসাছেব ! বড়োসাহ্েব ।--হঠ্াৎ ঘরের মধ্যে ভীত সন্ত্রস্ত চিৎকার । ডি, এম. ই, ততক্ষণে ঘরের একেবারে মধ্যে । রাইমোহনের গানে সবাই ( বড়োবাবুনুদ্ধ) এমন মশগুল হয়ে গিয়েছিলে৷ ষে কোন ফাকে ভি. এম. ই. ঘরে ঢুকে পড়েছেন, কেউ খেয়াল করতেই পারেনি। অনেকেই রাইমোহনের চারপাশে জমাট বাধা অবস্থায় বাহ্জানশৃন্ত ছিলে! । এ অবস্থায় ডি, এম. ই, দর্শনে ১৩৬৭ ] লোকো-বিভূষণ রাইমোহন ৩৬৫ হঠাৎ তড়িতাঘাতে সকলের যেন একসঙ্গে মৃত্যু ঘটলো, যে যেখানে ছিলে! সে সেই অবস্থাতেই ফ্যাল- ফেলিয়ে রইলে!। কিন্তু ডি. এম, ই, বেরসিক নন। স্মিত মুখে তিনি রাইমোহনের কাছে এলেন, রাইমোহন তখন রামভক্ত হনুমান অবস্থায় ভৌড়হত্তে কম্পমান। ভি. এম. ই. বললেন, “কী থামলেন কেন? চলুক ন1। কী গান হচ্ছিলে।?, “এই না-আইজ্ঞা একটু সাঁধন ভজন- আইজ মনটা বড়ো উচাটন ছিলে তাই শ্যর,-_রাইমোহন জোড়হন্তেই উত্তর দিলে! । “বটে! আপনার নাষটি যেন কী?, আইজ শ্রীরাইমোহন আঢ্য।, 'রাই-মোহন! বটে! সথীটধী আছে নাকি ?, “আইজ্ঞা এখন আর নাই,-_-বিগলিত বিনয়ে রাইমোহন জানালো। “নাই কেন? আঁবাঁর করুন ?১--.ব'লে ডি. এম. ই, ভাসলেন। সেই হাসি দেখে ঘরের অন্ত কেরাণীর। ( বড়োবাঁবু বাদে ) ইতিমধ্যে বেঁচে উঠেছে। ডি, এম, ই, এবার অঞ্জিত ব্যানার্জী (নাম্বার ওয়ান )-এর দিকে ফিরে বললেন, “এক কাজ করুন, রিক্রিয়েশন ক্লাবের থেকে একটা আসর জমিয়ে দিন একদিন। অফিসেই হবে দরডা জানালা বন্ধ ক'রে। তাতে রাইমোহন'কীত্তন গাইবেন । “কী ?-রাইমোহনের দ্দিকে ফিরে বললেন, 'খোল-করতাল আছে তো? সব নিয়ে আসবেন।+_-ব'লে ডি. এম. ই. হাঁসতে হাঁসতে নিজের চেগ্ারে চলে গেলেন ।ঃ 'যত বানর রূপেঃ_ দুহাত তলে নিমাই হয়ে রাইমোহন ফের সুর ধরলো চাপ! গঙ্ায়। টি বিখ্যাত ভাঙ্কুর গুটজন বর্গলাম"্এর অক্ষয় কীর্ত হেখল লিঙ্কনের গ্রস্তরমুতি | ত্র কাজের উদ্দেশ্যে একটি মার্বেল পাথর 'আন| হয়েছে। শিল্পী রোজ একটু একটু করে কাজ করেন। একটি নিগ্রে। মেয়ে রোজ আসে স্টডিয়োতে। মেঝেময় ছড়ানে। পাথরকুচি কুড়িয়ে নিয়ে চলে যায়। মেয়েটি তার কাজের কাজ করে যায় রোক্ত, সে আর তাকায় না আসল পাণরটির দিকে। হঠাৎ একদিন তার চোখ পড়ে গেল। তখন কাজ শেষ হয়ে গেছে। নিগ্রো মেয়েটি অবাক হয়ে ছুটে গেল শিল্পীর একান্ত সচিবের কাছে, জিজ্ঞাসা করল অধীর আবেগে: একিলিস্কন? --ই), তা হয়েছে কি! হয়েছে কি? বর্গলাম মশায় কি করেজানলেন যে এ সমন্ত পাথরটার ভেতর লিক্কন লুকিয়েছিল? বিস্ময়ে ফেটে পড়ল মেয়েটি। সৃষ্টির মন্ত্র জানলে শিল! হয়ে ওঠে শিল্প-"'""" জাল-ওষুথ ডক্টর হরেন্দ্রনাথ রায় টা বলেছিল মগ্ুলিক! অসিত সেনের কথা। আর্জ চোখ ছুটি তুলে বলেছিল, সোনার ঝিন্ুকে দুধ খাবার ভাগা নিয়ে আমি কল্মগ্রচণ করিনি মিত্রা । জীবনে ছুঃখ কষ্ট সহেছি অনেক। কিন্তু এত বড় দুঃখ আমি ভোগ করিনি কখনও । কিন্তু এর জন্য আমি এতটুকু ক্ষোভ করব না, এ ছুঃথ সাধনাকে আমি অঙ্গের ভূষণ ধলেই্ট মেনে নেব, যি জানতে পারি তিনি বিন্দুমাত্রও তৃপ্তি পেয়েছেন আমার এ সাধনায়। মগ্চুলিক। থামে। ত।রপর আবার বলে, মনে পড়ে প্রথম যে দিন তিনি এলেন এ অপিসে সে দিনের কথ । সে দিন ঠার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম । মনে হয়েছিল কোন দেশের এক রাজপুত্র পথ তুলে এসে পড়েছেন এখানে । তাঁই বার বার চুরি করে দেখেছিলুম তাকে। সঙ্ঘমিত্র। মুচকি হেসে বলে, গ্রথম দৃষ্টিপাঁতেই প্রেম। মঞ্জুলিক। বলে, প্রেম নয়, ভাল লাগ! । সজ্ঘমিত্রা উত্তর দেয়, ভাল লাগার ইতিহাসের শেষ পৃষ্ঠাই ভালবাসা । মগ্ুলিক। সে কথায় কাঁন দেয় না। বলে, এমন পুরুষ আছে যাকে দ্রেখতে সত্যিই ভাল লাগে। _লাঁগে! সঙ্বমিত্রা তেমনিই মুচকি হেসে বলে, আঁর তারাই উত্তরকাঁলে হয় পরম গুরুষ। মগ্জুলিক। এক মুহূর্ত কথাটিকে হাদয়ঙ্গম করবার চেষ্টা করে বলে, জানি না। তবে ভাল লাগত তার এ ভাবে ভরা-চোখ ছুটি । যেন সংসার বৈরাগোর সব কিছু উপকরণকে তার মধ্যে ধরে রেখেছিলেন তিনি। __তাই তাকে সংসার অনুরাগী করবার এই প্রচেষ্টা তোমার । -এমামুষের বাসনার অস্ত নেই মিত্রা, তার চেষ্টারও বিরতি নেই। তবে মজা এই, সব গ্রচেষ্টা ফলবতী হয় না। একটু থেমে আবার ধলে, ছুবছর আগে এই নভেম্বর মাসে যে চেয়ারখাঁনা আজ অধিকার করে বসে আছ তুমি, সেইথান! অধিকার করে এসে বসলেন তিনি । আমাদের মধ্যে ব্যবধান রুইল ছু'হাঁতি এই টেবিলট|| আর মাঝখানে উচু করা এই টাইপ মেসিনটা। দুর্দিন আলাপাকাজ্জী মন অদম্য বাসন! চেপে রইল চুপ- চাপ। কিন্তু তৃতীয় দিনে বামন] মিটল। তিনিই উঠে এলেন আমার পাশটিতে। আলাপের হুত্রপাত করে বললেন, একই অফিসে যখন কাঁঞ, একই ঘরে যখন বাস, তখন চুপচাপ মুখোমুখি বসে থাকাটা শোভনীয় নয়। শুনে খুশিই হলুম। প্রতুযন্তরে মুখ তুলে তাকিয়ে একটু হাসলুম মাত্র। অসিত সেন বললেন, দু-দিন জয়েন করেছি অফিসে। কিন্তু এসে পর্যন্ত অবাক হয়ে গেছি আপনার কাজের বহর দেখে । ছুটি হাতের আর বিরাম নেই। সমানে নেচে চলেছে মেসিনের ওপর। কাজও কম নয়। এবারও শ্মিতমুখে মুখ তুলে তাকাই, কিন্তু বলি না, এ একদিনের কাঙ্গ নয়। কামাই করেছি, তাই কাজ জমে উঠেছে। সেন বললেন। অথচ আমি ঠায় বসে বসে হাঁপিয়ে উঠেছি। সময় কাটতে চায় না। যদি আপত্তি & হি জাল-ওষুধ ৩৬৭ না থাকে কিছুট! সাহাষ্য করতে পারি। এবার বলি, ধন্তবাদ। এতখানি উদারতার কাছে কারো! থে আপত্তি থাকতে পারে এ আমি মনে করি না। তিনি বলেন, টাইপ জানি বলে নিজেকে জাহির করতে চাই ন1। বাড়ীতে একট। মেসিন আছে, তারই ওপর ঠোকাঠুকি করি মাত্র। মনে মনে একটু গর্বের হাসি হাসি। এ এক আঙ্গুলে সখের টাইপ করা নয়। অফিসের কান্দ। তুলচুক হলেই সর্বনাশ। শুয়ত একটু দ্বিধার ভাব মনের মধ্যে জেগেছিল। সেটুকু বুঝতে পেরেই তিনি বললেন, ভাঁবছেন যদি তূল ঠয়। কিন্ত আপনার মত পাকা লোক যখন কাছে আছে, তখন তল সংশোধন করে নিতে কতক্ষণ ! এবার সঙ্ঘমিত্রা বলে, কি থোসামুদে লেকরে ধাবা। গোঁড়া থেকেই খোসামোদ ! গলে জল হয়ে গেলে নিশ্চয়ই ? মঞ্জুলিকা বলে, খোপামোদে ভগবান তুষ্ট মিত্রা, আমি ত ছাঁর। তবুও কুগ্ঠিত হয়ে বলি, আপনাকে কষ্ট দেব আধার। ₹ বলেন, কষ্ট নয়, নরং ইষ্ট । আচ৮ অপনিই বলুন ত, পুর্ণ মান্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ই! করে বসে থাকি কি করে? দুদিনেই অতিষ্ঠ হয়েউঠেছি। এ ঘরে কোথায় যে কি আছে, আসবাবপত্র, দরজা" জানালা, খড়থড়ি থেকে ইস্তক কড়ি-ঝড়গাগুলির পর্যস্ত অস্তিত্ব সব আমার মুখস্থ হয়ে গেছে। বিশ্বীস না হয় জিজ্ঞাস] করুন, আমি গড় গড় করে বলে যাব সব। বললুম, নতুন লোক, তাই কাজকর্ম এখনও এসে পৌছয়নি আপনার টেবিলে। একবার আসতে সুরু করলে অস্থির হয়ে পড়বেন তখন। সহান্তে বলেন, এ রকম স্ুস্থিরের চেয়ে অস্থিরই আমর ভাল। সঙ্বমিত্র। প্রশ্ন করে, কাজপাগল লোক বল? মঞ্জুলিক1 মাথ! নেড়ে বলে, তাই। কিন্তু ভাবন] হ)ল মেসিন ছেড়ে দিয়ে। অফিসের কাজ, ভুল- টুক হলে মুস্কিগ হবে আমারই । তাই ফিরে ফিরে দেখছিলুম বার বার। ঝুঝলুম স্পীড বেশী না হলেও আগ্রহ বেশী। এক এক খাঁন। চিঠি শেষ করেন আর আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলেন, দেখুন চল্বে কি ন1। সঙ্বমিত্র। প্রশ্ন করেঃ কি দেখলে, চলবে ? -না চলে উপায় কি? খুঁত ত নেই কিছু। ভেবেছি আনাড়ী লোক, তুল ভবে নিশ্চয়ই । তখনই উপদেশ দিয়ে দেব কিছু । কিন্তু দেওয়া! হল না। তাহ চিঠি থেকে চোখ ডলে তাকিয়ে বলি, চল্বে। এর চেয়ে ভাল আর কি আশ! করতে পারেন কতৃপক্ষীয়ের। তারপর কাজের মধ্য দিয়ে একটু একটু করে হৃগ্ত৷ বেড়ে ওঠে । সস্কোচ কমে আসে। সঙ্বমিত্রা ভাল মানুষের মত বলে, আর মনের সুকুমারবৃত্তিগুলিতে দোলা লাগে। মঞ্জুলিক। শান হেসে বলে, মেয়ে টাইপিষ্টের জীবনে স্বকুমারবৃত্তি বলে কিছু কি আছে মিত্রা? আর যদিও বাসীকে, তারা৷ আবর্জনার শ্তূপের তলায় কোথায় যে আত্মগোপন করে থাকে তার অস্তিত্ব পাওয়। যায় না। *_যায়। শুকনে!। আবর্জনা, তার ভার নেই। বসন্তের এক্টা স্ুৎকারেই যখন সব উড়ে যায়, অস্তিত্ব তখন ধরা পড়ে। --ভুয়ত পড়ে। কিন্ত সে বসন্ত মেয়ে কেরাণীদের জন্তে নয়। তার পাত্রপাত্রী রূপ রস সব 46 ৩২৮ গল্প-ডারতী [ অগ্রহায়ণ আলাদা । কিন্ত ও কথ। থাক। ভদ্রলোক আমার উপকার করেছেন অনেক, কাজও করে দিয়েছেন অনেক। স্পারিশ্রমিকও নিশ্চয় পেয়েছেন অনেক । _না। সেইখানেই আমার দুঃখ। চাইলেই পেতে পারতেন অনেক। কিন্তু নিম্পৃহ লোক। চাইবার অবকাশ হ'ল ন! তার। --আশ্চর্য্য | আমিও কম আশ্চর্ধ হইনি মিত্রা। সময় সময় নিজের কাঙ্গীলপণায় লজ্জিতও হয়েছি। কিন্ত বৈরাগী মনের তল পেলুম না। বড় গভীর। সঙ্বমিত্রা হাসে। বলে, পাকা ডুবুরী নও, তাই তল পাওনি। নইলে পুরুষের মনের তঙ্গ পায় না! মেয়েরা, এ কেমন কথা? _-সত্যি কথা মিত্রা, এ মনের তল নেই। এ অতলান্তমন। কোন ডবুরীরই সাধ্য নেই এর তল পাওয়া । সঙ্বমিত্র। ঝড় বড় চোখ মেলে একবার তাকিয়ে দেখে মঞ্জুলিকাকে। তারপর প্রশ্ন করে, তুমি চে! করছিলে মধু? মঞ্জুলিকা উত্তর দেয় না । নত মুখে বসে থাকে । সজ্যমিত্র। বলে, অতলাস্ত মন যাদের, তারা লোক ভাল নয়।. মনের মান্ধষ তারা হতে পারেনা কোন দিন। মঞ্জুলিকা বলেঃ অভিজ্ঞতামূলক আমার জীবন নয় ভাই মিত্রাঃ পুরুষ চেনার ব্যাপারে । শুধু এইটুকু বলতে পারি, অসিত দেন লোক থারাপ নন। তার প্রাণ আছে। প্রমাণ পেয়েছিলে ? -পেয়েছিলুম । মণিমালার ব্যাপারে । _-মণি-মাল। ? সম্ধমিত্র। অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে । মঞ্জুলিক! ঘাড় নেড়ে সায় দেয়। বলে তাকে কেন্দ্র করেই অসিত সেনের এই বিচিত্র কাহিনী । একট সকরুণ ইতিছাস। এ থেকে মুক্তি না পেলে__। মঞ্জুলিক। আতঙ্কে শিউরে উঠে বলে, না পেলে কি হবে মিত্রা, আমি জানি না। তবেন্ুস্থ জীবন যে আর ফিরে পাবেন না কোনদিন এ বিষয়ে আমি নিঃসন্দেহছ। সঙ্বমিত্র! বলে, আম্চর্য! কিন্ত এমন কি ঘটন! মঞ্জু, য! একজন মাুষের সার জীবনকে পঙ্গু করে রাখতে পারে? _মানুষের জীবন বড় বিচিত্র মিত্রা । সহশ্র আঘাতে যে থাকে অটল সামান্ত ফুলের আঘাতেই সে মুচ্ছণযায়। হয়ত মর্মে গিয়ে এ আঘাত বেধে বলেই এ হয়ে ওঠে মর্যান্তিক। এমনি এফ মর্মান্তিক আঘাত তার জীবনকে পঙ্গু করে দিয়ে গেছে। সঙ্ঘমিত্র কোন প্রশ্ন করে না, বটে কিন্ত সপ্রশ্ন দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে থাকে। মঞ্চুলিকা বলে চলে, ছোট্ট একটি সংসার--ছু ভাই, ম। আর বোন। অভাব-মনটনের সংসার হলেও আনন্দের সংবার। সারস পাথীরড়ান! দিয়ে মা তাদের আগলে রেখেছিলেন। অনটনের কোন কথাই রি ১৩৬৭ ] জাল-ওধুধ ৬৬৯ জানতে দেন নি একটি দিনের তরেও। কিন্তু প্রকাশ পেয়ে গেল যখন বড় ছেলে পাস করলেন বি. এস-সি। তখন থেকেই তাকে দাড়াতে হ'ল “মগ্চিন্ত! চম্কারার' মুখোমুখি হয়ে । সেন বলেন, আকাশ ভেঙে পড়ল মাথায়, যে দিন ম৷ প্রকাণ করে বললেন সব কথা একটি একটি করে। বিরাট খণজালে আবদ্ধ ছোট্ট এই সংসার। ভদ্রাসন যায় যায়। অপগণ্ড ছুটি ভাই বোন, অসহায় মা, আর সবচেয়ে অসহায় আমি। অপেক্ষা করতে পারলুম না। ছুটে বেরিয়ে পড়লুম এবং হাঁতের কাছে যা পেলুম তাই আকড়ে ধরলুম । পেলেন মাড়ৌয়ারী ওষুধের দে।কানে চাকরী । জাল ওধুধ, বিলিতী শিশতে ভি করা । বিলিতী ওষুধ বাজারে দুপ্রাপায। চোরা বাজারে এগুলিই খিলিতী ওযুধের ঠেয়ে চড়। দামে বিকোয়। আর অজ্ঞ ম।চুষ বিলিতী ভ্রমে এ গুলিকেই কিনে নিয়ে যায় হাসি মুখে । বিবেকহীন মাড়োয়ারী, পরকাল জানে না। ইহকাল নিয়েই তুষ্ট। রামক্তিকে স্মরণ ক'রে বাণস। চাঁলায়। হয়ত শেষ পর্যস্ত একটা ধরমশালা, অথব! রামঞ্জির মন্দির বানিয়ে পপ জ্বালন করে। এরই কাছে বছর দুয়েক কেটে যায়। ব্যবস।র যা কিছু খুঁটিনাটি সব জান। হয়ে যায় মেনের। শেষ পর্সসন্জ বন্ধুব প্ররোচনায় নিঞ্জেই এই ব্যবসায়ের একট! পত্তনি দেন। সঙ্বমিত্র। শিউরে উঠে বলে, এই জাল খ্যবসার? ছিঃ! আমিও বলেছিলাম, ছিঃ তিনি নিজেও বলেছেনঃ ছি: | কিন্তু না করেও উপায় ছিল ন1। তিনি বললেন, বন্ধুর প্ররে।চনা! আর সর্বগুণন।শ দারিদ্র্য প্রলোভনের ফাদে ফেলে আমায় ঠেলে দিল এঁ পথে। পৈতৃক বাড়ী গেল বিক্রী ঠয়ে। যেটুকু সম্বল ছিল, আদালত আর পাওনাদারেরা চেটে-পুটে থেয়ে নিল সব। সে দ্িনরাত্রে বাইশ তেইশ বছরের যুনক আমি মা, ভাই, বোনের হাত ধরে নিঃসম্বল এসে ধাড়াল।ম বাত্তায়। সেইধিনই অ।মি বিসর্জন দিলাম আমার মনুস্বত্বকে, কি, শৈলী, বিবেক সব কিছুকে । পত্তনি দিলাম এই অসাধু ব্যবসাঁর। মঞ্ুলিক! থামে । তারপর আবার বলে, অগাধু ব্বস। কারো সয়, কারো সয়না। ওনার সইল ন|। কিন্তু খেসারত দ্দিতে হল অনেক । --থেসারত মানে লোকসান? সঙ্বমত্রা প্রশ্ন করে। --না। এ আথিক থেসারতও নয়, এ মানসিক । আর এর জন্তে দায়ী মণিমাল।। হয়ত তারই অভিশ।পের ফল। তাই আজ তিনি উল্মাদাশ্রমে। সঙ্ঘমিত্! চমকে উঠে বলে, উন্মাদ শ্রমে? ধলকি? মঞ্জুলিক! শ্রীস্ত কঠে বলে চলে, মণিমালাকেও দোষ দিনা। দে আঘাত পেয়েছে, সহে গেছে। প্রত্যাধাত করেনি, ক্ষমাও করেনি । এই ক্ষমা না পাওয়ার মধ্যে ব্যর্থতা, তাই বিভীষিকা হয়ে গ্লাড়াল আর এক জনের পক্ষে । চিত্তের ভারসাম্যে বিশৃঙ্খল ঘটিয়ে, বিপর্যয় ডেকে আনল মনরাজ্যে। আমি চেষ্ট! করেছিলাম, মিত্র, ভারসাম্যে শৃঙ্খল! বঞ্জায় রাখতে যথাসাধ্য করেছিলাম, কিন্ত সফল হইনি। সঙ্ঘমিত্র। অবাক হয়ে যায়। প্রশ্ন করে, তুমি চেষ্টা করেছিলে দুজনার মিলন ঘটাতে মু? মঞ্চুলিক! বলে, মিলন নয়,সমন্য়। একের ক্ষম। অপরকে পাইয়ে একটা সমন্বয় সাধনে সচেষ্ট হয়েছিলাম। স্প্তাতে তোমার লাভ? স্লাভ 1 আজ এত বড় ট্র্যাজেডি হয় ত ঘটত না মিআ্।। মঞ্জুলিক| থামে। কিন্তু আবার বলে, সেন ব্যবস1 ফাদলেন । লক্ষ্মী গ্রসন্ধ হলেন। দারিদ্র্য ঘুচল। বাড়ী গিয়েছিল আবার হ"ল। মা, ভাই, ৩৭০ গল্প-ভারততী অগ্রহায়ণ বোনের মুখে হাসি ফুটল। ছোট পোন রম র বিবাহ দিলেন সুপাত্র দেখে । খরচও করলেন বেশ। কিন্ত সহস। এই ছোট পরিবারটি পর পর ছুটি অনর্থপাত ঘটে গেল। ছোট ভাই নিশীথ মার! গেল ধনুষটঙ্কারে। সেন বলেন, চিকিৎস| বিন্রাট ঘটে গেল শেষ পর্যন্ত । ডাক্তারের! একমত হতে পারলেন না বলে, আসল রেগ ধর পড়ল ন|। সুতরাং রোগের য। ওষুধ তা শিশিতেই ভর! রয়ে গেল। রোগীর ভাগ্যে ভুটল না। মাঝখান থেকে ভাইটি মারা গেল। দ্বিতীয় 'অনর্থপাত ঘটে গেল এর কিছু পরেই । রমার স্বামী, আদরের ভগ্মীপোতটি মারা গেল কয়েক দিনের জবে। ওষুধ বিপত্তিতেই মৃত্যু হ'ল তার। সঙ্ঘমিত্র। 'এতক্ষণ শ্ুনছিল মন দিয়ে। এখন প্রশ্ন করল, ওষুধ বিপত্তি মানে? »-সেন বলেন, জরের সঙ্গে পেটের মধোও যন্ত্রণ। ছিল একটা। ডাক্তার ইন্জেকশন্‌ দিলেন। ইনজেকশনের সঙ্গেই শেষ হয়ে গেল রোগী। সন্দেহ হয় ইনজেকসনের ওষুধটা জাল। হয়ত সে ওযুধই নয়। অন্ত ওষুধ শিশিতে ভর! ছিল। তাই রোগী সইতে পারল না, শেষ হয়ে গেল। মঞ্জুলিকা বলে, ছুমাসের শিশু কোলে নিয়ে রম! ফিরে এল । সেই হ্াশ্যময়ী ফুলের মত মেয়ে, মাথার সিঁদুর মুছে সংসারের যাবতীয় ভোগৈশ্বর্সে জলাঞ্জলি দিয়ে মায়ের সামনে এসে গাড়াল বিধবার বেশে । ম! সইতে পারলেন না। পর পর এত বড ছুট শোক । ভেঙে পড়ে শ্যা নিলেন একেবারে । সেনের মুখে শুনেছি তার শেষ রাতের ঘটনাটি যেমনি করুণ তেমনি মর্মম্পশী | গভীর রাত। ম| শধ্যায় গুয়ে ছটফট করছেন বুকের যন্ত্রণায় । দম বুঝি বন্ধ হয়ে এল তার। আগে রাতে ভাক্তার পাওয়া তার। অনেক চেষ্টার পর ডাক্তার এলেন। দেখে শুনে প্রেস্রুপলন লিথে বললেন, অরিঙ্জিন্যাল ওষুধট] যদি ঘোগাঁড় করতে পারেন, যন্ত্রণারও আগ উপশম হবে, রোগীও এ ধাত্রায় রেহাই পাবেন। দুশ্রাপ্য ওযুধ। কিন্তু সেন জানতেন, এ ওষুধ আছে তার ডাক্তারখানায়। আসলও আছে, নকলও আছে। রুদ্ধশ্বাসে তিনি নিজেই ছুটে এজন ডাক্তারথানায়। তারপর ব্যগ্রচোখে খোজ করলেন ওষুধটির। কিন্তু কোথায় ওযুধ! স্াঁন শূন্ত । তন্ন তম্ম পাতি পাতি করে খুঁজেও সন্ধান মিলল না কোথ।ও | য| মিলল যব নকল ওষুধ। হয়ত আসল ওষুধ বিক্রি হয়ে গেছে নিজেরই অজ্ঞাতসারে। নকল ওষুধের শিশিতে ঘর ছেয়ে আছে। সেদিন তাঁরা যেন সব হাসতে লাগল দাত বার ক'রে। দেন সেইখানে ধপ করে বসে পড়লেন মাথায় হাত দ্রিয়ে। আর ভীতি বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন ওযুধগুলির দিকে রাত প্রায় শেষ হয়ে আসে। চাকর এসে ডেকে নিয়ে যায় তাকে । থবর দেয়, মা মার! গেছেন। যন্ত্রণা সহা করতে ন। পেরে দম বন্ধ হয়ে মার! গেছেন তিনি । এ শোক ভোলবার নয়। তাই যেন ভোলেন নি আজও । বুঝলেন, নিজের পাপেই এই সব অনর্থপাত। এ নিজেরই কৃতকর্মের ফন। তাই এ পাঁপ ব্যবস। তুলে দিতে তিনি কৃতসক্কপ্ন হলেন। গুধু অনাথিনী ধোন আর তার শিশুপুত্রের মুখের দিকে তাকিয়ে হয়ত ইতন্ততঃ করছিলেন কিছুটা । কিন্তু মা, ডাই আর ভগ্মীপতি করতে পারেন নি য', তাই করল মখিমাল1!। চরম আধাত হানল সেই। সঞ্িত্রা। প্রশ্ন করে, মণিমালাটি কে মঞ্জু? _-একটা! মেয়ে। মঞ্জুলিক৷ একটু হাসে। "সে ত নাম শুনেই বুঝতে পাচ্ছি। কিন্তু তার জাতি-তত্ আমার জিজ্ঞান্ত নয়, জিজান্য ভার পরিচয়। | ১৩৬৭ - জাল-ওযুধ ৬৭১ --বলছি' কিন্ত ক্রমশঃ | সেনের মুখে শুনলাম, মণিমালার সঙ্গে পরিচয় । তার বিয়ের দিন থেকে তবে এ শুধু চোখের পরিচয়, মুখের নয়। যার ৰৌ হয়ে এল মণিমালা, সে থাকত সেনের দোকাঁনের উল্টে! ফুটের সামনের ফ্ল্যাটে । মণিমালাকে বিয়ে করে নিয়ে এল এক নব ফাস্তুনের সকালে । সে দ্রিন শঙ্খধবনিকে হার মানিয়েছিল কোকিলের বিরামহীন কুহুধ্বনি। কনে নামল গাড়ী থেকে বরের পিছু পিছু । রাঙা বেনারসী শাড়ীর আচলের সঙ্গে ছুধেগরদের জৌড় এক হয়ে গেছে গ।টছড়ার বাধনে । মাথার সিথি মৌড়। ছোট কপালটি ঘিরে, আরক্তিম কপোল ছুটি ঘুরে কনে-চন্দনের ফৌট।। তাঁরই মাঝে এক জোড়া হরিণ কালে! চোখ, টিকোল নাক আর অনবদ্য মুখশ্রী। পরনে রক্তারা বেনারসী শাড়ী। শুদ্র পা ছুখানিকে ঘিরে অলক্তের রেখা । যেন শারদলম্্ীর শুভাগমন হ*ল নখ ফাল্গুনের সকালে । এ চোখ জুড়ান দৃশ্তা। দুচোখ জুড়িয়ে গেল সেনের। নিজের বোনের কথা মনে পড়ে গেল। তাকেও একদিন এমনি করেই সাজিয়েছিলেন তার1। বিয়ের দিন থেকেই সামনের ফ্ল্যাটের ছোট ঘরখানি বড় মনোজ্ঞ হয়ে ওঠে । এতদিন সামন।-সামনি দোকান ক'রে যে ঘরখানির দিকে তাকাবারও সময় তয়নি এক মুহূর্, আজ সেইখানিহ আকর্ষণের বস্তু হ»ল সর্বক্ষণ। যেন শত কমল একসঙ্গে ফুটে উঠেছে সে খরে। আর তারই মাঝে এক দম্পত্তি যুগল কপোত- কপোতীর মত নীড় বেঁধেছে সেখানে । ভারী সুখী দম্পতি। কলহাম্যে ঘর ভরে থাকে । মাঝে মাঝে তার রেশ দমকা! বাত।সের মত এসে ঢোকে দোকানে । এ বাধ-না-মানা-জোয়|র, দুজনকেই ভাপিয়ে নিয়ে যায় টানে। কখনও আদর সোহাগ, কখনও মান অভিমান, কখনও বা ছোটখাটে। খুনস্থড়ি লেগেই আছে তাদের। মাঝে মাঝে মেয়েটি ছুটে আসে জানালার ধারে! হাসি মুখে দুহাতে পর্দ।খানি টেনে দিয়ে ছুটে চলে যায় ঘরের ভেতর । মনে হয় লোকচক্ষুর অন্তরালে কিছু খেলায় মাততে চাঁয় তারা । একটার পর একট! দৃশ্য । সেনের ভাল লাগে বেশ। বছর কেটে যায়। কদ্দিন ধরে মেয়েটির দেখা নাই। সেদিন সকালে জানালার ধারে হঠাৎ মেয়েটিকে দেখে চমকে ওঠেন সেন। কী বিশীর্ণ মুখশ্রী। সারা মুখে যেন কালি ফেলে দিয়েছে কে। সেই ঢল টঙলগ অঙ্গের লাবণি সব অন্তহিত। মেয়েটি এক মুহুর্ত দাড়াল জানালার গরাদে মাথা রেখে, তারপর সরে গেল ধীরে ধীরে। এরপর কদিন ধরেই লক্ষ্য করেছেন সেন সেই চিরানন্দময় ঘরে কেমন যেন নিরানন্দ নেমে এসেছে। সে ঘরের দীপ্তি নিভে গেছে । সে কপোত-কপোতীর দেখ! মেলে না, যেন নীড় ছেড়ে চলে গেছে। কেমন একট। থমথমে ভাঁব ধিরে রয়েছে ঘরথানিকে ॥ বিহঙ্গীর দেখ! যদ্দি বা মেলে, বিহলের নয়। সঙ্ঘমিতা মুচকি হেসে বলে, বিহজ উড়ে গেল নিশ্চয়ই । ও রকমই হয়। অতিতৃষ্টির পরই অনাবৃষ্টি। পুরুষদের বিশ্বাস নেই। মঞ্জুলিকাও হাসে তবে এক টুকরে! ম্লান হাসি। বলে, সব পুরুষ নয়। অন্ততঃ এই মেয়েটির হ্বামী নয়। সঙ্ঘমিত্রা ঠোঁট টিপে বলে, আর তার সঙ্গে আর একজনও নয়। সে তোমার এ অসিত সেন। বাবাঃ কী চক্ষেই যে তাকে দেখেছ তুমি জানি না। কিন্ত এখনও সময় আছে মগ্তু ফেরধার। ও সব লোকের জন্তে জীবনটাকে এ ভাবে পাত কর না। | মঞ্জুলিক। একটু চুপ করে থেকে বলে, সব জিনিষেরই ছুটে! দিক আছে মিত্রাঁ-অন্তর আর বার। ১৪6 ঙ৭২ গল্প-ভারতী বায়ট৷ সব সময় অন্তরের প্রকাশক হয় না। অসিত সেনের সঙ্গে আমার পরিচয় অন্তরের দিক থেকে। সেই অন্তরের অন্তরে যে পরিচ্ছন্ন শুভ্র মনটি আছে তার সাক্ষাৎ আমি পাই সব গ্রথম। তাই আসল মাষটিকে চিনতে আমার বিলম্ব হয়নি এতটুকু। মণিমালার কাছে প্রকাশ পেয়েছিল তার বাইরের দ্বিকটা, তাঁর ব্যবসায়ী মনটা, তাই এত বড় তল করতে পেরেছিল সে। নইলে সেও চিনতে পারত তাঁকে । মঞ্জুলিকা চুপ করে। তারপর আবার বলে, বিহজের যে দেখা নেই কেন তা বোঝ! গেল ছু-একদ্িনের মধ্যেই । সামনের বাড়ীর একটি চাকরকে ইদানীং প্রায়ই দেখা যেত দোকানে প্রেদকূুপশন হাতে। দামী দামী ওষুধ নিয়েযাঁয় সে। সেদিনও বিঞেলের দিকে সে এসেছিল ওষুধের জন্তে। বড় ডাক্তারের প্রেসক্ুপশন | দেখেই চিনেছিলেন সেন। প্রশ্ন ক্করলেন চাকরটিকে, এত দামী ওষুধ নিয়ে যাচ্ছ কার জন্তে? চাকরটির নাম রাখাল। দে আঙ্ল দিয়ে দেখিয়ে দেয় সামনের ফলযাটটিকে। বলে, এ ঘরের বাবুর জন্তে। টাইফাড রোগ। বড্ড বাড়াবাড়ি যাচ্ছে কদিন। রোজ রোজ কত যে ওষুধ নিয়ে গেলুম এখান থেকে তার লেখাজোখা নেই। কিন্ত কিছু ফল হ'ল না। অৃষ্ট বাবুঃ সবই অদৃষ্ট। ডাক্তার বলেন, আজকাল এ রোগের ওষুধ বেরিয়েছে, ধ্স্তরী। কিন্তু বাবুর বেলায় দেখছি, ধধঘস্তরিও হার মানল। ছেলেমান্ুষ বৌ, পাগলের মত হয়ে গেছে। গয়ন1গাঁটি বাধা দিয়ে চিকিৎস! চালাচ্ছে। যে যা বলছে তাই করছে। টাকার দিকে গেরোটি নেই। জলের মত খরচ করে যাচ্ছে আর দিনরাত স্বামীর সেবা করে চলেছে। কি যে হবে বাবু জানি না। চমকে ওঠেন সেন। সর্বনাশ! টাইফয়েডের ওষুধ আজকাল দুশ্রাপ্য। কাঁলো৷ বাজারে বিক্রী হুচ্ছে সব। প্রকাশ্ট বাজারে যা পাওয়া যায় তার অধিকাংশই জাল। নিজের দোকানের ওষুধগুলিকেও তিনি চেনেন। আসল অনেকদিন অন্তহিত হয়েছে নকলের অন্তরালে । সুতরাং যত ওষুধই নিয়ে যাক, ফল হবেনা কিছু। তাই ভয়ে ভয়ে রাখালকে প্রশ্ন করলেন আবার, এখন কেমন আছেন তিনি? রাখাল উত্তর দেয়, বড় ডাক্তার এসেছিলেন কিছুক্ষণ আগে। তিনি আশ! দিতে পারেননি কিছু। শুধু বলে গেলেন, এইটাই শেষ ওষুধ । এর পরে আর কোন ওষুধ নেই এ রোগের। বলে দোকান থেকে সপ্ত কেন। ওষুধটি তুলে দেখাল তাকে। সেন পাথর হয়ে যান। কোন কথাই বার হয় না মুখ দিয়ে ভার। শুধু ওযুধটির দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন এক দৃষ্টে। রাখাল চলে যেতে চায়। সেনবাধাদেন। কোনমতে উঠে ধড়িয়ে খলিত কণ্ঠে বলেন, শোন, ও গুধুধ রেখে যাও । আমি আরও ভাল ওষুধ, টাটক1 ওষুধ আনিয়ে দিচ্ছি তোমায়। তাতে কাজ হবে শীগ গির। কিন্ত ফল হয় না। জানল! থেকে ডাক আসে, দেরী কর না রাখাল, ছুটে চলে এস ওষুধ নিয়ে। রাখাল ধ্লাড়ায় না। তাকে পুনরায় বাধ! দেবার আগেই সে দোকান থেকে নেমে ছুটে চলে যায়। লেন মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন ধপ করে। ঘণ্টাথানেক পর কান্নার রোল ওঠে সামনের ঘরখানি থেকে । বাপবিদ্ধ বিহ্জীর মর্মন্তর হাহাকার। সঙ্ঘমিত্র। ভীত কঠে গ্রশ্ন করে, সে কি! মার! গেলেন ভদ্রলোক ? মঞ্জুলিকার ঠোঁটের কোণ ছুটিতে একটুখানি পাুর হাসি দেখা দেয়। ঘাড় নেড়ে জানায়, মারা গেলেন ভদ্রলোক । লক্ঘমিতা শিউরে উঠে, ইস্‌! কী অদান্থধিক কাও | এ আমি সমর্থন করতে পারি মা দু। ১৩৬৭ ] জাল-ওষুধ ২৭৩ »না। কেউ পারে না। তিনি নিজেও পারেননি বলে আজ তার এই ঘশ1।। সথেদে তিনি বলেছিলেন আমায়, মানুষ হ+য়ে জন্মেছি যখন তখন মরণকে এড়াতে পারব না! জানি। তবে ভগবানের কাছে নিয়ত এই প্রার্থন! জানাচ্ছি, জ্ঞান বুদ্ধি যখন তিনি দিয়েছেন আমাকে, তখন পাগল হঃয়ে যেন মরতে না হয় আমাঁয়। ভগবান এ প্রার্থনা তার রাখেন নি। সঙ্বমিত্রা চুপ করে থাকে । কিন্তু মঞ্চুলিক! বলে চলে, সেদিন সারারাত ঘুমোতে পারেন নি তিনি। মর্গাস্তিক যন্ত্রণায় ছটফট করেছেন। আর এক বাঁণবিদ্ধ বিহঙ্গীর আকুল ক্রন্দন বুকফাট। হাহাকারে অস্থির হয়ে পড়েছেন। মনে পড়েছিল তার মহাকবির সেই শ্বাশ্বত বাণী, ম৷ নিষাদঃ প্রতিষ্ঠাং তমগমঃ শাশ্বতীঃ সমাঃ যৎ ক্রৌঞ্চ মিথুনাদেকম বধী: কাম মোহিতম। হাজার হাজার বছর আগেকার সেই এক করুণতম দৃশ্ঠের পুনরাতিনয় হয়ে গেল আজ। সেই ুগ্রল ত্রৌঞ্চ মিথুনের দ্ধিতীয়টির হত্যাকারী হলেন তিনি। সেন বুঝেছিলেন, মহাকবির অন্তরের হাহাকার সেদিন যেমন নিক্ষলে যাঁয়নি, আজ সতীর হাহাকারও তেমনি নিক্ষল1 ধাবে না। সেই দিনই মনস্থির করলেন তিনি, এই হীন ব্যবসার শেষ করে দেবেন অচিরেই। পরদিন সকালে দেখা পেলেন মেয়েটির। জীবনের সব কিছু বিসর্জন দিয়ে ফিরে এল সে। একদ্দিন এক নব ফাল্গুনের প্রথমে সে এসেছিল রাজরাঁজেশ্বরীর বেশে । আবার এক নব ফাস্তনের প্রথমে সেই ফিরে এল দীনহীনার বেশে। আজ আর সানাইয়ের সুর কানে ভেমে এল না। মৃহর্মূছ শঙ্খধবনি হুলুধ্বনি তাকে শ্বাগতম জানাল না। এয়োর| ছুটে এল না বরণ করে নিতে বধূকে, হাতে ধরে তাকে মোটর থেকে নাঁমাতে। আজ সবাই নিথর, নিস্পন্দ। বধূ নিজ্গের চেষ্টাতেই নেমে এল ভাঁড়া-গাড়ী থেকে । মাথায় নেই সেই মি'খি মৌড়। কপালখানিকে ঘিরে নেই সেই কনে-চন্দন। পরনের রক্তাম্বর আজ লাজে জলাঞ্জলি দিয়ে শুরু স্বর । হরিণ চক্ষু কোটরগত। সুক্ষ পিঁণির প্রান্তে রমণীয় সিদুরের রেখ! লুগু। চরণের অলক্তক রেখা! তার মনোরম আশ্রয়টির মাঁয়া এখনও ত্যাগ করতে পারেনি বলে অবলুপ্তির পথে শ্লান হতে ম্লানতর। সেই আননের প্রতিম! আজ পরিণত বিষাদের গ্রতিমায়। বিহ্বল দৃষ্টিতে সেই দিকে তাকিয়ে থাকেন সেন। ক্ষান্ত বর্ষণ এতক্ষণে ধারাবর্ষণ হ'য়ে নেমে আসে দুচোখ বেয়ে। ছুহাতে মুখ ঢেকে আর্তনাদ করে ওঠেন, এর জন্তে দায়ী আমি । ভগবান। এই আননের গ্রতিমাকে আজ বিষাদের প্রতিমায় পরিণত করেছি আমি। কয়েকদিন পর। রাঁথালকে দেখতে পেয়ে দৌকাঁনে ডেকে আনেন সেন। তারই মুখে খবর পান বৌঁটি চলে যাচ্ছে এ ফ্ল্যাট ছেড়ে । বাপ মা কেউ নেই তার। শ্ঠামবাঙ্জারে মামার বাড়ী থেকে মান্য হয়েছে, ফিরে যাচ্ছে সেইখানে । মামার অবস্থা ভাল নয়। ভবিষ্যৎ ভাগ্য যে তার কি, সে নিজেই জানে না। রাখালকে বললেন সেন, তোমার মায়ের সঙ্গে আমি একবার দেখ! করতে চাই রাখাল। তোমার মাকে বুঝিয়ে বল, এতে উপকারই হবে তাঁর, অপকার হবে না। রাখাল লোক ভাল। প্রভৃপত়্ীয় মঙ্গলই তার কাম্য । সে রাজি হয়ে চলে যায়। পরদিন রাখাল আসে। সেনকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। ৰলে, মাকে অনেক বলে-কয়ে রাজি করিয়েছি বাবু। তিনি ত বুঝতে পাচ্ছেন না কি উপকার আপনি করসে পারবেন ভার। তবুও শেষ পথ্যন্ত দেখা করতে রাজি: হয়েছেন তিনি ২৭৪ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ ছোট একখানা ঘর। তারই এক পাশে প্লাড়িয়েছিল মেয়েটি । কেমন এক উদাসী তাঁব। সেনকে দেখে মাথার কাপড়টা একটু টেনে দিল মাত্র। তারপর তাকিয়ে রইল সেই রকম উদাস দৃষ্টিতে । এ দৃষ্টি সইতে পারলেন না সেন। যে কথা বলবেন বলে এতক্ষণ রিহার্সাল দিয়ে রেখেছিলেন মনে মনে, অপরাধী মন গুলিয়ে ফেলে সব। কোন মতে শুধু বলেন, রাখালের মুখে শুনলুম এ বাড়ী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন আপনি। তাই একবার দেখা করতে এলুম আপনার সঙ্গে । যে মহাপাপ করেছি, তারই কিছুট। প্রায়শ্চিত্ত করতে চাই সব কথ! আপনাকে খুলে বলে। মেয়েটি অবাক হয়ে যায়। উদাস দৃষ্টির মধ্যে বিশ্ময়ের ঘোর ফুটে ওঠে। বিক্ষারিত চোখ ছটি মেলে সে ধাড়িয়ে থাকে নির্বাক ভাবে। সেন বলেন, আপনার স্বামীর অকাল মৃত্যুর জন্ত হয়ত কিছুট1 দায়ী আমি। আপনার জানালার সামনে এ যে ওষুধের দোকান, ওখান। আমার। আপনার স্বামীর অসুখের সব ওষুধ যদি গিয়ে থাকে ওথান থেকে তা হলে বলি, আসল ওষুধ একটাও পান নি তিনি । মেয়েটি ভয়ে থর থর করে কীপতে থাকে । অপ্দুট কঠে বলে আসল ওষুধ পাঁন নি মানে? মানে, সেন টেক গিলে বলেন, আসল ওষুধ যেখানে ছুপ্রাপ্য, সেখানে অসাধু ব্যবসায়ীদের পাপ লালসায় নকল ওষুধ সহজ গ্রাপ্যা। আমি একজন অসাধু ব্যবসায়ী । তাই মনে হয়, আপনার ব্বামীর মৃত্যুর জন্য হয়ত এই নকল ওষুধই কতকট। দায়ী । মেয়েটি এতক্ষণ দ্লাড়িয়েছিল। এইবার কাপতে কাপতে বসে পড়ল। পরক্ষণেই আর্তনাদ করে উঠল, হা ভগবান, এ কি গুনলাম আমি! সে এক মুহূর্ত কি এক বিষাঁদ করুণ দৃষ্টিতে চারিদিক তাকিয়ে দেখল। পর মুহূর্তেই জ্ঞান হারিয়ে সেইখানে লুটিয়ে পড়ল। সঙ্বমিত্র। গ্রশ্ন করে, এ কথ! অসিতবাঁবু কি করে শ্বীকার করল ভাই মঞ্জু। পুলিসে খবর দিলে যে নির্ধাত জেল হ'ত তার। -হয়ত হ'ত। শুধু জেল কেন, ফাঁসি হওয়াও বিচিত্র নয়। কিন্তু মানুষের বিবেক জিনিষটা বড় ছুজ্ঞেয়। তার দংশনে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মানুষ । সেনও হারিয়ে ফেলেছিলেন সেদিন। ভাল করেন নি কিন্তু। _সে কথা তাকে বলেছিলুম আমি। শুনে একটু হেসে বলেছিলেন, অপরের প্রীণ নিয়ে ছিনি- মিনি খেলতে যদি না বাঁধে, নিজের বেলায় বা বাধবে কেন। কিন্তু তা নয়। ও পাপ যত উদ্গীরণ হয়ে যায়, ততই মঙ্গল। লোকে জীঙ্গক আমি কি। এ গুরুভাঁর মনের মধ্যে চেপে রেখে পাগল হয়ে যেতে যসেছি। আপনি আমার শুভাকাজ্জী, দরদী বন্ধু। তাই সব কথ৷ জানালুম আপনাকে ।” বুঝলুম অন্ুতাপের ভুষানলে দগ্ধ হচ্ছেন তিনি দিন রাত। মঞ্জুলিকা থামে । সঙ্ঘমিত্রা বলে, সেই সঙ্গে তূমিও কম দগ্ধ হচ্ছ না ভাই মঞ্জু। মঞ্জুলিক! সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেয়, ভূলে যেও ন! মিত্র! মহাপুরুষদের বাণী। তাঁরা বলে গেছেন, পাকে ঘ্বণা ফর, পাপীফে নয়। --এই বাণীকে তুমিও সার্থক করে তুলেছ মঞ্জ। স্তুলেছি এ কথা বলতে পারি ন| মিত্রা। তবে চেষ্টা করেছি তাকে ত্বণ! না করবার । পুণ্যের পাশে বদি পাপ কিছুট। থাকে, দৃষ্টি শুধু তার ওপর নিবন্ধ রাখব আর পুণ্যের দিকে তাকিয়ে দেখব নাঃ ১৩৬৭ জাল-ওযুধ ৩৭৫ এ আমার নীতি নয় তাই। হার মধ্যে এত বড় এক মহৎ অন্থঃকরণ লুকান আছে; বলত, কি করে ঘ্বণা করি তাকে। রত্বাকরের মধ্যেই বাঁস করছিলেন বান্িকী মুনি। তাই কৌঞ্চ মিথুনের ছুঃখে তার দস্থা অন্তর দ্রবীভূত হয়ে রূপান্তরিত হয়েছিল আদি কবিতে। এ হ'ল তার আত্মগুদ্ধি। এই আ'স্পুদ্ধিরই আর এক রূপের পুনরাভিনয় হ'ল এখানেও । যে অন্যায় করেছিলেন সেন, তারই প্রতিকারের জন্ক নিজেকে স্বেচ্ছায় ঠেলে দিয়েছিলেন মরণের মুখে, মেয়েটির কাছে সব কথ৷ প্রকাশ করে। কিছুক্ষণ ছ*জনেই চুপ করে থাঁকে। হয়ত একট। ভাবোচ্ছ্াস ছুঃজনকে মুক করে দেয়। কিন্তু এ নিন্তন্ধতীকে ভঙ্গ করে পুনরায় প্রশ্ন করে সঙ্ঘমিত্রা, এ ইতিহাসের অকালমৃত্যু নিশ্চয়ই এখানে ঘটে নি মঞ্ু। এরও সমাপ্তি একট। আছে। -আাছে। তবে সমাণ্ডি খুব সুষ্ঠু নয়। তিন দিন পর আবার গিয়েছিলেন সেন মেয়েটির কাছে। আবার? -না গিয়ে উপায় ছিল ন! তার। বিবেকের জাল তুষানলের আল! । তারই দংশনে অস্থির হয়ে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। দেখ! হতেই ভ্যাবাচাকা খেয়ে গেল মেয়েটি। বিৃঢ় হ'য়ে দাড়িয়ে পড়ল ঘরের মাঝখানে ছু'চোখে ভয়ার্ত দৃষ্টি নিয়ে। তার পরই ব্যাধ ভীত হরিগীর মত ঢুটে পালাতে গেল খর ছেড়ে। কিন্ত বাধ! দিলেন সেন। বললেন, আপনি ভয় পেয়েছেন বুঝেছি। কিন্তু এইটুকু বিশ্বাস করতে চেষ্টা করুন, য! হয়ে গিয়েছে তার বেশী আর কিছু অন্যায় হবে না আমার দ্বারা । মেয়েটি এবার ফিরে দীড়ায়। ভুদ্ধ ফশিনীর মত ছু*চোখে অগ্নিব্ষণ করে ফু'সিয়ে ওঠে, কি চাই আপনার আমার কাছে। কেন আসেন এখানে বার বাঁর বিরক্ত করতে। বেরিয়ে যান, এখুনি বেরিয়ে যান এঘর ছেড়ে। আপনার মুখ দর্শন করতে দ্বণা করে আমার। সেন ধীরে ধীরে বলেন, জানি। আমিও যে আপনার কাছে আসতে কতখানি লজ্জিত, সে কথ একমাত্র ঈশ্বর জানেন। অথচ না এসেও উপায় নেই। --কেন, কেন উপায় নেই বলুন আপনি । মেয়েটি প্রশ্ন করে সন্দেহ ভর! চোখে । সেন তেমনি ভাবেই বলেন, সারা জীবনট! যে ব্যর্থ হয়ে গেল আপনার এ আমার অজান| নয়। অথচ কত দীর্ঘ পথই নাপড়ে আছে সামনে । এ পথে চলতে হবে কদিন ধরে। এ চলার মাঝে যে দুঃখ আছে, তা হয়ত একদিন সহেযাবে। কিন্ত দেশ? দেস্ছের হাত থেকে রক্ষা পেতে গ্রয়োছজন হবে পাথেয়র। মেয়েটি বাধ! দেয়। জোর দিয়ে বলে, না, হবে না। দরিদ্রোর মেয়ে দারিদ্রাকে ভয় করে না। এত বড় সর্বনাশের পর আর কোন দারিত্র্যই তার কাছে বড় হ'তে পারে না। সুতরাং কোন পাখেয়রই প্রয়োজন নেই আমার। মেয়েটির তেজস্মিতায় সেন একটু ভড়কে যাঁন। কিন্ত তার পরই সাহস করে বলেন, আপনার নেবার প্রয়োজন ন! থাক, কিন্তু আমার দেবার প্রয়োজন আছে। মেয়েটি বিস্মিত হয়। ছু'চোথ কুঞ্চিত করে প্রশ্ন করে, মানে? মানে, কী জবাবদিহি করব আমি পরকালে? দোকান আমি তুলে দিয়েছি। ওপাপ ব্যবসা আর করব না। এরপর জীবনটাকে সৎপথে চালাতে চে করব। হাজার পনর টাকা আমার সঙ্থল আছে। বাবার আগে সেইটাই তুলে দিয়ে যেতে চাই আপনার হাতে । এর প্রয়োজন আজ দেখা ন1 দিক, ভবিষ্কতে হয়ত একদিন দেবে। সে দিন এর বিনিময়ে আপনি এতটুকু তৃপ্তি যদি পানঃ বিশ্বীম করবেন ৩৭৬ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ আমার আত্ম! তার চেয়ে বহুগুণ তৃপ্তি পাবে । বলতে বলতে পনের হাজার টাকার এক তাড়া নোট সসম্মে এগিয়ে দেন তার দিকে । মেয়েটি শিউরে ওঠে। সভয়ে এক পা পেছিয়ে গিয়ে বলে, ঘুষ! আপনি আমাকে ঘুষ দিতে এসেছেন আমার স্বামী হত্যার মূল্যত্বূপ । আপনি নিয়ে যান, ও-টাক| নিয়ে ধান এখান থেকে। ওপাপ আমিম্পর্শ করতে পারব ন! কিছুতেই । মেয়েটি ছু'হাতে চোখ ঢাকে। সেন দাড়িয়ে থাকে স্থাণুর মত। মেয়েটি চোখ চেয়েই আবার আর্তনাদ করে ওঠে; নানা আপনি নিয়ে যান। আপনি শুনতে পাচ্ছেন না কিন্ত আমিপাচ্ছি। ওটাকার ভেতর থেকে আমার মত আরও কত অনাথিনী মেয়ের বুক- ফাট! হাহাকার গুমরে উঠছে। কত মা-হারা পুত্রের আর পুত্র-হারা মায়ের আকুল ক্রন্দন আপনার এ টাকার মধ্যে জমাট বেধে রয়েছে । কত ভ্রাতৃ€ার ভগ্রীর, কত ভর্ীহার। ভাইয়ের ব্যথ! লুকান আছে ওর খাজে ঘাজে। এ সর্বনেশে জিনিষ, স্বামী-হাঁরা পরীর উঞ্ণ শ্বাসে জর্জরিত জিনিষ, স্পর্শ করতে বলছেন আমাকে! মাপনি যান। আমি অর্থের কাঙাল নই । লুব্ধ| নারীও নই। আমি দ্বণা করি ও টাকাকে। বলতে বলতে সে একরকম ছুটেই ঘর থেকে বেরিয়ে যাঁয়। | সঙ্বমন্রা বলে, আশ্চর্য তেজী মেয়ে ভাই । সাধারণ মেয়ে হলে অতো টাকার লোভ ছাড়তে পারত না কিছুতেই । মঞ্চুলিকা বলে, মেয়েটি সত্যই তেজী। সুধু কথায় নয়, কাজেও । সেই দ্বিনই সে চলে. গেল ফ্ল্যাট খালি করে দিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে আঘাঁতও চেনে গেল মর্সাস্তিক। আঘাত হেনে গেল মানে? সঙ্ঘামিত্রা প্রশ্ন করে একটু আশ্চর্য হয়ে। মঞ্জুলিক। বলে, এ বাস্তব আঘাত নয় ভাই, এ নৈতিক আঘাত । এর প্রতিক্রিয়! দেহে নয়, মনে। এই আঘাঙেই মনে মনে অক্সস্থ হয়ে পড়লেন সেন। তবে মে অর্থ তিনি আর ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যান নি। সেই দিনই দান করে দিয়ে আসেন কোন এক সেবা সদনে। যারা আতুর, যারা দুস্থ, ছুমূল্য অধুধ কেনবার ক্ষমা যাদের নেই, শুধু তাদের জগ্মে ব্যয় করা হবে ও অর্থ। কিন্তু এতোতেও শাস্তি পেলেন ন। তিনি। কে যেন সব শাস্তিহরণ ক'রে নিয়ে গেছে তার। আমায় প্রীয় বলতেন, চাঁকরী করবার ইচ্ছে আমার ছিল না কোনদিন। শুধু ছোট বোনটি আর তার কচি ছেলেটির মুখে ছুটি অল্প দেবার জন্তেই এ উদ্চবৃত্তি 'আমার। ভারী ধাকা থেয়েছি জীবনে। ভেবেছিলুম কালের আবর্তনের প্রভাবে এ ধাক্কার তীব্রতা কমে আসবে একদিন। কিন্তু ফল হয়েছে বিপরীত। এর তীব্রতা বেড়ে চলেছে উত্তরোত্তর । আজকাল আর এক উপসর্গ এসে জুটেছে। | প্রশ্ন করি উপসর্গ কিসের? বলেন, মেয়েটিকে আমি স্বপ্ন দেখতুম মাঝে মাঝে । কিন্তু এখন দেখি প্রীয়ই। হয়ত এ আমার অত্যধিক মানসিক চিন্তার ফল। সে চুপি চুপি এসে দ্দীড়ায় শিরর়ে, মুখে একটি আঙুল তুলে দিয়ে যেন ইঙ্গিতে বলতে চায়, আমার ত্বামী হস্তা তুমি। তোমায় আমি ক্ষমা করব না কোনদিন। গভীর রাতে। এই নীরব ইজিত কীষে যন্ত্রণাদায়ক ত। আমি বোঝাতে পারব না। দিনের পর দিন এ হয়ে উঠেছে ঘআসহনীয়। আমি নিশ্চয়ই পাগল হয়ে যাব দিস ব্যানার্জি, যদি মেয়েটির ক্ষম! না পাই। মরতে আমি ভগ্ন পাই না, কিন্ত পাগল হয়ে বেচে খাকা--উঃ কী ভয়ানক] আমি কল্পনা করতে পাচ্ছি না। সহামুভূতিতে মনটা! পূর্ণ হয়ে আসে । অন্তরট| হয়ত আর্ডও ছয়ে ওঠে। চোখ তুলে প্রপ্ন করি। মেয়েটির নাম কি বলতে পারেন? ১৩৬৭ | জাল-ওধুধ ৩৭৭ -না। তবেতার স্বামীর নাম বলতে পারি। অরুণ ভট্টাচার্য। রাখালের মুখে গুনেছিলাম রেলে চাকরী করতেন ভদ্রলোক । -জানি। মেয়েটির নাম মণিমাল|। সেন অবাক হয়েষান। ই! করে তাকিয়ে থাকেন আমার মুখের দিফে। তারপর ধীরে ধীরে উচ্চারণ করেন, মণিমাল।? আপনি চেনেন তাকে? বলি, শুধু চিনি না, বিলক্ষণ চিনি। সম্পর্কে আমারই আত্মীয়। কিছুদিন আগে এমনি এক কাহিনী শুনেছিলুম মণিমালার মুখে। সে দিন সে কাহিনী ছিল অসম্পূর্ণ। আজ সম্পূর্ণ হল। -_-মিন ব্যানাজি! সেন আকুল হয়ে ডাকেন। এত কাতর ডাক এর আগে গুনিনি কখনও । বুঝতে পারি কি বলতে চান তিনি। তাই বড় বিচলিত হয়ে বলি, শুন, বাপ-মা-মর! মেয়ে মণিমাল]। কিন্তু বড় তেজী জেদী মেয়ে। তবে সে আমায় ভালবাসে, আমার অনুরোধ সে অগ্রাহ করবে না। যাতে আপনি তাঁর ক্ষম। পান, আমি সেই ব্যবস্থাই করব। সেন উঠে আসেন চেয়ার ছেড়ে। সহসা দুহাত দিয়ে আমার একখান! হাত চেপে ধরে বলে ওঠেন, করবেন আপনি? আঃ! আমি চিরদিনের মত আপনার কেন হয়ে থাকব। বড় আকম্মিক ঘটনা । এর জন্তে আমি প্রস্তুত ছিলুম নাঁ। একট তড়িৎম্পর্শ সারা দেহটিকে কীপিয়ে দিয়ে গেল। নিজেকে সামলে নিতে হয়ত একটু সময় লেগেছিল । তাঁরপরই আমার মুক্ত হ।তখানি দিয়ে তার ডান হাতের মণিবন্ধটি চেপে ধরে মুখের দিকে মুখ তুলে একটু আবেগ ভর! কণ্ঠেই বললুম, করব। শুধু আপনার জগ্তেই করব। এই আপনাকে ছুয়ে কথ! দিচ্ছি তার ক্ষমা আপনাকে পাইয়ে দেব। সভ্বমিত্রা আশ্চর্য হয়ে বলে, একথা বলেছিলে তুমি? ধন্ঠি মেয়ে তুমি মঞ্জু । মণিমালার শ্বরূপ জেনেও এ কথা বলতে সাহস পেলে? --পেলুম। ভেবেছিলুম মণিমালাও আমারই মত মেয়ে। পুরুষের যে দিকটা আমাকে মুগ্ধ করেছে, তার পরিচয় সে পায়নি। পেলে ক্ষমা না করে সেপারবে না। স্“মণিমালা তোমার অনুরোধ রেখেছে মঞ্জু? ক্ষমা! সে করেছে? সজ্বমিত্র গ্রশ্ন করে। -না। কথা দিয়েও কথা রাখে নিসে। সেনের যা আসল রূপ সেইটাই তুলে ধরতে চেয়েছিলুম তার চোখে। কিন্ত হায়রে অন্ধচোখ, তাতে দৃষ্টি ফোটাতে পারলুম না কিছুতেই । শেষ পর্যন্ত তার দুটি হাতে ধরে মিনতি জানিয়েছিলুম, আমি যে তাকে কথ! দিয়েছি ভাই মণি, গ! ছুয়ে শপথও করেছি। কথা ন! রাখতে পারলে কি করে মুখ দেখাব তাকে? মণি বুঝল । ছুচোখ ভর1 জল নিয়ে বললঃ এমন কথ! না দিলেই পারতে মঞ্চুদি। এ যে আমার পক্ষে কতখানি কঠিন তা তুমি বুঝবে না ভাই। তবে তুমি অনম্মানিত হও,» জীবনে শাস্তিহারা হয়ে ্ুরে বেড়াও, এ-ও চাই না আমি। যত কঠিন কাজ হ'ক, কথ! দিচ্ছি, শুধু তোমার মুখ চেয়ে, একে সহজ কঃরে নেব। সঙ্বমিত্রা বলে, মণিমাল| নিজেকে চিনতে পারে নি মঞ্জু, তাই সে তুল করেছে। -শুধু তুল নয় মিত্রা, মহাতভূল। সহজ জিনিষকে জটিল করে দিয়েছে আরও। আর এই জট খুলতে প্রাণান্ত হয়ে গেলাম আমি । ভাবি, দে দিন যদি ভুজনার দেখা না হ'ত এ জট পড়ত না। -কিত্ত এর জন্তে দায়ীও ভূমি মঙু। --আমিই। আর তার প্রারশ্চিত করে চলেছি আজও | ছুঙনকে আমম্রণ করে এনে দেখা ৬৭৮ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ করিয়ে দিয়েছিলুম 'অ|মারই ঘরেতে। মণিমালাকে বলে দিয়েছিলুম চুপি চুপি, তুমি যে উপরোধে টেকি গিলছ না, এটা যে অভিনয় নয়, অকৃত্রিম এ বিশ্বাসটুকু যেন করতে পারেন তিনি। কিন্তু পাখী পড়ান সার হল শুধু। --কেন, রাজী হল ন1 মণিমাল। ? নাহলে ভালই হত। এনাটকীয় প্রহসনের সৃষ্টি হত না সেদিন) মণিমালাকে হাতে ধরে ঘর়ের ভিতরে নিয়ে এলাম। সেন বসেছিলেন। অভিবার্দনের ভঙ্গীতে মাথা নেড়ে উঠে দাড়ালেন অত্যন্ত কুটিতভাবে। ভারী বিচলিত দেখাচ্ছিল তাকে । মণিমাল। একবার তাকিয়ে দেখল তার দিকে । কিন্ত এই অপরাধ ভারে পাড়িত লোকটির মধ্যে কি যে দেখল, সেই জানে। কিন্তু অকম্মাৎ দু হাতে মুখ ঢেকে আর্তনাদ রে উঠল, আমি পারব ন1 মঞ্জুদি) ও "আমি পারব না। স্বাধীহস্তাকে ক্ষমা! করতে পারব ন! কিছুতেই । আমায় (তোমর! ছেড়ে দাও । বলতে বলতে সে ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে গেল উন্মাদনীর মত। সঙ্গে সঙ্গে চেয়ারের ওপর ধপ করে বসে পড়লেন সেন। মুখ মড়ার মত সাদা। ঠোঁট দুথানি কাপছে থর থর করে। অসগায়ের মত বলে উঠলেন, আমি ক্ষমা! পেলুম না মণ্জু। মণিমাল। আমায় ক্ষম] করল ন1। আঘা1৩টা বড় গভীরভাবে প্রাণে বেজেছিল। ন্নাধুতন্ত্রীর ওপর এর প্রতিক্রিয়া আরও গভীরভাবে দেখা দিল। দিন কয়েফের মধ্যেই কেমন হয়ে গেলেন সেন। একটু বেসামাল হয়ে পড়লেন । মাঝে শাঝে ৮মকে উঠে বিড়বিড় করে বলতেন, আমি ক্ষমা পেলুম না মঞ্জু। মণিমালা ক্ষম। করলা না আমাকে । কখনও কথনও বলতেন, সংসারটা বড় বেদরদী মঞ্জু। কেউ কারও দিকে চায়ন|!। রমাটাও বড় ছেলেমানুষ। ও ঠিক আমায় বুঝতে পারে না। তাই ত বলি, তোমার বড় হিতৈষী, তোমার বড় ঘরদী বন্ধু আমার কেউ নেই আর। সভ্বমিত। বলেঃ আমিও মেয়ে, তবুও মণিমালাকে এ ক্ষেত্রে সমর্থন করতে পারি ন! মঞ্চু। যদি পারবে না তবে কথা দেওয়া কেন, আর এ প্রহমন করাই বা! কেন? --আমিও সেই কথা ভাবি মিত্রা। তবে মণিমালাকে এত লঘু আমি ভাবতে পারিনি। কিন্ত এখন সব অপরাধই আমার। স্প্কারণ? -আমি যদি এব্যাপারে মাথা না দ্িতুম মিত্রা তা হলে এ হুর্ঘটনা ঘটত না আর উদ্মাদও তিনি হতেন না। পাগল হ,য়ে বেচে থাকাটাকে তিনি ভয় করতেন বড় বেশী। সেইটাই ঘটে গেল তার জীবনে । রম! কেঁদে বলে, কি হবে মঞ্জুদি? কিন্তু তাকে সাত্বন! দেব কি, নিজেকেই সামলাতে পারি না। চোখের জল মুছে বলি ভয় কি বোন? ভগবানকে ডক, মঙ্গলময় তিনি। সন মঙ্গল করবেন তিনিই । রমা! আকুল হয়ে বলে, আর সামলাতে পাচ্ছি না ছিদি। দিনের বেল। তবু বা কিছুটা সঙ্ঞানে থাকেন, কিন্তু যত বাড়াবাড়ি বত উৎপাত সুরু হয় রাতে। নিজে ঘুমোন না» কাউকে ঘুমোতেও দেন না। প্রায় তোমার নাম ধরে কাদেন আর বলেন, এত বড় দরদ বন্ধু আমার কেউ নেউ রে রমা। শুনে চুপ করে থাকি। রম। আত্তে আন্তে ডাকে, মঞজুদি? ১৩৬৭ | জাল-ওষুধ ৩৭৯ চমকে উঠে উত্তর দি, কি ভাই? ভয়ে ভয়ে সে বলে, একট! কথা বলব? হেসে ফেলে বলি, এত ভয় কিসের। কি বলবে, বল না? স্দ্বাদাকে আমি সামাল দিতে পাচ্ছি নাদিদ্ি। আমার কোন কথাই শোনেন না তিনি। এতটুকু গ্রাহথ পর্যস্ত করেন না। যা কিছু ভয় করেন তোমাকে । তুমি কাছে থাকলে আমার কোন ভয় থাকবে না৷ দিদি। সেইত আছ পরের বাড়ীতে । এস না আমাদের এখানে । ছু বোনে থাকব বেশ। দাদারও বাড়ীবাড়িট। কমে যাবে। কথাটা একেবারে মিথ্যে নয়। তাই রাজী না হয়ে পারলুম ন1। সেই থেকে রমার কাছেই আছি। অর্থাৎ নিজের বাড়ীতেই আছ? সঙ্ঘমিত্র। প্রশ্ন ঝরে ছুষ্টমি হাসি হেসে। মঞ্চুলিক! এ কথায় কান দেয় না। শুধু বলে চলে, তারপর চিকিৎসা করানুম অনেক। কিন্তু ফল হল না কিছু। উর্ধগতি রোগ, ন|! কমে বেড়েই চলে দিন দ্িন। ডাক্তার বললেন, মানসিক রোগ । এর চিকিৎসা বাড়ীতে সম্ভবপর নয়। পাঠাতে হবে মেন্টাল হাসপাতালে । তাদের চিকিৎসাধীনে রোগী হয়ত সেরে উঠবে একদিন । তবে ব্যয়সাধ্য চিকিৎসা। রম! কেঁদে ফেলে। বুঝি, ব্যয়সাধ্য চিকিৎসা, এ করাবার ক্ষমতা তার নেই। সাত্বন। দিই, চুপ কর বোন, কীদিস [ন। হাসপাতালে গেলেই উনি সেরে আসবেন। ঠিক। ব্যবস্থা যা করবার আমি করে দিচ্ছি সব। সঙ্ঘমিত্র! সাগ্রহে প্রশ্ন করে, করে দিয়েছিলে সব? মঞ্জুলিক! একটু হাসে। বলে, আমি করবার কে ভাই। যিনি করবার তিনিই করে দিয়েছেম সব। তবে একমাস হাসপাতালের চিকিৎসায় ফল পাওয়। গেছে আশাভীত। ডাক্তারের আশা করেন শীগগিরই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন তিনি। পয়ল| ডিসেম্বরেই হয়ত ছেড়ে দেবেন তাকে। সজ্ঘমিত্র! বলে, পয়ল] ডিসেম্বরের আর বেশী দেরী নেই মধু। আর আটদিন মাত্র বাকী। -জীনি। কিন্ত এই আটদিন আমার কাছে আট বুগ ঠেকছে মিত্রা। সত্যিকথা বলতে কি আর পেরে উঠছি না আমি। সব দিক দিয়ে দেউলে হয়ে গেছি আজ । মুখে যত সাহসই দিই না! কেন রমাকে, আজ আমি সর্বন্বাস্ত। বড় অসহায় বোধ করছি এখন থেকেই। রমার মুখে অন্ন দিতে পাচ্ছি না, পরনে বস্ত্র দ্রিতে পাচ্ছি না। তার কচি ছেলেটাকে কাল যে কি খেতে দেব জানি না। নিজেরও অবস্থ| সঙ্গীন। ছুখানি, বস্ত্র ছাড়! তৃতীয় বস্ত্র কিচ্ছু নেই। এমন সেলাই কর! জীর্ঘ বস্ত্র আমি পরিনি কখনও । ক্যালেগ্ডারের দিকে তাকিয়ে কোন মতে দিনগুলি কাটিয়ে যাচ্ছি শধু--কবে পয়লা ডিসেম্বর আসবে সেই আশায়। তারপর আমার মুক্তি। সঙ্ঘমিআ। বলে উঠে, মুক্তি তোমার এ জীবনে নেই মঞ্চু। সোনার শিকল গায়ে পরেছ তুমি নিজে। এ খুলতে পারবে না! কোন দিন। কিন্তু আমি তোমায় আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি ভাই। প্রেমের তপন্যায় আজ তুমি বিজয়িনী । পার্বতী তপস্ত। করেছিলেন শিবকে পাবার জন্তে। তুমি করছ সেনকে পাবার জন্তে। অবশ্ত আমি তুলনা করি না। কিন্ত তোমার তপস্যাও নেহাত ফেলনা যায় না মচ। আমি কারমনে প্রার্থনা.করি তোমর! সুখী হও। অসিতবাবুর ওপর আজ আমার রাগ নেই, ছ্বেষ নেই। যিনি তোমার মত মেয়ের মন গেয়েছেন তিনি আমার নমন্ত। € পিউ (শিট এয়ার মার্শাল সুব্রত মুখোপাধ্য।য় ভাগতবর্ষ স্বাধান হল, প্রতিরক্ষার কয়েকটি বিভাগের দায়িত্বপূর্ণ পদের ভার নিতে এগিয়ে এলেন জাতীয় বীরবৃন্ধ, এমন সময়ে প্রশ্ন উঠল কে নেবে ভারতীয় বিমান বাহিনীর কতত্বভার? ১৯৫৪ সালের ১ল! 'এপ্রিল-_ বাংলার কৃতি সস্থান শ্রীন্ব্রত মুখোপাধ্যায় প্রথম ভারতায়রূপে এঠ পদে অধিঠিত *লেন। ভারতীয় পিমান বাঞিনীতে নবধুগ এল, পুরাতনের পারণর্তে এল জেট বিমান। ১৯১১ সালের ৫ই মার্চ কলকাতায় তার ডম্ম। এই সহরেই ার প্রথম জীবনের লেখাপড়া । এল ১৯৫২ সাল। ইংলগ্ডে গেলেন তিনি । বিমান বাহিনাতে ভারতীয়দের তখন গ্রন্থ করা গুরু হয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনী পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি নতুন বৃত্তিগ্রহণ করলেন। ১৯৩৩ সাল-_ভারতীয় বিমান বাহিনী গঠিত হোল, তিনি এর সঙ্গে যুক্ত হলেন। ১৯৩৯ সালে সুব্রত মুখোপাধ্যায় হলেন স্কোয়াদ্রনের প্রধান । এই সময়ে উপজাতি আক্রান্ত সমাস্ত ঘাটি রক্ষায় দুঃসাহস ও উপস্থিত বুদ্ধির গ্রমাণ দিয়ে সকলের প্রশংসাভাজন হন। ১৯৪৩ সালে শ্রামুখাজি হন কোহাট বিমান ঘশটির প্রধান। ১৯৪৮ সালে হায়দ্রাবাদ রাজাকর আন্দোলনে তিনিই ভারতীয় বিমানবাহিনী পরিচালন! করেন। উনপঞ্চাশ বৎসর বয়সে একটি কর্মময় প্রতিভাদীপ্ত জীবন নিভে গেল--এ বেদনা মুছে যাবার নয়। তিনি ছিলেন খাটি বাঙালী, দরিদ্র মাহুষের সমবাথী ও তাদের কাছে সহঙ্গলভ্য। বাঙলার গৌরব করবার মত একটি মানুষ কালে বিদায় নিলেন__-এ আমাদের জাতীয় ছুাগ্য। নির্বাচনী পরিহাস মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট কেনেডির বয়স ৪৩ বৎসর কিন্ত তাকে দেখায় আরো কম। এ বয়সে তিনি এত গুরুদায়িত্ব বহনের উপযুক্ত কিন! তা নিয়ে ভোটদাতাদের মধ্যে প্রচুর সংশয় ছিল। এনিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চমৎকার হাস্থরস সৃষ্টি হয়েছে । জোসেফ পি কেনেডি অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট কেনেডির পিত। পুত্রকে জিজ্ঞাস। করলেন ; জীবনে তুমি কি হতে চাও? পুত্রের উত্তর : আমি প্রেসিডেন্ট হতে চাই। তৎক্ষণাৎ পিতার প্রশ্ন : জানি--জানি, কিন্তু তুমি বড় হয়ে কি করতে চাও? ১৩৬৭ ] দেশ-বিদেশ ৩৮৬ মাফিণ যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত (প্রলিডেণ্ট জন এফ কেনেডি আগামী চার বছরের জন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেণ্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর বয়স ৪৩ বৎসর। বিংশ শতাব্দীতে জম্মেছেন এমন অন্ত কেউ আজ পর্যস্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদ লাভ করেননি । যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মাসাচুসেটস্‌ রাঁভ্যে মিং কেনেডির জল্ম। হাইস্কুল থেকে গ্রাজুয়েট | ডিগ্রী লাভের পর তিনি লগ্ডনস্কুল অব ইকনমিক্সে হা!রল্চ লাস্কীর ছাত্ররূপে পাঠ গ্রহণ করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের হারভার্ড বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র- বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৪৩ সালের আগস্ট মাসে এক টর্পেডে বোটের অধিনায়ক রূপে লেঃ কেনেডিযখন নিযুক্ত ছিলেন তখন একটি ঘটনায় তাঁর অআসমসাহভপি কতার পরিচয় পাওয়া যায়। অন্ধকার রারেজাপানী ডেষ্বয়ারের আক্রমণে তার টর্পেডে! বোট ভেঙে ছু-টুকবে। হয়ে যায়। সঙ্গীসহ পনেরে। ঘণ্টাকাল সমুদ্রে চলে তার জীবনমরণ সংগ্রাম । তিনি আহত হন। তা সত্বেও তিনি সঙ্গীদের নিয়ে আসেন বোটের ভাসমান টুকরোর কাছে এবং সেখান থেকে সাতার কেটে এক দ্বীপে ওঠেন। পাঁচদিন ধরে নান! সক্ষেতবাঁর্তার সাহায্যে তিনি তার ইউনিটের সংগে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেন। সরি নারকেলের ওপর ক্ষোদ্ধিত একটি লিপি নিউজিল্যা্ড ইনফ্যান্টির কাছে পৌছায় এবং গ্রহরারত দ্লবলসহ তিনি উদ্ধার পান। এই বীরত্বের জন্ত তাকে মাকিন নৌবাহিনীর সম্মানজনক পক দান কর! হয়। ৩৮২ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ এরপর তিনি সাংবাদিকতা বৃত্তি অবলগ্ন করেন। কিন্তু এতে সন্তষ্ট ন। হয়ে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদান করেন ও ২৯ বছর বয়সে মাঞ্চিন কংগ্রেসের সদশ্য নির্বাচিত হন। ১৯৫২ সালে ক্যাব্টল্কে পরাজিত করে তিনি সেনেটে নির্বাচিত হন। ১৯৬১ সালের ২০শে জান্রয়ারী মিঃ কেনেডি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে আনুষ্ঠানিক ভাঁবে অধিষ্ঠিত হবেন । ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সম্মিলিত উদ্ভোগে শিশু-চলচ্িত্র নির্মাণ নিউ দিল্ীন্থ শিশু-চলচ্চত্র সমিতির চেয়ারম্যান মিং দিবাকর সম্প্রতি মাকিন যুক্তরাষ্ট্রে গমন করে আমেরিকার চলচ্চিত্র গ্রযোৌজকদের সঙ্গে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রদর্শন উপযোগী চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পন! করেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে ভারতে শিগু-চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্ত আমেরিকার বিশেষজ্ঞবৃন্দ ভারতে আসতে পারেন। ভারত ও আমেরিকার শিশু-জীবন নিয়ে যে চলচ্চিত্র তৈরী হবে তা কেবল মাত্র তথ্যমূলক হবে নাঃ তাতে থাকবে বাস্তব জীবনকাহিনী। ভারতে প্রত্যাবর্তন করেই তিনি চিত্রনাট্য রচনায় হাত দেবেন। গ্রীসের ইতিহাসের একটি উড়ো! পাতা""" এজিয়ান সমুদ্রের একটি ্বীগে ছুভিক্ষ উপস্থিত হয়েছে। ছুঙিক্ষ পীড়িত অঞ্চল থেকে প্রতিনিধি স্থানীয় মাষ পাঠানে। হোল স্পার্টানদের কাছে। লোকটি এসে লম্বা ব্তৃত! জুড়লে। তাঁর কথ! শেষ হ'লে ম্পার্টানর! বললে, আপনি গোড়ার দিকে কি যে বললেন ভূলে গেছি আর তাই শেষের কথাগুলে। বুঝতে পারিনি। অতঃপর তাকে ফিরতে হোলে! শূন্থ হাতে। এবার অক্লাভাবপ্রন্ত দ্বীপ থেকে পাঠানো ছোল এক বুদ্ধিমান ব্যক্তিকে । সে প্রচুর থলে নিয়ে হাজির চোল স্পার্টানদের কাছে। একট! থলি খুলে গুধু বললে; এট! খালি, ভি করে দিন। উদ্দেশ্য ফল হৌল। একটা নয়) মব থলে ভতি হয়ে গেল। যেখানে দরকার কাঁজ সেখানে বেশী কথায় কি প্রয়োজন ! ১১৬০: সো মেয়ের হরিণ চোখে রূপের নাচন দেখে, পিউলী শাখে কোকিল ডাকে, মনমাতানে ছুয়ে" নাচিয়ে হাদয় বনের মমুর নাচছে অনেক দুয়ে ! লাস/ময়ী চিত্রতারকা কামিনী কদমের চোখে মুখে আজ মম্ুয়-ণাচের চঞ্লতা, রূপের মহিমায় উল্লাসিত আজ এ নারী হাদয়। 'কোনই ব! হুষেনা, লাক্পের কোমল পরশ যে আমি প্রতিদিনই পেয়েছি ' -কামিনীকদম জানান তার রূপ লাবণ্য গোপণ রহপাটি। ত১৯১% ১১৬৯১ ৯৭%৯ ৭২৪৯২ ৪১৭ ১৪ ৯২৯০ ৭৬ 1১, ০0৮51 6০১৪৮ চটী আপনিও ব্যবহার করান চিন্রতারকার বিশুদ্ধ, শুভ্র, সৌন্দর্য্য সাবান ১০৯৮৯ ৯০ ঠ । &তী। 1555 5৩ হি ্ পনর! ট গ€ প্রাচান বাংলার চিন্রকল কল্যাণকুমার গঙ্গোপাধ্যায় 0লার পটচিত্র সম্বন্ধে কিছু জানা৷ নেই এমন বাঙ্গালী খুব কমই 'আছে। পটশিল্লের গ্রণহমাঁন ধারা আঞ্জ বাং শুকিয়ে গিয়ে থাকলেও একসময়ে পট্রয়ার আকা ছবি দেখা বাংলার গ্রামীন সংস্কৃতির অগ্ততম অঙ্গ ব্‌লই গণ্য হত. ঘমপটের ছবি ছাড়াও বীরভূম, বাকুড়া আর কালীঘাটে পোটোরা গেরস্থ ঘরের জন্ত যে ছবি আ্ীকত সে ছবির কিছু কিছু এখনও দেখা যায়। বাঙ্গালীর চলিতধারার চিন্রকম্পের আরও পরিচয় পাওয়। যাঁয় প্রতিমার চালচিত্রের দেবতা অন্থর, আর পশ্তর মৃতিতে। এই সব নানাধ্রনের ছবি দেখলে স্বতাঁবতই অন্ুতব ন| করে পার! ষ*য় 1! যে এই ধরনের ছবি আকার প্রচলন নিতান্ত সাম্প্রতিক কালে হয়নি। অনেকদিনের ব্যবহারগত অভিজ্ঞতা না থাকলে এই ধরনের ছবি আকার কৌশল এবং রেখা ও বর্ণের স্বাচ্ছন্দ; কখনও এতট। বিশিষ্টত। লাত করতে পারত না । যমপটের ছবিগুলি সাধারণতঃ ছু'হাত থেকে তিন হাত চওড়া এবং ধারচৌদ্ হাত বা তারও বেশ লঙ্ব। হয়ে থাকে । চিত্রগুলি উপথ্যানমূলক ; র|মায়ন, কৃষ্ণজীবনলীলা, নরমেধ যজ্ঞ, বেহুল| লখীন্দর কাহিনী, এবং চৈতন্টোপখ্যানই অধিকাংশ পটের উপজীব্য। পাটগুলির নিম্নাংশে পারলৌকিক জীবনে যমপুরীতে মানবাত্মার নানাগ্রকার শান্তিভোগের দৃশ্য থাকায় এগুলিকে সাধারণ ভাযয় যমপট বল! হত। এই নাম বিষয়বস্ত এবং পট দেখাবার রীতিটি যে কত পুরোনো! তার পরিচয় পাওয়। যাঁয় উত্তর ভারতের সআাট হ্যবর্ধনের সভাসদ বাণভট্রের লেখ! হূর্যচরিতে। পিতার সংকটাপন্ন পড়ার সংবাদে গৃহগ্রত্যাগমনমুখী হর্য নগরদ্বার অতিক্রম করে পথিপার্থে কুতৃলী জনতার সম্মুথে চিত্র ব্যাখ্যানরত যমপটিকের অবস্থান লক্ষ্য করেছিলেন। বাংলার পটের মত লম্বাপটের প্রচলন রাজস্থানের জৈনদের মধ্যেও আছে। একধরনের নিমন্ত্রণ পত্ররূপে ব্যবহার কর! এই ধরনের পটকে বিজ্ঞপ্তিপত্র বলে। কিছুকাল আগে গুজজরাটেও চিত্রকথি নামে এক পট দেখান সম্প্রদায় এমনি পট একে বাংলাদেশের পোটোদের মতই দেখিয়ে বেড়াত। পটচিত্রের এই বিস্তৃত প্রচলন থেকে সহজেই অন্্মান করা যায় যে বেশ গ্রাান কাল থেকেই ভারতবর্ষে পটচিত্রের গ্রচলন রয়েছে। বৌদ্ধ সাহিত্যে, মহাকবি তাসের রচিত নাটকে এবং রাঁমায়ণে প্রাচীন ভারতে শিল্পকলার অস্তিত্বের যে আভাস পাওয়া! যায়। অন্স্তা ইলোর! তিরুনাস্তিকড়াই ইত্যাদি অঞ্চলের পর্বতগুহায় এবং “মন্দিরে? যে চিত্র লাধনার পরিচয় আজও উজ্জ্রপ রয়েছে তার কিছু অংশ যে বাংলাদেশেও ছিল ত! নিঃসনোহে প্রমাণ হয়েছে নেপাল থেকে সংগৃহীত কতকগুলি প্রাচীন পু'ধিচিত্র থেকে । এই পু'থিচিত্রগুলির ইতিহাস অত্যন্ত কৌতুছলোদ্দীগক এবং মূল্যবান। এর কয়েকটি পুথি কলকাতার এশিয়াটিক পোসাইটির পু'খিশালায়, কয়েকটি ইংলণ্ডে, কয়েকটি কলকাতার আগুতোষ মিউজিয়ামের সংগ্রহশ।লায় দেখতে পাওয়। যায়। কয়েকটি ধ্যক্কিগত সংগ্রহশালায়ও কিছু পুথি আছে। অবশ্ত এই পুঁথিগুলির সবই বাংলায়ই লেখা ব1 আক হয়েছিল তা নয়) কয়েকটি নেপালের পুধিও আছে। তবে ছবিরঢং আর বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে ছবিগুলি একই জেনীর ব1 শৈলীর অন্ততূ্তি। ৬৮৬ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ পু'থিগুলি সবই মহাযান ও তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্সের পুথি; পু'থির মধ্যে অষ্টসাহন্রিক। প্রজ্ঞাপারমিতাই প্রথান। কোন কোন পুধিতে একাদশ শতকের বাংলায় যে পালরাজবংশ রাজত্ব করত সেই বংশসস্ৃত কোন কোন সমাটের নাম ও রাজ্যাঙ্কের উল্লেখ পাওয়! ঘায়। যে লিপিতে বইগুলি লেখা সে লিপি সেই যুগে বাংলা দেশে ব! পূর্বভারতে চলত। পুঁথিগুলির সবই তালপাতায় লেখ! ; আগুতোষ মিউজিয়ামে দ্বাদশ শতাব্ধীর একখানি কাগঞ্জের ওপরে লেখ! বইও আছে। ছবিগুলির মূল বিষয়বস্ত বৌদ্ধশাস্ত্রাশ্রিত ভিন্ন ভিন্ন দেবদেবী ব1 বুদ্ধের জীবনের নান। উল্লেখযোগ্য ঘটনা । অধিকাংশ ছবিই চেোঁকে। চৌকে। খোপের মধ্যে আকা; কোথাও পু*খির কাঠের তৈরী পাটার গায়ও ছবি দেখতে পাওয়া যায়। ব।ংলার পটচিত্রের ছবিগুলি রচন। কৌশল এবং বর্ণধিন্ঠাসের দিক থেকে বেশ উল্লেখযোগ্য। প্রথমে পটয়ার৷ কাগজের সঙ্গে কাগজ জুড়ে একট! লম্বা পট তৈরী করে, কাগজের এই চাদরটাকে শক্ত করবার জন্ব এর ওপর দিকটাতে কাপড়ের টুকরো জুড়ে দেওয়। হয়। তার উপরে দেওয়া হয় মাটি আর গোবরের প্রলেপ। এই প্রলেপ শুকিয়ে গেলে পাতল! থড়িমাঁটির প্রলেপও লাগিয়ে ছবি আকবার জমি তৈরী করে নেওয়া হয়। পরপর এক একটা বিশিষ্ট ঘটনার ছবি সাঁজিয়ে আখথ্যানভাগ গড়ে তোলা হয়; মোট! তুপির আঁচড়ে ফুটে ওঠে কালোরঙের রেখার বাধুনি; ভেতরের জমি সমান করে ভরিয়ে তোল! হয় হলদে লাল সবুজ আর ফিকে নীল রঙে। সোণালী আর রূপালী রঙের বিস্তাসও দেখা যায় গয়নায় আর কাপড়ের আচলে। বড় মোটা রঙ, বেশ ফলাও করে দরাজ হাতে বুলানো । গল্পগুলির আবেদন চমৎকার সোজাসুজি এসে মনের গায় দ্রাগ কেটে যায় যারা দেখে তাদের। মানুষের শরীরের গড়নে আর বসা, দাড়ান আর চলার ভঙ্গীতে সুন্দর সচেতনতা আর নাটকীয়তার ভাব। এর! যেন সুদুর অতীতের কোন এক সমাজ থেকে যাত্রার আসরে নেমে এসেছে; কেউ ভূলে যায়নি তার বিশেষ চরিত্রটি, বিচ্যুতি হয়নি কারে। পরে নিতে উপযুক্ত পোশীক আর অলঙ্কার। বিগত দিনের সমাজ ইতিহাসের নুন্দর দলিল এই সব ছবি; চিত্রকরের অতুলনীয় ধ্যানশক্তির স্বাক্ষর এইথানে, সংস্কৃতির প্রবহমান ধারাটিকে অন্তরষ্টি দিয়ে দেখবার, বুঝবার এবং বোঝাবার এ এক স্থন্দর উপাদান। এই চিত্রকল্পের প্রবাহ বেয়ে অতীতের দিকে গেলে বাজালীর অতীত শিল্প কীতির বেশ কিছু অস্তিত্বের সঙ্গে এখনও পরিচয় ঘট। সম্ভব। যদিও অধিকাংশই তার হারিয়ে গিয়েছে নিঃশেষে। কোন কোন পুখিতে ছবি সাজাবার কৌশলটি বেশ লক্ষ্য করবার মত। কেবল যে ছবিগুলে। বেশ স্পষ্ট বন্ধনিযুক্ত খোঁপের মধ্যে শ্রীক। হয়েছিল তা নয়, পুঁথিতে ছবির খোপগুলি ঠিক মাঝখানে এবং একটার পর একটা পাতায় পর পর সাজান। দেখতে গেলেই মনে হয় যেন বন্ধনীবুক্ত খোপে আক। ছবিতে সাজান একখানি গুটোনে। পটের পাট খোল! হচ্ছে আন্তে আত্তে। এই বিশিষ্টতা থেকে আমার মনে হয়েছে যে এগুলি মন্দিরের গায় সাজান পটচিত্জে যাকে বল! হয় টেম্পল ব্যানার তারই পু'খিগত সংস্করণ। ন্ুগ্রাচীন যুগের প্রস্তর ভান্কর্ধেও এই ধরনের পটচিত্রের প্রভাব দেখা যায়। বুদ্ধের জীবনী মহাযান ব। তান্ত্রিক দেবদেবীর আলেখ্যসমৃদ্ধ এই প্রাচীন ছবিগুলি ক্ষুদ্রা়তন চিত্রের জগতে নিতাস্তই তূলনাহীন। দেবদেবীদের দেহ গঠনে শিল্পী যে রেখ! ব্যবহার করেছে ত1 যেমনই নুশ্ম তেমনই নিখু'ত এবং অনবন্ভ। রেখায় ধেন দেবী দেহের থেকে প্োোতনাময় লালিত্য সত্যই মৃছ্িত হয়ে আছে বলে মনে হয়? শিল্পীর ধ্যান নয়নে পরিদুই অতীন্তরিয় জগতের রূপাতীত সধমা মরলোকের জন্ত পটে বিধৃত হুঙ্কে ১৩৬৭ ] প্রাচীন বাংলার চিত্রকল। ৩৮৭ রয়েছে। এখানেও নাঁন। বর্ণের বিচিত্র ক্রাড়। ; কিন্তু এই বর্ণনস্তার পরবতী যুগের পটচিত্রের মত মোটা বা প্রথর নয়, স্নিগ্ধ এবং কোমল; অথচ উজ্জ্বল ও নয়নাভিরাম । ঘেহভঙ্জির বিন্তাসের যে গতিপ্রবণতা দেখ যায় আননে যে শ্মিত হাঁন্ের বিস্তাস পরবর্তী যুগের পটচিত্রের নাটকীয়তার সেইথানেই স্ৃত্রপাত হয়ে থাকলেও এই ভঙ্গি লীলামধুর। বৌদ্ধ ক্ষুপ্রায়তন চিত্রের জগৎ অতি প্রশান্ত মনোৌলোকের জগৎ। এখানে মানুষের চাঞ্চল্য এবং উদ্বেলতা ধ্যানের মহিমায় স্থির ও আত্মসমাহিত। রঙ ও রেখায় এখানে অনুরাগের বর্ণচ্ছট। অপেক্ষাও চিত্তের স্ৈর্য এবং মননের গভীরতাঁই বেশি পরিস্ুট । এই ছবিতে সমাজজীবনের প্রতিচ্ছবি অপেক্ষা ও আতন্দ্িয় ধ্যান জীবনেরই আলেখ্য দেখ! যায়। এই ল্লিগ্ধ নক্ষত্রালাকিত জগতের ৰিচরণশীল দেবদেবী যেন বিশ্বের নরনারীকে জানাচ্ছে সেই উধধ্ব জগতের আমন্ত্রণ, যেখানকার আকাশ ভগবান বুদ্ধের করুণীধারায় আপ্লুত । ধ্যান জগতের প্রতিচ্ছবি এমনভাবে বোধ হয় পৃথিবীর আর কোথাও চিত্রলোকে, বিধত হয় নাই। বাৎল|র 'শল্পীর এই চিত্রলোক সত্যই এক অনবদ্ধ স্থষ্টি। শিল্পীর প্রাণ চায় মুক্তি । জীবিকার ঘানি থেকে চিরকালের ছুটি। সরকারী শিল্প বিগ্কালয়ের চাকরি ছেড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে অবনীন্্রনাথের শিল্পী প্রাণ । মাঝে মাঝে কাজের তাগিদ আসে কলকাত। বিশ্ববিস্তালয় থেকে । তিনি সোজ। হাঁকিয়ে দেন। অবশেষে এলেন সভার আশ্ডতোষ। ১৯২০ গ্রীষ্টাব্দ। আগুতোধ বললেন-_অবনীবাবুঃ বছরে আপনি ছটি বক্তৃতা! দেবেন, আমর! সকলে শুনে ধন্ত হছবঃ একে কি চাকরি বলে? অবনীন্দ্রনাথ উত্তর করলেন-_-তী থে মাস-মাইনে, প্রটেতেই তো ভয়! তৎক্ষণাৎ আশুতোষের জবাব--মাইনে কোথায়, ও তে! অর্থ। অবনীন্দ্রনাথ ধর! দিলেন, সেই বন্ধনই হোল মুক্তি, শিল্প সম্বন্ধে তর সুগভীর চিস্তাঁধার। মুক্তিলাভ করল বাগেশ্বরী বন্তৃতার মধ্যে। ১৬ আচাধ্য অবনীন্রনাথের স্মরণে অধ্যাপক অর্দেন্দ্রকুমার গঙ্গোপাধ্যায় রতের, তথ! সমগ্র এসিয়ার আধুনিক যুগের শ্রেষ্ঠ চিত্র-শিল্পী-_আচাধ্য অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, €ই ডিসেম্বর ১৯৫১ সালে দ্বর্গারোহণ করেছেন, নয় বৎসর গত হোলে! এখনও দেশের মানুষ দেশের সর্বশ্রেঠ কলারুৎ-ভাঁরতের নবগুগের কল!-শিল্পীর পথিকৃত--একজন অলৌকিক গ্রতিভাধর ওণ্ডাদ শিল্পীর চিত্র-হুষ্টি সম্ঘন্ধে সচেতন হইতে পারে নাই। বিলাতের বিখ্যাত চিত্র-শিল্পী টামুনারেয় মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই--জন রসকিন্-_টাযুনারের চিত্রাবলীর বৈজ্ঞানিক শুচী নির্মাণ করে-তীহার চিত্রের সমীক্ষণ সমালোচনার পথ সহজ করে দিলেন। আচার্য অবনীন্ত্রনাথের তিরোধানের ৯ বতসর পরেও-- আমর! জাতীয় শ্রেষ্ট শিল্পীর চিত্রাবলীর হুচী নির্দাণ করিতে পারি নাই। তাহা'র শ্রেষ্টচিত্রের উপযুক্ত রঙীন প্রতিলিপি প্রকাশ করিয়া-ত্াচার কলারুতির সঠিক সমালোচনার পথ ম্থগম করিতেও পারি নাই। ত্াথার অলৌকিক বর্ণ-রচনা-__্ুল সম্তা গ্রতিলিপিতে সমালোচকের চক্ষের সামনে উপস্থিত করা যায় না। বু বতমর পূর্বে--তাছার কয়েকখানি চিত্র উৎকৃষ্ট পদ্ধতিতে মুদ্রিত রঙীন প্রতিলিপিতে প্রকাশিত হইয়াছিল, কিন্তু এখন এইসব গ্রতিলিপি পাওয়া যায় না। সুতরাং দেশের লোৌক দেশের শ্রে্ঠ ওন্তাদের চিত্ররচনার স্বাদ ও স্মৃতি ভুলিতে বনিয়াছে। মধ্যে মধ্যে তাহার চিত্রের আংশিক প্রদর্শনী হয় বটে, কিন্ত, স্থায়ী কয়েকদিনের প্রদর্শনীতে-তাছার মৌলিক বলা-হঙ্রির স্থায়ী ধারণার সৃষ্টি করা সম্ভব নছে। রবীন্দ্র ভারতীর ভবনে অবনীষ্তরনাথের স্থায়ী প্রদর্শনীর প্রস্তাব হইয়াছে, কিস্তু কলিকাতায় স্থায়ী গ্রদর্শনীর ব্যবস্থা হইলেও তাহ! সার! ভারতের রূপরমিকদের চাহিদা! পূরণ করিতে পারিবে না। সুতরাং তাহার চিত্রাবলীর সহজ অনুশীলনের একমাত্র উপায় হইতেছে-তাহার কলা-শিল্পের নিখুঁত বৈজ্ঞানিক গ্রতিলিপি প্রস্তত করাইয়া_সারা গৃথিবীডে বিকীরণ করা। উৎকৃষ্ট গ্রতিলিপির মারফত ঘুরোপের প্রাচীন ও আধুনিক ওত্তাদগণের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি আমরা অনায়াদে অনুশীলন ও সমালোচনা করিতে পারিতেছি। কিন্ত উৎকৃষ্ট প্রতিলিপির অন্তাবে--আচার্যয অবনীন্ত্রনাথের চিত্তহারী রূপ-স্প্টির দমুন1 দেশবাসীর নিকট “নিষিদ্ধ ফল” হইয়া, টিনের পেটিকার মধ্যে কারারদ্ব আছে। আধুনিক রূগসাধকদের কোনও কাজে আদিতেছে ন। তাহার চিত্রাবলীর গ্রচার ও আস্বাদনের উদ্দেশে--“অবনীন্ত্র-পরিষদ” নামে একটি সঙ্গিতি প্রতিষ্ঠিত হুইয়াছে--কিন্তু তাহীর! এতাবৎ কাল আচার্ধ্ের সৃষ্টির বখাযধ প্রচারের কোনও ব্যবস্থাই করিতে পারেন নাই। আচার্ষের অনেক সুযোগ্য শিল্ব-গ্রশিষ্য বর্তমান রহিয়াছেন-_তীহারাও এবিষয়ে অনেকটা নিশ্চে্ট ও অলল। আমাদের শ্রেষ্ট চিত্রশিল্পীর হুটটিমাল! বিশ্বৃত হইয়া)--আমাঘের বাংলার সংস্কৃতির বড়াই ও আস্ফালন একান্তই হাশ্য।স্পদ। একথা স্বীকার করিতেই হইবে যে রবীন্ত্রমাথকে পুরোভাগে রেখে বাংলার সাহিত্যিকরা এক মূল্যবান সাহিত্যে সম্ভার ভ্ইি কয়ে ভুলেছেন,-বিশেষত, বথা-সাছিতোর বিভাগে--যার*তুলনা, বোধ হয় ১৩৬৭ | আচার্য অবনীন্দ্রনাথের স্মরণে ৩৮৯ ফরাসী সাহিত্য ছাড়া আর কোথাও মেলে না। সঙ্গীতের ক্ষেত্রেও বর্তমান যুগের বাঙ্গালীর ও অবাঙ্গালীর দান মহনীয় এবং মহামূল্য। কিন্তু রূপ-চর্চার ক্ষেত্রে,_রূপ-সাধনার পথে আমদের জাতীয় জীবন এখনও অনেকট! অন্ধকারে আচ্ছন্ন। অন্ান্ত সত্যদেশে, রূপ-বিষ্তার চর্চা, রূপস্ষ্টির আদর, শিক্ষ। ও সমাজের একটি অবস্ত পালনীয় কর্তব্য বলে গৃহীত হয়েছে। ফি আধুনিক, কি প্রাচীন দেশের শ্রেষ্ঠ শিলস্থ্টির গণ গ্রহণ করিবার শক্তি আমরা বহুদিন হারিয়ে বসেছি। তাহার ফলে দেশের চিত্র-শিল্প, স্থাপত্য ও ভাস্কর্ধ্যের শ্রেষ্ট নিদর্শন আমাদের মনে কোনও গ্রতিধ্বনির স্ষ্টি করিতে পাঁরে না। কয়েকটি এ্রতিহাসিক কারণে ভারতে প্রাচীন শিল্পের ধার! উনিশ শতকের মাঝামাঝি শুব্ধ হয়ে এসেছিল; এবং ইতিমধ্যে বিদেশী ইউরোপীয় শিল্পের মোহ আমাদের পরাধীন মনকে এমন আক্রান্ত ও আচ্ছন্ন' করেছিল যে তাঁর ফলে আমর আমাদের প্রাচীন শিল্পের গৌরবের ইতিহাস একবারে বিশ্বত হয়েছিলাম । ইতিমধো, ইংরাজের প্রভাব ভারতবাসীদের মনে এই ধারণার সৃষ্টি করিল যে ভারতের র্বপস্থ্টর প্রতিভা নাই। শিল্প ইঞ্জিয়- গ্রাহথ বস্ত, ইন্দ্রিয়-বিদ্বেধী ভারতের দর্শন-শান্ত্র ভারতের রূপন্থষ্টির পথে বাধা রচনা করেছে। এইজন্ত প্রাচীন ভারতে গ্রীক ও অন্তান্ত যুগের কলা-হাষ্টির তুলনার যোগ্য কোনও কলা-শিল্পের ইতিহাস গড়ে ওঠেনি। ভারতীয় বূপ-সাধন। ও রূপতত্ধের ইতিহাসের এই অলীক আরব্য-উপস্তাস আচার্য অবনীক্্রনাথ ্বীকার করে নিতে পারেন নাই। তার মনে মনে দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে ভারতের চিত্রসাধনার প্রাচীন ধ্রতিহ অবশ্যই আছে--এবং প্রাচীন যুগের চিত্র-শিল্পের নমুনা! কিছু না কিছু কোথাও বর্তমান আছে। সেই প্রাচীন নমুনা ও প্রাচীন এতিহের সন্ধান পেলে, তাহাকে অবলম্বন করে নূতন যুগের উপযোগী জাতীয় চিত্রপদ্ধতির হুত্রপাত করা সম্ভব হতে পারে। তিনি অনুসন্ধান করিতে স্থুকু করিলেন_ গ্রাটীন ভারতের রেখা-রীতি কি জাতীয়, তাহার চরিত্র কি, তাহার এ্রতিহ কি? মানুষ যাহা একান্তমনে খোজে তাহা নিশ্চয়ই লাভ করে। অনেক অনুসন্ধানের পর অবনীন্দ্রনাথ একখান! প্রাচীন চিত্র সমষ্টির সংগ্রহ বা এল্বাম্‌ (মুরুক্কা) পেলেন--তাহাতে অনেক প্রাচীন মুঘল “কলমে* লেখ! ছবি ছিল। এই ছবিগুলির মারফত তিনি ভারতের মধ্যযুগের রেখা-রীতির পদ্ধতি ও প্রতিহের সাক্ষাৎ পেলেন। ক্রমে রাজপুত শৈলীর কয়েকটি ছিন্ন চিত্র তার হাতে পড়ল। ইহার মারফত অবনীন্দ্রনাথ হিন্দু চি্রশৈলীর প্রকৃতি কি তাহার পরিচয় পেলেন। এইরপে তার চোখের সামনে প্র/চীন ভারতীয় চিত্রের প্রতিহের অনুশীলনের পথ প্রকাশিত হোল। ইতিমধ্যে ই, বি, হাভেল্‌ মাদ্রাজ থেকে ব্দ'ল হয়ে কল্িকাতার সরকারী কলাবিষ্ভালয়ের অধ্যক্ষপদে নিষুক্ত হলেন। হাতেলের সঙ্গে 'বনীন্দ্রনাথ-ও প্রাচীন চিত্র-শিল্পের নান নিদর্শন ও নমুনা! সংগ্রহ করিতে শুরু করিলেন। ভারতের গৌরবময় কল! সাধনার তির ইতিহাস এইসব প্রাচীন নিদর্শনের মধ্য দিয়ে উজ্দ্ল হয়ে উঠল। এইসব নান! নিদর্শন অন্ুণীলন ও বিশ্লেষণ করে, মধ্যযুগের ভারতের চিত্রলেখ।র ভাব। অবনীন্দ্রনাথ আয়ত্ত করে নিলেন, এবং সংকল্প করলেন যে এই প্রাচীন ভাষাকে তিনি নৃতন' পরিণতির পথে 'খগিয়ে নিয়ে যাবেন। এই উদ্দেস্টে তিনি যুরোগের প্রেঠ কলা-হুষ্টি থেকেও তার উদ্দেস্টের উপযোগী নানা উপাদান সংগ্রহ করতে শুরু করলেন। পক্ষান্তরে চীন ও জাপানের চিত্রাবলী অনুশীলন করে ত1 থেকে ভারতের নবীন পদ্ধতির চিত্ররচনার উপযোগী উপকরণ ও শক্তি সংগ্রহ করিতে আরম্ভ করিলেন। তাহার উদ্ভাবিত নৃতন ভাঁষায়--পূর্বব ও পশ্চিমের কলারীতির অপূর্ব সম্দয় সাধিত হলো। তাহার প্রবর্তিত নৃতন ভারতীয় চিত্রের ভাষা! প্রাচীন চিত্রের ৩৯৭ গল্লপ-ভারতী [ অগ্রহায়ণ অন্থকরণ বা পুনরাধর্তন নহে, প্রাচীন এঁতিহকে স্বীকার করে নিয়ে তাহাকে ভিত্তি করে, নূতন পথে ভারতীয় চিত্রের জয়-যাত্রা । এই নুতন পদ্ধতিতে চিত্রিত তাহার প্রথম চিত্র “শাঁজাহানের শেষ জীবন” ১৯৪৩ সালে লাট কার্জন সাহেবের দিল্লীর দরবারের প্রদর্শনীতে দেখান হোলো, নানা! কোলাহল ও গুঞ্জনের মধ্যে-_চিত্রানি প্রথম পারিতোষিক লাভ করিল। তারপরে, নবীন পদ্ধতিতে রচিত তার কয়েকখানি চিত্র» “্বজ্মুকুট ও পল্লাবতী*, «মেঘদূত”, “বুদ্ধ ও সুজাতা”, “অভিসারিকা” ইত্যাদি ছোট ছোট মিনিয়েচাযু--বিলাতের বিখ্যাত মাসিকপত্র *ডিয়োর” পাতায় রভীন্‌ প্রতিলিপিতে প্রকাশিত হোল। এই প্রকাশের পর বিলাতের রসিক সমাজ ভারতের চিত্র-নাধনার এই নবীন উদ্বোধনকে গ্রীতির চক্ষে অভিনন্দিত করিলেন। অনেকেই স্বীকার করিলেন যে, ফুরোপের রীতির অনুকরণে নহে,-বরং ভারতের নিজস্ব সত্বাকে অনুসন্ধান করে--ভারতের নিজস্ব আদর্শকে উপলব্ধি করিতে গপারিলেই__ভারতের প্রাচীন স্বণ্ড আধ্যাত্মিকতা নূতন যুগে, নৃতন রূপে আত্মপ্রকাশ করিবে, এবং দেই পথেই জাতীয় আত্ম, জাতীয় এ্রতিহা স্বার্কত। লাভ করিবে। বাতীয়তার পুরোহিত অবনীন্ত্রনীথ--তাহার অলৌকিক চিত্রমালার মধ্য দিয়ে এই কথাই প্রচার করে গিয়েছেন। তাহার চিত্রন্থষ্টিতে ভারতের জাতীয় চিন্ত। ও আধ্যাত্মিক আদর্শ পূতন রূপ নিয়ে দীপ্যমান হয়ে রয়েছে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে--আঁমাদের সমসাময়িক রূপসাধকর1--অবনীন্ত্রনাথের চিত্রমালার স্পর্শ হারিয়ে-_-পশ্চিমে রীতির অন্ুকরণের পথে, বিপথে বিচরণ করিতেছেন। তাহার শ্রেষ্ঠ চিত্রমালার স্থায়ী প্রদর্শনী ও উপযুক্ত উৎকৃষ্ট প্রতিলিপির মারফৎ--তীছার সাধনার “ঝাণী*--ব্যাপকরূপে প্রচারিত হওয়। অত্যন্ত আবশ্তক। এই সম্বন্ধে আমাদের সমাজের চিত্র-প্রেমীদের এবং জাতীয় সরকারের অনেক কিছু কর্তব্য আছে। প্রচীন শিল্প এবং সেই সব শিল্পে ওত্যাদ মানুষ সব থাকতে কি উপায়ে কোন রাস্তায় শিল্পকে অধিকার করা চলে তাই ভ।বতে বসেছি আমরাঃ অথচ এই সহরের বুকেই শিল্পী- পাড়া সমস্ত বিদ্তমীন, কীসারী পাড়া, পটুয়াটোলা, কুমোরটুলি, বাঝপটি ইত্যাদি ! : ...শিল্প শিক্ষাকে অধিকার করতে চাই তার বিষয়ে উপদেশ দেবার লোকের অভাব নেই। কিন্ত তাদের উপরে শ্রদ্ধাও নেই, বিশ্বাসও নেই এমন আমাদের যে তাদের প্রধাও শিক্ষা. গ্রণালীকে আধুনিক শিল্প-শিক্ষালয়ের শিক্ষা -ব্যবসথায় স্থান দিই । --অবনীস্রনাথ ম্বাথুভলাল্কস জ্ভ্জশ্পিভল ॥ শিলী--অবনীজ্জনাথ ঠাকুর চে বুদ্ধ ও সুজাতা গল্প ভারভী প্রার্থনারত মহধষি দেবেজ্জনাথ (১৮৯৭) শিল্পী-- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর জোড়াসাকে। ঠাকুর বাড়ীতে কথকতা (১৮৯২) কস সপ গা-ভারতী ভাব লা ও বউ আস ও এ এ পা 7 ০ » পরপ্রপর হাহা 2 তে পি এজ / ০ ক পরাগ স্তর ॥ নকরিতিছেন সি গু 1 ক দব সপাধদ সং চৈভন্থা পুরী সমুদ্র তীরে প্রীন্রী গাল্র-জঞা করতেই শিলী--গগনেজ্রনাথ ঠাকুর ্ গল্প-ভারভী শিল্সা গগনেন্্নাথ দ্বিজেন্দ্র মৈত্র শতকের প্রথমদিকে যে নব্য ভারতশিল্পের হুত্রপ।ত হয়, সেই আন্দোলনের অশ্ততম নেত। হিসেবে এ গগনেন্দ্রনাথের নাম আজ ইতিহাসের অন্ততূ্ত । অথচ যে আদর্শবাদ থেকে এই শিল্প আন্দোলনের শুরু, শিল্পী গগনেন্্রনাথের দৃষ্টিকোণ ও শিল্পন্থষ্টি তা থেকে এতো! বিভিন্ন যে এই আন্দোলনের মধ্য তার উপস্থিতি সত্যই বিন্ময়কর। প্রকৃতপক্ষে সেদিনের মেই আন্দোলনকে উপলক্ষ্য করে যে উদ্মাদনার হৃষ্টি ইয়েছিলো, সেই কোলাহলের মধ্যে শিল্পী গগনেন্রনাথের নামও তালিকাতুক্ত হয়েছিলো! । এখনো! পর্য্্ত তাকে আমর! মেই আন্দোলনের অন্ততম শিল্পরথী হিসেবেই সন্ম।ন দিয়ে এসেছি, তার একাকীত্ব ও স্বাতস্তরোর শ্বর্য আমাদের দৃষ্টির বাইরে থেকে গিয়েছে। আজকের দিনে কোন শিল্পীর পক্ষে পথ নির্বাচনের সমস্য! অপেক্ষাকৃত সহজ। কারণ তার সম্মুথে রয়েছে বিভিন্ন পথের নুম্পষ্ট পরিচয়। কিন্তু সেই যুগে একদিকে হাভেল-পূর্ব সরকারী শিল্পপদ্ধতি আর একদিকে নব্যভারতীয় শিল্পধারার পরীক্ষণ অবস্থা, এই দুইয়ের মধ্যেই ভারতীয় শিল্পশিক্ষার্থীকে পথ নির্বাচন করে নিতে হতো। এই দ্বিতীয় পথের মধ্যেই ভারতীয় শিল্পীর লক্ষ্যে পৌছানোর সম্ভাবনা আছে এই সিদ্ধান্তে গগনেম্দ্রনাথও পৌছেছিলেন। বিস্ত সেদিনের নব্যভারতশিল্পের রাজপ্রাসাদ রচনায় তার আনাগোনা গুধু কর্মী হিসেবেই । তার শিল্পের মহল সম্পূর্ণই ম্বতন্ত্র এবং সেখানে তিনি একান্তভাবে নিঃসদ। তার শিল্পরচনাকে কোনভাবেই কোন দলতৃক্ত করা চলে ন|। গগনেন্ত্রনাথের চিত্রশিল্পের গ্রাথমিক সাধনার সুত্রপাত নিজের অস্তনিছিত তাগিদে । পেনসিল, কলম অথব। তুলি দিয়ে শ্রীকাজোক1 করতে তার ভালে! লাগতো । চোখের সামনে যা কিছু গ্রাণময় বলে মনে হয়েছে, তাকে রেখ দিয়ে ধরে রাথতে চেয়েছেন। কিন্তু জাপানী শিষ্পীটাইককানও আরাই যখন কোলকাতা পরিভ্রমণে এলেন, তাঁদের ব্যক্তিগত অন্থপ্রেরণায় তার শিল্পীচিত্ত এক নতুন রূপে ব্যঞ্জনার সন্ধান পেলো। এই সময় থেকেই গগনেন্্রনাথের প্রকৃত শিল্পীজীবনের শুরু। জাপানী গ্রথায় তুলি ও কালে। রঙ, ব্যবহারের মধ্যে তিনি রূপ প্রকাশের এক নতুন ইঙ্গিত পেলেন। কালে! রঙের বিস্তারের মধ্যে দিয়ে যে খিভিন্ বর্ণঘুরের সৃষ্টি হয় তার আবেদন এত বিচিত্র ও লুক্ম, এই পদ্ধতির মধ্যেই শিল্পদৃষ্টি এক নতুন রহস্যের সন্ধান পেয়ে উল্লসিত হয়ে উঠলো! । কিন্তু প্রক্কত প্রতিভার লক্ষণ প্রভাবের দ্বারা ভারাক্রান্ত হওয়া! নয়ঃ তাকে আপন রশ্ব্ষে রূপান্তরিত করা'। এই সময়ে গগনেন্ত্রনাথের অনেক রচনাই জাপানী শৈলাশয়ী, অথচ নিজন্ব পরিবেশ ও ভাবাবেগে তা একান্তভাবে হ্বকীয় স্থির এশবর্যে পরিপূর্ণ । এই লময়ের নিসর্গচিত্র, রবীন্দ্রনাথের জীবনস্ৃতির চিত্র ও চৈতন্ত চিত্জাবলী থেকে তার দৃষ্টির বিশিষ্টত] ধরা পড়বে । সমকালীন শিশ্পীষ্ের রচনা থেকে তার শিল্প রচনার পার্থক্য অত্যন্ত সুষ্পষ্ট। যদিও রেখাই তার ছবির প্রধান আশ্রয়, কিন্ত রচনার মেজাজ কোনক্রমেই অজন্ত|, মোগল চিত্রকল! অথব! ভারতীয় ভান্বর্ষের সন্ুসারী নয়। এই কারণেই.পৌরাণিক কাহিনী অথবা সুদূর ইতিহাস তাকে কোনদিনই আকষ্ট করেনি । ৩৯২ গল্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ তার শিল্পী মানস দুটি সুনির্দিষ্টভাবে বিভক্ত ছিল। একদিকে মোহমুক্ত বাস্তব অনুভব তার রূপন্থষ্টিকে এক বাস্তব ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করেছে। আর একদিকে এক নিগৃঢ় রোমার্টিক চেতনা এক 'দৃশ্ত রূপজগতকে উদ্ঘটিত করেছে। প্রথম যুগের চিত্রাবলী শিল্পীর বাস্তব চেতনারই চিত্রপংস্করণ। দ্বিতীয় পর্যায়ের চিত্রাবলীর প্রথম পদক্ষেপ দেখা দিল কিউবিজম্‌ আশ্রয়ী চিত্র রচনার মধ্যে দিয়ে। আমাদের দেশে সাধারণ শিল্পরসিকের কাছে এখনে! পর্যন্ত তিনি ভারতশিল্লে কিউবিজমের প্রবর্তক হিসেবেই পরিচিত। অথচ যে মানসিকত! এই সুদুর বিদ্বেশী শৈলীর মধ্যে আত্মপ্রকাশের প্রেরণা অনুভব করেছিল তার রহস্য ও ত্বরূপ সম্বন্ধে আমর! একেবারে অচেতন এবং সুরোপীয় শিল্পে কিউবিগমের উদ্ভব ও শিল্পগ্রয়োগ রীতির সঙ্গে গগনেন্দ্রনাথের কিউবিজম আশ্রয়ী রচনার যে মূলগত পার্থক্য সে সম্বন্ধেও আমাদের অজ্ঞতা আশ্চর্যজনক । যুরোপীয় শিল্পে দিয়োত্ে! থেকে যে শিল্পপদ্ধতির উদ্ভব তার যূলকথ| হলো দৃশ্তবস্তুকে যথাযথ ভাবে রূপ দেওয়।। এইভাবেই স্থুদীর্ঘকাল ধরে শিল্পীর! বস্তর ও প্রকৃতির যথাস্থত অবস্থাটি ধরবার সাধনায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন। অবশেষে গত শত।বীর শেষের দিকে এসে এ সাধনার নৌক! চড়ায় ঠেকে গেল। দর্শকের চোথকে ফাকি দেবার মধ্যে থে শিল্পের উৎকর্ষ ও সার্থকত! নেই এই সত্য উপলব্ধি করে অনেক শিল্পী জেগে উঠলেন। নতুন করে নন্দনতত্ব আধিষ্কত হতে শুরু হলো। সেই নব্য আবিষ্কারের একট। দিক দেখ! গেলে! ত্রিকোণবাদ ব। কিউবিজম্‌ আন্দোলনের মধ্যে দ্িয়ে। এদের মতে দৃশ্তমান বস্তজগণ্ ফর্ম বা গঠনের দিক থেকে কতগুলি ব্রিকোণের সমষ্টি । মানুষ, পণ্ড, প্রাণী, ঘর, বাড়ী, পাহাড় সব কিছুই এই ঠিকোণ গঠনের আধারে ব্যজ্জ। নতুন দৃষ্টিকোণ হিসেবে এই তত্বের মধ্যে অভিনবত্ব আছে সন্দেহ নেই। কিন্তু শিল্প যখন তব ছেড়ে তথ্যের মধ্যে এলে! তখন দেখা গেল বস্তরূপের বহিরঙ্গের দিক একেবারেই অস্তহিত এবং শিল্পীর বিশ্লেষণী দৃষ্টিতে বস্তঙ্ঈপ নিছক জ্যামিতিক প্যাটার্ণ স্ষ্টিতে পর্যবসিত হয়েছে। গগনেন্দ্রনাথ যখন তার শিল্পে ত্রিকোণবাদের সাহাষ্য নিলেন তখন তার দৃষ্টি কোনক্রমেই বিঙ্লেষণী নয়। মুরোপীয় কিউবিজমের মধ্যে প্যাটার্ণ হ্গ্টির যে ইঙ্গিত আছে, সেইটুকু তিনি তার শিল্পে আশ্র্থ দিলেন। অথচ সে প্যাটার্ণ-স্থষ্টিও গাঠনিক (1:02091) নয়। আলোছায়ার রহস্যে ও মনন্তাত্বিক মূল্যে তা শত বিচিত্র । বন্ততঃ এই প্যাটার্ণ সৃষ্টির রহশ্যই গগনেন্্রনাথকে কিউবিজমের দিকে আকৃষ্ট করেছিলো! । একটু ঘনিষ্ঠভাবে দেখলেই ধর! পড়বে শিল্পরচনার অন্ততম সৌকর্ষ রয়েছে প্যাটার্ণ সুষ্টির মধ্যে। কবিতার সব মাত্র! ও ধ্বনির মূলেও এই প্যাটার্ণ সষ্টির বাসনা । চিত্রশিল্পে প্যাটার্ণের উদ্তব রেখা ও রঙের নিদিষ্ট অন্ুবৃত্তিতে যার উদ্দেস্ত একট! সমতাল সৃষ্টি এবং তার মধ্যেই আমাদের সৌন্দর্যবোধ একট! বিশেষ তৃপ্তি পায়। গ্গনেন্ত্রনাথের রচনায় ভ্রিকোণবাদের একটি বিশেষ পরিণতি লক্ষ্য করা গেল পরবর্তীকালে । কিউবিজমের একট! অনৃষ্ত ছায়! তার রচনায় থেকে গেলেও সব চিত্র যেন আলোর দীপ্তিতে উদ্তানিত হয়ে উঠলো। এ আলে! রেমব্রান্টের মতে! অন্ধকার পটে আংশিক বিচ্ছুরিত ছ্যতি নর য! দৃষ্বস্তর একটি অংপকেই জ্যোতির্সয় করেছে। গগনেন্ত্রনাথের হাতে এ আলে অনেকট। অনৈসগিক চিত্রপট--আলে! ও রঙের খেলায় ববিচিত্র ফুলকারী। এর মধ্যে যেটুকু ঘটনা! ও বিষয়ের সমাবেশ হয়েছে তা এই আলে! ও বর্ণের প্যাটার্ণ সৃষ্টির আশ্রয় হিসেবে এসেছে। ফলে বাস্তব ও কল্পনার এমন অতৃতপূর্ব যোগাযোগ ঘটেছে যার অভিনবত্ব ফোন শিল্পের ইতিছাসেই লক্ষ্য কর! বায় নি। এটা ঠিক শিল্পীচিত্তেরর খেয়ালী কল্পনা নয়। মনের গভীরে যে উপলদ্ধি একট| রূপ পরিগ্রহ করে, অথচ বাঘ্তব জগতের সঙ্গে ভার বিশেষ দিল নেই, সেই অবচেতন যনোজগতের লংহত কল্পন! রঙও রূপের আধারে ব্যক্ত হয়েছে। এই মনোজগৎ সুর রিয়ালিউমের * খা দিত না ১৩৬৭ ] শিল্পী গগনেন্্রনাথ ৩৯৩ মনোজগৎ নয়। যা অবচেতন মনের বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্তে নির্ভরশিল অথবা! ইংরেজশিলী র্লেফের ধ্ীয় কল্পনার অদ্ভুত উল্লাম নয়। গগনেম্দ্রনাথের এ জগৎ সম্পূর্ণভাবে স্বতস্্--কৈশোরকল্পনার পরীর দেশের সৌরভে ব্যাঞ্ধ। গগনেন্্রনাথ সন্বন্ধে আলোঁচন] প্রসঙ্গে একটি বথ! গ্রথমেই ন্মরণে রাখা প্রয়োজন যে, তিনি একাস্ততাবেই মুক্ত শিল্পী। মুক্ত শিল্পী তিনিই ধাকে কোন ক্রমেই কোন দল অথবা মতবাদের মধ্যে আবদ্ধ করা চলেনা । আমাদের শিল্প ইতিহাসের যে উত্তেজনার মুহূর্তে গগনেন্্নাথের শিল্পী জাবনের নৃত্রপাত, অনিবার্যভাবে মেই বস্তায় তার তামা উচিত ছিল। কিন্তু তার শিল্পপ্রেরণা একান্তভাবেই ব্যকতিকেন্ত্রিক, কোন দল অথবা মতবাদের জালে আবদ্ধ হবার মতো! মানসিকতা তাঁর নয়। সেই কারণে নব্য ভারতীয় শিল্পআন্দোলনের মধ্যে থেকেও তিনি চিত্রে ভারতীয়তার পুনরজ্জীবনের নামে মোহ্গ্রন্ত হননি । আবার চিত্রে ভ্রিকোণবাদ অ।মগানীর মধ্যেও যুরোপীর ত্রিফোণবাদীদের জ্যামিতিক গঠনের নিগৃ গৌঁড়ামি তাকে ম্পর্ণ করেনি। তার দৃষ্টিকোণ বিশুদ্ধ ভ্রিকোগবাদীদের দৃটিকোণ থেকে বিপরীত ভাবে কাজ করেছে। চিত্রে গঠনের অমূর্ততার আম্দানিই ত্রিকোণবাদীদের প্রাথমিক লক্ষযা। কিন্তু রগহৃষটির এই উদেস্ঠ গগনেক্জুনাথকে আকৃষ্ট করেনি। তায় লক্ষ্য এক গ্যারি এবং সেই ্যাটার্দের মধ এক শ্পর্শাতীত ও রোমাটিক ভাবজগৎ রচনা। বন্তত গগনেকনাখের রোমার্টিক শিলার এটি আর একটি অধ্যায়। প্রথম যুগে জাপানী শৈলীর সংস্পর্শে এসে রঙ. বিদ্তারের মধ্যে তিনি যে ভাব জগতের সন্ধান পেলেন তার পরিচয় আছে বিভিন্ন দৃশ্ঠচিত্র ও চৈতগ্ঠ চিত্রাবলীতে। গগনেন্্রনাথের কাছে সমগ্র গ্রক্কতি ও গ্রাণীজগৎ কল্পনার কোমল আভায় আবৃত। তার প্রকৃতির মধ্যে চীনা শিল্পীর গভীরভার বিস্ময় ব্যঞ্জন! নেই, অথব! মুরোপীয় শিল্পের নাটকীয় উত্তেজন! নেই। গগনেন্জনাথের কাছে প্রকৃতির সমগ্র পরিবেশ একাস্ত নিরাসক্ত, কোমল ও দ্বপ্রময়। এই প্রথম যুগের রচনা! মূলতঃ রেখাধর্মী কিন্তু পরবর্তী যুগে যখন রোমাটিক কল্পনাবিলাম রেখাকে অতিক্রম করে আলোছায়ার বিচিত্র ও বিপরীত উৎসবের মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করেছে তখন অনিবার্ধভাবেই তার শিল্প শ্বপ্নজগতের সন্ধান দিয়েছে। গগনেন্্নাথের চিত্রের রোমা্টিক আবেদন ও তদচুম্দী রীতি-পন্ধতি পরবর্তীকালে চিত্রগঠনে কিছুটা শিখিলত! এনে দিলেও তাঁর শ্রেঠ রচনাগুলি কল্পনাবিলাসের নুক্মতায় ও রহান্তে এক অপূর্ব রূপজগতের সন্ধান দিয়েছে। তার দৃষ্টির মধ্যে যে অগ্রগামীত1 ছিলো সেই দৃষ্টিই তাকে স্বদেশ ও বিদেশের রূপের পথে পথে আকর্ষণ করেছে। শিল্পের মধ্যে দিয়ে বিশুদ্ধ ভারতীয়তার আমদানি এই ছিল নব্য ভারত শিল্প আন্দোলনের আদর্ণধাদ। গগনেন্্রনাথ বিশ্বের বিভিন্ন শিল্পপন্ধতির মধ্যে দিয়ে ভ্রমণ করে এলেও তীর শিক্প- প্রতিভার বিশেষত্বে যে গুরোপুরি ভারতীয় এইখানেই তার শ্রেযঠস্ব। অবনান্্রনাথ চি" নবযুগের শর্ট! অবনীন্দ্রনাথ । উনবিংশ-বিংশ শতাবীর বাংল। যখন ভাষ! ও সািত্য, ধর্ম ও দর্শন, রাষ্ট্রনীতি, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও জাতীয় এতিহক্ষেত্রে নবযুগের তপস্থায় রত তখন অবনীন্্র- নাথের আবির্ত।ব শিল্পিগুরু ব্ূপে। তাঁর বিরাট প্রতিভার আলোকে শিল্পের নবনব দিগন্ত উদ্চ(সিত। ১৮৭১ গরীষ্টাবের ই আগষ্ট জন্মা্টনী তিথিতে অবনীন্দ্রনাথ জন্মগ্রহণ করেন। জোড়ামণাকে! ঠাকুর বাড়ীতে তথন সংস্কৃতির চর্চ। চলেছে বিপুল উদ্যমে । তিনি সেই সাংস্কৃতিক আবহাওয়ার মধ্যেই লালিত হন। তিনি ছিলেন গুণেম্্নাথ ঠাকুরের তৃতীয় সস্তান। প্রথমে কলকাতার সংস্কৃত কলেজে তিনি যোগদান করেন, পরে শ্বগৃহে শিল্পচর্চ। করেন। মিষ্টার পামার ও বিখ্যাত ইতালীয় শিল্পী সিনর গিলছাির কাছে ইউরোপীয় চিত্রকল। সম্বন্ধে ত।র শিক্ষ।। অকন্মৎ জীবনে একদিন এল পরিবর্তনের পাল!। ঠাকুর পরিবারের সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারে বসে সেদিন তিনি বইপত্তরের পাতা ওণ্টাচ্ছিলেন, হঠাৎ হাতে এল প্রাচীন ইন্দোৌ-পারসীক পুথি, কী স্ুচ।রুরূপে চিত্রিত, কী বর্ণাঢ্য তার অলঙ্করণ, মুগ্ধ হয়ে গেলেন অবনীন্দ্রনাথ, তার সুপ্ত কল্পন। জেগে উঠল, তিন রাঁধারুঞ্জ বিষয়ক চিত্রাথলী হ্থটিতে মগ্ন হলেন। ইউরোপীঃ শিল্পের ছাত্র কোথায় হারিয়ে গেল, দেখা দিল চিত্রকলার নবীন শষ্টা, বিধাত! তার হাতে সৃষ্টির তুলি তুলে দিলেন। তখন তিনি তেইশ বদরের যুবক। ১৮৯৭ খ্রী্।বে নিঃসঙ্গ সাধক দেখ! পেলেন এক সহমর্মীর--ই. বি. হাভেলের মধ্যে তিনি পেলেন সমদরদী সহধোগী এক শিল্পীকে, দুজনে একত্রে ভারতীয় চিত্রকলায় নবধুগের উদ্মেষ সাধনে ব্রতী হলেন। এতদিন তিনি ছিলেন নিভৃতে, এবার এলেন দেশবাসীর সম্মুথে। এতকাল দিশ্লী-শৈলী, পাটনা- শৈলী ইত্যাদি নামে পরিচিত দেশী চিত্রকলার গতানুগতিক ধার! চলে আসছিল, শিল্পীর। বাধ! নিয়মের মধ্যে আবদ্ধ, কারিগরী মুলত শিল্পচর্চার ফলে চিত্রকলার মান অবনত, এক কথায় শিল্পক্ষেত্রে চলছিল এক অবক্ষয়ের অধ্যায়। অন্দিকে ইউরোপীয় শিল্পকলার তখন অনুসরণ ছিল না, ছিল নিকৃষ্ট অনুকরণ । অবনীন্দ্রনাথ এলেন অসামান্ঠ প্রতিভার ছু)তি নিয়ে, চিত্রকল্লার ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায় সংযুক্ত ছোল। ভারতীয় চিত্রের নব জন্মদাতারূপে তিনি প্রথম প্রতিষ্ঠা লাভ করলেন। পরিচিত হলেন প্রাচীন ভারতীয় চিত্রকলার একজন নব্য পুরোছিতরূপে, ভারত শিল্পের পথিকৃৎ রূপে। কিন্তু তাঁর এই পরিচয় স্থন্ধে সংশয়ের অবকাঁশ আছে। স্বদেশী যুগে এই কথাটাই তার সম্বন্ধে বড় হয়ে উঠেছিল যে তিনি ত্বদেশী শিল্পী, ভারতীয় চিত্রের পুনরুদ্ধার তারই হাতে। কিন্তু তার আমল পরিচয় তা নয়। তার লক্ষ্য ছিল মৌলিক ছ্ষির দিকে, অস্ত্রের দিকে দৃষ্টিপাত করে ভাবজগৎকে শিল্পে বিধৃত করতে চেয়েছিলেন তিনি, কোন কিছু উদ্ধার করার দিকে তার গ্রবণত। ছিল না। ছবিতে ভাব দিতে হবে--এ ছিল উীরনননাদর্শ। দেশী ছবির ১৩৬৭ 1 অবনীন্দ্রনাথ ৩৯৫ আলংকারিক কাঠামো আর বিদেশী ছবির নিছক বাস্তবতা ছুই-ই তার ছবিতে বিস্ময়কর প্রতিভাবলে মিলিত হয়ে এক অভিনব রূপের জন্ম দিল । আধুনিক চিত্রকলার সুচন! হে।ল তার তুলিতে। শিল্পক্ষেত্রে অবনীন্দ্রনাথের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য এই যে তিনি কোন অঙ্কনরীতির অনুসারী নন আবার কোন অঙ্কনরীতির প্রবর্তকও নন, আসলে তিনি একজন মৌলিক গুণলক্ষণাক্রান্ত শিল্পী, মহৎ শিল্পী, গ্রথম শ্রেণীর স্টাইলিস্ট। চিত্রে তার স্টাইল ফুটে উঠেছে অশ্কনভঙ্গীর দ্বার নয়--মনোভঙ্গীর দ্বারা । চিত্রে তিনি রচনা করেছেন কবিতা1--এখানের য| স্থুর তা। হোল গীতিকাব্যের- মণ্ময়। রহস্যময়, সুনিগ্ধ । তার চিত্রের বর্ণপ্রলেপ অত্যন্ত কোমল, স্থুষমামণ্ডিত । আধুনিকতার নামে বাস্তবত। ব1 জ্যামিতিক মার-প্যাচ, চড়া রঙ, প্রখর বৈসাদৃশ্তট বা কোনন্ধপ ইজম তাকে তার মৌলিক সাধনক্ষেত্র থেকে বিচুত করতে পারেনি । বাইরের শিল্পকৌশলের বনু মতবাদ উপেক্ষা করে অন্তরের আলোয় পথ চলেছেন তিনি । তার নিজের কথায়-_“সমস্ত ইন্জিয় দিয়ে স্থষ্টির দিকে অভিনিবিষ্ট দৃষ্টি, এই হল আর্টিস্টের ভাবুকের রূপ সাধনার প্রথ| প্রকরণ । চোঁথ বুজে ধ্যান নয়, স্বপন দেখা নয়, দৃষ্টি সাধনায় বলীয়ান শিল্পী রূপরাগ্জ্ের দুর্লজ্ব্য প্রাচীর অতিক্রম করে সন্ধানে চলে গেল অরূপের, যেখানে রূপেরই প্রদীপ রূপের ঢাকনের মধ্যে জলছে। সেখান থেকে নতুনতর দেখা নতুনতর শোনার খবর এনে পৌছলেন শিল্পী যখন, তখনই ঠিক ভাবে পেলাম রূপের পাত্রে রূপাতীত রস-_চিত্রে আলোর আর কালোর ছন্দ ছুলিয়ে দিলে প্রাণ, সঙ্গীতে সুর মিলল স্ুরাতীতের রেশটুকুতে, নর্তক দেখিয়ে গেল চলার পথ কোন সে অগম্য দেশে যুগল তারার কাছে গিয়ে ঠেকেছে! বূপসাধনা থেকে রূপমুক্তির সাধন! পর্যন্ত এই দীর্ঘ পথ হল শিল্পীর সিদ্ধিলাভের পথ, নান্ত পন্থা: !” এই পথেই তিনি সাধন! করে গেছেন এবং সিদ্ধিলাভ করেছেন । নবজাগরণের ইতিহাসে অবনীন্দ্রনাথ এক অসাধারণ ও অবিস্মরণীয় প্রতিভ|। রবীন্দ্রনাথের অমর লেখনীতে তার যথার্থ পরিচয় উদ্ভাসিত--"আমার জীবনের প্রান্তভাগে যখন মনে করি সমন্ত দেশের হয়ে কাকে বিশেষ সন্মান দেয়া যেতে পারে, তখন সর্বাগ্রে মনে পড়ে অবনীন্দ্রনাথের নাম। তিনি দেশকে উদ্ধার করেছেন আত্মনিন্দা থেকে, আত্মগ্রনি থেকে তাকে নিষ্কৃতি দান করে তার সম্মানের প্ঘবী উদ্ধার করেছেন, তাকে বিশ্ব্নের আত্ম-উপলব্ধিতে সমান অধিকার দ্িয়েছেন। আজঃ সমস্ত ভারতে যুগান্তরের অবতারণ। হয়েছে চিত্রকলায় আত্ম-উপলব্ধিতে। সমস্ত ভারতবর্ষ আজ তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা-দান গ্রহণ করেছে। এঁকে যদি আজ দেশলঙ্ষমী বরণ করে ন| নেয়, আজও যদ্দি সে উদাসীন থাকে, বিদেশী খ্যাতিমানদ্ের জয়ঘোষণায় আত্মীবমান স্বীকার করে নেয়, তবে এই যুগের চরম কর্তব্য থেকে বাঙালী ত্র হবে। তাই আজ আমি তাকে বাঙল। দেশে সরম্বতীর বরণুত্রের আসনে সর্বাগ্রে আহ্বান করি।” (১৩ই জুলাই ১৯৪১) অবনীস্ত্রনাথের হৃষ্টি-মালার কোন উল্লেখযোগ্য চিত্রপঞ্জী ও তালিকা আজও তৈরী হয়নি। সার! জীবনে তিনি ষে কত চিত্র একেছেন তার পরিমাপ এখনে! হয়নি । বছ চিজ এখনে! প্রকাশের অপেক্ষায়। তার প্রকাশিত চিত্রের মধ্যে বিখ্যাত হোল “ভারতমাতা*, *শাজাহানের শেষ জীবন+, 'অশোকের রানী”, 'শাজাহানের তাজনির্াণের স্বপ্ন”, “বুদ্ধ ও সথজাত।”, আলমগীর”, “অভিসারিকা?” গ্রসৃতি। অবনীন্ত্রনাথের চিত্রায়ন বা! অন্ত লেখকের রচিত পুস্তকের বিষয় অবলম্বনে ইলাস্ট্রেশন অনবদ্য । ৭ ৩৯৬ গন্প-ভারতী [ অগ্রহায়ণ “ঘেধদুত' অবলম্বনে ছিনি কয়েকটি ছোট ছোট ছবি ঘ্ীকেন। কাঁলিদাসের “খত সংহার*-এর চিত্রসমুহ তার শিল্পীজীবনের শৈশবকল্পনা। ববীক্জনাথের "গীতাঞ্জলি ও চন্ত্রকলা' এই ছই কাব্যগ্রন্থের অন্ত তিনি কয়েকটি চিত্র রচনা! করেন। স্কট ও কোনর সাহেবের “চার্ন অফ কাশ্মীর? গ্রন্থের জন্ত তিনি ছয়খানি ছবি আকেন। যর্দিও তিনি কাশ্মীর যাননি তবু ধ্যানদৃষ্টিতে কাশ্মীরের যে রূপ তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন তা অপূর্ব এরপর তিনি ওমর খৈয়াষ রচিত “রোবাইয়াৎ”-এর চিত্রায়ন করেন। তারপরে «বাংলার রূপকথা” ও “আরব্য উপস্গাসের' চিত্রাবলীতে তাঁর অলৌকিক কল্পনাশক্তি ও আঙ্গিকের পরিপূর্ণ বিকাশ দেখা যায়। শিল্পিগুরু অবনীন্দ্রনাথের লেখনীমুখে শিল্পের নিগৃঢ় ততও প্রকাশিত । তিনি শুধু শিল্পী নন, তিনি ছিলেন শিল্পজ্ঞানী ৷ শিল্পশান্ত্রে তার অসাধারণ অধিকার ছিল। এজক্কই তিনি শিক্পশাস্ত্রের বিশেষজ্ঞরপে জানী গুণীদের শ্রদ্ধ! অর্জন করেছেন । ১৯০৯ শ্রীষ্টান্ছে প্রকাশিত হয় তাঁর একটি গ্রন্থ--“ভারত*্শল্প” | ১৯০* খ্রীষ্টাবে--বাংলার ব্রত। ১৯১০ শ্ত্রীষ্টাবে সমগ়্িক পত্রে প্রকাশিত য় 'ভারত যড়ঙগ” ও “ষড়গ্গ দর্শন” । বাংলা! ১৩৫৪ সালের বৈশাখে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় 'ভারতশিল্পের বড়” | গ্রন্থ মধ্যে প্রকাশের বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে-_“চীন ও ভারত শিল্পের ষড়গগ সন্বদ্ধে তুলনামূলক আলোচনা অবনীক্্রনাথই প্রথম কয়েন এবং এক্ষেত্রে এই আলোঁচনাই এখনে! অথ্থিতীয় হইয়া আছে।? ১৩৫৪ সালের ল্যৈষ্ঠে প্রকাশিত হয় “ভারত শিল্পে মুণ্তিঃ। কলিকাত। বিশ্ববিস্তালয়ে 'রামী বাগেশ্বরী” অধ্যাপকরূপে তিনি যে সব বক্তৃত! দান করেছিলেন তাই একত্রিত করে ১৯৪১ ত্রীষ্টাে কলিকাতা বিশ্ববিষ্ালয় কর্তৃক প্রকাশিত হয় “বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী; ৷ এরই সংক্ষিপ্ত সংস্করণ “শিল্পায়ন? । ( চৈত্র ১৩৬১ সালে প্রকাশিত ) আচার্য অবনীন্দ্রনাথের উদ্দেস্টে দেশবাসীর যথার্থ অন্ধা এখনো নিবেদিত হয়নি। ভারতের শ্রেষ্ঠ শিল্প আমরা বিস্বত হয়েছি। তার পবিত্র স্বতিরক্ষার্থে আমাদের অনেক কিছু করণীয় আছে। তার বিরাট হুষ্টিসম্পদ উদ্ধার করতে হবে, প্রকাশ করতে হবে, তার মর্মগ্রহণ করতে হবে। তার অমর হট্টিমাল। সর্বঙ্গন প্রদর্শনযোগ্য করার জঙ্গে স্থাপন করতে হবে আটটগ্যালারী--অবনীন্ত্র চিত্র-সংগ্রহাগার, সে সংগ্রহালয় পরিগধিত হবে পবিত্র শিল্পতীর্থরূপে যেখানে কেবল মাত্র বাংলার নয়, ভারঙের নয়, পরস্ধ সার! বিশ্বের শিল্পরসিকবুন্দ শ্রদ্ধাসহকারে প্রবেশ করবেন এক অপরূপ আনন্দলোকের পরিচয় লাভ করতে । - পঞ্চানন সিংহ ১৯২১ সালের একটি অপরূপ শ্বতি-_-কলকাত। বিশ্ব-বিগ্বালয়ের একটি প্রায়ান্ধকার কক্ষ, উৎসুক আোতার দল নিঃশব্ে শুনছেন এক শিল্পীর ভাষণ, শ্রোতাদের মধ্যে রয়েছেন গ্বয়ং স্যার আগুতোষ। চলতি কথায় কুহুমে গাথ। হয়ে চলেছে এক চিত জ্রবন্ধ মালা-_ সমগ্র বাংল! সাহিত্যে যার জুড়ি নেই। কলক্ষাত। বিশ্ববিষ্ালয়ের প্রথম বাঁগেশ্বরী অধ্যাপক অবনীক্মাধ হক্তৃত। ছিচ্ছেন, পল ভাই একত্র করে গ্রকাশিত হয় “বাগেম্বরী শিল্প প্রবন্ধাধলী,। ৪ হু র্‌ রম ॥ রঃ ৮. রি এ রর এ চর দহ রা ৪ ্ এ টপ ? 27257 £ 8০ তি টিটি 15:51 ৯০ সধ্যাছিত তি 1৮ টু ৪ ঈক্ীগ রাশ রেডি "ক ই ৩৮ 5০০০5 এ সিদিশর মি 2757828 ং চি টা র্‌ হত এ দে ১৩৫৮ ০০17 ৮ কিনি, এ, হও সা রঃ 4: ই 2585 3৮:৮5 7 / 1 ৭ শির থে ও এ ৪ শখ £ তত হা ও বিভ্রীছিং সি ও নব জজ 5 দিত, 5 টা হর সিডনি ২৯৮ পিশীত তি ২ পরিনত এ সহিত দিত 86841 পটার ু ? ৫৮ একপোদ্ধ হাসি গা" কোন এক শাহ এসেছেন লগুনের একটি ইডিয়োতে। একটি গাধার ছবি দেখে তিনি মুগ্ধ হলেন। এর দ্রাম কত?" শিল্পীকে জিজ্ঞাস করলেন তিনি। “হাজার পাউও"--উত্তর দিলেন শিল্পী । _ হায় খোদ]! আমি দেখছি তুমি নিজেই একটি গাধ!। তা' না হলে একট! গাধার ছবির জন্ম এমন অসম্ভব দাম চাইছ? আরে, আমদের দেশে এক পাউও্ড দিলে একট আল গাধাই কেনা যায়! গাঁ নী রী রঃ জী ছেলের! তাদের মুত বাপের ছবি গ্রীকতে দিয়েছেন কোন শিল্পীকে । ছবিটি শেষ করে শিল্পী সেটি নিয়ে এলেন ছেলেদের কাছে। বড় ছেলে বললে-__“বাবার আমল রং কিন্তু এত ঘোরাল ছিল ন!।” মেজে। ছেলে বললে--“বাবার মুখও কিন্তু অত বর্কশভাবের নয় ।” ছোট ছেলে বললে--“ছবিতে যে দাগ দেখছি, ওরকম ঘ্1গ ত বাবার মুখে ছিল ন1।” বেচার। চিত্রকর এ সব কথা শুনে কি আর বলবে? কিছুক্ষণচুপ করে থেকে শেষে বললে, “ভগবানকে ধন্তবাদ! আপনাদের মধ্যে কেউ তো! একথা বললেন না ষে আপন।র বাবার গ! দিয়ে কখনে! এমন তিপির তেলের গন্ধ বেরোয় নি।” ১, গু গু রা ষ ঢুপ্রাপ্য ছবির দোকানে গিয়ে এক ভদ্রলোক বিক্রেতাকে প্রশ্ন করলেন-__“আচ্ছ!, এ ছবিটার দাম কত?” -“আঁড়াই হাজার টাক। মশাই ।” এই কথ) গুনে কিছু না বলেই তিনি দোকান থেকে বেরিয়ে গেলেন। ক'দিন পরে আবার তিনি এলেন সেই দে।কানে, দ্বাম জিজ্ঞাস করলেন সেই ছবিটার। আজে, দু'হাজার দু'শ টাক] !”--উত্তর দিল দোকানদার । »দহ1, ভগবান, এযে দেখছি ঠিক গলাকাটা,র মতলব। ক'দিন আগে তুমিই না একশে! টাক। কম চেয়েছিল ?* সপআজে মশাই, দেখলেন ন| ছবিটার নিচের দিকট। ঝুলে পড়াতে এখন একট! ছাতার ঠেক্না দেওয়া হয়েছে । এ জঙ্েই ত দামটা বেড়ে গেছে। আপনি ত জানেন, ছবি যত পুরানো আর ভাজাচের! হবে ততই তার দাম বাড়বে। --প্বটে! তবে নিয়ে এসত বাপু তোমার ছবিখানা! একব।র আমার কাছে। ঘা" কতক লাখি মেরে ছবিটাকে আরও ভাঙ্গাচোর! করে ছি, যাতে তুমি এর দাম লাখটাকা পেতে পার।*--কথাট! বলেই তত্তরলোক ক্রোধে দোকান থেকে বেরিয়ে গেলেন। আপনাদের চিঠির যে অংশটিকে আমরা সব চাইতে প্রয়োজনীয় বলে মনে করি, সেই ঠিকানার অংশেই খন আপনারা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত হন, তখন আপনার। আমাদের হ৩ণুদ্ধি করে দেন। ঠিকান। অসম্পূর্ণ থাকলে, চিঠিপত্র প্রায়ই অনেক পথ 7 এমন কি প্রয়োজনের অতিরিক্ত পথ- ঘোরে । নিদ্দিউ ভ্বানে সোভাসুজি পৌছুবার ভন) আপলাদেতর াঠিতে পরিকর ও সম্পুর্ণ ঠিকানা থাকা গয়োজন | তআপলাদের আবও দোবা করতে তোমাদের গাতাধব) ককুল ডাক ও তার বিভাগ ০৯ ৪০/%? ণ। ই যাযায।/দাযাাদীগ9।]দাা: ")10া]0018-8।”1 নাম নুতন উগাজাণ বৈশিষ্ট্য রি ৮৮ নাগ পশ্চিম বাংলার ইভের কাগড় . ০ তে ও বৈচিত্র্যে অতু কিনুন য় ংল। তাতের কাপড় বা উহ ৬৯ ক্ষ দ কি ছি ১ এলপি ২২াগি রি ও ১ 4৬২৩ রর ৮০১৯৯ ২ স্বর্থা ও, 1 প০- ই ০৭ + ত ৯০৫০ 8 হি ০ রর ই ৮25 হ - সু সি হা 7 $/7////////%%%/7777%% 17 র্ ্‌ রা? | ্ রর 77777 2 রে এডাবে নিচ্ছমণপথে টিকিট রর রঃ দিয়ে দলাশ জন্যে 77 ভেবি না থকলে, নিশেষ কৰে কর্মপ্যঞ্চচ। যখন বাড়ে সেহ সময়ে, মনাবশ্যক ডটলা, 2:খক্চনক ঝগণ়্াঝ"টি অভদ্র ধাকধঝি ইহ্াদির মধো / 1 //5/4% 2:22 রর রর 7 2777 ঠ % //// £ 777 রঃ 77777 কিন্তু একটু মহযোগিভার 7 রি মনোভাব থাকলে এই বিশ্ব্খল অবস্থাকে অতি সহজে শ্রলাবন্ধ হয়! যায়--কেবলমাত্র যদি টিকিটগুলি হাতে নিয়ে তৈরি খাকেন। 'এতে অতি নহজে, হচ্ছে অথচ ভাড়াভাড়ি নিক্ষান্ত হতে পার যায়, কারও কোন বিরক্তি বা! অসুবিধা গু না। চর রি 4:৫৮৮৫0৫৫ ররর 2 পশলা ? টা ্ তত ৮র্ক 40277 |. দ প্‌ £েকাওয়ে ০6/467/ চটির টির ///% রর ৫ 7 রত রণ / র্ 77/72 প্র টা / 77 রর 0 1 ৮7/০৮৫ রি রঃ /7////57/- তত পতি তত পর (/%7/745 272 ০০ ২৪৫সৰ এগুষ্ঠান ও পু পুজা পার্থণে-₹ দিতে, ক উদুজা টি, নি সী তক ৯ এডি, 'এঈলঈনী ছি ভু বি 6 বাধ্লার খর ঘরে আনন বার্ড বহরে! নী শার্টি০৬৭৫ ১), £0 ট্১ [0 হক হজে অন্দঞগ। গ্তাক এ £9ে কঠি _ নু 110৮ 1 “লক্ষী ঘি” বাবহার ক'রে দেখেছি এটা / ভাল জিনিষ) 1? প্রীতুষারকান্তি ঘোষ গ্রেধালের বাজারে একপ খাঁটি ও ল্থন্বাহ দ্ব ভা সম্পাদক - অমৃতবাজাক পত্রিকা পাওয়া সীঁভাগোর বাগার। ্ঁ জ্রীক্ম।র বন্দে)াপাধায় লকতী্বত্ত বযবহায় করিয়। দেখিলাগ। বাজার কম লক্মী ঘি ধাবহার ক'রে দেখেছি সতাই ছু প্রচলিত লাধার়ণ ঘুতের তুলনায় 81 অনেক 2১. গুণে ভাল, সে বিষয় নিঃসনোছ। বাবহায় করিয়া 9১ জেখিলে প্রস্তোফেই আমার লঙ্গে এখমত হইবে? ) আশ! কযা বা। হীাশাপুর্ণ। জেবী / রঙ টি লক্ষমীতথত বাবার করিস মস্ত কইয়াছি। শ ইছার শ্বাদ ও গন্ধ ভুত কী ঘুত ব্যবহার করিবার সগুঘোগ হইয়াছিল | ধ্যবহারে পরিড়প্ত হইয়াছি | £ট ্ $ 5 ইছ। বিগুষ ও ''শ্থাগ্রদ । ডাঃ কালিদাস না" নিন নি (6, লঙ্্মীমার্ক। ঘি ব্যবহার ছিপ! লেখিয়াছি। ইহাতে প্রস্থত থাস্কাদিচ শান ভাঁজ ও সুখয়োৌচক । তে রন র্‌ ! র্‌ (৫ $ ্্ ট্রীলীত। দেবী জীশাস্ত। দেণী ৬) ক ী টি ক কি ৯ রর র0% আমি “পক্ষী থি' বাধহার করিয়া দেখিয়াছি। ১/(০5)), ডি এই ঘি বাজার চলতি উৎকট খের অক্ততন, +১৩০ ও জনসাধারণ ্ব্ছন্দে ইহা বাবহা'র করিতে পারেন। রর এ গ্রীবিবেকানন্দ মুখোপাধ্যার ও ৩৯ সম্পাদ*-্্যুগান্তর রি রি ঠঁ স্্ঞট , ১ সি ০ 4০ 2 এ ৬ বড় সকল রক ৮ ভি ৫ বিশুদ্ধ, রা ওস্বাস্ুঞ্রদ “পাওখা যায় । ৮4০ ৃ ১ রত ৯০ এ ॥ লক্মীদাস প্রেসী” ৮, বছবাজার কটা, . কলিকাতভা-১২ ॥ নতুন ভারত রচয়িতা শিক্ষা বিষ্ভারে সর্বশক্তি নিয়োগ প্রশংসনীয় কাজের জন্য যে শিক্ষকগণ ১৯৫৯ সালের রাষ্ট্রীয় পুরক্ষার পেয়েছেন মাদ্রাজ রাজ্যের দক্ষিণ আর্কট জেলার বড়কলপতির, বোর্ড মহান স্কুলের হেড মাষ্টার শ্রীআম্বালাবনন্, তাদের মধ্যে অন্যতম । গত ৩ বছর যাবৎ তিনি শিক্ষকতা করছেন এবং একজন শিক্ষবমুক্ত অনেক স্কুলকে» তিনি, বহু শিক্ষকযুক্ত স্কুলে পরিণত করতে সমর্থ হয়েছেন। এ ছাড়াও বড়ো কথ হ'ল শ্রীআম্বালাবনন্ এই কাজে গ্রামবাসীদের সন্ত্রিয় সহযোগিতা অঞ্জন করতে সফল হয়েছেন । | | শিক্ষণ বিস্তারের কাজে নিরলস কম্মী শ্রীআন্বালাবনন্‌ তার স্কুলে একটি মধ্যাহ্নকালীন খাগ্া সরবরাহ কেন্দ্রও স্থাপন করেছেন । শ্রীআম্বালাবননের মতো! উৎসাহী ও কর্মঠ শিক্ষকগণই জাতির প্রগতির জন্য দৃঢ় ভিত্তি স্থাপনে সাহায্য করছেন। তারা নতুন ভারত রচনাতেই সহায়তা করছেন। ও পারিকল্পনা আনাব ওএাযুম্খ্ত আন্ত লিল্বাঞ্পভ্ভা! পার এপ্খগর € ক জিদ্ন- 4০৮ গর | শটে ভারতের হাতের ভাতের বস্ত্রসামগ্রী এখন, আফ্রিকা, আরব দেশ সমূহ, পূর্ব্ব এশিয়া ও অন্যান্য জায়গার বহু গৃহে সমাদৃত হচ্ছে । গত বছর ৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকারও বেশী মূল্যের বস্ত্রসামগ্রী বিদেশে রপ্তানী হয়। হাতের তাতের বস্ত্রসামশ্রী উচ্চ গুণসম্পন্ন ব'লে এগুলির চাহিদ। উত্তরোত্তর বেড়ে যাচ্ছে। একমাত্র নিদ্দি্ট মানসম্পন্ন বস্ত্রাদি রপ্তানি কর সম্পর্কে যে পরিদর্শন- সক ব্যবস্থা করা হয়েছে তা, এই উন্নতিতে অনেকখানি সাহায্য করেছে। এএডেন, কলম্বো, ব্যাঙ্ক? কুয়ালালাম্পুর ও সিঙ্গাপুরে সম্প্রতি হাতের ভাতের বস্ত্রসামগ্রীর যে সব বিপণী খোল! হয়েছে, সেগুলিও, ক্রমবর্ধমান চাহিদ! পুরণ করছে। 195৯ 6034? ১৮ হততঙাদি তা ভারতের আর্থির ব্যবস্থার একটি অপরিহার্ধ্য যোগ্নসূত্র 0১80 & 0 ৃ ৃ্‌ 8 টা টানি 12৪ তে 2 বু রর বা রে ঙ ৃ 2 ৪৬ রে ্ ছ রে ঘ্ ০৪৪ বা রে রে 2 হে 2৩৪. ভ স্গ্ ৪০2০ ৪০৪৯ ০০৪ শব ৈ টি ্ * ১ কি ৯২. ৫ 1085 ৯ ঞ গজ 5১ ॥:*1 তি ৪ ০ ১ চা ধু রাত 88:50:57 ু ঃ ৯ 414 ৮৯7 4. ১ ভারি: 2৯7 11515 চহ টি ২৯ রে ৮2, এ ৮17 ্ দঃ টিন, "শা ॥ ৯ ৫ সে শি লু ১ ২ এল 5 স্পা পপ পসরা ৯ পপর এ শিস ০ পা এপ পা পপ পপ শা ৫.৮ পর রা সমস পপ শা ক লী সিনহার রা পলমযা সস র্‌ 22222222222222222222:27292222229-2 / পি ধ আধুনিকতম রুচির সর্ঝপ্রকার স্বর্ণঅলঙ্কার, মণি, যুক্তা, হীরা, জহরত প্রভৃতির অপূর্ব সম্ভার। বিবাহ ও উৎসব অনুষ্ঠানে প্রিয়জনকে উপহার দিবার নানাপ্রকার অভিনব ও চিত্াকর্ক অলঙ্কার । বিনোদ বিহারী দত্ত জুয়েলাস এড ভায়ম্ড মার্চেন্ট স্থাপিত ১৮৮২ ১-এ, বেন্িক স্রীট (মার্কেন্টাইল বিষ্ডিংস্), কলিকাতা । ফোন £ ২২-২২৭ ব্রাঞ্চ +-৮৪, আশুতোষ ঘুখাজ্জি রোড, ভবানীপুর, কলিকাত।। ফোন £ ৪৭-১২৫৮ দেবেশ দাশের নবতম রম্য গ্রন্থ পশ্চিমের জানলা ৩৫, পশ্চিম জগতের জানলা দিয়ে দেখা জীবন-মিছিলের অপরূপ -বপায়ণ, রঙে রসে বাঞ্জনায় অনবছ্য ও আশ্চর্য স্থন্দর ॥ ঝাজোয়ারা (৬ষ্ঠ মুঃ) ৪'০০ ॥ ইয়োরোপা। ( ৭ম মু: ৩০০। ॥ সন্ভ প্রকাশিত ॥ ডক্টর নবগ্োপাল দাসের আশ্চর্যনৃষ্ট এক অধ্যায় ৩০০। আই-সি-এস জীবনের শেষ বছরের শ্বতিকাহিনীর মাধ্যমে উদঘাটন করেছেন সমাজ ও ব্যক্তি-জীবনের দুষ্টবণ ওপর তলার ভয়ঙ্কর বীভৎস ঘটনার নায়ক-নায্িকার্দের বিচিত্র নগ্ন শ্বরূপ । নীরেজ্ঞনাথ চক্রবর্তীর অনন্য রচনা আয়ুবের সঙ্গে ২০০। পাকিস্তানের বিচিত্র রাজনীতির অনেক পাপা-বদলের পাঙ্গার শেষে আবিতভাব ঘটেছে নব-নায়ক সামরিক ডিক্টেটর আয়ুব খানের । তার সঙ্গে সাক্ষাৎ-আলাপের বিচিত্র রোমাঞ্চ- কর কাহিনী বিধৃত হয়েছে অন্গপম ভঙ্গীতে ৷ জরাসন্ধের অবিশ্মরণীয় স্াট সমরেশ বন্থুর আশ্চর্য উপন্তাদ সৈয়দ মুজতবা আলীর ন্যায়দঙ ৬:৫০ ॥ বাঘিনী অপর্ধপ রম্য গ্রন্থ ৭6০ | রর তামসী (৭ম মুঃ) ৫৭০ ॥ চতুর হি বিষকন্তা” নামে ছায়াচিত্ে কূপায়িত গঙ্গা (৫ম যুঃ) ৫৫5 ॥ ময়ূরকণ্ঠী (১২শ মু) ৩০ ॥ হচ্ছে। সম্প্রতি এই বইটির চিত্রমুক্তি ঘটেছে জলে ভাঙ্গায় (৮ম মুঃ) ৩৫০ ॥ মনোজ বন্ুর তারাশক্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ুবোধকু মার চক্রবর্তীর মানুষ গড়ার কারিগর (২য় মুঃ) ৫৫০ ॥ মহাশ্বেতা (২য় মুঃ) ৫৫০॥ তৃজভদ্রা ৪'০০॥ সভীনাথ ভাদুড়ীর প্রবোধকুমার সাম্তালের ধনগায় বৈরাগীর নাটক পত্র লেখার বাবা ৪". নওরঙগী ৩০০ ॥ কুগপোলী চাদ (৩য় যুঃ) ২:৫০। নীলকষ্ঠের আনন্দকিশোর মুদ্জীর নীহাররঞ্জন গুপ্তের এলেবেলে ২৫০ রাখববোয়াল ৩০০1 অপারেশন (২য় মুঃ) ৬০০ ॥ বেল পাবঙিশাস' প্রাইভেট লিমিটেড, কলিকাতা বারো ॥ ॥ সন প্রকাশিত উপন্যাস ॥ বারীন্রনাথ দাস অনেক সন্ধ্যা, একটি সন্ধ্যারাতের তার! ৪'৯* অনিলকুমার ভর্টাচর্ষের উপনদী |. প্রকাশক ও বিক্রেতা বেজল পাবগগিশাস প্রাইভেট লিমিটেড গরন্থততী। প্রাইভেট লিিটেড ১৪) বন্িম চাটুঙ্জে স্বীট, কলিকাতা--১২ ৬।৫বি, বালিগঞ্জ প্রেস, কলিকাতা-”-১৯ অনিলকুমার ভট্টাচার্ধের রম্য-উপস্কাস মেঘ পাহাড়ের গান--২'*, ॥ তি, এম, লাইজ্রেরী, কলিকাতায় ॥ পরিবেশক শব রা ঢ ৪ 9 871€1 11555 ঈ্গ&র ২৪৪৪ ৪।2 18011082210 চৈ) ঠ 081772-31181২8%71 32185) 1010111/ 3610. 1৭০ 03643 12 নিবি 1106 (6. 1/- [)60611)01 1960 অপরিহার্ঘয 0৮৮৫1 ৫6 28 1018865 7767654 ৮৯: 8887101৫ দি ৮725৪, ৩886৩ 812.